কখনো হরিৎ বর্ণ, কখনোবা রাঙা, পাটকিলে—
আকাশে হরেক রং, রঙের মিছিলে
গোধূলির খেলা ক্রমে হয়ে যায় শেষ,
তারপর থাকে নির্জনতা অবশেষ;
এবং, এ পৃথিবীতে সন্ধ্যা নামে…
খুব ধীরে সন্ধ্যা নামে
আকাশের নীল ব্যাপ্তি ঘিরে।
এমনই তো হয় প্রতিদিন—
ঊর্ধ্বের আঁধারমাঝে দৃষ্টিকে করে দিয়ে লীন,
শিল্পীর সিসৃক্ষা নিয়ে শুধু বার বার
কাকে যেন খুঁজে ফেরে এ মন আমার।
সমুখে দিগন্তজোড়া তমসার মাঝে
হতাশার ভীরু সুর কখনোবা বাজে,
মনে হয়, হয়তো এ শুধু এক মায়ামরীচিকা
উদ্বৃত্ত জীবন নিয়ে ভেসে-চলা স্বপ্ননীহারিকা—
এখানে যে-জীবন, তার নেই কোনো স্থিতির আভাস;
সহসা অন্তর হতে ভেসে আসে তীব্র দীর্ঘশ্বাস,
বেদনার বিষবাষ্পে ছেয়ে যায় সমুখের অনন্ত জগত,
অন্বেষার দীর্ঘ তীর্থপথ।
তবুও প্রতীতি জাগে, দৃঢ়তায় শক্ত হয় মন,
সন্ধানী দৃষ্টিতে তাই তোমাকেই খুঁজি অনুক্ষণ।
সুপ্তির নেপথ্য হতে কারা যেন ডেকে বলে যায়,
তুমি আছ সন্ধ্যাতীরে আকাশের নীল নীলিমায়,
তুমি আছ প্রকৃতির মুক্তগতিতে—
জীবনের সাথে অক্লান্ত কর্তব্য শেষে
বিজয়ের বরমাল্য হাতে।
তারপর একদিন তোমায় পেলাম।
পলে পলে বর্ষ-যুগ কত যে পেরিয়ে এলাম,
মনে নেই তার কিছুই, মনে নেই
প্রকৃতির রুদ্র পরিহাস;
জঞ্জালবিদীর্ণ বুকে শুরু হলো
সিসৃক্ষার নূতন ইতিহাস।