প্রত্যেক প্রস্থানেই বাজবে ঘণ্টা,
এমন তো কোনো নিয়ম নেই!
যেমন নীল ডায়ালের সযত্ন
কারুকাজও, সময় বুঝে
স্থাণু থেকে যায় চুপচাপ,
নড়েই না
বিধুর চন্দ্রালোকেও!
প্রস্থানে তাই শুনি না ঘণ্টা।
উৎসবশেষে যদিবা ফোটে গোলাপ,
তবুও ছ-তলা ছাদ ছুঁয়ে
করুণার জল যেই-না
নিমিষে মিশে যায় বেতাল দ্রাঘিমায়,
আমি কোনো বকুলের উচ্ছ্বাস, কিংবা
আগুন-নেভানো যন্ত্রের চিৎকারও শুনি না।
তবু তো শেষঘণ্টা শুনবে বলে
আজন্ম বসে থাকে অগ্নিভুক ক-জন; আর
নীলিমাকে অসীমা ভেবে
কেবলি উল্কাপতন দ্যাখে খোলা আকাশে
জন্মাবধি।