৩৬. কারও সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার আগে খুব কম মানুষই তাকে চিনতে পারে, যার সঙ্গে সে গাঁটছড়াটা বাঁধছে।
৩৭. কেউ কেউ দেশে ভালো কোথাও চান্স না পেয়ে উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে যায়। কেউ কেউ ঘরে শান্তি না পেয়ে শান্তির খোঁজে বাইরে যায়।
৩৮. ভালো বই পড়ে না যারা, ভালো গান শোনে না যারা, ভালো সিনেমা দেখে না যারা, তাদের চাইতে ওরাই বাজে, যারা ওসব করেও নিজের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন করতে পারেনি।
৩৯. হ্যাঁ, আমি তোমার ভালোবাসাকে ভয় পাই! কেননা আমি জানি, তুমি আবারও আমাকে সেই কষ্টই দেবে! কষ্ট না দিয়ে ভালোবাসতে পারে না যে, তার ভালোবাসা আমার সহ্য হয় না। যে ভালোবাসা ভালো রাখতে পারে না, সে ভালোবাসার মূল্যই-বা কী!
৪০. মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কারও কথায় বিয়ে কোরো না। এর ফল ভালো হলে তো ভালোই, আর খারাপ হলে তার ফলটা তোমার পক্ষ হয়ে ভোগ করে দিতে সে আসবে না।
৪১. বাঁচতে অনেক কষ্ট হয়; যাদের হয় না, ওরা বুঝবে না।
৪২. প্রত্যেক কুত্তাই চিল্লানোর সময় নিজেকে বাঘ ভাবে।
৪৩. যদি প্রার্থনায় বসে দীর্ঘজীবন চাও, তবে শুধু তোমার জন্যই চেয়ো, আমার জন্য নয়।
৪৪. যদি তোমার প্রার্থনা কবুল হয়ে যায়, আর তুমি আমার হাত ছেড়ে দাও, তখন যদি মৃত্যু আসতে দেরি করে...!
৪৫. দুই ধরনের মানুষের কথা পাত্তা দিয়ে লাভ নেই। তুমি যা করতে পেরেছ, তা যারা করতে পারেনি। তুমি যে করতে পেরেছ, তা যারা সহ্য করতে পারে না।
৪৬. মৃত্যুও তোমার চেয়ে ভালো!
সে অন্তত আমায় কখনও বলেনি, 'জীবন থেকে কিছুই তো পেলে না!', যা তুমি বলেছিলে কিছু দেবার আশ্বাসে কাছে টেনে আমায় আরও শূন্য করে দিতে!
৪৭. সবার সামনে আমার কবরের কাছে বসে সেদিন অত কাঁদলে কেন? তার চাইতে কিছু কম কাঁদলে কি ওরা সবাই সত্যটা ধরে ফেলত?
৪৮. তার ব্যাপারে সাবধান হও, যে তোমার অপরিচিত হওয়া সত্ত্বেও, ‘নিঃস্বার্থ’ভাবে তোমার জন্য একটু বেশি করে ফেলছে!
৪৯. আমার যে দু-চোখ হাসে তোমার নামে, সে চোখের দিকে তাকিয়েই তুমি অতগুলি মিথ্যে বললে!
৫০. ভুল হচ্ছে, আমি হাসছি না! আমি তোমার জন্য প্রার্থনা করছি।
৫১. শুধু মৃত্যুই জীবনের সমাপ্তি ঘটায় না, কিছু জীবনও জীবনের সমাপ্তি ঘটায়।
৫২. নিজের সম্পর্কে অত বোলো না, তোমাকে বোঝার শক্তির উপর অবিশ্বাস তৈরি হয়।
৫৩. ভালোবাসা না পাবার চাইতে ভালোবাসা নেবার অভিনয় করতে বাধ্য হওয়াটা বেশি কষ্টের।
৫৪. আমাকে ভালোবাসার অধিকার আছে, মানছি। কিন্তু এতটা অশান্তি রেখেও আমাকে ছোঁয়ার অধিকারটা তুমি কোথায় পেলে?
৫৫. বেকার কাকতাড়ুয়া পাখিদের পায়ে ধরে ধরে বলে, ইচ্ছে করে হলেও ভুল করে কিছুসময়ের জন্য খেতে এসে বসো!
৫৬. আমার যত ক্ষত, পৃষ্ঠায় ছড়িয়ে রাখছি।
কিন্তু এ রক্তাক্ত পৃষ্ঠায় কী করে ব্যান্ডেজ জড়াই!?
৫৭. যে তার ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা আদায়ের চেষ্টা করে দুর্ব্যবহারের মধ্য দিয়ে, তার ভালোবাসার মানুষের চাইতে দুর্ভাগা প্রাণী এ জগতে আর হয় না।
৫৮. রাতের নিবিড় আলোয় শব্দের তীক্ষ্ণ ফলায় নিজেকে বিদ্ধ করি ক্রমাগত; প্রতিদিনই।
এ অনুশোচনাই আমার প্রার্থনা!
৫৯. আমাকে অমন তাচ্ছিল্য কোরো না। তোমাকে ভালোবাসা বাদে আর কোনও পাপ আমি এ জীবনে কখনও করিনি।
৬০. আমায় মেরে ফেলতে একটি বুলেটই তো যথেষ্ট, হয়তো সেটিও বাঁচিয়ে দিতাম সময়মতো, আর তুমি কিনা রিভলবার ভর্তি করে এনেছ!
সত্যিই তুমি বড্ড সরল!
৬১. ভালো কথা খুঁজে না পেলে চুপ থেকো। খারাপ কথা বলার জন্য কেউ কোনোদিন নোবেল পায়নি, এমনকী চুপ থাকার অপরাধে কারও কখনও ফাঁসি হয়নি।
৬২. বিয়ে করার গুরুত্ব অসীম। কেননা বিয়ে না করলে বিয়ে না করার গুরুত্ব ঠিক বোঝা যায় না।
৬৩. এমনই এক কারাগারে বন্দি হলাম, যার প্রহরীও নেই, গরাদও নেই; অথচ এখান থেকে পালিয়ে যাবার পথই নেই!
৬৪. ঢেউয়ের থাবায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বিলীন হবার অপেক্ষায়...
জলের গর্ভে? না কি প্রবালের মর্মে?
৬৫. সাগরতীরে, নুড়ি-পাথর ঢেউয়ের প্রতীক্ষায়।
জলের আদর পেতে তাকে আর কত পুড়তে হবে?
৬৬. একদিন আদরের অপেক্ষায় ছিলাম। আজ আদরের ভয়ে থাকি।
৬৭. তৃষ্ণাবুকে, জলের সঙ্গে ঝগড়া করে।
ঝগড়াশেষে, জল হয়ে জলেই মরে!
৬৮. মানিব্যাগ নয়, টাকাই আগে। মানুষ নয়, মনই আগে।
৬৯. কেন ওদের দিকে তাকাতেও দাও না? উপবাসব্রত পালন করলে কি খাবারের মেন্যুর দিকে তাকানোও বারণ?
৭০. এত অবহেলা কোরো না। অবহেলায় বাঁচতে শিখে নিলেও যদি একদিন তোমার অবহেলা গ্রহণ আর না করি, সেদিন তুমি পারবে তো বাঁচতে?