এভাবে করলে কি হয়, বলো! আমায় রাত-দুপুরে জাগিয়ে তুলে তুমি হাওয়ায় মিলিয়ে যাও!
আমার সময়গুলোর এমনিতেই কোনো নিজস্বতা নেই, ওরা ছড়িয়ে থাকে এদিকে-ওদিকে কিংবা যে-দিকে কেবল তুমি থাকো। ওরা আমারই থাকে, কিন্তু... কিন্তু আমার আর রইল কই!
আমি গুনগুন করে গান গাই, কিন্তু তা তো গান নয়! আমি কবিতা পড়ি, কিন্তু কবিতারা যে কবিতাই নয়! আমি চাঁদ দেখি, কিন্তু চাঁদ ঠিক চাঁদ নয়! আমার সবটা আচ্ছন্ন হয়ে থাকে ভাবনায়, কিন্তু ভাবনারা কি কেবলই ভাবনা?
ওই যে দখিন-জানলার শার্সি, ওকে জিজ্ঞেস করো; ও জানে, ওর গা জড়িয়ে ধরে যে থাকে, ও আমি নই—ও যে সাক্ষাৎ তুমি!
এতকাল তো আমি এমন ভাবনায় ডুবিনি… এমন ভেঙেচুরে দিয়েছেই-বা কে আমায় কবে! টুকরো হয়ে যখন অবহেলায় ছড়িয়ে ছিলাম, তখনও তো কেউ এমন কিন্টসুগির জাদুতে সোনায় জুড়ে দেয়নি আগে!
সবারই তো একটা নিজস্ব অস্তিত্ব থাকে, তবে... আজ কেন সব তুমি তুমি লাগে?