তুমি আর নেই আমার সেই ‘তুমি’টা, যাকে ভাবলেই রাজ্যের যত ঘুম, অশান্তি, না-পাওয়ার বেদনা, উবে যেত সবই। যার কণ্ঠস্বর আমাকে মাতাল করে রাখত হাজারো মাইল দূর থেকেও, যে মানুষটার একবর্ণ দুষ্টুমিষ্টি কথায় আমি পাহাড়সম রাগ কিংবা অভিমানকে হেসে উড়িয়েই দিতাম। আমার সেই আগের ‘তুমি’টা আর নেই এখন, যে গভীর রাতে অভিমান করে কথা না বললেও জেগে থাকবে ঠিকই ওই মুঠোফোনে, কিংবা একটি ভিডিয়োকলে একচিলতে হাসি ছুড়ে দিয়ে সব অভিমান ধুয়ে দিয়ে যাবে, যার কথার চাপে চাপা পড়ে থাকে দুঃখ সবই, যার কথার রেশে রয়ে সয়ে কাঁদলেও যে ধরে ফেলে ঠিকই…কাঁদছি আমি, আমার সেই ‘তুমি’টা হারিয়ে গেছে এক অচেনা দেশে! বলতে পারো, সে এখন কোথায় থাকে? কোন সে দেশে? কোন শহরে গেলে আমি দেখা পাবো সেই আগের তোমার? আমার সেই আগের ‘তুমি’টা পারো কি দিতে এনে? যে অজস্র মুহূর্তে কবিতার সুরে মুগ্ধ করে রাখত প্রতিদিনই? যার সকাল কিংবা বিকেল আমার পাগলামো সব সহ্য করেই ঠিক কেটে যেত...। আচ্ছা, এখনও কি কাটে সেভাবেই? সেই জায়গায় কি এসে বসে পড়েছে অন্য কেউ? অন্য কাউকে মাতাল করো সুরের ছটায় আর আবৃত্তিতে? অন্য কারও রাতের সঙ্গী হয়ে গেছ বুঝি? অন্য কোনও মুখ ছুঁয়েছ ভুলতে আমায়? যা করেছ, ভালোই করেছ! আমার মতো একটা বোকা নিয়ে, আমার মতো আস্ত একটা আগুনের ছটা নিয়ে কি আর প্রেম হয়, বলো! কার এত সময় আছে, আমার মতো জ্বলার? আমি নাহয় বদ্ধপাগল, সময়গুলো নষ্ট করেছি অক্সিজেনের মতো, তা না হলে, বলো, আমার কি আর অত সময় হতো?