কাউকে ‘হৃদয়হীনা’ বলার আগে আমি অন্তত ১০বার ভাল করে ভেবে নিই। আমার জন্য ওর হৃদয়ে ভালোবাসা জাগে না মানেই কিন্তু এই নয় যে, ওর হৃদয়ে ভালোবাসা নেই। আমার সামনে ও নিজেকে মেলে ধরে না, লুকিয়ে রাখে মানেই কিন্তু এই নয় যে, সে সংবৃত হয়ে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আমি দেখেছি, আমার সামনে যে মেয়েটি প্রচ্ছন্ন থাকছে, সে মেয়েটিই অন্যকারওর সামনে নিজের সবটুকুই মেলে ধরছে। আমার কাছে বারবারই মনে হতে থাকে, ও একটা হিপোক্রিট, ও একটা হিপোক্রিট! আমি বিশ্বাস করে ভাবতে শুরু করে দিই, ও ভুল, আমিই ঠিক। কিংবা, ও ভুল জায়গায় ভুল মানুষের কাছে নিজেকে নিরাপদ ভাবছে। আসলেই কি তা-ই? যদি ওরকম কিছু হয়ও বা, মেয়েটাকে কি সেটা বোঝানো যাবে? মনে হয় না। মেয়েরা মূলত ভিন্ন প্রজাতির জীব। ওদের ভাবনাগুলি ওদের মতনই। একটা মেয়ে কী চায়, কী পছন্দ করে, কী করলে ভালোবাসে, সেটা নিয়ে কোনওকিছুই বলা যায় না। অনেক ব্যাপারেই ছেলেরা কমবেশি স্টেরিওটিপিক্যাল হলেও মেয়েরা ওরকম হয় না। ছেলেরা কমবেশি একইরকমের হলেও একেকটা মেয়ে একেকরকমের। ছেলেরা কেমন, মেয়েরা কেমন, এ বিষয়ের জগৎবিখ্যাত বই ‘মেন আর ফ্রম মার্স, উইমেন আর ফ্রম ভেনাস’ পড়েও মেয়েদের বোঝা শক্ত। যে মেয়েটি একেবারেই শান্ত-সৌম্য-ঘরোয়া-পড়ুয়া টাইপের, হয়তো সেই মেয়েটিই আপনাকে বলে বসবে, “আপনি সিগ্রেট খান না? বলেন কী? আপনিও পুরুষমানুষ?” বিশ্বাস হলো না? সত্যিই বলে ওরকম! আমি জানি, কারণ আমাকে ওরকম শুনতে হয়েছে! খুব মিষ্টি চেহারার মেয়েকে আমি সিগ্রেট ফুঁকতে দেখেছি। আপনি কোনওভাবেই ওকে প্রেডিক্ট করতে পারবেন না। আবার খুব এক্সট্রোভার্ট, হৈচৈ-করা, ডোন্ট-মাইন্ড টাইপের মেয়ে আপনাকে ভালোবাসে অথচ চুমু খেতে ভীষণ অস্বস্তিবোধ করবে আপনি স্মোকার বলে। একটা মেয়েকে দেখলে আপনি ওকে কীভাবে নিচ্ছেন, সেটা আপনার ব্যাপার, কিন্তু ও হচ্ছে, মূলত ও যেমন, তেমনই।
একটা মেয়ের ভালোবাসা পাওয়াটা বেশ কঠিন। এর জন্য যে ওর কাছেই যেতে হবে, এমনও নয়। ছেলেরা এই জায়গাতে ভুলটা করে। মেয়েদের মস্তিষ্ক থাকে মনে, ছেলেদের ‘অন্যকোথাও’। একটা মেয়ের অন্দরমহলে যাওয়ার রাস্তা যতটা মনকেন্দ্রিক, একটা ছেলের অন্দরমহলে যাওয়ার রাস্তা ততটাই দেহকেন্দ্রিক। মেয়েদের মনেই চলতে থাকে পুরো পৃথিবীর কাজকারবার। সারাদিন ঘোরে একজনের সাথে, অথচ ভালোবাসে অন্য একজনকে, এরকম ঘটনা বহু ঘটে। কিংবা, ভালোবাসে, অথচ কাছে যাওয়া পর্যন্ত আর হয়ে ওঠে না। কিংবা, ভালোবাসে, অথচ সম্পর্কটা চালিয়ে নেয় বন্ধুর মতন। কিংবা, ভালোবাসে, অথচ বিনিময়ে ভালোবাসা চায় না, শুধু ভালোবেসেই যায়। কিংবা, যাকে ভালোবাসে, তার মনে ঈর্ষা জাগানোর জন্য আরেকজনের বাহুলগ্না হয়ে থাকে, এই আশায়, যদি ঈর্ষা থেকে হলেও তার মনে বিন্দুমাত্রও ভালোবাসা জাগে! অনেকেই একজনের উপর অসীম অভিমানে ‘প্রতিশোধ নিতে’ আরেকজনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সে প্রেম বেশিরভাগ সময়ই একটা অলিখিত প্রমাদ কিংবা প্রমোদচুক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। যে প্রেমে মনের সংযোগ নেই, সেটি প্রেম নয়, স্রেফ অভ্যস্ততা। তবে এমন প্রেমেও আসল বিপদ এসে হাজির হয় যদি কখনও সে প্রেমের ঘরে মন এসে জায়গা খোঁজে!
ইদানিংকালের প্রেমে কেউ অতো বিয়ের কথাটথা ভেবে প্রেম করে না। “তোমরা যে একসাথে ঘুরছ, খাচ্ছ, থাকছ, তোমরা কি বিয়ে করবে?” এরকম জিজ্ঞেস করেই দেখুন না! ওরা হাঁ করে আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে। এমনকি বিয়ের পরও দুইজনের একসাথে থাকা কিংবা না-থাকা, এটা প্রায়ই অভ্যস্ততার ব্যাপার। ভালোবেসেই একসাথে থাকে, এরকম সবসময় হয় না। একসাথে থাকে, কারণ এই অভ্যেসটা বিয়ের পরের প্রথম দুই বছর কিংবা ওরকম কোনও সময়ের মধ্যে দুইজনের মনের মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। কোনওদিন জানাই হলো না, একই ছাদের নিচের মানুষটি কী পছন্দ করে, কী পছন্দ করে না, ভালোবাসাটাকে কীভাবে দেখে, অথচ দিব্যি কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। এই অভ্যেসেও তো কত যুগল সংসার করে। মানুষ সাধারণত পুরনো অভ্যেস থেকে বের হয়ে আসতে পারে না, কিংবা বের হয়ে আসতে চায় না। এমনও দেখেছি, ঘর করে একজনের সাথে, আর বাস করে আরেকজনের মধ্যে। লোকের চোখে ধুলো দেয়ার সবচাইতে সহজ বুদ্ধি হল, মনোযাপন হোক না হোক, যৌনযাপন করা। পৃথিবীর সবচাইতে বড় মিথ্যে সম্পর্কটি হল, দেহকেন্দ্রিক গার্হস্থ্য ভালোবাসার সম্পর্ক। প্রকৃতির নিয়মেই ঘর বড় হতে থাকে, সাথে মনের দূরত্বটাও! দুইজনই সবকিছু জানে, বোঝে, কিন্তু কিছুই বলে না। রুটিনবাঁধা কিছু আটপৌরে গৃহস্থালির ছকেই সংজ্ঞায়িত হয় ভালোবাসা। এটাও এক ধরনের অভ্যস্ততা।
বিয়ের আগেও কিন্তু ওরকম হয়। মনে-মনে অনেক ভালোবাসে, সেটা কখনও-কখনও বলেও ফেলে; যাকে ভালোবাসে, ওর সবদিকে খেয়াল রাখা হয়, হয় ওর মঙ্গলকামনায় প্রার্থনাও; ওকে নিয়ে কেউ বাজে কিছু বললে, সেটা সত্যি জেনেও ও তীব্র প্রতিবাদ করে, পুরো পৃথিবী ওর পাশ থেকে সরে গেলেও শুধু ও একজনই পাশে থেকে যায়; ওর সবচাইতে খারাপ দিকগুলির মধ্যেও ও ভালকিছু আবিষ্কার করে ফেলে শুধু ভালোবাসে বলে; ওর জন্য দিনের পর দিন বিয়ে না করে প্রতীক্ষা করে যায় যদিও ও এটা নিয়ে একটুও মাথা ঘামায় বলে মনে হয় না; প্রতিদিনের শুরুটা একটা মোলায়েম ‘সুপ্রভাত’ টেক্সট জানিয়ে জেগে ওঠা আর শেষটা কোমল ভালোবাসামাখা ‘শুভরাত্রি’ পাঠিয়ে রিপ্লাই আসবে না জেনেও ইনবক্সের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে-থাকতে একটাসময়ে ঘুমিয়ে পড়া, এই ক্ষীণ আশায়, “মনের ভুলে হোক না হোক, আঙুলের ভুলে হলেও যদি একটা ‘হুম’ও অন্তত পাঠায়!”---সে আশা প্রায়ই গুড়েবালি! কেউ-কেউ ভীষণ অভিমানে অন্য কারওর কাছ থেকে এমনকিছু আদায় করে নেয়, যেটা ও চাইছে ওর ভালোবাসার মানুষটার কাছে, কিন্তু পাচ্ছে না। এ সব-ই কিন্তু অভ্যস্ততা ছাড়া আর কিছুই নয়। ভালোবাসা হঠাৎই হয়, আর প্রেম মূলত অভ্যস্ততা। হায়! কেউ-কেউ ভালোবাসার প্রকাশে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, আর কেউ-কেউ সেই ভালোবাসার উপহাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।
যে মেয়েটি কাছে এল, সে মেয়েটি যদি একবার ঠিক করে ফেলে, আর কাছে থাকবে না, দূরে সরে যাবে, তবে তাকে ফেরানো অতি কঠিন। এমনই কঠিন, কখনও-কখনও সব ভালোবাসা উজাড় করে দিলেও ফেরানো যায় না। একটা দূরে-থাকা মেয়েকে কাছে আনার চাইতে, সরে-যাওয়া মেয়েকে আবারও কাছে আনা অনেক অনেকবেশি কঠিন। আমি আর থাকবো না, এরকমটা মেয়েটি একবার মন থেকে ঠিক করে ফেললে, সে মেয়েটিকে আর ফেরানো যায় না। একটা মেয়ের কাছে পৃথিবীর সবচাইতে ঠিক ব্যাপারটি হচ্ছে, যেটিকে সে ঠিক ভেবে বসে আছে, সেটি। ওইসময়ে ওর মাথায় নতুন একটা জীবনবোধ খেলা করে। ও নিজেকে মুক্ত ভাবতে ভালোবাসে। পুরনো সবকিছুকে একটা ভুল অধ্যায় ভেবে ও সামনের দিকে এগোতে পারে খুব একটা বাহ্যিক অস্বাচ্ছন্দ্য ছাড়াই সাবলীলভাবে। ছেলেটির কোনও একটা কিছুকে ক্ষমা করবে না, কোনও মেয়ে এটা মাথায় একবার নিয়ে নিলে সে মেয়ে আর ফিরে আসবে না, এটাই মোটামুটি নিয়তি। আমি দেখেছি, ওরকম কোনও মেয়ে ফিরে এলেও আবারও দূরে সরে যায়। মেয়েদের মাথায় অনেকগুলি ছোট-ছোট প্রকোষ্ঠ থাকে। এদের মধ্যে কয়েকটি প্রকোষ্ঠের নাম ‘ওকে আমার ভাল লাগে না’ প্রকোষ্ঠ। কারণেই হোক আর অকারণেই হোক, যদি আপনি একবার সেগুলির যেকোনওটায় ঢুকে যান, তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত, আপনি বারবারই সেটিতে ঢুকতে থাকবেন। যে মেয়ের মাথায় একবার দূরে সরে যাওয়ার ভাবনা আসে, সে মেয়েকে ফেরানোর চেষ্টা না করাটাই সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ। যখন কেউ ফেরে আর এরপর আবারও চলে যায়, তখন সেটা মেনে নেয়াটা সীমাহীন বেদনার। না পাওয়ার চাইতে পেয়ে হারানোর যন্ত্রণা অনেকবেশি।
আবার এমনও হয়, সবকিছুর পরেও মেয়েটা ছেলেটাকে ভালোবাসে, সাথে থাকে, ছেড়ে যায় না (যদি না বাসা থেকে ওকে ধরেবেঁধে বিয়ে দিয়ে দেয়)। একটা মেয়ে একটা ছেলেকে ভালোবাসার সময় শুধু এইটুকুই দেখে, ছেলেটির জন্য ওর মনের মধ্যে ভালোবাসা জাগছে কি না। ভালোবাসা জাগার একমাত্র নিয়ম হল, ভালোবাসা এমনিতেই জেগে ওঠে! এই ব্যাপারটিকে বাহ্যিক তেমন কোনওকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে না। একবার ভালোবেসে ফেললে সে ছেলেটির জন্য এমন-এমন কাজ করা শুরু করে দেয় যে ‘ভালোবাসা অন্ধ’ এটা বুঝতে কোন ফিকশনের আশ্রয় নিতে হয় না, শুধু মেয়েটির দিকে তাকালেই চলে। পুরো পৃথিবী একদিকে আর সেই ছেলেটি অন্যদিকে। এইরকম প্রেমে যে মেয়েটি একবার পড়ে যায়, সে মেয়েটিকে নিষ্ঠুরতম শাস্তি দিতে পৃথিবীর কোন ফাঁসির কাষ্ঠ দরকার নেই, ওই ভালোবাসাই যথেষ্ট। ভালোবাসার রেলগাড়িটা ঠিকঠাক না চললে মেয়েটি একেবারে একা অসহায় হয়ে পড়ে। ছেলেটা ভালোবাসছে না জেনেও ওকে ভালোবেসেই যাওয়া, এটা যে কতটা কষ্টের, সেকথা ভুক্তভোগী মাত্রই জানে। আবার অমন কষ্টেও একটাসময়ে মেয়েটি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। সে ভালোবেসেই যায়, ভালোবেসেই যায়। অসীম যন্ত্রণা ছাড়া বাঁচতে সে কখনও-কখনও ভুলে যায়। তার এই যন্ত্রণাতেই সুখ। ছেলেটির সবচাইতে ভয়াবহ অপরাধগুলিকেও সে সহ্য করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। মানুষটা যা-ই চাইবে, আমি তা-ই মেনে নেবো, তবুও মানুষটা আমার জীবনে থাক---সে শুধু এইটুকুই প্রার্থনা করে। মেয়েটি চায়, ছেলেটি যা-ই করুক না কেন, সে যাতে নিরাপদে থাকে আর ভাল থাকে। ভালোবাসার তীব্র কষ্টে মেয়েটি সবকিছুকেই সহজভাবে মেনে নেয়। এমনকি ছেলেটির জীবনে অন্য একটি মেয়ের অস্তিত্ব সম্পর্কে জেনেশুনেও মেয়েটি কী এক আশ্চর্য যাদুতে ঈর্ষা ভুলে সেই মেয়েটিকেও মেনে নেয়া শিখে যায়! ছেলেটি যা-ই করে, তার পক্ষে সে কোনও না কোনও যুক্তি দাঁড় করিয়ে ফেলবেই ফেলবে। এও এক ধরনের অভ্যস্ততা। হায়! তার পরম মানবিকবোধ তাকে তার চরম শত্রুকেও কখনওই এই অভিশাপ দিতে দেয় না, “তুই প্রেমে পড়!” প্রেমে পড়ার চাইতে বড় শাস্তি আর হয় না। কারওর উপর প্রতিশোধ নিতে চাইলে তাকে কারওর প্রেমে ফেলে দাও। ব্যস্! বসে-বসে শুধু দেখে যাও, এরপর কী হয়! ভালোবাসার চাইতে ভয়ংকর ব্লু-হোয়েল গেইম আর কী আছে?
মেয়েটি যা-ই বলে, ছেলেটি তা-ই শোনে। ছেলেটিকে যে মেয়েটি ভালোবাসতে পারে, ঠিক তা নয়। কিন্তু ছেলেটি মেয়েটির সবকিছুকেই ভাল বলে, মেয়েটি যা-ই করে, তাতেই মুগ্ধ হয়ে যায়, মেয়েটির প্রতীক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রৌদ্রে কিংবা বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, এসব ব্যাপার মেয়েটি খুব উপভোগ করে। ছেলেটিকে মেয়েটি হারাতেও চায় না, আবার ভালোবাসতেও পারে না। ছেলেটিকে ভাল রাখার কোনও দায় মেয়েটির মধ্যে নেই---ছেলেটি এতেও অভ্যস্ত, শুধু ওকে ফিরিয়ে না দিলেই সে খুশি, আর মেয়েটিও অমন খুশি ছেলেটিকে রাখতেই পারে খুব সহজে, প্রায়ই! ওর সাথে ঘুরে বেড়ায়, একসাথে থাকে, এক ভালোবাসা ছাড়া ছেলেটি যা-ই চায়, মেয়েটি দিয়ে দেয়, কিন্তু ছেলেটি চোখের সামনে থেকে যাওয়ার পর ওর জন্য আর কোনও ভালোবাসাই জাগে না ভেতর থেকে। যে ভালোবাসা দৃষ্টির আড়াল হলে আর জেগে ওঠে না, হারিয়ে যায়, সেটা কোনও ভালোবাসাই নয়, সেটা কাম, কিংবা বড়োজোর অভ্যস্ততা। ছেলেটির ব্যক্তিত্ব মেয়েটির পছন্দ নয়, কারণ সে মেয়েটির সবকিছুতেই ‘হ্যাঁ’ বলে, তার নিজের কোনও মতামতই নেই। আবার এই ব্যাপারটাই মেয়েটা মনে-মনে চায়, যদিও বাহ্যিক স্বীকৃতি দিতে পারে না! মেয়েরা প্রেম করে এমন ছেলের সাথে যে মেয়েটার সবকিছুতেই ‘হ্যাঁ’ বলে, আর মেয়েরা বিয়ে করে এমন ছেলেকে যার সবকিছুতেই মেয়েটা ‘হ্যাঁ’ বলতে পারে।
ভালোবাসাহীনতায় আছি, তাই আপাতত বিকল্প-ভালোবাসা দিয়েই চালাচ্ছি। কিন্তু সমস্যা হল, ইদানিং কোনটা আসল-ভালোবাসা আর কোনটা বিকল্প-ভালোবাসা, সেই পার্থক্যটা ধরতে পারছি না। সময়টাই বিকল্পের! আমার কী দোষ! (আই মিন, আঁই কিচ্চি?!)