হারিয়ে-ফেলা প্রার্থনা



শায়ের,
অনেক বছর আগে,
তোমার কোনো এক লেখা পড়তে পড়তে,
স্রষ্টার কাছে তোমার কষ্টগুলো চেয়ে নিয়েছিলাম।
সেদিন কী যে কেঁদেছিলাম!

লেখাটা কী ছিল, কোন সাল—
তা আজ আর মনে নেই।
শুধু মনে আছে,
তখনও তোমার সঙ্গে আমার কোনো কথা হতো না।

শায়ের,
জানো, কেন তোমার কষ্ট চেয়েছিলাম?
তোমাকে অনুভব করতে,
তোমার ব্যথার ভাষা বুঝতে।
জানতে চেয়েছিলাম—
কোন শব্দে তুমি থমকে যাও,
কোন অভিমানে নীরব হয়ে থাকো,
কোন সময়ে, কোন ক্ষণে তোমার মন ভারী হয়ে ওঠে।

শায়ের,
আমিও তো বোকা কম নই—
পরীক্ষার সহজ প্রশ্নে ভুল করে ফেলা বালকের মতো বোকা।
তোমার সামনে যেন ভুল কিছু না বলি,
তোমাকে যেন আরেকটা ক্লান্তি না দিই,
তাই কত হিসেব করি, কত ভাবি!

তুমি তো ভিড় জমাও,
কিন্তু সেই ভিড়েই যখন তুমি একা হয়ে পড়ো,
আমি কি টের পাই?
আমি কি পারি তোমার নিঃসঙ্গতা ছুঁতে?

সবার ব্যথায় যে মলম রাখে,
তার ব্যথার খবর নেওয়ার এত আকুলতা কেন?
কী জানি!

আজ লিখতে বসে ভাবি,
সেদিন কেন শুধু তোমার কষ্টই চাইলাম?
তোমার সুখ কেন চাইলাম না?
ইস্, কী বোকা আমি!

শায়ের,
বোকারা যা পারে, বাকিরা কি তা পারে?

শায়ের, তুমি শুনছ?
কষ্ট পেতে পেতে, ক্লান্ত হতে হতে,
একদিন ঠিক জিজ্ঞেস করব—
তোমার লেখার মতো সুন্দর হতে পেরেছি কি না!
Content Protection by DMCA.com