একটা ছোট্ট অনুরোধ ছিল। আপনি কোনও দিন আমাকে ভুলেও রিপ্লাই করবেন না। প্লিজ, প্লিজ এবং প্লিজ! আমি একাএকাই আপনার সাথে অনেক কথা বলতে চাই। অনেক মানে, অনেক কথা। কিন্তু আপনি ধরা দিলে আমি আর কোনও কথাই বলতে পারব না। আমি একাই আপনাকে খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করে যাব, আপনাকে ধরতে পারব না, এটা জেনেই! এর মধ্যে একটা মজা আছে। আমি ভাবতে পছন্দ করি যে আপনার বেশিরভাগ গল্পের নায়িকা আমি নিজে। এটা ভেবেই আমি আপনাকে আমার ভাবনার কথা লিখে যাব। তবে এটা জেনে লিখতে চাই যে, আপনি আমাকে নিয়ে এক লাইনও কখনও লিখবেন না। আমার এই ভাবনালিখনেই আনন্দ!
একটা ঘটনা শেয়ার করি। কাল সকাল থেকে রাত অবধি নানান কাজে বাইরেই ছিলাম। রাতে সিসিএনএ কোর্সের তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দুই ঘণ্টায় শেষ করে শ্যামলী ফিরছি বাসে, ঘড়িতে তখন রাত আটটা বাজে। গাড়িতে এক ভদ্রলোক পাশের ছেলেটাকে বলছেন, “………এখন আছি রেডক্রস-এ; নওগাঁ, নাটোর, পাবনা………এইদিকটা দেখতে হয়। গত পরশু ফিরলাম……..অনেক কিছু করার আছে। হেরেযাওয়া মানুষকে গল্প বলতে হবে। ওই যে আছে না, হ্যাঁ, (আপনার নাম নিল)……. তার গল্প শোনাতে হবে। সে কয়বার ব্যর্থ হয়েছে, সেই গল্প বলতে হবে!
মজাই লাগে!
মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেই মুহূর্তে আমি আপনার ‘সমর্পণের ক্ষত’ পড়ছিলাম মোবাইল স্ক্রিনে। আপনার নাম একজাম্পল হয়ে গেছে অনেক আগেই, তবু হঠাৎ এভাবে কানে এলে ভাল লাগে।
আর দেখুন, আপনার কথামতই ক’দিন আগের অবস্থাটা আপনি ঠিকই বদলাতে পেরেছেন। মানুষ কিন্তু স্ক্যান্ডেল না, ভালটাই মনে রাখছে; অন্তত যারা ভালটা নিয়ে আগে ভাবে, তারা। আপনার প্রশংসা বরাবরই আমাকে অনেক বেশি গর্বিত করে।
ভাল কথা, আপনার পুতুলবিয়ে গল্পটার নায়িকা কিন্তু আমার এক বান্ধবী! পার্থক্য হল, ওর কেউ মরে যায়নি, তবে ওর মা ওকে রেখে আরেক জায়গায় বিয়ে করেছিলেন, বাকি কাহিনি মোটামুটি একই। ও আমাকে জিজ্ঞেস করছিল, আপনি যাদুটাদু জানেন কি না। আচ্ছা, আপনি কি আদৌ জানেন, আমি আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে আছি, নাকি নাই? আমি আপনার লেখা পড়ি, আর বারবারই নিজের কাছে হেরে যাই। আচ্ছা, আপনি আমাকে এতো কান্না করান কেন? দুএকবার আমাকে জিতিয়ে দিতে পারেন না? কখনও মনে হয়, আপনি যে গল্পটা লিখছেন, সেটাই ভবিষ্যতে আমার জীবনে ঘটবে। এমন কেন মনে হয় আমার? আচ্ছা, আপনি বই লিখবেন? আমি প্রকাশ করার ব্যবস্থা করে দিতে পারি, আবার সব কপি কিনেও ফেলতে পারি। আপনি কেন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড না? একা থাকতে আমার আর ভাল লাগে না। আমার কান্না পায় এসব ভাবলে।
আপনি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে যান, প্লিজ! তবে শর্ত একটাই: আমি একাই কথা বলে যাব, আপনি একটাও কথা বলতে পারবেন না, একদম চুপ করে থাকবেন। শর্ত না মানলে আমি আপনাকে ব্লক করে দিব। আমি তো আপনাকে বিসিএস নিয়ে জ্বালাই না, তাও আপনি আমার উপর বিরক্ত কেন? আচ্ছা, চাকরি না পেলে আমি কোনও ছেলের বাবা-মা’কে পটাতে পারব না, তাই না? মানে, আমার কপালে চাকরি নাই মানে বিয়েও নাই, এরকম? আমি বিয়ে করতে না পারলে আমার চাইতে সমাজের লস বেশি। আমি কেন বিয়ে করছি না, এ চিন্তায় সমাজের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। কারণ, আমাদের দেশের সমাজের খেয়েদেয়ে কাজের বড়ই অভাব। ব্যস্ত এবং উন্নত সমাজে আমরা বাস করছি না। আমরা সবসময়ই আরেকজনের টয়লেটের কমোডে কেন দাগ, এ চিন্তায় অস্থির, অথচ নিজেদের টয়লেটে গন্ধের চোটে যাওয়া যায় না! আমার এক কাকা আছেন, উনার মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে। খাওয়া আর ঘুমানো বাদে আমার কাকাত বোনের এখন একমাত্র কাজ জিবাংলায় সিরিয়াল দেখা। আমার সে কাকা মেয়ে অনার্সপড়ুয়া, এমন কাউকে পেলেই মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন না কেন জাতীয় প্যাঁচাল পাড়তেপাড়তে মেয়ের বাপের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেন। উনার হাতে নাকি অনেকগুলি ভালভাল ছেলে আছে। উল্লেখ্য, নিজের মেয়ের বিয়েও উনি নিজে পছন্দ করে ভাল ছেলে দেখেই দিয়েছিলেন। ব্যাপক লেভেলের স্টুপিড আর বিরক্তিকর মানুষ না, বলেন? আচ্ছা, চাকরি পেতে এতো পড়াশোনা করতে হয় কেন? যদি পড়াশোনা জানা কোনও খারাপ লোক চাকরি পেয়ে যায়, তখন? তার চাইতে অল্প পড়াশোনা জানা ভাল মানুষকে চাকরি দেয়া কি ভাল না? ভাল সেবা দিতে কী আগে লাগে? ভাল পড়াশোনা? নাকি মনুষ্যত্ব?
এই যে আপনাকে এতো জ্বালাই, এতে আপনি কি খুব রাগ করেন? কী করব, বলেন! আপনার লেখা পড়ি আর মাথায় কতকত প্রশ্ন গিজগিজ করে! আমার কেবল মনে হয়, আপনি আমাকে ভেবেভেবে লিখেন! তবে একটা পার্থক্য আছে, তা হল, আমি আপনার নায়িকাদের মত সব মেনে নিতে কখনওই পারব না! মেয়েরা অতো লক্ষ্মী বাচ্চাও না, অতো মেনেটেনে কোনও মেয়েই নেয় না। আপনি একটু বাড়িয়ে লেখেন। আর আমি তো ডেট করি আমার নিজের সাথেই! ওই যে আপনি বলেন না, মাস্টারডেটিং! পেটে ভাত না থাকলে ভালোবাসা আসে না, কোনও ছেলে এটা বোঝে না কেন? বুঝলে কেন একটা ভাল চাকরি বা ব্যবসার জন্য চেষ্টা করে না? খালি সুন্দরী মেয়ে দেখলেই লাফায়! ছাগলের তিন নম্বর পবিত্র বাচ্চা! কোন কিতাবে লেখা আছে, সুন্দরী দেখলেই লাফানো অবশ্যকর্তব্য? বেশি পাণ্ডিত্য ফলাচ্ছি, না? চিন্তা কইরেন না, আমাকে মাথায় তুলে আছাড় মেরে ফেলে দেন! আর তোলার আগে মাথায় রাইখেন, আমি অনেক লম্বা!…………মেয়েরাও কেমন জানি! আজাইরা টাইপের কোনও ছেলেকে ভালোবেসে ফেলে আর তার ভাব বাড়ায়ে দেয়! কোনও মানে হয়? মেয়েরা যে ছেলেকে পছন্দ করে, তার দাম একটু বেড়ে যায়! দাম বাড়লে ছেলেদের মধ্যে একটা অভদ্র টাইপের অ্যাটিটিউড চলে আসে। ছেলেরা ভদ্র হলে কিউট লাগে। এইটাই গাধাগুলা বোঝে না! জানেন, আপনাকে এমন এলোমেলো কথাগুলি কেন বলছি? কারণ, আমি তো জানি, আমি যা-ই লিখি না কেন, আপনি তো পড়বেনই না! তাই আমার মনে যা আসে, তা-ই আপনাকে লিখে পাঠাই আর মনকে শান্ত করি। লোকে ডায়রি লেখে কেন, জানেন? যাতে লিখেই ভুলে যেতে পারে! লোকে ডায়রিতে যা লিখে ফেলে, তা নিয়ে তার কোনও আগ্রহই আর থাকে না। লোকে ডায়রি লিখে, নিজেকে নিজের সামনে মেলে ধরে, আর পালিয়ে বাঁচে। আপনি আমার ডায়রি হয়েই থাকবেন, কেমন?
আপনি বেশি বুদ্ধিমান বলেই কি লাভ ছাড়া কাউকে ভালোবাসতে পারেন না? কই, আমার তো এতো লাভের দরকার পড়ে না কখনও! তার মানে কি আমার মাথায় বুদ্ধি কম? আপনাকে আমি ভাল মনে করি, কারণ আপনি যেমনই হন না কেন, আপনি আমার সাথে ততটুকুই খারাপ হতে পারবেন, আমি আপনাকে যতটুকু খারাপ হতে দেবো—এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে। আর শুনেন, আপনাকে হাল্কা ব্লু মানে, স্কাইব্লু শার্টে খুব ভাল লাগে, পিংক কালারের শার্টে একটুও ভাল লাগে না। আপনি আর কক্ষনো গোলাপি রঙের শার্ট পরবেন না, কেমন? ওটা পরলে আপনাকে মেয়েমেয়ে লাগে। আরেকটা প্রশ্ন ছিল, করি? আমি মেয়েদের সহ্য করতে পারি না কেন? একটু মাথা খাটিয়ে কয়েকটা সম্ভাব্য কারণ বলেন তো!
আমার কেন আপনাকে এতবার মনে পড়ে? আপনি আমার কে? কেউই না! তবু কেন সারাক্ষণই আপনাকে মনে পড়তে হবে?
আর শুনুন, আপনি আমার ছবি চেয়েচেয়ে এতো জ্বালান কেন? ভোট দিতেও তো এতবার ছবি দিতে হয় না! আপনি একটা ভূত—মাথার উপরে চড়ে আছেন। এখন তো আপনাকে আমি সব জায়গায় দেখতে পাই! পানি খাওয়ার সময় গ্লাসের মধ্যেও দেখি। আমি কিন্তু সিরিয়াস! হায়, আমার কী হবে! আমি তো আপনাকে সে লেভেলের ভালোবেসে ফেলেছি। খুব বড়সড় বিপদে পড়ে গেছি এখন! মাথা থেকে কীভাবে নামাব আপনার ভূত, বলেনতো! আমি আপনার সুইট-বি হতে চাই! কিন্তু সবই তো একদিক থেকে। আপনি তো আমাকে মেবি আপনার আগ্লি-কক্রোচও বানাবেন না! এজন্যই তো কাস্পিয়া আপু আপনাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নিতে বলে। প্লিজ, একটা উপায় বলেন না আপনাকে ভুলে যাওয়ার!
আপনাকে ভালোবাসার কথা বলা মানে সেধে বিরক্ত কুড়ানো। আপনি নিজেকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন যে আপনাকে সবাই চাইতেই পারে নিজের মত করে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেখানে তো আমি নিতান্ত মূল্যহীন একজন! ভাল থাকবেন নিজের মত করে। আর হ্যাঁ, ভালো আপনাকে আমি সত্যিই বাসি অনেক! এর বেশি কিছু করা তো আর সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই কিছু প্রতিজ্ঞা করেছি নিজের সাথে। প্রতি মুহূর্তে নতুনভাবে বাঁচার চেষ্টা করব। প্রচুর বই পড়ব। ভাল গান শুনব। ভালভাল মুভি দেখব। আর এগুলোই হবে আমার নিজের কাছে আপনার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
একজন মানুষের পরিচয় দেয়ার মতোও তো ন্যূনতম কিছু থাকতে হয়। আমার তাও নেই। আমি নিজের কোনও পরিচয় তৈরি করতে পারিনি এখনও। সেই দিক থেকে আমার কোনও যোগ্যতাই নেই আপনাকে বিরক্ত করার। অবশ্য, পরিচয়হীন থাকার অনেক সুবিধা। সবচাইতে বড় সুবিধা, যার কোনও পরিচয় নেই, ঠিকানা নেই, তাকে কখনও পুলিশে ধরে না। পুলিশ ভয়ংকর জিনিস। এমনকি তেলাপোকার চাইতেও ভয়ংকর! আচ্ছা, আপনাকে কখনও পুলিশে ধরেছিল? ধরলে বুঝবেন, কেন লোকে পুলিশ দেখলেই ‘স্যার’ ‘স্যার’ করে মুখের ফেনা বের করে ফেলে! শুনুন, আপনার ওয়ালের প্রত্যেকটা গানই অসাধারণ। আপনি এত সুন্দর-সুন্দর গানের খোঁজ কীভাবে পান! আপনার মামণির হাসিটা এত সুন্দর! দেখলেই মনে হয়, পুরো পৃথিবী একসাথে হাসছে! আর আপনার মাথা তো পুরো কাকের বাসা হয়ে গেছে। কালকে সকালেই চুল কাটতে যাবেন, কেমন? আই মিন, কাটাতে! আচ্ছা, আপনার দাড়িতে উকুন হয় না? আরেকটু বড় করেন, এরপর দাড়িতে বেণী করতে পারবেন। শ্মশ্রুবেণী! খুব মজা হবে! আজকে তো আপনার অনেক সময় ছিল কৌশিকী আর শুভমিতাকে ভালোবাসার! ভাল তো! ভাল না? আচ্ছা, ওই আপুটা, আপনি যাকে আমাদের কাছে পূর্ণা নাম দিয়েছেন, উনি কি আপনাকে এখনও মেসেজ দেন? সুন্দর-সুন্দর গানগুলোর কথা বলেন? উনি আপনাকে এত গুছিয়ে কিভাবে ভালোবাসেন! আমার খুব ইচ্ছে, কাউকে খুব গুছিয়ে ভালোবাসবো। কিন্তু কীকরে? আমি যে নিজেই অগোছালো! ‘৩ বছর পরের বৃষ্টিতে’ আজ রাতে আবারও পড়বো।
আপনাকে জানার চেষ্টা করেছিলাম। স্টুপিড আমি একটা! নইলে এ কাজ কেউ করে! জানি, আপনি বরাবরই ভালোবাসার এরকম প্রকাশ পছন্দ করেন না। গত দুইদিন ধরে অভদ্রের মত আপনাকে জ্বালিয়ে চলেছি আপনার মহামূল্যবান সময় নষ্ট করে। ক্ষমা করবেন, প্লিজ। আপনি কোথায়, আর আমি কোথায়! আপনার নখেরও যোগ্যতা নেই আমার। হয়তোবা এটা মোহ ছাড়া আর কিছু নয়। আমি চাই, তা-ই প্রমাণিত হোক। আর তা না হলে নিজেকে অবশ্যই যথেষ্ট যোগ্য প্রমাণ করতে হবে। আহ্! কত্ত স্বার্থপর আমি! ভালোবাসলেও আপনাকে জ্বালাই, আর ঘৃণা করলেও আপনাকেই জ্বালাই! আরে, আপনি তো সবার জন্যই সমান! কেউকেউ ভাগ্যবান, যারা আপনার মনে স্থান করে নিতে পারে। সব বুঝেও কেন মনকে আপনাকে ভালোবাসতে দিলাম, বলুনতো! আর কেনই বা প্রকাশ করার ইচ্ছা জাগল। জানি না……..
ফেইক অ্যাকাউন্ট খোলা আমার মনবিরুদ্ধ একটা কাজ। এটা আমার কাছে ক্রাইম। কিন্তু কী করব, বলুন! রিয়েল আইডি থেকে তো আর কথা বলতে পারতাম না। আপনি আমার কল্পনায় ঢুকে গেছেন। ঘুম থেকে উঠে আপনার ওয়াল ঘুরে না আসলে আমার দিন শুরুই হয় না। আপনার পরিবারকে এত আপন মনে হয়! আর আপনার যে জিনিসটার উপর আমার সবচেয়ে বেশি লোভ, তা আপনার লাইব্রেরি। আপনি আমার কাছে কষ্টি পাথরের মত। যার কথা মনে হলেই বিনয়ী হতে ইচ্ছে করে, লিখিয়ে হতে ইচ্ছে করে, সে হচ্ছেন আপনি। আপনি সার্থক। আপনি অনন্য। আমি কেউ না। আমার আপনাকে এসব বলার কোনও দরকারই নেই। প্রয়োজনীয়তাও নেই। কিচ্ছু নেই! আমার মত আরও অনেক আছে, যারা আপনাকে এমন করে অথবা আরও বেশি ভালোবাসে। আপনাকে ভালোবাসাটাই বেশি সোজা ঘৃণা করার থেকে। আচ্ছা, দরকার নেই, প্রয়োজনীয়তা নেই, দুটোই একই জিনিস না? তাহলে আমি দুইবার লিখলাম কেন? আমি এতো গাধা কেন?
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ‘আমি’ ভিডিওটা বেশ ভাল। দেখে ফেলেছি কয়েকবার। ক্যারিয়ার আড্ডাগুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-এর গুলো বেশি ভাল। আপনার কণ্ঠ এত্ত সুন্দর। শুধু ওটার উপরই ক্রাশ খেয়ে থাকা যায় কয়েকটি বছর! আপনার বৌ-চয়ন বিষয়ক পোস্টটা কীভাবে যেন চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই চোখে পড়ল কিছুক্ষণ আগে। একটা জিনিস বুঝতে পারলাম। মানুষ যখন কোনও সমস্যায় থাকে, তখন সে বুঝতে পারে না, তার আসলে কী করা উচিৎ। তবে তখন স্রষ্টা তার চারপাশের পরিবেশকে এমনভাবে উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে উত্তর থাকে, তার কোন পথে চলা উচিৎ। আমি কিন্তু কিছু মিন করে কথাটা বলিনি। তবে আপনি বুদ্ধি করে আমার কথার কোনও মিনিং বের করে ফেললে আমি কিছু মনে করব না।
আপনি এই যে মেসেজ সিন করেন না, এই সিন না করার সিদ্ধান্ত খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। কিন্তু আপনাকে যে গানটা পাঠালাম, সেটা তো শোনা যেতেই পারত, তাই না? নাকি আমার পাঠানো গান শুনলে আপনার পেট খারাপ হবে? আপনার চোখের ছবি এঁকেছি। এই নিন, দেখুন। জানি, একটুও ভাল হয়নি। কোনও কারণ মাথায় রেখে আঁকিনি। হঠাৎ চোখদুটো আঁকতে ইচ্ছে হল। তাই…….ভাল কথা, কনফেস করে ফেলি, আপনার চোখ ট্যারা করে আঁকতে ইচ্ছে করেছিল। এরপর কেন জানি মায়া লাগল, তাই শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাকই এঁকেছি।
আমি আপনার কেউ না। আমি একজন শুভাকাঙ্ক্ষী মাত্র। আপনার লেখা হতে প্রাণ পাই। আপনার ভিডিও দেখি। ব্যস্ এইটুকুই! আপনার কথা আমাদের কাছে পৌঁছায়। আমাদের মত মানুষ, যারা সফল হয়নি, তাদেরও কিছু অনুভূতি থাকে আপনাকে বলার মত। তবে আপনি না চাইলে আর বিরক্ত করব না, এটা ভাববেন না। এত বিকৃত ছবি আঁকার জন্য দুঃখিত। ইচ্ছে করে অমন আঁকিনি। আমার আঁকার হাত ভাল না। তবে এই চোখ অনেক ভালোবাসা দিয়ে এঁকেছি। আমার মুনশিয়ানা খুঁজতে যাবেন না, ভালোবাসাটা খুঁজুন। আমার চোখে আপনার চোখ অনেক সুন্দর, তবে আমার হাতে তা অতো সুন্দর হয়ে আসেনি। এটা আমার সীমাবদ্ধতা, আপনার নয়। গার্লস শুড হেইট ফেমাস পিপল! এটা মেয়েরা বোঝে কখন, জানেন? কোনও ফেমাস লোকের প্রেমে পড়ে যাওয়ার পর। তখন মুড়ি খাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। মেয়েরা সেধেসেধে বাঁশ খায়। বড়ই আজব জাতি এই নারীজাতি!
আচ্ছা, আপনি কি আমার উপর খুব বেশি বিরক্ত হয়ে গেছেন? এমন নুনের ছিটে দিলেন কেন? তবে এরকম দুচারটা পোস্ট দেয়া ভাল। এতে কিছু মানুষ আপনাকে আনফ্রেন্ড বা ব্লক করে দেবে। পরিচিতজনের সংখ্যা কমবে, বন্ধু চেনা সহজ হবে। জীবনে পরিচিতজন কমুক, বন্ধু বাড়ুক। আমরা যাদের বন্ধু বলি, তাদের প্রায় সবাইই তো স্রেফ পরিচিত, এর বেশি কিছু নয়।
যাক্, কিছু তো লিখলেন! আমি তো ভেবেছিলাম, আপনাকে রাইটার্স ব্লকে ধরেছে। সুদীর্ঘ ৪৩ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট পর হলেও কিছু লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার লেখা পড়ি খুব মনোযোগ দিয়ে—অন্তত যেদিন থেকে আপনাকে চিনি, সেদিন থেকে। আপনার কথাগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি। নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তনও এসেছে। জীবনকে নতুনভাবে ভাবতে শিখেছি। আগে অনেক রাগী ছিলাম, অল্পতেই মাথা গরম হয়ে যেত। আপনার লেখা পড়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে গেছি অনেকটাই। বিনয়ী হওয়ার অর্থ খুব একটা বুঝতামই না। বিনয়ী হওয়ার চেষ্টা থেকে অনেক ভালভাল গুণ আয়ত্ত করতে পেরেছি। আগে তো হুটহাট করে নিন্দুকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শুরু করে দিতাম। এখন চুপচাপ হজম করি। কারও প্রশংসা কিংবা নিন্দা, কোনওটাই আমাকে আর ততটা স্পর্শ করে না। আপনার প্রতিটি কথা বোঝার চেষ্টা করি। তবে হ্যাঁ, আপনাকে জ্বালানোটা বন্ধ করতে পারিনি। অনেকদিন ধরে একটা প্রশ্ন করতে চাচ্ছি শুধু জানার ইচ্ছা থেকে। রাধা দিদির সাথে আপনার যোগাযোগ হয় এখনও?
আপনি নীরবে একটা ওষুধ দিয়ে যাচ্ছেন। আর হ্যাঁ, অবশ্যই আমি সেই ওষুধ ঢকঢক করে গিলছি। ওষুধটার নাম অবহেলা। জ্ঞানীরা মনে হয় অবান্তর প্রেমের প্রস্তাব উপেক্ষা করতে এ ওষুধটা ইউজ করে। অবশ্য আমি এ ব্যাপারে শিওর না। তবে আপনাকে মনেমনে অনেক বকে দিয়েছি। বুঝবেন, একসময় বুঝবেন। প্রশংসা শোনানোর মানুষ আর পাবেন না। হুহ্! বলে দিলাম। আশা করি, আমার উপদেশ আপনার কোনও কাজে লাগবে না!
ভেবেছিলাম, আর মেসেজ দেবো না। মেয়েরা ভাবে এক, করে আরেক।………আমার তোমায় আঁকড়ে ধরে খুব বাঁচতে ইচ্ছে করে! কেন তুমি অন্য কারও? কেন আমার এত অসহায় লাগে?………ভয় পেলেন? না পেলে কেন পান নাই?
কোনও বই পড়ার পর যদি আপনাকে ‘ভালোবাসি’ বলে ফেলতে ইচ্ছে করে, তবে সেটা নিশ্চয়ই আমার দোষ না। এক আনাও না। সব লেখকের আর আপনার দোষ। বিয়েটিয়ে করে নিবেন, পরে আর ভালোবাসি বলার সুযোগ তো নাও হতে পারে। আমি আবার এই খ্যাতমার্কা যুক্তিতে চলি। আপনাদের মত অত বড়বড় লজিক আমার ছোট্ট মাথায় ঢুকে না। আর হ্যাঁ, আমি অ্যাটেনশন-সিকার না। যা বলি, মন থেকেই বলি। ইচ্ছা না হলে রিপ্লাই দেবেন না। আই ডোন্ট কেয়ার অ্যাট অল! একটা বুদ্ধি দিই। ব্লক এভ্রিওয়ান! আমাকেও। কারও কথা শুনতে হবে না।
আমি একটা প্ল্যান করেছি। আপনার পোস্টগুলি প্রিন্ট করে যত্নে রেখে দেবো। এরপর আমার মেয়ে হলে ওর রুমের ওয়ালে ঝুলিয়ে দিয়ে বলব, “দেখো, দেখো, মা, এগুলি তোমার পণ্ডিত কাকুর উপদেশ। এগুলি মেনে চললে জীবনে কোনোদিনই প্রেমে পড়বে না।” কিন্তু সত্যটা হল এই যে, মেয়ে আমার কথা শুনবেই না, প্রেমে পড়বে এবং ছ্যাঁকা খাবে। ওর কান্নাকাটি থামাতে আমি অতিষ্ঠ হয়ে যাব। মাগুলি তাদের ছ্যাঁকাখাওয়া মেয়েগুলিকে ধরেধরে থাপ্পড় মারে না কেন? ছোটবেলায় কীসব রোগ প্রতিরোধক টিকা দেয়, অথচ যেটা সবচাইতে বেশি দরকার—প্রেম প্রতিরোধক টিকা, সেটাই দেয় না! এমন দুরারোগ্য ব্যাধির কথা কারও মাথায় নেই কেন?
“আমি কবিতা লিখি এজন্য যে যাতে পৃথিবীর সব সুন্দরীই আমার প্রেমে পড়ে যায়। অথচ, বাস্তবতা কী বলে? আমার নারীপাঠক মূলত দুই ধরনের। এক। সেসব পাঠক যারা আমার কবিতা না পড়েই লাইক বা ওয়াও টাইপের কিছু একটা কমেন্ট করে ফেলেন এই আশায়, এতে যদি তার বিসিএস’টা হয়ে যায়! দুই। সেসব পাঠক যারা আমার কবিতা না পড়েই কমেন্টে লিখে দেন, ভাইয়া, ইংরেজিতে খুব দুর্বল, বিসিএস পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভাল করতে হলে আমাকে কোন গাইড পড়তে হবে? যত্তসব অতি পবিত্র গাভীর দল! তবে হ্যাঁ, কিছু বোদ্ধা নারীপাঠক আছেন, যারা সত্যিই আমার কবিতা পড়েন। তবে তাদের কেউই দেখতে ভাল না। বোদ্ধা পাঠকের চাইতে সুন্দরী পাঠক বেশি আনন্দ দেয়। সবই কপাল! কপালের নাম গোপাল!”
এসব কী লিখেছেন? আপনি একটা একদম বেশিবেশি! রিররইইইইই………
আমার ভাললাগার মানুষ অতো নেই। আমি কারও সাথে তেমন কথা বলিও না। আপনাকে ভালোবাসি, আপনার সাথে কথা না বলে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব। বেশি রাগ করবেন না, প্লিজ। তবে ইচ্ছে হলে একটু করে রাগ করতে পারেন। আপনি একটা যাচ্ছেতাই! আপনার জন্য আর কত মানুষের মাথা খারাপ হবে? এতো ভাল লেখার দরকারই বা কী? আপনি ভীষণ দুষ্টু টাইপের আছেন। আপনি চান, যাতে সবাই সারাজীবনই আপনার উপর ক্রাশ খেয়ে যায় আর অন্য কেউ কোনও সুযোগ না পায়। দেখেন ভাই, এতো ক্রাশ খেতে পারব না। আমার নিজেরও তো একটা ফিউচার আছে, নাকি? আচ্ছা, আপনি কি সেদিন পুরান ঢাকার খান-এন’-চাটেন রেস্টুরেন্টে ঢুকছিলেন দুপুর সোয়া বারোটার দিকে? আমার এক বান্ধবী নাকি আপনাকে দেখেছে। সেদিন নাকি আপনার ডানহাতে ঘড়িপরা ছিল। সে কি সত্যিই আপনাকে দেখেছে? নাকি আপনার মতো দেখতে অন্য কাউকে?
আপনি পচা কথা বলতে ভালোবাসেন, আপনার সাথে কথা বলতেবলতে আমিও পচা কথা বলা ভালোবাসতে শিখে গেছি। আমি এখন আমার সারাটা সময় আপনাকে ভেবেই কাটিয়ে দিতে পারি, আমার আর একাএকা লাগে না। আমি পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ি না বলে আপনি আমাকে পচা স্টুডেন্ট ভাবেন, তাই না? জানেন, আমি পাবলিকে চান্স না পেয়ে প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হতে চেয়েছিলাম। প্রাইভেটে যারা পড়ে, লোকে ওদের আমাদের চাইতে বেশি মূল্যায়ন করে। আমি এটা বুঝেই বাবাকে এতোএতো রিকোয়েস্ট করলাম! বাবা শুনলই না! আমাদের আর্থিক অবস্থা কিন্তু বেশ ভাল। আমরা কোনোভাবেই দরিদ্র টাইপের কিছু নই। কিন্তু বাবা গোঁ ধরে বসলেন: “আমি জীবনে কখনও বাসা থেকে টাকা নিয়ে পড়াশোনা করিনি, উল্টো স্কলারশিপে যে টাকা পেয়েছি, তাতে আমার পড়াশোনায় ব্যয়িত টাকার মোট পরিমাণ মাইনাস! আমার মেয়েকেও আমি টাকা দিয়ে পড়াব না। তুই যদি নিজের যোগ্যতায় পড়তে না পারিস, পড়াশোনা বন্ধ করে দে। আমি তোর জন্য ছেলে দেখি!” বিয়ে? বাবা এগুলা কী বলে! ও মাগো! ও বাবাগো! আমি আর প্রাইভেটে পড়তে পারলাম না। আমার চাইতে কম সিজিপিএ পাওয়া আমার ফ্রেন্ডদের অনেকেই নামকরা প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হল আর সবার চোখে আমার চাইতে মেধাবী আর গ্রহণীয় হয়ে গেল। আপনিও কি অন্য সবার মতো ন্যাশনাল ভার্সিটির স্টুডেন্টদের গাধা ভাবেন?
আপনি জানেন না, আপনি অদ্ভুত একটা ম্যাজিক। আপনার আইডিটা যাদুর প্রদীপ, যাকে জ্বালালে মন ভাল হয়ে যায়। আমি আপনাকে বেশি জ্বালাই কখন, জানেন? যখন আমার মনটা বেশি খারাপ হয়, তখন। তবে আপনি, আমার মতো যারা আছে, তাদের কক্ষনো রিপ্লাই দেবেন না। কারণ, আমরা মেয়েরা সাপের মতো—আদর করে জড়িয়ে নিতেও সময় নিই না, আবার ছোবল মেরে ক্ষতি করতেও সময় নিই না। ভয় পাবেন না, আমি আপনার কাছে আসছি না, আমি আপনাকে এমনি করে দূরে থেকেই ভালোবেসে যাব। আমি জানি, আপনি আমার কাছ থেকে এসব কিছুই শুনতে চান না। আপনি শুনতে না চাইলেও আমি বলব, বলব, বলব। আরেকটা কথা, আমি কিন্তু আপনাকে বিসিএস নিয়ে কোনোদিনই জ্বালাইনি, কখনও জ্বালাবও না। আমার পড়াশোনা তো আমাকেই করতে হবে, আপনাকে এটা নিয়ে বিরক্ত করার কী মানে? আমি আমার মাথায় বুদ্ধিশুদ্ধি একটু কম করে রাখি, কারণ মাথায় বেশি বুদ্ধি রাখলে আমার মাথাব্যথা করে। আপনি বালির নিচে চিকচিকে কাচ, বালির মধ্যে রেখেই দেখতে ভাল লাগে, বালি থেকে আলাদা করে দেখতে কোনও মজাই নাই। আপনার মধ্যে যা কিছু ভাল কিংবা খারাপ, তার সবটুকু নিয়েই তো আপনি, খারাপটাকে আলাদা করে নিলে ভালটাও আর ভাল লাগবে না, পানসে মনে হবে। অবিমিশ্র গুডবয় দেখলেই আমার ধরে থাপ্পড় মারতে ইচ্ছা করে। কেন করে, জানি না।
আপনি কেন আপনার ওয়ালে কমেন্টের রিপ্লাই দেন? কারও কমেন্টের কোনও রিপ্লাই দিতে হবে না। চুপ করে থাকুন না! লোকে উস্কে দিতে পছন্দ করে, বুঝেন না এটা? যতসব ফালতু লোক কিছু না বুঝেই লাফায়। ওদের এই লাফানোতেই আনন্দ। ওরা আপনার উপর ক্ষুব্ধ, কারণ ওরা আজীবন এমনই থেকে যাবে। ওরা আপনাকে পছন্দ করে না, কারণ ওরা ‘আপনি’ না। ওরা তবু আপনার ওয়ালে আসে, কারণ ওরা আপনাকে গালাগালি করতে ভালোবাসে। আপনাকে গাগাগালি করে ওরা এক ধরনের সুখ পায়। গালাগালি করতে কোনও যুক্তি লাগে না, কেবল ইচ্ছে লাগে। এটা বুঝেও কেন আপনি ওদের ওরকম আচরণের পেছনে কারণ খুঁজে নিজে কষ্ট পান? কিছু মানুষ বরাবরই কলহপ্রিয়। আপনি ওদের ঝগড়া করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। এ দেশে কিছু লোক আছে, যারা কারও পেটে ছুরি বসিয়ে দিলেও কিছু হয় না, অথচ যার পেটে ছুরি বসানো হল, সে আত্মরক্ষা করার ন্যূনতম চেষ্টা করলেও দোষ হয়ে যায়। অতো দাদাগিরি করতে হবে না আপনাকে। মেজাজ খুব বেশি খারাপ হলে ঝিম ধরে এক ঘণ্টা রবীন্দ্রসংগীত শুনবেন, কিংবা বাঁশির ইন্সট্রুমেন্টাল; দেখবেন, মেজাজ ঠাণ্ডা! আপনাকে কিছু গান শোনাতে পারলে ভাল হত। কিন্তু সমস্যা হল, আমার যা গলা, আমার গান শুনলে আপনার মেজাজ আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। আমার মেসেজ পড়ে বিরক্ত হতে হবে না, আচ্ছা?
একটা ভাল ছেলে পেলে আমাকে বলবেন তো একটু, কেমন? আমার এক বান্ধবীর শখ জেগেছে বিয়ে করার। আপনার নিজের বিয়ের কী খবর? আপনার বন্ধুরা সবাই বিয়ে করে বাচ্চাকাচ্চা পয়দা করে ফেলছে, আর আপনি এখনও ড্যাংড্যাং করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নাহয় রেডিমেড বাচ্চাসহ কাউকে বিয়ে করে ফেলেন। কিছু কষ্ট আর ঝামেলা কমে যাবে। আপনি এমন কাউকে বিয়ে করবেন না, যার ছোটভাই নেই। ঠিক করেছি, আমি আপনার শ্যালককে বিয়ে করব। এর মানে বুঝেছেন? এর মানে, আপনি একটা বুড়া, ওকে? খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার ওই শ্যালক সংস্কৃতিমনা হয়, রান্না করতে জানে, আর একটু শয়তানও হয়। আপনি আউট ডিসট্রিক্ট থেকে বিয়ে করবেন, কেমন? তাহলে নতুন একটা কালচার আপনার জানা হয়ে যাবে, সাথে আমারও। বেশি চুলওয়ালা মেয়েকে বিয়ে করবেন, যাতে উকুন বাছতেবাছতেই উনার সারাদিন চলে যায়, তাহলে আপনাকে জ্বালাবে কম। ওদিকে আপনার মাথায়ও কিছু উকুন ট্রান্সফার হয়ে যাবে। আপনিও মাথা চুল্কাতে থাকবেন সারাক্ষণ। আপনি মাথা চুল্কাচ্ছেন, এটা কল্পনা করতে ভাল লাগছে। আপনারা দুজন হবেন উকুন-দম্পতি আর আপনাদের ফ্যামিলি হবে উকুনচাষি ফ্যামিলি। মজার না?
অ্যাই জানু, অ্যাই! শোনো না! তোমার জন্য ওই শ্যাওড়া গাছটা থেকে নির্মলেন্দু গুণের ‘তোমার চোখ এতো লাল কেন’র একটা ভূত টেনে নামাই, কেমন?
আমি বলছি না রিপ্লাই দিতেই হবে, আমি চাই,
কেউ একজন আমার জন্য পেইন নিক—
মেসেজ সিন করে আনরিপ্লাইড্ ফেলে রাখার পেইন।
ভয়ে কি লজ্জায় মেসেজ জমাতে-জমাতে আমি এখন ক্লান্ত।
আমি বলছি না রিপ্লাই দিতেই হবে, আমি চাই,
কেউ আমাকে গালি না দিক। আমি গোলাপের গুচ্ছ নিয়ে
কাউকে আমার ইনবক্সে বসে থাকতে বলছি না।
আমি জানি, এই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের যুগ
সবাইকে মুক্তি দিয়েছে আসল গোলাপ খোঁজার দায় থেকে।
আমি চাই, কেউ একজন নীরবে আমায় বুঝুক,
আমার খারাপ লাগছে কি না, আমার তাকে মনে পড়ছে কি না,
শেষ বিকেলের রোদ্দুরের সাথে আরোও কয়েকটা
রৌদ্রভেজা মেঘের টুকরা লাগবে কি না। দিতে হবে না এসবের কিছুই, তবু………
কান্নার দাগমাখা রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি।
আমি বলছি না রিপ্লাই দিতেই হবে, আমি চাই,
কেউ একজন ইনবক্সের ওপার থেকে আমার মেসেজ
পড়ুক, তাচ্ছিল্যে হলেও হাসুক। কেউ আমাকে একটু হলেও বুঝুক।
সুখদুঃখের সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক, “অ্যাই মেয়ে, তোমার লজ্জা এতো কম কেন?”
আবারও বলছি, আমি সত্যিই চাই না, আপনি রিপ্লাই দিন। আমার কল্পনার মানুষটা আমার ইনবক্সে আছে, এটা ভাবতেই আমার অনেক আনন্দ হয়। আমি আপনার ইনবক্সের এক কোণায় লুকিয়ে থাকলে তো আর আপনার কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। আমি জানি, আপনি ফেসবুকে অনেক কিছু! প্রমিজ করছি, আপনি কষ্ট পান বা আপনাকে ছোটো করা হয়, এমন কোনও কমেন্ট কখনওই আপনার পোস্টে করব না। আপনাকে আমার ভাল লাগে, এটা তো আর আমার দোষ না, তাই না, বলুন! আপনার হাসিটা আমার ভাল লাগে, কারণ আপনার দাঁত দেখতে সুন্দর। এখন আপনার দাঁত যে পোকায় খায়নি, এটা তো আর আপনার দোষ না! আমার রবীন্দ্রনাথকে বলার ছিল, হে কবি, আপনার ডিজেমার্কা দাড়ি আমার খুব ভাল লাগে। আমি বলার সুযোগ পাওয়ার আগেই উনি মারা গেছেন, সেটা তো আর আমার দোষ না, তাই না? কত পাগল আপনাকে টেক্সট দেয়, ওদের কোনও দোষ হয় না, আর আমি দিলেই দোষ, তাই না? এটা কি জাস্টিস, আপনিই বলুন! আপনার লেখা ভাল না লাগলে আপনাকে জ্বালাত কোন পাগল?
আপনাকে দেখলে আমার খুব হিংসা লাগে, আবার ভালও লাগে। আপনি নিজেই জানেন না, আপনি পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষদের একজন। যার এতো ভাল বাবা-মা আছেন, যাকে ভালোবাসার এতো মানুষ আছে, তার কি কোনও দুঃখ থাকতে পারে? আমার এক বান্ধবী আছে, যাকে দেখলে আমার নিজের কষ্ট আমার কাছে কোনও কষ্টই মনে হয় না। ওর বয়স যখন ৩, তখন ওর মা ওকে রেখে অন্য একজনকে বিয়ে করে চলে গেল। এরপর আর কোনোদিন ওর বাবা ওর সাথে ভাল করে কথা বলেনি। বাবার চাইতে বরং সৎমাই ওকে বেশি আদর করতো। সেও তার সৎমাকে অনেক ভালোবাসত। কয়েক বছর পর সৎমাটিও আরেকজনের হাত ধরে চলে গেল সুখের খোঁজে। আর কখনওই ওর সাথে সে মা কোনও যোগাযোগ করেনি। সে বেড়ে উঠেছে অবহেলা, অবিশ্বাস আর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে। নিজের বাবা-মা’কে যে মেয়ে বিশ্বাস করতে পারে না, সে মেয়ে পৃথিবীর আর কাউকেই কখনও বিশ্বাস করতে পারে না। ওকে দেখি আর নিজেকে অনেক লাকি মনে করি। আমি যখন মন চাইবে, তখন আপনাকে ভালোবাসব, যখন মন চাইবে, তখন আপনার সাথে রাগ করব। আপনার কাছ থেকে কোনও কষ্ট পাওয়ার চান্সই নেই। আমি তো আর আপনার সামনে যাচ্ছি না, তাই আপনি সুযোগই পাবেন না আমাকে কষ্ট দেয়ার। আপনার কাছ থেকে আমার কোনও এক্সপেকটেশন নেই, তাই কোনও অপ্রাপ্তির বেদনা কখনওই আমাকে পেয়ে বসবে না। সরব ভালোবাসার চাইতে নীরব ভালোবাসার ক্ষমতা অনেক বেশি, জানেন তো? আপনি এতো হিসেব করেন কেন, বলুন তো? কেউ আপনাকে ফ্রিফ্রি ভালোবাসলে সেটা চুপচাপ ভদ্রবাচ্চার মতো নিয়ে নিলে সমস্যা কোথায়? তাই চুপ করে থাকবেন, আর আমিও আপনার এমন পাগ্লা, আই মিন, পাগলি ফ্যান হয়েই থাকব।
আপনাকে একবার লিখেছিলাম, জানেন, আজকে একটা শান্তির জায়গায় গিয়েছিলাম। দেখি, গেস করেনতো, কোথায় গিয়েছিলাম? আপনি উত্তর দিয়েছিলেন, টয়লেটে। সেদিন টানা পাঁচ মিনিট হেসেছিলাম উত্তরটা পড়ে। আপনার মনে আছে? ………… যখন তুমি আসো তখনই সূর্যোদয়, যখনই তুমি যাও চলে, দিনটা শেষ হয়। আচ্ছা, যাকে কোনওদিন পাওয়া যায় না, তার জন্য এতো আফসোস কেন থাকে? খুব কান্নায় দাঁতে দাঁত চেপে কাঁদতে ইচ্ছে হয়েছিল দুইবার। হয়ত বলবেন, ব্যাপার না, দাঁত দিয়ে কান্নার স্টাইলই ওটা! আপনার কলিজায় কোনও হার্ট নেই! সত্যি! প্রথমবার যখন আপনাকে দেখি, তখন কোনও কথাই বলতে পারছিলাম না। বারবারই মনে হচ্ছিল, আপনি ভাবছেন, দেখো, মেয়ে কী নির্লজ্জ, সেধেসেধে কথা বলতে চায়! সেদিন বুঝলাম, দাঁতচাপা কান্নায় অনেক ব্যথা বুকে চেপে রাখা যায়, তবু আমাদের সমাজের এতো কঠিন নিয়ম যে, যাকে চিনি না, তাকে ডেকে কথা বলা যায় না।
আপনার ভিডিওটা দেখলাম। যদি সেটা সম্পর্কে আমার মতামত চান, তবে বলব, ভিডিওটা কিউট ছিল, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড আর মিউজিক পছন্দ হয়নি। দোষ অবশ্য আপনার না! দোষ আমার। আসলে আমার রুচিবোধ একটু আলাদা। আমি সবকিছুতেই কিউট খুঁজি, অ্যাপিলিং জিনিস না। আমার আপনার কাছ থেকে কিউট কিছু এক্সপেকটেশন ছিল। ব্যাপার নাহ্! আমাকে হতাশ করবেন না, আমি চাই আমাদের বন্ধনটা কেবল মৃত্যুতে সমাপ্ত হোক। সবাই সব কিছু পছন্দ করে না, বোঝেনই তো! আমাকে ভিডিও না দিলে খুশি হতাম, পারলে সুন্দর একটা কবিতা লিখে পাঠালে বেশি খুশি হতাম। সেখানে প্রতিটি বাক্যে আপনার অনুভূতি জড়িয়ে থাকবে। সেটাই আমার স্মৃতিতে মুড়িয়ে রাখতাম। যা দেখা যায় না, যাকে ধরা যায় না, সেটাই বিশুদ্ধ ভালোবাসা। আশা করি, নেক্সট টাইমে আমাকে আমার মতো কিছু পাঠাবেন, আপনার মনের মতো না। ঠিকমতো নিজের প্রতি যত্ন নেবেন, ওষুধ ঠিকমত খাবেন, কিপটামি কম করবেন নিজের প্রতি, বেশিবেশি হাসবেন, আর সুখী থাকবেন। মেসেজ পড়ে যদি খুব আজাইরা মনে হয়, সময় নষ্ট হচ্ছে বলে মনে হয়, তবে মেসেজের বক্তব্য ইগ্নোর করেন। আসলে, কারও সাথে খুব বকবক করতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু কেউ তো নেই তেমন। তাই………
আজ আমার ফ্রেন্ডের মনটা খুব খারাপ। ওর এসব পেইন আর সহ্য হচ্ছে না। ওর এক্স যখন ইচ্ছা যোগাযোগ করবে, বলবে, কখন আবার ব্রেকআপ হল! আবার যখন ইচ্ছা বলবে, কখনো সম্পর্কটা ছিলই না। সে নাকি ওকে দয়া করে রিলেশন করেছিল! যখনতখন হঠাৎ করে কোথা থেকে যে হাজির হয়ে যায় কষ্ট দিতে! ও এসব একদমই মেনে নিতে পারছে না আর। এখন ওই ব্যাটা বলছে, ওকে নাকি কেউ বিয়েই করবে না, সে এতটাই বাজে দেখতে, আর বিশ্রী স্বভাব! একটা মেয়ে যতটাই অসুন্দর হোক না কেন, এই কথাগুলো কিন্তু খুব কষ্ট দেয়। কতটা কষ্ট, ছেলেরা কখনো বুঝবে না।
আমার সে ফ্রেন্ড একজন বিবাহিত লোকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। কেন তুলেছে, জানেন? ওই লোককে ভাল লাগে বলে? মোটেও না! ও অতটা খারাপ না যে ব্রেকাপ হয়ে গেল, আর অমনিই হঠাৎ করে ২-১ বার ফোনে কথা বলেই কারও সাথে রিলেশনে চলে যাবে, তাকে যতই ভাল লাগুক! আমি ওকে চিনি। ও ওরকম হলে এতদিনে অনেক রিলেশন করতে পারত। ও কোনও ছেলের সাথে ভাল করে কথাও বলতে পারে না। ও আসলে ওর এক্সকে ভুলতে চায়। আর সেজন্যই একটা অন্য সম্পর্কে জড়াতে চেয়েছে, যেটাতে বাঁধন থাকবে না, কোনও পিছুটান থাকবে না, কিন্তু তাকে ভুলে থাকতে পারবে। ও মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছে, এই লোকটাকে আমি ভালোবাসি, অতএব আমার জীবনের পুরনো কিছুই আমাকে আর প্রভাবিত করতে পারবে না। কিন্তু নাহ্, ও স্বপ্ন, ফ্যান্টাসি আর বাস্তবতা, এই তিনের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। ও সেই লোকটাকে কখনো তুমি করে বলে না। কেন, জানেন? কারন ও ভাল করেই জানে, তাতে ও লোকটার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ত, আর পরে কষ্ট পেত।
জীবনটাকে সে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আর বর্তমানে সে যে কোন ঘোরের মাঝে পড়ে আছে, ও তার কিচ্ছু জানে না।
ওর এক্সের অপমান আর ওর কষ্ট আমি আর নিতে পারছি না। ভদ্রভাবে ব্রেকআপ কী, জানি না। তবে ও অত্যন্ত ভদ্রভাবেই ব্রেকআপ করেছে, যাতে ওর এক্স আর কখনো ওকে কষ্ট দেয়ার সুযোগ না পায়। কয়েকটা গিফটের সাথে একটা চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর সাথে ওর ডায়রিটা। ওর ডায়রি লেখার অভ্যেস ছিল, যার বেশিরভাগই ওর এক্সের কথা লেখা। আজ আর ওর ডায়রি লেখার কেউ নেই। চিঠির শেষে ওই কথাটা লিখেছে, যেটা আপনি আপনার এক্সের বার্থডে কেকের উপরে লিখেছিলেন: ভালোবাসি, ভাল থেকো।
প্রোপজ স্টাইল ব্রেকআপ। কিউট না?
আপনার পোস্টগুলোতে লাইক/কমেন্ট করতে চাইলেও করা বড় মুশকিল। ফেসবুকে আপনার লেখা শেয়ার করেই তো আপনি সেলিব্রেটি। আপনার হ্যান্ডসাম মার্কা ছবি শেয়ার না করলেই বরং ভাল ছিল। আমার চৌদ্দগুষ্টিতে প্রেম করে বিয়ে করা নিষিদ্ধ। এরকম ভাবা যদিও অযৌক্তিক, তবুও এটা অধিকাংশ মানুষের একটা অদ্ভুত আচরণ যে মানুষ অযৌক্তিক চিন্তাভাবনা করতে আর অযৌক্তিক কাজ করতে ভালোবাসে। তাই আপনার পোস্টে রেসপন্স করার মানে হচ্ছে আপনার সুদৃষ্টি অর্জনের চেষ্টা। এরকম ভাবনা যৌক্তিক হলে তো প্রতিদিন আপনার কমপক্ষে পাঁচছয়টি প্রেম করতে হবে! হাহাহাহা! আপনার কিছু পোস্ট দেখে বুঝলাম, অনেক সুন্দরী মেয়ে অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে অনেক সুন্দরসুন্দর লেখা লেখে। কারওকারও লেখা পড়ে জানলাম, আপনি অনেক ভাল মনের মানুষ। আর যা বুঝলাম, আপনি কারওকারও মেসেজের রিপ্লাই করেন, কারওকারওটা করেন না। আবার কারওকারও সুন্দরসুন্দর লেখা নিজের ওয়ালে ওদের নামপরিচয় না বলে অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন, পড়লে মনে হয় অনেক সুন্দর একটা গল্প। ভাবলে বড় মজা লাগে, অনেকেই আপনার ইনবক্সকে তাদের মনের খাতা বানিয়ে ফেলেছে, যেখানে ওরা অনায়াসে নির্বিঘ্নে নির্দ্বিধায় তাদের মনের সব কথা বলে যায়। হাহাহাহা! মনে হয়, এটা যেন আপনার একটা জনসেবামূলক সেক্টর! তাই সুযোগটা আমিও নিই। যতদিন আপনি বিরক্ত হয়ে ব্লক না করেন, ততদিন আমি এরকম পকরপরকর করেই যাব। মনেমনে ভাবি, না জানি কতরকমের উদ্ভট কথা নিয়ে কত উদ্ভট আচরণের মানুষ আপনার ইনবক্সে নক করে! তার মাঝে আরও একজন যোগ হলো। আপনাকে অনেকেই যেরকম বলে, ওরকম আমারও একটা বলার জায়গা হিসেবে আপনার ইনবক্সটা বেছে নেয়ার দরকারটা এড়াতে পারলাম না। যেখানে কিছু উদ্ভট আচরণ আর কিছু কথায় কারও কিছু আসবে যাবে না। কেউ কিছু বলবে না, কিছু মনে করবে না। আমার কথার রেসপন্স পেতে হবে, এরকম কোনও বাধ্যবাধকতা থাকবে না, শুধু বলতে পারলেই হলো! যা-ই হোক, আপনার কাছে একটা অনুরোধ, আপনি আবার বেশি ভালমনের মানুষ হতে গিয়ে আমাকে রেসপন্স কইরেন না। তাহলে আবার আমার হাত-পা শরীর কাঁপতেকাঁপতে থাকবে আর আমি অচেতন হয়ে যাব। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, কেন ওরকম হবে! ওরে বাবারে বাবা! সেদিন কোনও কাজ বা কোনও কিচ্ছু করতে পারব না। আর একটা অনুরোধ হচ্ছে, এই সেন্ডারের আজগুবি কথা কক্ষনো শেয়ার কইরেন না। ওরে বাবারে বাবা! তাতে আমার মনে আরও সাংঘাতিক অশান্তি সৃষ্টি হয়ে যাবে। ইট উইল বি অ্যা ভেরি টেরিবল সেনসেশন!
হ্যালো স্যার! আপনি আমায় শুভ দুপুর জানালেন কেন? আজকে এমনিতেই সকাল থেকে এখন পর্যন্ত শুধু আপনার কথাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, এমনকি অফিসে যখন কাজ করছিলাম, তখনও। সকাল থেকে মনে হচ্ছিল, কালকে যে আপনার সাথে ঝগড়া করেছি, তা বুঝি ঘুমের মাঝে নয়। তাই আজকে এখন পর্যন্ত ৫-৬বার চেক করেও মনে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে, আসলেই আপনার সাথে কথা বলেছি, নাকি অন্য কারও সাথে কথা বলে ভেবেছি সে লোকটা আপনি! আপনি কি সত্যি আপনি, না অন্য কেউ? ওরে বাবা, এরকম মাঝেমধ্যে রেসপন্স করলে তো……..সরি, আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না! সবাই বলে, সিলেটিরা পগা(মানে বোকা) আর সিলেটি মেয়েরা আরও বোকা। আসলেই বোকা কিন্তু! যার কারণে সিলেটি মেয়েরা যা সত্যি, সেটাকে মিথ্যা ভাবে, আর যেটা মিথ্যা, সেটাকে সত্যি মনে করে। যাকে বিশ্বাস করা উচিত, তাকে বিশ্বাস করে না, আর যাকে বিশ্বাস করা যায় না, তাকেই বিশ্বাস করে বসে। আবার কখনো মাথা দিয়ে বুঝতে পারলেও মন দিয়ে মানতে চায় না। আবার মন দিয়ে যা অবিশ্বাস্য বা অবাস্তব মানে, সেটা বাস্তবে ঘটলেও সেটাকে অবাস্তব মনে করে। অথবা মনে করে, এরকম অবাস্তব ভাবনা বাস্তব হওয়া উচিত হয়নি। সেক্ষেত্রে নিজেকে আর নিজের বিচারবিবেচনাকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের তুলনায় অযোগ্য মনে করে। আমার মতো বোকা অতি সাধারণ মেয়েকে আপনার মতো মানুষ রিপ্লাই করায়, হাহাহাহা……আপনাকেই আমার এখন অবাস্তব মনে হচ্ছে! সরি! ওরে বাবা! আপনি তো সে-ই! আপনার অসংখ্য ফলোয়ারদের মধ্য থেকে কারোকারো কথা থেকে যেটা মনে হয়েছে, তা হল, আপনি খুব সহজে মাইন্ড করেন না। এখন আমার সাথেও করবেন না, সে বিশ্বাসে আরাম করে বকছি। তবুও কোনও কারণে যদি আবার মাইন্ড করে ফেলেন, তেমন অপ্রিয় কোনও ঘটনা আমি ঘটাতে চাই না, তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আপনি যে আসলেই আপনি, আর বাস্তবে আপনার সাথেই কথা বলেছি, এই বাস্তবতাটি মনকে মানাতে আরেকটু সময় না দিলে মনে হবে, এখনও ঘুমের ঘোরেই আছি! কারণ এতো সহজে মেনে নেয়ার মতো সেরকম কেউ তো আর আপনি নন! আপনিই সেই মানুষটি, এটা খুব সহজে যদি মেনে নিই, তাহলে সবকিছুই কল্পনা মনে হবে। কারণ, মন প্রথমেই মেনে নিয়েছিল যে দিনের পর দিন, অনেক দিন লিখে যাব, কিন্তু ওই পাশ থেকে কোনও রিপ্লাই আসবে না, এবং আসা উচিতও না। মন তো এরকমটাই মেনে নিয়েছে, তাই এখন সহজে মেনে নিতে হবে যে আমি আর আমি নই…….
এত কথা, এত শব্দ, এত পঙক্তি, এত ছন্দ, এত গল্প, এত অর্থ, এত আঙ্গিক, এত কিছু যে………এত বেশি আপনার আসে কোথা থেকে!
কালকের লেখাটা আগেও পড়েছিলাম। আমি কয়েক ঘন্টা আগেরটাও পড়েছি। ওহ্! এখন দেখছি আরেকটা দিয়েছেন! এখনেরটা এতক্ষণ শো করেনি। আপনি বলার পর দেখলাম। পরবর্তী ধর্ষণের আগে ও পরে করণীয়। হাউ শকিং! বাট ট্রু!
এই বিষয়টা নিয়ে লিখছিলেন না বলে মনেমনে অভিযোগ ছিল। অনেক দিন থেকে বলব ভাবছিলাম। নারীর পক্ষে কিছু বলতে গেলেই বলা হয় নারীবাদী। ছোট মেয়েদেরও পোশাকের দোষ হয় এই দেশে। অনেক কষ্ট লাগে তখন। পোশাক না থাকলেও তো এই মেয়েদের দেখানোর মতই কিচ্ছু নাই, তবু তারা ওই পশুদের যৌন লালসার শিকার হয়। কিন্তু এ নিয়ে আরও তীক্ষ্ণ, আরও স্পষ্ট, আরও জোরালো বক্তব্য আপনার কাছে আশা করি। আপনার কাছে আশা না করে তো উপায় নাই। তবে আশা পূরণের জন্য আপনার চেষ্টা করতে হবে না। কারণ, আমার বিশ্বাস, আপনি লিখতে থাকলে একসময় আপনাআপনিই আপনার কাছ থেকে আশা পূরণ হয়ে যাবে। তাই আশা পূরণ করতে হবে, এরকম ভাবনা আপনার মাথায় নেয়ার দরকার নেই। ওটা এমনিই হবে। আমার কথায় কিছু মনে করলে আমাকে সরাসরিই জানিয়ে দেবেন। আমি কিছু মনে করব না। আমি সহজে কিছু মনে করিও না। আপনার কাছে আমি কোনও লেখার ফরমায়েশ দেবো না। বরং আপনাকে কিছু লিখতে বললে আপনি আর তা লিখতে পারবেন না। আপনি লিখে গেলেই হবে। একসময় দেখবো, আমি যা চাইছি, আপনি আপনার লেখার মধ্য দিয়ে আমাকে আমার প্রতাশ্যার চাইতেও বেশি কিছু দিয়ে বসে আছেন। এমন অনেকবারই হয়েছে। দেখা গেছে, আমি কয়েক দিন ধরেই মনেমনে আপনার কাছ থেকে কোনও একটা ব্যাপারে লেখা চাইছি, একদিন আপনি হুট করেই এমন কিছু দিয়ে দিলেন যা আমার চাওয়ার চাইতে অনেক বেশি। আমি আপনার কাছ থেকে কিছুই আশা করি না কেন, জানেন? কারণ ওতে আপনার মধ্যে বিরক্তি কাজ করতে পারে। আর আমার মধ্যেও দ্বিধা, হতাশা, নৈরাশ্য বাসা বাঁধবে। বুঝছেন? আবার কোনও সময় এরকমটাও হয়েছে, কোনও একটা বিষয় নিয়ে ভাবছি, আর ভাবছি এই যে এতএত বিষয় নিয়ে লিখেন, আর এটা নিয়ে কিছু লিখেন না কেন? তার কিছু দিন পর চোখে পড়ে আমার ভাবিত বিষয়ে আপনার বিশদ অসাধারণ লেখা!
সে স্টেশন, এ শহর! আচ্ছা, আমাকে আপনি লেখার লিংক দিলেন কেন? ওরে বাবা! বামুনদের জন্য চাঁদ মাটিতেও নামে দেখছি! ধন্যবাদ।
আমার কলম কিংবা কন্ঠ একটিও শব্দ প্রসব করে না আর….. এটা যেন শুধু ঐ লেখাটার প্রয়োজনেই হয় বাস্তবে যেন আবার না হয়।
আপনার কিছু লেখা পড়ে তো মন উদাস হয়ে মনখারাপের দেশে চলে যায়।
ডাস্টবিনকে অন্নের দেবতা বানিয়ে জীবন কেটে যায় অনেকের; হোক কষ্টের, তবু কাটে তো!
ওদের ধর্ম নেই, খিদে আছে। ওদের ঈশ্বর নেই, ডাস্টবিন আছে।
এই কথাটাগুলো কার না মন খারাপ করবে? মানুষের জীবন এতো কঠিন কেন? তাও আবার মানুষেরই কারণে! কারো কাছে জীবন স্বর্গের মতো। কেউবা আবার জীবনেই দেখে নেয় নরক কেমন! এই মানুষের মধ্যে আবার কাউকে-কাউকে ভগবান এমন আশ্চর্য গুণ দিয়ে রেখেছেন, ওই পীড়িত মানুষের মত নরকে না থাকলেও তাদের পীড়া অনুভব করার ক্ষেত্রে যাদের অনুভূতির কোনও কমতি হয় না। যেন ওরা নিজেরা কিছু বলতে পারে না বলেই ওদের মনের ভাষা সেই আশ্চর্য গুণী মানুষগুলির কলমে ভাষা পায়! যারা তাদের কষ্টের কথা জানতে পারে না, তাদের কাছে পৌঁছে যেতে ওই লিখিয়েদের এক মিনিটও লাগে না যেন! আর কিছু হোক না হোক, একটু হলেও নিশ্চয়ই ওদের নিয়ে অজানা অচেনা কিছু মানুষ ভাবে, তাই না? তাই আপনার ‘শব্দ প্রসব করে না আর’ ব্যাপারটা সত্যি হলে চলবে না। আমি সাজিয়েগুছিয়ে বলি না, ওটা আমি পারিও না। যা সহজে মনে আসে, তা-ই বলি ফেলি। অবশ্য, কারও-কারও সাথে বাধ্য হয়েই সাজিয়ে কথা বলতে হয়, কিন্তু আপনার সাথে ওরকম গুছিয়ে কথাবলার কোনও প্রয়োজন বোধ করছি না। আপনি তো কথার কারিগর, আপনার সাথে সাজিয়ে কথা বলতে গেলে তো আমার কথা কোনও ঠিকানাই খুঁজে পাবে না! তবে কখনও আপনার সাথে কথা বলতে ভয় হয়। যদি আপনি আমার সব কথাই পড়ে ফেলেন, তখন? ওরে বাবা! কী সাংঘাতিক!
তবে ভয় পাওয়ার কারণ তো একটা না, অনেক, তাই ভয়ের সাথে পেরে ওঠা কঠিন ঠেকছে। তীব্রভাবে ভয় অনুভব করে এখন বুঝতে পারছি, মানুষের পক্ষে ভয়কে জয় করা কেন খুব সহজ নয়! আবার ভয় জাগছে আজকে আপনার একটা লেখা পড়ে। কারণ বা কারণগুলি খতিয়ে দেখি……একটা, না কারণ একের বেশি।
ভয়ের বিষয়ে একটু পরে আসছি। তার আগে পহেলা বৈশাখের দায়টুকু একটু মেটাতে দিন!
যেন নতুন দিনের নতুন গানে,
নতুন তালের ছন্দে, সুরে,
নতুন স্বপন ছড়িয়ে দিতে,
নতুন ভোরের আলোর পরে,
সকল গল্প, সকল কথা, আরও একবার নতুন করে
মন আছে যত, ভরিয়ে দিতে
কালো অক্ষর মিছিল হয়ে
বৃষ্টিধারায় পড়ুক ঝরে!
এল বছরে গেল বছরের চাইতে বেশি লিখুন—এই শুভ কামনা।
আমাকে সবার সাথে সবসময় অনেক হিসাবনিকাশ করে কথা বলতে হয়। মন ভাল না থাকলেও হেসেহেসে সুন্দরসুন্দর কথা বলতে হয়। ভুল কি শুদ্ধ, দশবার চিন্তা করে বলতে হয়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, আপনার সাথে বাছবিচার করে, হিসাবনিকাশ করে, গুছিয়ে, দশ-বারোবার চিন্তাভাবনা করে কিছু বলতে হবে না। মনে যা আসে, তা ভুল হোক, শুদ্ধ হোক, অগোছালো হোক, নির্বিঘ্নে নির্দ্বিধায় বলে দেয়া যায়। আমার এই অযৌক্তিক ধারণার কারণে আপনি আবার আমার সাথে প্লিজ মাইন্ড কইরেন না। রিপ্লাই দিতে না চাইলে না দিলেও চলবে, কিন্তু মাইন্ড করা চলবে না। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু যদি কখনো কোনও কিছু আমার অজান্তে মনে করার মত ঘটে, তাহলে তা জানার আর সরি বলার সুযোগটা দিয়েন। আপনার কথা হোক আর লেখা হোক, দেখলে বা পড়লে আমার কাছে মনে হয়, ওগুলো আপনার মন থেকে বলা অথবা কারো মনের অব্যক্ত কথা আপনার মন থেকে অনুভব করে বলা। সেগুলি নিয়ে আমি যা ভাবি, তা আমি আপনাকে লিখে জানাতে চাই। ব্যাপারটাকে একটু সহ্য করে নেবেন, কেমন?
আপনি এরকম কেন? সবাই যতটা বলে, তার বেশি ভাল ঠেকছে। ওরে বাবা! আবার বেশি প্রশ্রয়ও দিয়ে দিচ্ছেন। ব্যাপারটা যদিও সন্দেহজনক, তবুও থ্যাংক ইউ।
মানুষ ধন্যবাদ দেবার আগে লোকে বলে, ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করতে চাই না। আমি ভেবে পাই না, ধন্যবাদ দিলে যদি কেউ ছোট হয়, তবে কেন এই শব্দটার ব্যবহার করা হবে অথবা ধন্যবাদ-এর জায়গায় কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবে! এই কারণে আপনাকে ধন্যবাদ দেবো কি না বুঝতে পারছি না। আপনাকে তো আমি ছোট করতে চাই না, আবার ওরকম কোনও শব্দও খুঁজে পাই না। তাই ধন্যবাদ শব্দটাই ব্যবহার করছি এই আশায় যে আপনার মতো সেলিব্রেটি প্লাস বড় মনের মানুষকে এই শব্দ এতো সহজে ছোট করতে পারবে না। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি যাতে আবার চিন্তায় না পড়ে যান, তাই আগেই বলে রাখি কেমন? আমি কিন্তু আপনাকে বেশিবেশি বিরক্ত করব না। আর আপনি অনেক ব্যস্ত, অনেক কাজ করতে হয়, অনেক জায়গায় যেতে হয়, লেখালেখি করতে হয়, আবার অনেককে সময় দিতে হয়। তাই কখনও আমার কোনও কথার রিপ্লাই না দিলেও কিছু মনে করব না। আমি আমার আমার ফেসবুক ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছি। এই আইডি আপনি ছাড়া কেউ জানে না। খুব শিগগিরিই মেসেঞ্জার আনইন্সটল করে দেবো। ফোন অফ করেছি। হয়ত নতুন নাম্বার নেব। তবে এখন না। পুরো দুনিয়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি। ফাইনালটা শেষ হলে তা সম্পূর্ণ হবে।
আমি ক্লান্ত! জানি না বিধাতা কপালে কী লিখে রেখেছেন!
আপনাকে যদি কখনো কোনও কষ্ট দিয়ে থাকি, তার জন্য দুঃখিত। আমি সত্যিই একটা বোকা মেয়ে। বোকা মেয়েদের কথা ধরতে নেই। আপনি অনেক ভাল। ভাল থাকবেন। আরেকটা কথা। আপনি স্ট্রেইট হয়ে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে একটা নায়কমার্কা পোজ দিতে পারেন না? কীসব চোরের মতো পোজ দেন! সত্যি, আপনাকে দেখতে একদম চোরের মতন দেখায়। আপনার প্রোফাইল পিকচার এতো বাজে! আপনি বাস্তবে এর চাইতে অনেক সুন্দর। আপনি তো ফাউন্ডেশন নেন মেয়েদের মতো। আপনার প্রোফাইল পিকচারটা পুরাই চোরের মতন। কী বাজে পিক রে বাবা! আপনার স্কিন কালার এতো হোয়াইট কেন? আপনি ডিএসএলআর দিয়ে ছবি নেন, এইজন্য। আপনি বিয়ে কবে করবেন? বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন তো! বাবু মানুষ করতে হবে না? আপনার কয়েকটা বাবু হলে একটা আমাকে দিয়ে দিয়েন, কেমন? আপনি কেমন মানুষ, বলেনতো? নিজের দিকে খেয়াল নেই, আছেন কেবল ফেসবুক নিয়ে! ওদিকে লোকের ডজনেডজনে বাচ্চাকাচ্চা হচ্ছে! একটা গান শুনাই, কেমন? সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি-সা। সাস্সা-রের্রে-গাগ্গা-মাম্মা-পাপ্পা-ধাধ্ধা-নিন্নি-সাস্সা। শুনলাম, আপনার নাকি ইভেন নাম্বার এজে বিয়ে করা নিষেধ? এককাপ চা করে নিয়ে আসুন না! রংচা। আদা আর লেবু দিয়ে, সাথে একটু লঙ দিলে ভাল হয়। মাথাটা বড্ড ধরেছে! আমার মাথাধরা ছেড়ে দিলে আমি আপনাকে ইভেন নাম্বার এজে বিয়ে করার বুদ্ধি বলে দিব। প্রমিজ! শেষ প্রশ্ন। আচ্ছা, আপনার শ্বশুর মহাশয়কে আমি কী বলে ডাকব?
আমাকে যে বারবার বলেন, কারও প্রেমে পড়ে যেতে, শুনুন মিস্টার, প্রেমেপড়া সহজ নয়। অতো সহজ হলে আমি আজও সিঙ্গেল থাকতাম না, সেই কবেই মিঙ্গেল হয়ে যেতাম, আর আপনাকেও জ্বালাতাম না। কতকত মফিজআবুলে ফেসবুক পদ্যময় হয়ে যেত! পৃথিবীর সব থেকে কঠিন কাজ প্রেমেপড়া আর সব থেকে সহজ কাজ ভালোবাসা। মাঝেমাঝে কী ইচ্ছে করে, জানেন? আপনার প্রেমে পড়ে যাই! তাতে একটা সুবিধে হত এই যে সবকিছুই ভাললাগা শুরু করতো। প্রেমে পড়লে সবকিছুই ভাল লাগতে শুরু করে। আমার এখনও যে মাথার তার ছিঁড়ে যায়নি, সেটা আমার এবং আপনার সৌভাগ্য। ছোটবেলা থেকে যা পাওয়া যায় না, সেটার প্রতি আগ্রহটা বেশিই থাকে। আমাকে কখনওই ছেলেদের সাথে মিশতে দেয়া হয়নি। বাকিটা বুঝে নেন। একটা সুন্দর গল্প লিখে দেন না, প্লিজ প্লিজ প্লিজ, যেটা পড়লে আমার নাচতে ইচ্ছা করবে। কিছুটা তরুণীর কল্পনার মতো করে ডিপ্রেশন নিয়ে অনেক দিনই তো কিছু লেখেন না! আমাদের প্রেমপিরীত করার মানুষ নাই বলে কি আমাদের মতো ডিপ্রেশনবাসীদের স্বপ্নের অধিকারও নাই? আপনি তো স্বপ্নের ফেরিওয়ালা! সমস্যা হচ্ছে, আপনার গল্পগুলো শুধু আপনাকে নিয়ে লেখা। এমন আত্মকেন্দ্রিক গল্প লিখে কী সুখ পান? মাঝেমাঝে সবাইকে নিয়ে লিখতে পারেন তো! জানি, সবার উপর আপনার অনেক রাগ, তবুও!