তুমি আমার সারাজীবনের ডায়েরি হবে?
যা-কিছু ক্ষত, রাগ-অভিমান, অভিযোগ যত,
যত ব্যথা আর বিজয়কেতন…হবে আমার?
একটা পুরোজীবনের ডায়েরি-আবাস…হবে?
হাঁটতে গিয়ে এই দুটি পা থেমেছে যতই,
তোমার শক্ত হাতে পেয়েছি ততই নির্ভার ঠাঁই।
ব্যথা থেকে যখন একটা একটা বেদনা এসে ঘাম হয়ে যায়,
তুমি এসে দিয়েছিলে তখন প্রেমের পরশ!
মুহূর্ততেই, শঙ্কা যত, মিলিয়ে গেল সারা-একআকাশে…
ছেয়ে গেল কী এক মায়ার নীলে!
তুমিই দিলে পাখির ডানা, টানলে নথি---পরম সুখের!
আজ সে নথিতেই রচিত হলো এ এক ভিন্ন জীবন!
হবে আমার সে ডায়েরির ছিন্নপাতা?
তোমার বুকের জমিনে এঁকেই যাবো এক এক করে…
সকল রূপে সুখের ব্যথা…
আমার যে মুহূর্তরা নৈঃশব্দ্যের সুর গড়ে যায়,
আমার যে আকাঙ্ক্ষারা বাতাসে শুধুই কান্না ভেজায়,
সত্যিই আমি এঁকে ফেলব সেইসব টুকরো-জীবন,
যদি হও একফালি চাঁদ কিংবা উঠোন।
সুখের যত বোঝা কিংবা দুঃখের যত ভার,
তার সবটাই মিলেমিশে লিখবো তোমার হৃদয়মাঝে!
একদিন, আমার ডায়েরিলেখার দিন ফুরোলো,
নীরবতায় থামল কলম, দোয়াত-কালি।
এখন আমার ভেতরে শুধুই শূন্যপ্রাসাদ!
কথা যা-কিছু, চাপিয়ে সবই তোমার কাঁধে,
এ জীবনের ডায়েরি এবার…
যেন না চাইতেই…পেয়েই গেলাম!