ব্যক্তিগত দুঃখের কথা কখনোই এমন কাউকে বলবেন না, যাঁকে আপনার দুঃখ স্পর্শ করার তেমন কোনো কারণ নেই। বললে হয় কী, জানেন? তখন তাঁর মধ্যে একধরনের অবলিগেশন তৈরি হয় যে, এখন আপনাকে কিছু-একটা বলে সান্ত্বনা দিতে হবে। (ভদ্রতার খাতিরে প্রমাণ করে দেখাতে হবে যে, আপনার কষ্ট তাঁকে ব্যাপকভাবে টাচ করেছে!) কাউকে এভাবে সান্ত্বনা দিতে বাধ্য করা কি ঠিক? তিনি কি আপনার সাথে কখনো শেয়ার করেছেন তাঁর কোনো কষ্টের কথা? আপনাকে নিজের কষ্টের মার্কেটিং করতেই হবে কেন? কাউকে আপনার কষ্টের কাস্টমার হতেই হবে কেন?
কষ্ট গিলতে জানলে শক্তি বাড়ানো যায়। দুঃখের চেয়ে বড়ো পরশপাথর তো আর নেই। আপনি শক্তি বাড়াতে না চাইলেও অসুবিধে নেই, তবে কাউকে বিরক্ত করবেন না। পৃথিবীতে অনেক ধরনের পরাজয় আছে, সেগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে: যখন কেউ আপনার কষ্ট নিয়ে মনে মনে হাসাহাসি করে।
ব্যক্তিগত দুঃখের ফিরিস্তি দিলে অনেকেই বিরক্ত হয়ে মেসেজ সিন বা রিপ্লাই পর্যন্ত করেন না, কেউ কেউ ভয়ে কলই রিসিভ করেন না। কার এত ধৈর্য আছে? আর থাকলেও তা আপনাকে দেবে কেন? এমনিতে মানুষের নিজের কষ্টেরই শেষ নেই, কার এত সময় আছে আপনার দুঃখের পাঁচালি শোনার? এতটা ধৈর্য ও সময় আপনি চাইছেনই-বা কেন কারও কাছ থেকে? আপনার অনুভূতি আরেক জনকে স্পর্শ করবে কেন? চাওয়ার আগে কারণ ভাবুন।
হাসি শেয়ার করার জিনিস, আর দুঃখ লুকিয়ে রাখার জিনিস।
গ্রো আপ! ক্রাইবেইবিদের কেউ পছন্দ করে না, লোকে ওদের দেখলেই পালায়।
(আপনি জানেন, তবু আপনাকে সবিনয়ে মনে করিয়ে দিই...মানুষ মোটামুটি দুই রকমের: যারা দুঃখ শেয়ার করে, আর যারা দুঃখ লুকিয়ে রাখে।)