নিজেকে অসুখী রেখেও যদি ভালোবাসা যায়, তবেই সেটিকে বলি সত্যিকারের ভালোবাসা। সবাই ভালো তো বাসে নিজে সুখী হয় বলেই। পিতা সন্তানকে যখন বাৎসল্যের কারণে জড়িয়ে ধরে সারাগালে ও সারা-চোখে-মুখে চুমু খান, তখন পিতার খোঁচা খোঁচা দাড়িতে সন্তান তার কোমল ত্বকে স্বাভাবিকভাবেই ব্যথা অনুভব করে। "বাবা, আমাকে ছেড়ে দাও, আমার ব্যথা লাগছে!"—সন্তানের মুখে এমন কথা শুনে পিতা উলটো আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে খেতে বলেন, "আরে বোকা, আমি তো তোকে আদর করছি! আমি যে তোকে ভালোবাসি, বাবা!" পিতা বুঝতেই চান না যে, সন্তানের কষ্ট হচ্ছে। এই ভালোবাসার পুরো প্রাপ্তিই পিতার একার, কেননা ওদিকে পিতার ভালোবাসায় সন্তানের অবস্থা খারাপ!
ভালোবাসার বদলে সুখহীনতা কিংবা শূন্যতাও আসতে পারে, সবসময়ই সুখ না-ও আসতে পারে। এটা মেনে নিতে পারে না যে, ভালোবাসা জিনিসটা পৃথিবীতে তার জন্য আসেনি। কাউকে কষ্ট দিয়ে বা অস্বস্তিতে ফেলে তাকে ভালোবাসাটা স্বার্থপরতারই নামান্তর।
ভাবছেন, ওরকম পুরোপুরি নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন, এমন কেউ কি সত্যিই আছেন এ পৃথিবীতে?
হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আছেন। তবে ভাগ্য আমাদেরকে অমন মানুষের সাথে থাকতে দেয় না।
একদিন আমরা সব পেয়ে যাই, তবু ভালো রাখার মানুষটাকে সবসময় পাশে রাখার মতো ভাগ্যটুকুই শুধু পাই না।