তুমি যখন ভীষণ আদর করো, কাছে টানো, বুকে জড়াও, চুমু খাও---তখন মনে হয়, সত্যি মনে হয়… সুখে মরে যাই! তুমি যখন ভীষণ রেগে যাও, বকা দাও, রাগটা ছুড়তেই থাকো,--- মনে হয়, কোথায় যে পালাই! কী যে করি! করার আর কিছুই খুঁজে না পেয়ে, ইচ্ছে হয়, যেটুকু চুল আছে মাথায়, সেটুকুও ছিঁড়ে ফেলি টেনে টেনে! তখনও মনে হয়,…মরে যাই! যখন রাগও করো না, আবার আদরেও নাও না, তখন মনে মনে ভাবি, এই বুঝি অন্য কেউ তোমায় নিয়ে গেল! আমার ভালোবাসায় কেউ এসে ভাগ বসাল! তখনও ইচ্ছে হয়, এর চেয়ে বরং মরে যাই! আমার এমন কেন হয়? আমি এতটা অবুঝ কেন? আমি এমন তারছেঁড়া কেন? আমি এত বেমানান কেন? আমি এরকম অদ্ভুত কেন? আমি এতভাবে জ্বালাই কেন? আমি যে কী, তা আমি নিজেই বুঝি না! মাঝে মাঝে যখন তোমার সাথে এমন করি, ভেতরে ভেতরে ভয় হয়, নিজেই নিজেকে ঠিক চিনতে পারি না, মনে প্রশ্ন আসে, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি না তো আবার? না কি আমি হয়েই গেছি পাগল? এই আমিটাকে আমি যে আর চিনতে পারি না! দিন দিন কেমন যেন অচেনা হচ্ছি নিজেরই কাছে। তুমি একটু দেখো তো ভেবে, এই আমিটা কি এমন ছিলাম আগে? যাকে তুমি ভালোবেসে কাছে টেনেছিলে? যাকে তুমি তোমাকে ভালোবাসার যোগ্য করেছিলে? সেই আমি এমন... নাহ্! ছিলাম না তো! তবে কেন এমন হলো? আজ আমি এ কোন পথে হাঁটতে শুরু করেছি? এর গন্তব্য কই? আমি কিচ্ছু জানি না! আমি কেবল ভালোবাসা জানি, আর তোমাকেই জানি! আমার কাছে যে এক তুমিই আমার পুরো পৃথিবী! কবে, কখন এমন হলো, আমি এর জানি না কিছুই! আমি শুধু জানি, তোমাকে ছাড়া আমার একটা মুহূর্তও আমি কল্পনাই করতে পারি না! এই জ্বালাটা ঠিক কেমন, যে কখনও এমনি করে ভেঙেচুরে ভালোবাসেনি, সে ভাবতেও পারবে না! আমি পুড়ে যাচ্ছি, তুমি বুঝতে পারছ না কিছুই! আমি প্রতিদিনই, প্রতিমুহূর্তেই এক অন্য মানুষ হয়ে উঠছি, তুমি তার দেখছ না কিছুই! আমার সমস্তটা জ্বলছে আর ক্রমশই ছাই হচ্ছে! এক আমার হৃদয়ই জানে, এই মনের উপর কারও যে কোনও হাত নেই! আমি ভালোবাসার পথে হাঁটিইনি, ভালোবাসাই আমায় তার নিজস্ব পথে হাত ধরে নিয়ে চলছে! মনে হচ্ছে, এ অচেনা পথে আমি হাঁটিনি কখনওই! এ পথে কোথায় কী আছে, আমি তার জানি না কিছুই! আমি অন্ধের মতো ভালোবাসার হাত ধরে হেঁটে চলছি, শুধুই চলছি…