১. অভিজ্ঞতার চেয়ে বড়ো আসলে কোনও শিক্ষাই নেই! আমরা বইপত্রে অনেক কিছুই পড়ি। পড়ে আনন্দিত হই, দুঃখ পাই, অবাক হই, রোমাঞ্চিত হই। কারণ বই পড়ার পর আমরা নিজেদের কল্পনায় এক-একটা প্লট তৈরি করে ফেলি। ধরে নিই, কল্পনার অমুক জায়গাটা এমন, তমুক পরিবেশটা তেমন। কিন্তু প্রকৃতার্থে, অভিজ্ঞতায় কোনও কল্পনা নেই, অভিজ্ঞতার পুরোটাই সত্যি।
২. ক্ষমা করতে না জানলে শান্তির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা কখনোই সম্ভব নয়।
৩. শুধু টাকা থাকাটাই সমাধান নয়, সঠিকভাবে ব্যয় করতে পারাটাই হচ্ছে প্রকৃত সমাধান।
৪. 'আমাকে বিশেষ মেধা দেওয়া হয়নি।'-র আফসোসের চেয়ে 'মেধা দিলে রাখতাম কোথায়!'-এর চিন্তা করাটা বেশি কাজের।
৫. আমরা অনেকেই একতরফা ভালোবাসি। এটা হওয়াটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যাকে ভালোবাসি, তাকে ভালোবাসার কথা বলে বলে এতটাই আচ্ছন্ন করে রাখি যে, সত্যি সত্যিই যে ভালোবাসি, সেটা বোঝার মতন নীরব মুহূর্ত সে কখনো পায়ই না!
৬. চামড়া পুরু করতে না পারলে বেঁচে থাকার আনন্দ পাওয়াটা অসম্ভব।
৭. খেয়াল করলে দেখবেন, যেসব মানুষের জমিজমা নিয়ে অনেক আগ্রহ, তাদের বেশিরভাগই কেবল জমিজমা নিয়ে অশান্তি করে করে দিন পার করে দেয়, কোনও সমাধানে আসতে পারে না। আবার যারা চট করে এসব বিষয়ের সমাধান দিতে পারে, তাদের অধিকাংশের এসব জমিজমার ব্যাপারে কোনও আগ্রহই নেই। দুনিয়াটা সত্যিই অদ্ভুত এক জায়গা!
৮. 'কাউকে পুরোপুরি চেনা হয়ে গেলে আর ভালো লাগে না।'---এরকম একটা কথা প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে প্রচলিত আছে। ভালোবাসার মানুষকে আসলে চিনতে হয় না, আবিষ্কার করতে হয়। সেটা বাদ দিয়ে আমরা মানুষটিকে চিনতে যাই। সেজন্যই চিনে ফেলার পরে তাকে আর ভালো লাগে না। তবে একজন মানুষকে যদি আবিষ্কার করা যায়, তাহলে প্রতিদিন একটু একটু করে তার প্রতি ভালোলাগার পরিমাণ বাড়তেই থাকবে!
৯. আমরা সত্যিই যাকে ভালোবাসি, তাকে সময়মতো বলতে পারি না। যখন আবার বলে ফেলতে শিখে যাই, তখন আর তেমনভাবে কাউকে ভালোবাসতে পারি না। আর শেষমেশ যার সাথে জীবন কাটাতে বাধ্য হই, তাকে ভালোবাসি না। কিন্তু নানানভাবে তাকে আর দুনিয়ার সবাইকে বোঝাতে যাই, মানুষটাকে কতই-না ভালোবাসি!
১০. শুধু নারীর মনই স্পর্শকাতর নয়, পুরুষের মনও স্পর্শকাতর; যদি পুরুষের মনের সেই স্পর্শকাতর জায়গায় ঠিকভাবে স্পর্শ করা যায়!