: এই পাগল, শোন! ইচ্ছেগুলোর তো কোন বয়স হয় না।
চারদেয়ালের বাইরে তোর হাত ধরে হাঁটতে চাওয়াটা যে খুব অন্যায়—জানি। তবুও আজকের জ্যোৎস্নায় তোকে নিয়ে ভিজতে ভীষণ ইচ্ছে করছে।
: ওই যে ধ্রুবতারা দেখছিস—ওটাই তুই। আর পাশে ক্ষীণ আলোর যে-তারাটা দেখছিস—ওটাই আমি। ওই দূরের আলোর ছটা তোকে ডাকছে, বুঝলি? এখানে আমার সঙ্গে এই অকারণ অন্ধকারে নিজেকে আর আটকে রাখিস না। দূরের সুখের মিছিল যে তোকে ডাকছে, বুঝতে পারছিস তো?
: আমি একা যেতে পারব না। তোকে ছাড়া সব উৎসব বড় অসমাপ্ত লাগে। আয়নাতে তাকিয়ে দেখ—আমাদের পাশাপাশি ভীষণ মানায়।
: দেখেছি... আর প্রতিবার মনে হয়েছে—তুই যে শুধুই আমার!
তোকে আমি নিজের করে চাইতে পারি না কেন? তোর আর আমার মাঝখানে সব কিছু কেমন অদ্ভুত!
আমাদের মতোই...
: তাই বুঝি?
তুই এত সহজভাবে আমাকে মেনে নিলি কী করে?
: কারণ, তুই-ই তো ভীষণ সহজ। আবার তুই এমন জ্বর বাঁধিয়েছিস?
: ওটা তোকে ছুঁয়ে থাকার একটা অজুহাত মাত্র। জানিস, জ্বরের ঘোরে আমার শুধু মনে হয়—তুই আমার খুব কাছাকাছি এসেছিস। যতটা কাছাকাছি এলে, তুই আর আমার থেকে কখনও দূরে থাকতে পারবি না। এমনটা তো শুধু এই ঘোরেই সম্ভব!
: আমি তোকে ছেড়ে এমনিতেও কোথাও যেতে পারছি না।
: তা-ও নিজেকে এভাবে কষ্ট দিতে হবে কেন? তুই কি বোকা নাকি?
: হা হা... যাহ্!
: যাব না!
: আমাকে তোর বুকের মধ্যে রেখে দিতে পারবি?
: অবশ্যই পারব। সারাজীবন পারব। তোর বিশ্বাস হয় না?
: ওভাবে বলিস না... নিজেকে বড্ড অপরাধী লাগে। যার জন্য কিছুই করতে পারলাম না, তার কাছ থেকে এতটা নিতে ভয় লাগে।
আমি ওসবের যোগ্য নই রে।
: ধুর পাগলি!
চল না, আজন্মের দূরত্ব চিরে খুব কাছাকাছি দু-জনে ঘেঁষে থাকি।