ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা (৮৭তি অংশ)

ভাবনা: ছয়শো তিন

……………………………………………………

1 December 2014

কালকে রাজশাহী ভার্সিটিতে যা হয়েছিলোঃ

(Rajshahi University Career Club পেজ থেকে ছোটভাই রোকন’য়ের সৌজন্যে ও যেভাবে লিখেছে ঠিক সেভাবে শেয়ার করলাম।)

পুরো ক্যাম্পাস ইউথফুল। ইভেন্টের ভেনুগুলো হাউসফুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তার সমাবর্তন ছাড়া হয়ত এইরকম ইউথফুলনেস কোনদিন দেখেনি!

সকালে Murshed ভাইয়ের সেশনে ঘন্টাখানেক মত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। ক্যারিয়ার, প্রোফাইল, সিভি নিয়ে তাঁর কথা, টিপস সবসময়ই অসাম লেগেছে, আজকে তার একটুও ব্যাতিক্রম ছিলনা সবচেয়ে ভাল লাগে ‘ঢাকার পর রাজশাহীর সাথে আমার সবচেয়ে বেশি টাচে থাকা’ এইকথা যখন তাঁর মুখ থেকে শোনা যায়। ভাই, আমরা আপনাকে পেয়ে অনেক বেশী সম্মানিত এবং কৃতজ্ঞ।

বিকালে শুধু জানতাম দুইজন রিসোর্স পারসন আসবেন BCS এর বিষয়ে কিছু কথাবার্তা বলবেন। একজন রিমেল ভাই যিনি একজন জাঁদরেল অফিসার আর আরেকজন সুশান্তদা যিনি ৩০ তম BCS এ প্রথম হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে BCS নিয়ে পোলাপানে বেশি ভাবে তাই পাস/ টিকেট সব শেষ হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই।

প্রোগ্রাম একটু দেরিতে আরাম্ভ করা বাঙ্গালীর স্বভাব তাই ইচ্ছা করে একটু দেরিতে ঢুকেছি। একটু অবাক হইসি গ্যালারি এক্কেবারে ভর্তি। আমি অরগানাইজার। আমাকে বসতে হচ্ছে মাঝখানের রো তে!

সেটাও বড় কথা না। বড় কথা হল…

# কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়াম আজকে তার বেস্ট/ সবচে ইনফরমেটিভ/ সবচে ইন্সপিরশেনাল সেশন/ সেমিনারটি হোস্ট করল!

# আমার ক্যাম্পাস লাইফে অনেক প্রোগ্রাম দেখেছি/ করেছি। কিন্তু কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামের দোতলায় কোনদিন দর্শক দেখিনাই। আজকে সেটা দেখার সাধও মিটল

# ইন্সপিরেশন/ ক্যারিয়ার এইসব নিয়ে স্টাডি এবং কাজ করি প্রায় দুইবছর। এত্ত এত্ত সেমিনার/ মটিভেশনাল সেশনে যাওয়ার এক্সপেরিয়েন্স আছে আমার। বাট অনেস্টলি স্পিকিং, এতটা মটিভেশন আমি কোন সেমিনার/ সেশনে পাইনি। চিন্তা করতেসিলাম যারা এই ট্র্যাকগুলা নিয়ে কাজ করেনা, কিংবা চিন্তা করেনা তারা তাহলে কি পরিমাণ উপকৃত হইসে!

# একজন রিসোর্স পারসন তিনঘণ্টার ওপরে সেশন নিয়েছেন। কারও শোনার ইচ্ছায় একটুও ভাটা পড়েনি। দর্শকের শোনার এনার্জি একটুও কমেনি!

# ইট ওয়াজ সাইডটকলেস!

# আমার এক ফ্রেন্ড, আমি ইভেন্টে ডাকসি আর সে কোনদিন আসেনি। আফটার দ্যা ইভেন্টস সে আমারে বলসে ‘জোরাজোরি করস ভাল করস। এইরকমই কিছু আমার দরকার ছিল’। আরেকজন বলসে ‘ইভেন্ট হলে এর পরে তুই খালি আমাকে বলবি। আমি আসবই।’

Rimel ভাই এবং Sushantaদা ইউ’ভ ডেলিভারড টু গ্রেইট স্পিচস! বিশেষ করে সুশান্তদারটা আমি বলব ”ইট ওয়াজ নট আবাউট BCS, ইট ওয়াজ আবাউট লাইফ!” দাদা, ”BCS এবং IBA এর উপর সেশন” এই নাম দিয়ে কোনদিন আপনার কথাগুলা, আপনার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিংকে পরিমাপ করা সম্ভব না! আপনি বলেন আপনি ‘ফার্স্ট পজিশন’ ডিজারভ করেননা। বাট আমার মনে হয়েছে আপনি আসলেই তা ডিজারভ করেননা। আসলে ”ফার্স্ট” শব্দটাও আপনার গ্রেইটনেস এন্ড হাম্বলনেসের সাথে যায়না!

বেশি কথা বাড়াব না। দ্যা ইভেন্টস ওয়্যার অসাম অসাম অ্যান্ড অসাম আনলিমিটেড! RUCC নিয়ে গতকাল বলেছিলাম। সেটাই এগেইন বলছি ”আমরা যে RUCC রেখেছিলাম তা যে সত্যই অনেক এগিয়েছে এক কথায় আজকের ক্যারিয়ার ফেয়ার তার চাক্ষুষ প্রমান। team RUCC, তোদেরকে হ্যাটস অফ! তোরা যা পারিস তা আসলেই কেও পারেনা।”

2 December 2014

feeling State never sleeps!

Customs Intelligence just seized 14goldbars weighing 140 tolas and 77pieces of goldchains from a passenger from Dubai at Chittagong Airport.

Smugglers propose, customs disposes.

2 December 2014

feeling আহা! কতো মানুষের সুখের সংসার গড়ে দিচ্ছি! আর আমার নিজের সংসারেরই কোনো খবর নাই।

আজকে আমার ইনবক্সে নিচের মেসেজটা পেলাম। পড়ে খুব মজা পেয়েছি। যার মেসেজ, তার অনুমতি নিয়েই শেয়ার করছি। তবে, উনার এই রিলেশনের কথা উনার ফ্যামিলির কেউ জানে না এবং উনার ফ্যামিলির কয়েকজন আমার ফেসবুক ফলোয়ার বলে উনার অনুরোধে উনার নামটা জানালাম না।

দাদা, আপনাকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছি না, তাই বাধ্য হয়ে লিখলাম। গতকাল ছিল আমার অ্যাফেয়ার এনিভার্সারি। আর আমি যাকে পছন্দ করি সে পড়াশুনার ব্যাপারে এতটাই ফাঁকিবাজ যে এই ব্যাপারে নোবেল দেয়ার বিধান থাকলে সে অবশ্যই পেয়ে যেত। যদিও কোনদিন রেজাল্ট খারাপ করেনি। ঢাবি’তেও ওর ডিপার্টমেন্টে ও ফার্স্ট। বিসিএস দিবে এইবার। অামি জানি একটু পড়াশুনা করলেই হয়তো ভাল করবে কিন্তু সেই পড়াশুনাটাও সে কিছুতেই করবে না। সে পৃথিবীর সব কথা শুনতে রাজি একমাত্র পড়াশুনার কথা ছাড়া। গতকাল হঠাৎ করে কি মনে করে যেন ওকে আপনার লেখা বিসিএস সংক্রান্ত নোটের লিঙ্কগুলো গিফট করি। জানতাম, ও মনে মনে খুব রাগ করবে তবু দিয়েছি। যদি আপনার কথাগুলো পড়ে ও পড়াশুনার প্রতি কিছুটা আগ্রহ জন্মে, সে আশায়। কিন্তু আজকে আমি সত্যি সত্যিই অবাক করা একটা ফিডব্যাক পেলাম। লিঙ্কগুলো পড়ার পর নাকি সকালে সে একটানা তিন ঘণ্টা পড়াশুনা করেছে। বিসিএস হোক বা না হোক, সেটা বড় কথা না, সে যে এতক্ষন পড়াশুনা করেছে এটাই আমার জন্য অনেক রড় গিফট। আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ, দাদা। যিনি সত্যিই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য তাকে ধন্যবাদ না জানালে তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হয় না।

3 December 2014

feeling Proud to be a CUETian!!

চুয়েট কথা দিয়েছিল, আমাকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবে। চুয়েট কথা রাখেনি। কথা রাখেনি বলে চুয়েটকে ধন্যবাদ।

Happy to be a derailed engineer!!!

4 December 2014

লোকের নিন্দে করার চাইতে ঈশ্বরের নাম নেয়া ভালো। আমার নিজেরই তো কতো দোষ। আড়ালে কারোর নিন্দে করলে আমার দোষগুলো তো কমে যাচ্ছে না। ও হয়তো শুনছে না, কিন্তু এতে নিজের দোষগুলোকে নিজের অজান্তেই ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর ও যদি কোনোভাবে শুনে, তবে কতোটা কষ্ট পাবে ভেবে দেখেছিস? মানুষের আশীর্বাদ নিবি সবসময়। ওটা হয়তো সবসময় কাজে লাগে না, কিন্তু আমি দেখেছি, অভিশাপ প্রায়ই কাজ করে। ওটা যে লোকে কষ্ট থেকে দেয়! এর চাইতে ঈশ্বরের নাম করিস। নিজের ভালো হবে, সবার ভালো হবে।

কাউকে কখনো হিংসা করিস না। কাউকে হিংসা করার অর্থ হল, ঈশ্বর তোকে যা দিয়েছেন, সেটার প্রতি তুই অসন্তুষ্ট। এতে ঈশ্বর ভাবেন, তোকে না দিয়ে বরং যে তোর চাইতেও আরো কষ্টে আছে, তাকে দিলে তার আরো উপকার হতো। কৃতজ্ঞতার শক্তি আছে। তুই যে অবস্থাতেই থাকিস না কেন, সবসময়ই এটা মাথায় রাখবি, তুই নিশ্চয়ই ঈশ্বরের বড় কোনো মাস্টারপ্ল্যানের অংশমাত্র। যাকে হিংসা করছিস, তুই তার কষ্টগুলো নিয়ে কতোটুকুই বা জানিস? ওকে হিংসা না করে ওর মতন হওয়ার জন্য কিছু কাজ কর। যদি মনে হয়, ও তোর চাইতে ভালো আছে, ওর জন্যে প্রার্থনা কর, যাতে ও আরো ভালো থাকে। ঈশ্বর যাকে ভালো রাখেন, তার ভালো থাকাটা চায় না, এরকম কাউকে উনি পছন্দ করেন না। তুই যদি ওর ভালো’র জন্য প্রার্থনা করিস, তোর নিজেরও ভালো হবে। জীবন আমাকে এটাই শিখিয়েছে।

(গতরাতে বাবা যখন ঘুমাতে গেলেন, তখন বাবার খাটে বসে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করছিলাম। বাবা অনেক কথার মাঝে ওপরের কথাগুলোও বললেন।)

6 December 2014

…………now @ East West University Campus. The Career Adda starts at 11:30

……….liked the campus with Arafat Noman

ভাবনা: ছয়শো চার

……………………………………………………

7 December 2014

What Arafat Noman says about my first Career Adda @ a private university. EWU is the first private university to host this event. Thanks to its career club, the participants and especially to Noman!! Sharing is fun! I believe only a line or even a word can change your life. You’ve to catch it in the same way you love to catch the rainbow!

A souvenir from EWU makes me feel honoured. Thanks to gorgeous Nahid Sir. This person knows how to hide age! Hiding is an art! This person knows how to appreciate. Kind words are healthier than a bowl of chicken soup. We want our university faculties not only to teach the students but also to make them learn how to learn.

7 December 2014

The problem is not that the people you suspect of being vindictive are often really vindictive; rather the problem is, you suspect rather than be sure. Stop suspecting, kick them out. RIGHT NOW! Don’t start believing that a scorpion might not sting, for it’s the only thing it can do.

7 December 2014

আমার সিলেটের ক্যারিয়ার আড্ডার খোঁজখবরঃ

(অনুজ দাদার ওয়াল থেকে হুবহু কপি-পেস্ট করে দিলাম।)

Time consuming but not wasting of time. Read and share- especially those who r from Habiģanj, Moulvibazar, Sylhet, Sunamganj districts.

“বেশিরভাগ মানুষই সাফল্য পছন্দ করে কিন্তু সফল ব্যক্তিকে মনে মনে চরম অপছন্দ করে। সবাই আপনাকে পছন্দ করবে না। এটা মেনে না নিলে যারা পছন্দ করছে না তাদের লাভই বেশি।”

“গাধার সাথে যুদ্ধ করে একশ বার জেতার চেয়ে সিংহের সাথে যুদ্ধ করে একবার হারা ভাল”।

“২ টা ছোট জিনিস ধরতে ২ হাত লাগে। ১টা বড় জিনিস ধরতেও ২ হাত লাগে। ছোট সুযোগগুলোর মায়া ছাড়তে না পারলে বড় সুযোগ হাত ফসকে যাবে। পাখিদের মত করে বাঁচুন। leave to live”.

অথবা- কিছু গল্প- সেটা হতে পারে বাম্বল বি’র কিংবা শচীন টেন্ডুলকার- ইরফান পাঠান এর গল্প অথবা হুমায়ুন আহমেদ – সমরেশ মজুমদার- এর গল্প। গল্প হতে পারে কোন ও এক দুঃখবাদীর অথবা একজন নো- বডির গল্প বা কোন এক অদ্ভুত কুকুরের গল্প কিংবা একটা গাড়ির হেডলাইট অথবা একজন সুখী অসফল এক্সিডেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার -এর গল্প।

অথবা কিছু প্রশ্নের উত্তর- ক্যারিয়ার কী? ভাল ক্যারিয়ার কোনটা? ক্যারিয়ার ভার্সাস ফ্যামিলি। সাফল্যের জন্য আত্মবিশ্বাস জরুরী নাকি আত্মবিশ্বাস এর জন্য সাফল্য জরুরী?

অথবা জানতে চান – IBA ভর্তি পরীক্ষার Do’s and Dont’s। ইংরেজির দূর্বলতা কিভাবে কাটাবেন – ইংরেজিতে দক্ষতা কিভাবে বাড়াবেন?

“পৃথিবীর ৯৬% সম্পদ আয় করেন মাত্র ১% মানুষ। যারা বিসিএস দেন, তাদের মাত্র ১% candidate ক্যাডার হবে। এটা কেন? এর কিছুটা এমন কিছু ফ্যাক্টর দিয়ে নিয়ন্ত্রিত যেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে। সেগুলো নিয়ে ভাববেন না।

আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে এমন কিছুকে কাজে লাগান। plan to be among those 1% বাকি ৯৯% এর দুর্ভাগ্য নিয়ে কম ভাবুন”।

বিসিএস নিয়ে এমন কিছু কথাবার্তা। বিরক্তিকর, চরম ক্লান্তিকর বিসিএস পরীক্ষা একবারে উতরানোর কিছু টিপস।

পড়তে ইচ্ছা করে না? গ্রুপ স্টাডি কিংবা ভাইভাতেই কিভাবে ভাল করব সেটার সহজিয়া কড়চা।

অথবা জীবনে হতাশা থেকে মুক্তির কিছু গল্প-

“আমি দেখেছি, শুধু বেঁচে থাকলেও অনেককিছুই হয়। হারিয়ে গেল্ব খুব কাছের মানুষ ছাড়া কারোরই কিছু যায় আসে না। তাই বেঁচে থাকুন।

আপনার মৃত্যু কামনা করে স্বস্তি পায় – অন্তত তাদের কথা ভেবে হলেও বাঁচুন।

বেচে থাকাটাই সবচেয় বড় প্রতিশোধ। তাই অন্তত নিজের কথা ভেবে হলেও বাঁচুন।

বাঁচুন – নিজের জন্যে- বাঁচুন অন্যের জন্যে”।

আর বেশি বলব না- গুণীর সম্মান করার মাঝেও আনন্দ আছে। আর সে গূণীজন যেন সহজে তার মেধা- মনন সবার মাঝে পৌঁছে দিতে পারেন- উনার কথার মায়ায়, জীবনের আলোয় আমরাও আলোকিত হবার স্পৃহা লাভ করতে পারি সেই প্রচেষ্টায় “রোটার্যা ক্ট ক্লাব অফ হবিগঞ্জ” আগামী ১৯-১২-২০১৪ ইং রোজ শুক্রবার হবিগঞ্জস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আয়োজন করতে যাচ্ছে “Career adda with Sushanta Paul”

যাকে নিয়ে এই আয়োজন তার সম্পর্কে কয়েকটা কথা বলি-

সুশান্ত পাল

৩০তম বিসিএস এ মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে সহকারি পরিচালক হিসেবে ঢাকাস্থ কাস্টমস অফিসে কর্মরত আছেন।

বেশিরভাগেরই স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর আইবিএর এমবিএ ভর্তি পরীক্ষায় ও ১ম স্থান অধিকার করেছিলেন।

ব্যক্তিজীবন এবং কর্মজীবনে সফল এই মানুষ সেইসব বিরল মানুষদের একজন যিনি শুধু নিজে সফল হয়েই থেমে যান নি- নিজের সফলতার গল্প দিয়ে বাকিদেরও সফলতার রাস্তা চিনিয়ে নেবার মহান ব্রত নিয়ে নেমেছেন।

উনার ফেসবুক প্রোফাইলের কাভার ফটোতে লেখা আছে- I WANT TO INSPIRE PEOPLE. I WANT SOMEONE TO LOOK AT ME AND SAY “BECAUSE OF YOU, I DIDN’T GIVE UP”

উপরের কোন একটা প্রশ্নের উত্তর যদি খুঁজতে চান- অথবা উপরের উল্লিখিত যেকোন একটা গল্প যদি সরাসরি শুনতে চান- অথবা একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অফিসারের সৎ ইচ্ছাকে সম্মান দেখানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছা হয়- তবে অবশ্যই নিজে আসুন- নিজের পরিচিত জনদের জানান- সম্ভব হলে নিজের ওয়ালে – বন্ধুদের ওয়ালে শেয়ার করুন।

হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ- এর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বৃন্দাবন কলেজসহ হবিগঞ্জের সকল কলেজ, SUST, Osmani Medical, JRRMC, NEMC, SWMC, MC college, Madan Mohon college, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মৌলভীবাজার কলেজ, শ্রীমংগল এর সকল কলেজ এবং অন্যান্য) এর ফেসবুক পেজে শেয়ার করুন। ঐসব প্রতিষ্ঠানে পড়ে এমন বন্ধুদের জানান। সিলেট বিভাগের সকল Rotary, Rotaract, Interact – club এর পেজ এ পোস্ট করুন- ব্যক্তিগত ভাবে সবাইকে জানান।

“Career ADDA with Sushanta Paul” এই event এ গিয়ে registration করুন।

সুশান্ত’দার জন্যে হয়তবা পরিসরটা অনেক ছোট হয়ে গেছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ একই রকম এক আড্ডায় অংশগ্রহণকারীই ছিলেন ২৫০০ এর উপরে। হবিগঞ্জ ছোট শহর-অতো বড় অডিটরিয়ামের ব্যবস্থা করাও সম্ভব না। চট্টগ্রাম থেকে হবিগঞ্জ আসাও কম ঝক্কির না। আমাদের তরফ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে সফল করার- আশা করি ছোট হলেও আমাদের আন্তরিকতা আপনাকে ছুঁয়ে যাবে।

কী কী থাকছে?

#বিসিএস এর প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা নিয়ে বিস্তারিত

#মোটিভেশনাল টকস

#IBA তে ভর্তির টুকি- টাকি

#ক্যারিয়ার গাইডলাইন

#প্রশ্নোত্তর পর্ব

আয়োজনে- Rotaract Club of Habiganj

সহযোগিতায় – Interact Club of Habiganj

আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর সদয় উপস্থিতি আমাদের উদ্যোগকে সফল করবে – এটাই হয়ত সুশান্তদার প্রচেষ্টার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ হবে।

তো দেখা হচ্ছে ১৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার- হবিগঞ্জে সুশান্তদার ক্যারিয়ার আড্ডায়।

8 December 2014

feeling irritated.

: দাদা, আপনি মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করেন কেন?

: ভাইয়া, ছেলেদের সাথে ফ্লার্ট করলে ব্যাপারটা কি ভাল দেখাতো?

শালার আজাইরা পাবলিক! ধইরা কাঁচের চুড়ি আর গেন্দা ফুলের মালা পরাইয়া দিতে মঞ্চায়!!!

10December 2014

feeling দুষ্টুদুষ্টু.

স্টারপ্লাসে একটা সিরিয়ালে গুলি কইরা কইরা সুন্দর সুন্দর মাইয়াগুলারে মাইরা ফেলতাসে।

এইডা কিসু হইলো! এমনিতে সুন্দর মাইয়ার আকাল।

………. ভালো মেয়েরও আকাল না, সুন্দর ভালো মেয়ের আকাল।

দাওয়াত খেতে আসলাম। ভাত দেয় না, তাই ড্রয়িংরুমে বসে বসে সবার সাথে সিরিয়াল দেখি।

পাব্লিক ক্যান ধইরাই লয়, সুন্দর মেয়েরা ভালো হয় না? সব মিডিয়ার সৃষ্টি!

সুন্দর অভালো মেয়েকে ভালো করা সম্ভব, কিন্তু অসুন্দর ভালো মেয়েকে সুন্দর করা সম্ভব না।

সুন্দর চেহারার মানুষ সুন্দর মনের হয় না, এটা কে বললো? আজব!!

ভাবনা: ছয়শো পাঁচ

……………………………………………………

11December 2014

ওরে বাবা!!! আমি এতোটা ভাবতেও পারিনি!!

বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,

আগামি শনিবার সুশান্ত পাল ভাইয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসবেন।যারা ক্যারিয়ার আড্ডার মত মোটিভেটিব প্রোগ্রাম মিস করেছ/করেছেন কিংবা উনাকে খুব কাছ থেকে জানতে আগ্রহী তাদের জন্য এটি মোক্ষম সু্যোগ।আইন বিভাগের ছাত্রদের জন্য এটি একটি বড় সু্যোগ কারণ সাথে থাকবেন আমাদেরই Aayaan ভাইয়া।

শনিবার সকাল থেকেই ভাইয়াকে পাওয়া যাবে।ভাইয়া আমাদের ঐতিহ্যবাহী শাটল ট্রেনে করেই আসবেন। যারা শাটল ট্রেনের নিয়মিত যাত্রী,তারা শহর থেকেই ভাইয়ার সাথে সময় পার করার সু্যোগটি গ্রহণ করতে পারবে।

ভাইয়াকে কাছ থেকে পাওয়ার সু্যোগটি হাতছাড়া করা মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

11December 2014

How to deal with a problem? Well, never make a problem a problem before/ until/ unless it creates any problems for you. If I don’t have to, why should I? Simple! Our problem is, we don’t know how to keep simple things simple, how to leave complicated things complicated.

12December 2014

কালকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরতে যাচ্ছি। ঘোরা মানে কিন্তু ঘোরাই। আর কিছু না। কোনো ক্যারিয়ার আড্ডাফাড্ডা কিছু না।

শীতে জেগে ওঠে, বাংলাদেশের এমন দুএকটা ক্যাম্পাসের মধ্যে এটা একটা। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। নারীর মতোই মোহিনী সে। এই ক্যাম্পাসে গেলে এই ভার্সিটিতে পড়তে না পারার কষ্টেরা ভিড় করে। (আমি জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটির ক্যাম্পাসে এখনো যাইনি। শুনেছি, ওটা বাংলাদেশের শীতের রানি।) গত শীতের আগের শীতে এই ক্যাম্পাসে রোদ পোহানোর রোমন্থন এখনো মিঠে লাগে। কালকে ক্যাম্পাসে সব ছোটো ভাইবোনদের নিয়ে ননস্টপ আড্ডা হবে, ঘোরাঘুরি হবে, ঢং করেকরে ছবি তোলা হবে। আই ওয়ানা ড্রিংক মাই লাইফ টু দ্য ফুলেস্ট! কালকে ভার্সিটি ক্যাম্পাসে আমরা খেজুরের রসের গুড়মাখা নারকেলের পুর দিয়ে ভাপা পিঠে খাবো, কালকে ভার্সিটি ক্যাম্পাসে ক্যারিয়ার স্প্রাইট ভিজিয়ে মুড়ি খাবে। এ-ই আমার ইচ্ছে। কী আয়ান, ঠিক তো? কালকের দিনটাতে শুধু জীবনের গল্প হবে, জীবিকার নয়।

আমার নিজেরই একটা পুরোনো কথা শেয়ার করিঃ

The sweet punishment of success is that people will overrate you and you will feel delightedly embarrassed.

আমাকে কিংবা আমার ভাবনাকে কিংবা আমার লেখাকে পছন্দ করেন, এমন কারোর সাথে দেখা হয়ে যাওয়াটা আমার জন্য প্রায়ই একটা অন্যরকমের অভিজ্ঞতা। দেখা যায়, উনি আমাকে আমি যতটুকু তার চাইতেও বড় করে ভাবতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে আমাকে খুব অস্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে ফেলে দেন। আমি চাই, আমি যা নই, তা ভেবে আমাকে ভালোবাসার চাইতে বরং আমি যা, তার জন্য সবাই আমাকে ঘৃণা করুক। এইতো সেদিন রাস্তায় টংয়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় এক ছোটোভাই সামনে এসে সালাম দিয়ে বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করে বসলো, “ভাইয়া, আপনি টংয়েও চা খান?” আমি মনেমনে ভাবছিলাম, “পাগলা, আমি যে কী কী করি, সেসব যদি জানতিস!” আমি চাই, কালকে কেউ আমাকে স্যার না ডাকুক, ভাইয়া ডাকুক। আমার সাথে কারোর ছবি তুলতে ইচ্ছে হলে অন্যকাউকে দিয়ে না বলাক, সরাসরি আমাকেই বলুক। আমি সহজ, তাই সহজ মানুষ পছন্দ করি।

কাল যাবো সকাল পৌনে দশটার ট্রেনে, ফিরবো সাড়ে পাঁচটারটায়; শাটল ট্রেনে। এই ট্রেনটা কখনোই ঘুমিয়ে পড়ে না, এই ট্রেনটাতে অদ্ভুতরকমের একটা প্রাণ আছে। এতে চড়লে হাতপা ছুঁড়ে ধেড়েগলায় চ্যাঁচানোকেও গান বলে চালিয়ে দিতে ইচ্ছে করে, ট্রেনের নিরীহ শরীরে ধুমধাম অত্যাচারকেও কিছুতেই অন্যায্য বলে মনে হয় না, প্রতি মিনিটে একটুএকটু করে বয়স কমতে থাকে, কোনো এক সুন্দরীর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মনে হয় ও বুঝি এতক্ষণ আমার সাথে আইকনট্যাক্ট করার চেষ্টা করছিলো আর আমি ফিরে তাকাতেই লাজুকভাবে চোখ নামিয়ে নিলো। মন ভালো করে দেয়া সব ছেলেমানুষি এসে ভর করে। জীবনটাকে মনে হয় ওই কমপার্টমেন্টে থেমে গেছে। এখানে সময় ফুরোয় সময়ের আগেই। এখানে সবাই আপন। এখানে সবাই একটা ধর্মই পালন করে; শাটল ট্রেনের ধর্ম। কালকে বয়সটাকে আবারো কমিয়ে ফেলবো। অপেক্ষায় আছি।

সাথে আমার ছোটোভাই প্রশান্ত যাচ্ছে। ওর ধারণা, ও ওর ডিএসএলআর’য়ের চাইতেও ভালো ছবি তোলে। আয়ানকে ধন্যবাদ ওর ক্যাম্পাসের ছোটোভাইদের নিয়ে কালকের এই আড্ডাটার আয়োজন করার জন্য। আর ভালো কথা, আমি ০১৭১৬০৮৬৯২১ এই নাম্বারে আছি।

এখন একটা অন্যকথা শেয়ার করছি। আমার গতকালকের স্ট্যাটাস পড়ে এক মেয়ের খুব ইচ্ছে হয়েছে, এই শীতের ভোরবেলায় ওর প্রেমিকের হাত ধরে সাগরতীরে হাঁটবে। যে করেই হোক, এটা ওর লাগবেই! ও চায়, এর জন্যে যদি অফিস থেকে আধবেলা ছুটিও নিতে হয়, ওর প্রেমিক প্রয়োজনে তাও নেবে। সমস্যা সেখানে না। সমস্যা অন্যজায়গায়। সেই বেচারি ভোরবেলায় সাগরের তীর ধরে হাত ধরে হাঁটবার মতো প্রেমিক পায়নি। এরকমই হয় বোধহয়। যে মেয়ে চায় ওর প্রেমিক ওর খোঁপায় কিছু বেলীফুল গুঁজে দিক, সে মেয়ে প্রেমিক পায় এমন যার হাত থেকে বেলীফুল খেয়ে নেয় বেরসিক ছাগলে। (আচ্ছা, ছাগল কি বেলীফুল খায়?)

যারা ক্যারিয়ার আড্ডা ক্যারিয়ার আড্ডা এই ভাবনা মাথায় নিয়ে এই লেখাটা পড়েছেন, তাদের নিরাশ করবো না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দাউদ স্যারের উদ্যোগে রোটারি ক্লাবের স্পন্সরশিপে ক্যারিয়ার আড্ডাটি হবে এই মাসের শেষে কিংবা আগামী মাসের একেবারে শুরুতে। ছোটোভাই আয়ান আড্ডার সব আয়োজন দেখাশোনা করছে। আসছে শুক্রবার আমার সাথে ক্যারিয়ার আড্ডাটি হবে অনুজ দাদার উদ্যোগে রোটার্যাক্ট ক্লাবের আয়োজনে হবিগঞ্জে। সিলেটে দুইদিন থাকবো, ঘুরবো। সিলেটের বন্ধুদের সাথে দেখা হবে, গল্প হবে। অপেক্ষায় রইলাম।

13December 2014

ককপিটে…….

13December 2014

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ফিরলাম। বাতিঘরে যাচ্ছি। বন্ধুদের কেউ আছেন ওদিকটায়? থাকলে, আওয়াজ দিন। প্রয়োজনে কফির বিল আপনি দেবেন, মুড়ির বিল আমি। আজ মুড়িকফি খাবো।

16December 2014

দাদা, কিছু কিছু মানুষ আছে যারা নিজেকে অযোগ্য ভাবতে সাহস করে না, বরং নিজেকে নিগৃহীত ভাবতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ওদের সাথে লড়তে যাস না। ওরা সংখ্যায় বেশিই হয়। ওরা তোকেও দলে টেনে নেবে।

(একটুআগে খাওয়ার টেবিলের আড্ডায় আমার ছোটোভাই Prashanta বলল।)

17December 2014

(অনুজ কান্তি দাশ দাদার স্ট্যাটাস থেকে হুবহু কপি করা)

আর মাত্র ৪৮ ঘন্টা – ১৯ ডিসম্বর ঠিক এইসময় আমাদের ব্যস্ততা হয়ত অন্যরকম থাকবে। আমরা কয়জন থাকব এতদিন প্রচেষ্টার ফলাফলটা যেন সুন্দর, সফল হয় সেটার জন্যে শেষ চেষ্টায় – একজন সুশান্তদা থাকবেন নতুন কী বলা যায়, হবিগঞ্জের ক্যারিয়ার গঠনে, ক্যারিয়ার উন্নয়নে আগ্রহীদের নতুন কি টনিক দিয়ে উৎসাহিত করা যায় সে চিন্তায় – আর যারা উনাকে শুনতে আসবেন তারাও আসবেন উৎসাহব্যঞ্জক কিছু কথা শুনতে – অথবা রোটার্যাক্ট ক্লাব-এর মত পুচকি এক ক্লাব কী আয়োজন করে সেটার সমালোচনায়।

যে যেভাবেই ভাবেন না কেন – সময় চলে আসছে। এখন শুধু সেটা বাস্তবায়নের প্রতীক্ষা। সুশান্ত’দা সম্পর্কে অনেকবারই বলেছি- শেষবারের মত বলতেছি। উনি ৩০ তম বিসিএস এ প্রথম হয়েছিলেন। সেই পরিচয়টা অনেকটাই ছাপিয়ে গিয়েছে তার বর্তমানের কর্মকান্ডে। ঢাকায় ৩ টা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫০০ মানুষের সামনে বিশাল আড্ডা কিংবা চট্টগ্রামের ক্যারিয়ার আড্ডার মাধ্যমে উনি এখন তরুণ সমাজের কাছে একজন আইকন। উনার কথায় অনেকেই নতুন করে উৎসাহ পাচ্ছে, নতুন করে উদ্যম আসছে অনেকের মাঝেই।

সেই প্রচেষ্টার রেশ ধরে আগামী শুক্রবার উনি হবিগঞ্জে আসছেন। ঠিক ৯ টায় – হবিগঞ্জস্থ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে। উনি দীর্ঘক্ষন বক্তব্য দিতে পারেন – আমাদের জন্য সুখবর হল উনি নিশ্চিত করেছেন যে অংশগ্রহনকারীরার যতক্ষণ চান উনি ততক্ষণ বক্তব্য দিবেন।

তাই অনুরোধ করব – হেলায় সেই সুযোগটা যেন আমরা না হারাই। একজন মানুষের সৎ ইচ্ছাকে সম্মান দেখাতে, অদ্ভুত সুন্দর কিছু কথা শুনতে, বিসিএস প্রস্তুতির নানান টিপস জানতে, ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর সহজ কিছু সাজেশন পেতে কিংবা আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় কিছু জানতে চলে আসুন ঠিক ৯ টায়।

আয়োজক – রোটার্যাক্ট ক্লাব অব হবিগঞ্জ। সহযোগিতায় – ইন্টারয়াক্ট ক্লাব অব হবিগঞ্জ। আমার কাজ ছিল শুধু সুশান্তদাকে ম্যানেজ করা – বাকি সব কাজ করেছেন রোটার্যাক্টররা – দিবাকরদা, শুভজিত, সজীব, রনি, অন্তু, তপু, রবি, সেকুল, বাপ্পু, ধীরেন্দ্র, ইমন সহ সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমে আশা করছি আমরা ভাল কিছুই দিতে পারব। ধন্যবাদ দিচ্ছি না কারণ WE are A TEAM. আর মাত্র ২ দিন – তাই শেষবারের মত সবাই মিলে চেষ্টা চালিয়ে যাই আমরা।

দেখা হচ্ছে – “ক্যারিয়ার আড্ডা উইথ সুশান্ত পাল” –এ হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম এ – ঠিক ৯ টায়।

ভাবনা: ছয়শো ছয়

……………………………………………………

17December 2014

আমার পরের ক্যারিয়ার আড্ডার সাতসতেরোঃ

তারিখঃ ১৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার)

সময়ঃ ৯:০০টা থেকে ১:০০টা

ভেন্যুঃ জিলা পরিষদ অডিটোরিয়াম, হবিগঞ্জ (বৃন্দাবন কলেজের সামনে)

আড্ডায় যা যা থাকছেঃ

মোটিভেশনাল সেশন। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল (প্রিলি+রিটেন+ভাইভা)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল (রিটেন+ভাইভা)। প্রশ্নোত্তর পর্ব।

আড্ডাটি আয়োজন করেছে হবিগঞ্জের রোটার‍্যাক্ট ক্লাব।

আড্ডায় অংশ নিতে কোনো এন্ট্রি ফি লাগবে না, রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না, শুধু ওইসময়ে এলেই হবে। আড্ডাটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

কাল রাতের ট্রেনে সিলেটে আসছি। ১৯ আর ২০ ডিসেম্বর সিলেটে থাকবো। আশা করছি, সিলেটের বন্ধুদের সাথে দেখা হবে, গল্প হবে, ঘোরাঘুরি হবে।

18December 2014

স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির মত অফিসেও উইন্টার ভ্যাকেশন চাই। বড়দের শীত লাগে না? শীতের সকালে গোসল করার চাইতে বেকার হওয়াও সহজ। এই শীতে বেকারদের দুর্ভাগ্যেও ঈর্ষা হয়! শীতের সকালের লেপ-কম্বলের চাইতে আপন এই জগতে আর কী-ই বা আছে? নো মর্নিংওয়াক, নো জিম! ওসব করে অমর হয়েছে কে কোথায় কবে? আলস্যে মৃত্যু, অনালস্যেও মৃত্যু। অতএব, আলস্যই শ্রেয়। এই শীতের কনকনে সকালবেলায় শাওয়ার ছেড়ে শাওয়ারের নিচ থেকে পালিয়ে পালিয়ে চাকরিজীবীদের অসহায় নাচানাচিটাইপ গোসল। আহা আহা! চাকরির কী জঘইন্য শান্তি! পিচ্চিগুলারে ধইরা ধইরা পিডাইতে মঞ্চায়! তুমি পিচ্চি, তাই বলিয়া আমি বড় হইবো কেন? এ জগতে হায়, কে বড় হতে চায়?

কী করে উঠি বলুনতো সকাল ৬টা থেকে অফিস শুরু।

গড ব্লেস ইউ।

জিম করে কেউ অমর হয়না দাদা তবে একটা ভুঁড়িমুক্ত গেবন পাওয়া যায়

ভুঁড়ি থেকে যদি আরামের কিছু হয়, তবে তো ভুঁড়িই ভাল।

19December 2014

বেশি না, শুধু এরকম একজন মুগ্ধ মানুষের ভালোলাগার জন্যও তো ৪-৫ ঘণ্টা ‘বকা’ যায়! ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো যায়!

Rotaract Club of Habiganj এই মুগ্ধতার ব্যবস্থা করে দিয়েছে! তাদেরকে ধন্যবাদ। হবিগঞ্জে নাকি কেউ ‘বকছে’ এমন কোনো অনুষ্ঠানে আমার ক্যারিয়ার আড্ডার মতো এতো স্টুডেন্ট জড়ো হয়েছিলো শুধু আরেকবার; যেদিন জাফর ইকবাল স্যার এসেছিলেন। আমি বকেছি ৪-৫ ঘণ্টা। ওরা পালায়নি, শুনেছে!

এই স্ক্রিনশটটা আমার ওয়ালে শেয়ার করেছেন Sawon দাদা। উনি যা লিখে এটা পোস্ট করেছেন, সেটা হুবহু তুলে দিচ্ছিঃ

এই স্ন্যাপশট টা যখন আপলোড করছি আমি টয়লেট-এ। সত্যি বলছি আমার কান্না চলে আসছে। ধন্যবাদ Anujকে Sushantaদা কে ম্যানেজ করে হবিগঞ্জে আনার জন্য। সুসেন চক্রবর্তীকে বলছি, দাদা আবেগটা কাজে লাগাতে পারলেই আমাদের হবিগঞ্জের সফলতা আসবে।

শাওনদা, আপনি খুব সম্ভবত নিজেই জানেন না, আপনি এটা আমার ওয়ালে পোস্ট করে আমাকে কতোটা অসহায় করে দিয়েছেন। ভালোবাসা তো মানুষকে অসহায় করে দেয়, না? অতোটা ভালোবাসা যায় নাকি? হায়! আমি তো পারি না! এই জীবনে কতো কতো অভালোবাসাকে ভালোবাসা ভেবে নিয়ে ভুল করি!

Antu, তুমি সুসেনকে বলো, ওর নাম আর আমার নাম কাছাকাছি বলে আমার ভেতরে একধরনের আনন্দ কাজ করছে। কী? বলতে মনে থাকবে তো?

20December 2014

রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যের পথে…….

20December 2014

অভয়ারণ্যে মধ্যাহ্নযাপন। আমরা ২৩জন। গাছের বৈচিত্র্যে এটাই সেরা। বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণে দ্বিতীয় সেরা। প্রাকৃতিক বনভূমির বিস্তৃতিতে সুন্দরবনের পরেই এটি।

24December 2014

অতঃপর স্বর্ণউদ্ধার! সাথে আইফোনও।

অনেকেই ইনবক্সে এবং ফোন করে জিজ্ঞেস করেছেন, আমি কোথায়? আমার লেখা কোথায়? আমি ভালো আছি তো?

উত্তর হল, আমি ভালোই ব্যস্ত ছিলাম।

১৯,২০ হবিগঞ্জে ছিলাম; ক্যারিয়ার আড্ডায়, ঘোরাঘুরিতে।

২১,২২,২৩ ঢাকায় ছিলাম; এনবিআর-এর ভ্যাট অনলাইন প্রজেক্ট ট্রেনিংয়ে।

কাল সারারাত নির্ঘুম বাস জার্নি শেষে আজ সকাল থেকে ক্লান্ত শরীরে অফিস করছিলাম।

এখন আর একটুও ক্লান্তি নেই। আজকে সকালে করা একটা ভালো গোয়েন্দাগিরির জন্য।

খবরটা দেই। আমাদের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট টিম দুবাই থেকে ১০:৩০টায় আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৪৬ ফ্লাইটের যাত্রী মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৩৩ পিস সোনার বার (৩৩০ ভরি), ১৫০ গ্রাম স্বর্ণালংকার (৭টি নেকলেস, ৪টি চেইন, ১ জোড়া দুল), ৭টি আইফোন উদ্ধার করে যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

Smugglers propose, customs disposes.

24December 2014

আহ! ৩দিন ছুটি! আসুন এই ছুটিতে মুভি দেখি, মুড়ি খাই, ঘুমাই, আলস্যের জয়গান করি।

তুমি পরিশ্রমী, তাই বলিয়া আমি অলস হইব না কেন?

আমার মতন যারা উপরের নীতিতে বিশ্বাসী, তাদের জন্য এই নোটটি।

(Sushanta Paul published a note. ১৫০ টাকার ডেটিং অথবা আমার বায়োস্কোপ ডায়েরি)

26December 2014

স্বর্ণউদ্ধার!

আজ রাত পৌনে ১২:০০টার দিকে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টের টয়লেট থেকে এয়ারপোর্ট কাস্টমস এবং এয়ারপোর্ট কাস্টমস ইন্টিলিজেন্সের একটি টিম যৌথ অভিযানে একটি কালো রঙের ওয়ালেটে কালো রঙের স্কচটেপ মোড়ানো ২৪ পিস স্বর্ণের বার পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। বারগুলোর মোট ওজন ২৪০ ভরি (২.৮ কেজি) এবং আনুমানিক মূল্য ১.২ কোটি টাকা।

আমরা ধারণা করছি, মাস্কট থেকে রাত ১১:১০টায় আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০২৪ ফ্লাইটের কোনো যাত্রী হয়তো আমাদের টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে এই স্বর্ণ ফেলেই পালিয়ে যান।

সারাদিন ডিউটি শেষে রাইতেও কপালে ঘুম নাইরে পাগলা! State never sleeps!

Smugglers propose, customs disposes.

26December 2014

……….old friends taste like old wine.

27December 2014

আমার ফেসবুক ইনবক্সে আমার একজন শুভাকাঙ্ক্ষী আমার ৭টি দোষের কথা জানালেন, যেগুলোর কয়েকটি খুব বেশি সত্যি! আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

এক। আপনি কনট্যাক্ট মেইনটেইন করেন না। ব্যাপারটা এমন না যে, আপনি কাউকে অ্যাভয়ড করার জন্য এটা করেন। আপনি জাস্ট ‘ভুলে যান’। পরে এটা মনে করে কষ্টও পান। এরপরেও ফোন করে হ্যালো বলেন না।

দুই। প্রত্যেক মেয়েই চায়, ওর বয়ফ্রেন্ড ওকে মাথায় করে রাখবে, সারাদিন ফোন করবে, খোঁজ নেবে, ‘খাইসো নাকি বেবি’ এবং এই জাতীয় দুনিয়ার কাহিনী করবে। আপনি এগুলো জীবনেও করবেন না। ইউ আর জাস্ট টু ন্যাচারাল! ডিসগাস্টিং! আপনি প্রচুর ঢং করতে পারেন, ঠিকাসে। বাট এটা এনাফ না। মেয়েভুলানো কিছু হিপোক্রিসিও আপনার শিখে রাখা দরকার। ওরা কী শুনতে চায়, শিখেন। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

তিন। আপনার মধ্যে একটা বাচ্চা বাচ্চা ব্যাপার আছে। আপনাকে পেলেপুষে মানুষ করতে হবে। কোনো মেয়ে যদি মনে করে, আপনাকে বিয়ে করার পর ওর সব দায়িত্ব আপনার, তাহলে সে একটা গাধী! আপনি বাসার ব্যাপারে উদাসীন। মেয়েটাকে নিজের হাতে পুরো সংসার সামলে রাখতে হবে। আপনি আর্থিক আর সামাজিক সবকিছু অবশ্যই ম্যানেজ করতে পারবেন, কিন্তু যাবতীয় ফ্যামিলি পলিটিক্স ওই বেচারিকেই সামলাতে হবে।

চার। আপনার ইগো প্রবলেম বেশি। আপনি শুধু চাইতে পারেন না বলে আপনার আশেপাশের অনেকেই রিয়েলাইজ করবে না যে এটা আপনার দরকার কিংবা প্রাপ্য। আপনার চোখের সামনে দিয়ে আপনার জিনিস লোকজন নিজের বলে নিয়ে যাবে, আপনি একটা ‘গ্রেট মাইন্ড’ ভাব নিয়ে বসে বসে দেখবেন আর ইগোতে ভিজিয়ে মুড়ি খেতে থাকবেন। চাইতে শিখুন, বুঝেছেন?

পাঁচ। আপনি কাউকে ‘না’ বলতে পারেন না। এটা খুব খারাপ। পিপল টেক ইউ ফর গ্রান্টেড। এটা ঠিক না। আপনার নিজের অসুবিধা করে কারোর ফেভার করার তো কোনো মানেই হয় না।

ছয়। খুব বেশি খরচ করেন। নিজের জন্য, ফ্যামিলির জন্য। এইটুকু হলে প্রবলেম ছিল না। আপনি অন্যের জন্যও পয়সা উড়ান। জাস্ট স্টপ পেয়িং দ্য বিল এভরিওয়েআর। লার্ন টু শেয়ার। সামনে বিয়ে করবেন। জমান।

সাত। কে গ্লোরি হান্টার, আর কে আসলেই আপনাকে রেসপেক্ট করে, এই দুটো ব্যাপারের মধ্যে ডিফারেনশিয়েট করতে পারেন না। সবাইকে কাছে টেনে নেন। ইউ আর জাস্ট টু অ্যাভেইলেবল! এটা ঠিক না। নিজের চারিদিকে একটা দেয়াল বানাতে শিখুন। মোর লাইক অ্যা শিল্ড। সবাই দেখতে পারবে, কিন্তু ছুঁতে পারবে না। সামটাইমস পিপল ক্যান হার্ডলি আন্ডারস্ট্যান্ড ইউর ডিগনিটি আনটিল অ্যান্ড আনলেস ইউ মেক দেম আন্ডারস্ট্যান্ড ইট।

বন্ধুরা, এগুলোর কোনোটা কি আপনাদের সাথে মিলে? মিললে, কোনটা? কিংবা, কোনটা কোনটা?

আপনার নিজের একটা দোষ/ ত্রুটি শেয়ার করুন।……………. (আমি নিজে আমার আরেকটা ত্রুটি অ্যাড করি। আমার মধ্যে হোস্টাইল পিপল টলারেট করার ক্ষমতা কম।)

আমাকে যারা চেনেন, আমার লেখা পড়েন, আমাকে নিয়ে একটু হলেও ভাবেন, তারা আমার আরো কিছু ত্রুটি অ্যাড করলে খুব খুব খুশি হব। সত্যি খুশি হব। নিজেকে শোধরানো দরকার।

দোস্তো, একটু খেয়াল কর তো! তোর সাথেও উপরের ৭টা পয়েন্টের ৮০% মিলে যাওয়ার কথা মনে হয়!

ভাবনা: ছয়শো সাত

……………………………………………………

30December 2014

Small minds get pleasure from fighting with smaller people. Big minds get pleasure from fighting with bigger people. Whom you’re fighting with defines your personality.

You’re powerful? Well, I invite and challenge you to play with my strength, not with my weakness, Sir!

People who prefer to play with your vulnerable points are rather vindictive. Strong people don’t need to slap the rickshaw-walas to show their strength. They’ve their own ways.

Better to lose once fighting with the lion than to win 100 times fighting with the donkey.

31December 2014

নীলাচলে……. মেঘের সমান্তরালে……. জল ভেজায় না, মেঘ ভেজায়—আক্ষরিক অর্থেই!

31December 2014

এক বন্ধু ফটোগ্রাফার। ফটোগ্রাফার মানে কিন্তু ফটোগ্রাফার না, ফটোটেকার, ফটোএডিটর, বড়জোর ফটোশুটার। একটা বিয়েতে তোলা একটা ফটো চেয়ে এই পর্যন্ত তিনবার ফোন দিলাম।ও দেয় না। কারণ ও ব্যস্ত। ও ব্যস্ত, কারণ আমি মেয়ে নই। ফোন করলে বলে, বন্ধু, আমি এডিট করে দেবো, কোনায় আমার নাম লেখা থাকবে। আমি ওকে বললাম, তুমি তোমার নাম লিখ, তোমার বাবার নাম লিখ, তোমার মায়ের নাম লিখ, প্রয়োজনে তোমার রাশি আর কোষ্ঠির নামও লিখে দাও। তবুও ছবিটা দাও। ছবিটাতে আমার সাথে আমার মা আছেন। খুব সুন্দর ছবি। আমি ছবিটা আমার কাছে রাখতে চাচ্ছি। না! তাও দিল না। আমার বন্ধু ভালো ছবি তোলে, এটা আমার জন্য গর্বের। আমার বন্ধু আমার সাথে ফটোগ্রাফার ভাব নেয়, এটা আমার জন্য কষ্টের। আমার ব্যর্থতা, বন্ধুর ফটোগ্রাফার মুখোশটাকে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।

আমার একটা গল্প আছে। ফটোগ্রাফার। নোটসে পাবেন। পড়ে দেখতে পারেন।

Happiness is: বৃহস্পতিবার সারাটা সন্ধ্যা সদ্য-কেনা অথবা আগে-কেনা বইয়ের পাতা ওল্টানো৷ এরপর, ভালো লাগতে পারে, এমন একটা, রাত শুরু হয় যখন, তখন এই ভেবে প’ড়তে শুরু করা যে কালকে তো অফিস নেই, রাত জাগলে কিছু হবে না৷

কিংবা, ওই সময়টাতে মুভিতে টুক্ ক’রে ডুব দেয়া৷

কড়ি দিয়ে কিনলাম এইসব—

স্মৃতিকুণ্ডয়ন

ব্রত চক্রবর্তীর। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের। রণজিৎ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা…… ব্রত চক্রবর্তী অসাধারণ! বেশিই!! (এই ৩টা বইয়ে পয়সা খসেছে ছোটোভাই রুম্মানের বুদ্ধিতে৷ ওরে ধিক্কার!! )

বুদ্ধদেব গুহের দশটি উপন্যাস

ফাদার দ্যতিয়েনের গদ্যসংগ্রহ। আটপৌরে দিনপঞ্জি (বাংলা শিখে বাংলায় লিখে স্মরণীয় হ’য়েছেন দু’জন৷ আবু সয়ীদ আইয়ুব; ইনি উর্দুভাষী ছিলেন৷ ফাদার দ্যতিয়েন; ইনি ফরাসিভাষী ছিলেন৷……. সত্যিই শ্রদ্ধা ক’রতে ইচ্ছে হয় না!)

চলার পথের চলনদার

স্মৃতিচারণ

যত দূর মনে পড়ে

সুচিত্রা সেনের জীবনী: যেজন আছেন নির্জনে

অন্নদাশঙ্কর রায়ের রচনাবলী (১২ খণ্ড)

Cosmos

Lolita

In Search of Lost Time

The Sound and the Fury

To The Lighthouse

Madame Bovary

Middlemarch

Moby-Dick

Emma

Things Fall Apart

দেখা যায়, অন্যের গার্লফ্রেন্ডের চেয়ে নিজের গার্লফ্রেন্ড ছ্যাঁকা বেশি দ্যায়৷ তাই, গার্লফ্রেন্ড অপেক্ষা বউ উত্তম৷ অন্যের গার্লফ্রেন্ড অপেক্ষা বই উত্তম৷

ফ্রেন্ডস্! হ্যাপি উইকএন্ড৷

ব’লেছিলাম, কফি খাওয়াতে৷ জানিয়ে এলেই খাওয়াতে হ’বে, এই ভেবে কেউ ব’লেকয়ে আসেনি৷ তবুও এসেছিলো৷ কেউ কেউ৷ অনেককে চিনতাম, অনেককে চিনেছি৷ আমি ফ্রিতে পেলে ইট খেতেও রাজি৷ আর কফি তো ভালো জিনিস৷ ভালোকিছু কথার সাথে ভালোকিছু খেয়ে ভালোহৃদয়ে বিল দেয়ার লোক ক’মে গেছে৷ বড়ই নির্দয় নির্মম এই কার্পণ্য৷ তবুও দেখা হ’য়েছে, আড্ডা হ’য়েছে, গল্পে বিকেল মিশেছে সন্ধ্যায়৷ কফি খেয়েছি৷ সুখের কথা, কেউ কথা দেয়নি, তাই কারোর কথা রাখার কথা ছিলো না৷ দুঃখ একটাই, কেউ আমায় কফি খাইয়ে চিরঋণী ক’রলো না৷

ঘরে ফেরার ইচ্ছে ছিলো ঋণী হ’য়ে৷ ফিরলামও৷ সাথে বাতিঘরের একটু আলো৷ যা যা নিয়েছি—

সুধীর চক্রবর্তীর গান হতে গানে। দেখা না-দেখায় মেশা। অনেক দিনের অনেক কথা

অশোক মিত্রের তিন কুড়ি দশ (৫ খণ্ড)। আপিলা চাপিলা (লেখক নামকরা আইসিএস অফিসার ছিলেন৷)

হুমায়ূন আহমেদের এপিটাফ। অনন্ত অম্বরে। শঙ্খনীল কারাগার। শ্যামল ছায়া। গৌরীপুর জংশন। বৃষ্টি ও মেঘমালা

হুমায়ূন আহমেদের স্মারকগ্রন্থ

চিন্ময় গুহের লেখা গাঢ় শঙ্খের খোঁজে ও অন্যান্য প্রবন্ধ

চিন্ময় গুহের অনুবাদ-করা লা রোশফুকোর মাক্সিম (বইটা মনে মনে খুঁজছিলাম বেশ কিছুদিন ধ’রেই৷ হুমায়ূন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ লা রোশফুকো প্রভাবিত৷ এই বইটা বাতিঘরে আছে, এটা জানিয়েছেন লেখক হরিশংকর জলদাস৷ স্যারকে ধন্যবাদ৷ পরের বই তিনটাও তাঁর পরামর্শে কেনা৷)

নজরুলের বন্ধু শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় লিখিত নজরুল স্মৃতিকথা কেউ ভোলে না কেউ ভোলে

চিত্রা দেবের অন্তপুরের আত্মকথা

মনোজ মিত্র আর অমর মিত্রের ভাসিয়ে দিয়েছি কপোতাক্ষ জলে

রূপায়ণ ভট্টাচার্যের হৃদয়ে লেখো নাম মান্না

শ্রীজাতের গদ্যের বই আমার সান্তা ঠাকুর (উনার কবিতায় বোধহয় আছে….. ভেবে দেখো, যে মেয়ে শঙ্খ ঘোষের নাম শোনেনি সে মেয়ে তোমাকে প্রপোজ ক’রলে তুমি কী ব’লবে!….. এই টাইপের কোনো একটা লাইন৷ ভুল হ’লে রুম্মানের দোষ৷)

পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর শ্রুতিনন্দন

জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের দিনগুলো মোর

জীবনানন্দ-পত্নী লাবণ্য দাশের মানুষ জীবনানন্দ

মোনাজাতউদ্দিনের পথ থেকে পথে

আব্দুল মান্নান সৈয়দের শুদ্ধতম কবি

ভূমেন্দ্র গুহের আলেখ্য: জীবনানন্দ

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের রসেবশে

নবনীতা দেবসেনের ভালোবাসার বারান্দা (ইনি, অমর্ত্য সেনের স্ত্রী, এই পরিচয়েই শুধু পরিচিতা নন)

ক্লিন্টন বি সিলির অনন্য জীবনানন্দ

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের মহাচীনের কথা

সুপ্রিয় সরকারের প্রকাশকের ডায়েরি

তপন সিংহের মনে পড়ে

ঋত্বিক ঘটকের নিজের পায়ে নিজের পথে

ঋত্বিক ঘটকের সাক্ষাৎকারের বই সাক্ষাৎ ঋত্বিক

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সসুন্দর জার্নাল

গজেন্দ্রকুমার মিত্রের সেইসব দিন

শামসুর রাহমানের কালের ধুলোয় লেখা

বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের চিত্রকর (বইটির গল্প ক’রেছিলো বন্ধু শারদ দাশ অপু৷ অপু, তোমাকে ধন্যবাদ৷)

সমরেশ মজুমদারের বাঙালির নষ্টামি

ঘরে ঋণী হ’য়ে ফিরলাম৷ কেনো? বাতিঘরের বিল বাকি আছে৷

চিরঋণী হ’য়ে যাওয়ার ধান্দায় আছি৷

হোয়েন অ্যা ট্রু জিনিয়াস অ্যাপিয়ারস্ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড, ইউ মে নো হিম বাই দিস সাইন, দ্যাট দ্য ডান্সেস আর অল ইন কনফেডারেসি অ্যাগেইনস্ট হিম৷

সুইফটের এই কথাটার সময়ে ফেসবুক ছিলো না৷ থাকলে, উনি হয়তো ব’লতেন,

হোয়েন অ্যা জিনিয়াস অ্যাপিয়ারস্ অন ফেসবুক, ইউ মে ডাউট হিম বাই দিস সাইন, দ্যাট দ্য ডান্সেস আর অল ইন কনফেডারেসি ফর হিম৷

জন কেনেডি টুলি তাঁর লেখা ছাপবার জন্যে প্রকাশকদের দরোজায় কড়া নাড়তে নাড়তে অবশেষে আর প্রত্যাখ্যান সহ্য ক’রতে না পেরে প্রচণ্ড অভিমানে ৩১ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন৷ তাঁর লেখার ছেঁড়াফাটা নোংরা পাণ্ডুলিপি নিয়ে তাঁর মা থেলমা টুলি পার্সি ওয়াকারের কাছে যান৷ ওয়াকার সাহেব কলেজে পড়াতেন, টুকটাক লিখতেন৷ তিনি প্রথমে পাণ্ডুলিপি প’ড়তেই রাজি হননি৷ “আমার ছেলে এই লেখা ছাপতে না পেরে অনেক কষ্ট নিয়ে আত্মহত্যা ক’রেছে৷ আমি এটা আপনার কাছে রেখে যাচ্ছি; দয়া ক’রে অন্তত কয়েকপাতা প’ড়বেন, যদি ছাপবার যোগ্য না হয়, আমাকে আর খবর পাঠাবেন না, আপনিই ছুঁড়ে ফেলে দেবেন৷ আমি এটা ধ’রে নিয়ে সান্ত্বনা খুঁজে নেবো, হয়তো ওটা একটু প’ড়ে দেখার সময়ই হয়নি আপনার৷” এই ব’লে ওয়াকার সাহেবের টেবিলে পাণ্ডুলিপিটা রেখে কোনো আশা ছাড়াই মা অফিস থেকে বেরিয়ে প’ড়েন, যেভাবে অসহায় মা তাঁর শিশুকে অনাথাশ্রমে রেখে আসেন এই আশায় যে, ভালো থাক না থাক, অন্তত বেঁচে থাক৷ এরপর কী হ’য়েছিলো, সেটা সবারই জানা৷ লেখকের মৃত্যুর ১১ বছর পর অ্যামেরিকান কমিক মাস্টারপিস্ অ্যা কনফেডারেসি অব ডান্সেস প্রকাশিত হয়, লেখককে মরণোত্তর পুলিৎজারও দেয়া হয়৷ ……….. সন্তোষ সেনগুপ্তের গাওয়া একটা গান মনে প’ড়ে গেলো ……… জীবনে যারে তুমি দাওনি মালা, মরণে কেনো তারে দিতে এলে ফুল ………

কমলকুমার-জীবনানন্দ’রা ছাপা হওয়া দূরে থাক, কেউ কখনোই প’ড়বেও না, এটা জেনেও কীসের মোহে লেখার প্রতি কতটা নিষ্ঠা আর ভালোবাসা নিয়ে উপন্যাস লিখতেন, সেটা এইসময়ে যাঁরা লিখছেন, তাঁরা একটু ভেবে দেখবেন প্লিজ? আমরা অনেক আশা নিয়ে প’ড়তে বসি তো!

বইমেলা আসে, তাই অনেকে লেখেন৷ আমরা পাঠকেরাও এই সময়ের অপেক্ষায় থাকি৷ বই দেখি, কিনি, কখনো কখনো পড়ি৷ ইদানীং পড়ার পর আমার প্রায়ই র্যাটাটুলি অ্যানিমেশন মুভিটার ইঁদুরটার মতো ক’রে ব’লতে ইচ্ছে হয়, অ্যানিওয়ান ক্যান রাইট, দ্যাট ডাজ নট মিন দ্যাট অ্যানিওয়ান শুড্৷

ভাবনা: ছয়শো আট

……………………………………………………

বইমেলা উপলক্ষ্যে এবং অনুপলক্ষ্যে গেলো একুশে’তে ৪র্থ দফায় কেনা বইগুলো……..

মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল

পাকিস্তানিদের দৃষ্টিতে একাত্তর

রাজাকারের মন (২ খণ্ড)

বাংলাদেশের অভ্যুদয়: একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য

মূলধারা ’৭১

সারেন্ডার অ্যাট ঢাকা

প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি

গেরিলা থেকে সম্মুখ যুদ্ধে (২ খণ্ড), বইটা Zahidur Rahman ভাইয়ের পরামর্শে কেনা

দ্য রেপ অব বাংলাদেশ

(সেক্টর কমান্ডাররা বলছেন) মুক্তিযুদ্ধের স্মরণীয় ঘটনা

অপৌরুষেয় ১৯৭১

সুচিত্রা সেন: উত্তরণ ও অন্তরাল (সুচিত্রাকে নিয়ে যেকোনোকিছু পেলেই কিনি৷ কেনো? প্রেয়সী একটা ডট লিখে টেক্সট্ পাঠালেও সেটা একটু পরপর দেখতে ইচ্ছে ক’রে, কিছুতেই অর্থহীন ভাবতে ইচ্ছে হয় না৷ ওরকম কিছু নাকি?)

ছায়ার শরীর

প্রকৃতি পাঠ

গরহাটবার

আট কুঠুরি নয় দরজা

ইতিহাস ও ঐতিহাসিক

পিকাসোর তিন রমণী

জলেশ্বরীর দিনপত্রী

হৃৎকলমের টানে

এলোমেলো হাওয়া

বং থেকে বাংলা

বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা

উত্তর আমেরিকায়

Onu Tareqয়ের পৃথিবীর পথে পথে

গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ (বইটা Shahriar Shahid ভাই ফ্রেন্ডশিপ-টোকেন হিসেবে দিলেন)

চতুর্মাত্রিক ব্লগ-সংকলন ২০১৪

Ahmad Mostofa Kamalয়ের বর্ষামঞ্জরি, অন্ধ যাদুকর, একলা থাকার গল্প, অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে, বাংলা গল্পের উত্তরাধিকার

Murtala Ramatয়ের এর ঘোরদৌড়ের ঘুড়ি

Bishwajit Chowdhury’র নির্বাচিত কবিতা

একদিন অহনার অভিবাসন

লাইনে আসুন

নিষিদ্ধ

গালি অভিধান

রহস্যালাপ (ইন্দ্রমিত্রের লেখা৷ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো আমিও এই ভদ্রলোকের অসাধারণ সেন্স অব হিউমারের বিশেষ ভক্ত৷)

আমার ছেলেবেলা (হুমায়ূন আহমেদের)

শ্রেষ্ঠ শিল্পী বারোজন

Shahaduz Zamanয়ের কবীর ভজন শুনে পুণ্যবান

আত্মজৈবনিক সাক্ষাৎকার (হুমায়ূন আহমেদের)

আলোছায়ার যুগলবন্দী (মাহমুদুল হক স্মরণে)

মসলার যুদ্ধ

বসন্ত বিলাপ

পাখিদেরও আছে নাকি মন

Private Life of The Mughals of India

Man’s Search for Meaning

মৃত্যুদূত (Philip Meadows Taylor এর Confessions of a Thug ছায়ায় লেখা)

নিজের একটি কামরা (অনুবাদ-গ্রন্থ)

সিদ্ধার্থ (অনুবাদ-গ্রন্থ)

ইশকুল (অনুবাদ-গ্রন্থ)

দ্য বুক অব ফ্যাক্টস্ (অনুবাদ-গ্রন্থ)

শীর্ণ তোরণ (অনুবাদ-গ্রন্থ)

ইভান দেনিসোভিচের জীবনের একদিন (অনুবাদ-গ্রন্থ)

বইকেনা এবং বই কিনে-দেয়া—এই দুইয়ের আনন্দে কেটেছে এইবারের বইমেলা৷

বইমেলা উপলক্ষ্যে এবং অনুপলক্ষ্যে গেলো একুশে’তে ৪র্থ দফায় কেনা বইগুলো……..

মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল

পাকিস্তানিদের দৃষ্টিতে একাত্তর

রাজাকারের মন (২ খণ্ড)

বাংলাদেশের অভ্যুদয়: একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য

মূলধারা ’৭১

সারেন্ডার অ্যাট ঢাকা

প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি

গেরিলা থেকে সম্মুখ যুদ্ধে (২ খণ্ড), বইটা Zahidur Rahman ভাইয়ের পরামর্শে কেনা

দ্য রেপ অব বাংলাদেশ

(সেক্টর কমান্ডাররা বলছেন) মুক্তিযুদ্ধের স্মরণীয় ঘটনা

অপৌরুষেয় ১৯৭১

সুচিত্রা সেন: উত্তরণ ও অন্তরাল (সুচিত্রাকে নিয়ে যেকোনোকিছু পেলেই কিনি৷ কেনো? প্রেয়সী একটা ডট লিখে টেক্সট্ পাঠালেও সেটা একটু পরপর দেখতে ইচ্ছে ক’রে, কিছুতেই অর্থহীন ভাবতে ইচ্ছে হয় না৷ ওরকম কিছু নাকি?)

ছায়ার শরীর

প্রকৃতি পাঠ

গরহাটবার

আট কুঠুরি নয় দরজা

ইতিহাস ও ঐতিহাসিক

পিকাসোর তিন রমণী

জলেশ্বরীর দিনপত্রী

হৃৎকলমের টানে

এলোমেলো হাওয়া

বং থেকে বাংলা

বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা

উত্তর আমেরিকায়

Onu Tareqয়ের পৃথিবীর পথে পথে

গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ (বইটা Shahriar Shahid ভাই ফ্রেন্ডশিপ-টোকেন হিসেবে দিলেন)

চতুর্মাত্রিক ব্লগ-সংকলন ২০১৪

Ahmad Mostofa Kamalয়ের বর্ষামঞ্জরি, অন্ধ যাদুকর, একলা থাকার গল্প, অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে, বাংলা গল্পের উত্তরাধিকার

Murtala Ramatয়ের এর ঘোরদৌড়ের ঘুড়ি

Bishwajit Chowdhury’র নির্বাচিত কবিতা

একদিন অহনার অভিবাসন

লাইনে আসুন

নিষিদ্ধ

গালি অভিধান

রহস্যালাপ (ইন্দ্রমিত্রের লেখা৷ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো আমিও এই ভদ্রলোকের অসাধারণ সেন্স অব হিউমারের বিশেষ ভক্ত৷)

আমার ছেলেবেলা (হুমায়ূন আহমেদের)

শ্রেষ্ঠ শিল্পী বারোজন

Shahaduz Zamanয়ের কবীর ভজন শুনে পুণ্যবান

আত্মজৈবনিক সাক্ষাৎকার (হুমায়ূন আহমেদের)

আলোছায়ার যুগলবন্দী (মাহমুদুল হক স্মরণে)

মসলার যুদ্ধ

বসন্ত বিলাপ

পাখিদেরও আছে নাকি মন

Private Life of The Mughals of India

Man’s Search for Meaning

মৃত্যুদূত (Philip Meadows Taylor এর Confessions of a Thug ছায়ায় লেখা)

নিজের একটি কামরা (অনুবাদ-গ্রন্থ)

সিদ্ধার্থ (অনুবাদ-গ্রন্থ)

ইশকুল (অনুবাদ-গ্রন্থ)

দ্য বুক অব ফ্যাক্টস্ (অনুবাদ-গ্রন্থ)

শীর্ণ তোরণ (অনুবাদ-গ্রন্থ)

ইভান দেনিসোভিচের জীবনের একদিন (অনুবাদ-গ্রন্থ)

বইকেনা এবং বই কিনে-দেয়া—এই দুইয়ের আনন্দে কেটেছে এইবারের বইমেলা৷ সবাই বলে, প্রিয়জনকে বই উপহার দিন৷ এই মেলা আমায় শেখালো, বই উপহার দিয়ে প্রিয়জন হোন৷

1 January 2015

ওখানে থাকার সময়ে দেয়া আমার কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করলাম। এতেই এই অ্যালবাম নিয়ে অনেকটুকুই বলা হয়ে যাবে।

৩০/১২/২০১৪। রাত ১:৩৯টা।

বিজিবি ট্রেনিং স্কুলে কাল সকাল ১০:১৫টায় ক্লাস নিতে হবে। হরতালে কালকে আসাটা রিস্কি, তাই ট্রেনিংয়ের দায়িত্বে থাকা মেজর সাহেবের পরামর্শে আজকেই অফিসের সরকারি গাড়ি নিয়ে চলে এলাম। এসে ওদের আতিথেয়তা দেখে বড় আনন্দ পেলাম। এই রাত ১টায় রীতিমত একটা ছোটোখাটো গার্ড অব অনার দিয়ে ওদের রেস্ট হাউসে আমাকে নিয়ে আসা হল। সবচেয়ে গর্জিয়াস রুমগুলোর একটাতে থাকতে দেয়া হল। যে রুমটাতে আছি, সেটা যেকোনো ফাইভ স্টার হোটেলের রুমের চাইতেও সুন্দর। রুমের বাইরে ১০-১২ জন সোলজার সার্বক্ষণিক প্রহরায় নিয়োজিত। আমি বাইরের বাগানে হাঁটতে গেছি, আর অমনিই বুটের আওয়াজ তুলে স্যালুট দিচ্ছে। কাছে এসে জিজ্ঞেস করছে, “স্যার, কী লাগবে স্যার?” (ডিফেন্সে আর কখনো কখনো সিভিল সার্ভিসে বাক্যগুলো শুরু আর শেষ হয় ‘স্যার’ দিয়ে।) নিজের মধ্যে এক অদ্ভুতরকমের ভালোলাগা কাজ করছে। শতভাগ সততা নিয়ে বলছি, আমার যে সামান্য যোগ্যতা, তাতে আর অন্যকোনো চাকরিতে গেলে ৩০ বছর বয়সে এই বিশাল সম্মান আমি কখনোই পেতাম না। আমি কিছুতেই এর কণামাত্রেরও যোগ্য নই।

Thank you BGB! Proud to be a civil servant!!

৩১/১২/২০১৪। বিকেল ৪:৫১টা।

নীলাচলে . . . . . . . মেঘের সমান্তরালে . . . . . . . জল ভেজায় না, মেঘ ভেজায়—আক্ষরিক অর্থেই!

৩১/১২/২০১৪। রাত ৯ঃ৪৫টা।

কাঠ পুড়ছে। খড় উবছে। আগুন ফুঁসছে। ফুলকি উড়ছে। ছাই ছড়ছে। শীত কাঁপছে। ধোঁয়াশা ঘিরছে। অঙ্গার শানছে। শরীর ওমছে। তাঁবু পড়ছে। বারবিকিউ সাজছে। সুর ভাসছে। রবীন্দ্রনাথ ফিরছে। লালন সাধছে। মাটি ঠুকছে। আড্ডা চলছে। ক্যামেরা ধরছে। পাহাড় জাগছে। পাতা কাঁদছে। নদী টানছে। হাওয়া গাইছে। রাত মাতছে। নৈঃশব্দ্য বকছে। বছর ফুরোচ্ছে। বছর আসছে। আনন্দ ঝরছে। ভালোবাসা জ্বলছে।

৩১/১২/২০১৪। আনুমানিক রাত ১২:০০টা।

বছরটা শেষ করছি সমতল থেকে প্রায় ১০০০ মিটার উঁচুতে। এতক্ষণ গাইলাম, নাচলাম, খেলাম। আরো কত কী! পাহাড়ের গায়ে বারবিকিউ নাইট, ক্যাম্পফায়ার। পাহাড়ের নিচে নদী। এরপাশেই গ্রাম। এখন মাচায় বসে সবাই মিলে গাইছি, খাচ্ছি। এই শীতে পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ি বৃষ্টিতে পাহাড়িদের সাথে আমার বছর শেষ।

হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০১৫। বন্ধুরা, ঠিক এই মুহূর্তে কে কী করছেন? নতুন বছর ভালো কাটুক।

০১/০১/২০১৫। আনুমানিক সকাল ৮:০০টা।

বছরশুরু। পাহাড়ের গায়ে। মেঘের ডানায়। কুয়াশার চাদরে। বৃষ্টির আমন্ত্রণে। দূরে ধূসর ছায়া। পাহাড়ের? নাকি, মেঘের? কুয়াশার আড়ালে সাঙ্গু বয়ে চলে, পাহাড়ের নিচে। কুয়াশার ধোঁয়া মেঘে মিলায়। বৃষ্টি হচ্ছে, অথচ ঝরছে না। আদিম পাহাড়ি অরণ্যের কাছে বৃষ্টির জল ফিরে ফিরে যায়। ওই গ্রাম থেকে পাহাড়ি বাঁশির সুর ভেসে আসছে। নদীর গা ঘেঁষে জুম চাষ। সরু নৌকা সরু জলে সরু বৈঠায় চলে। পাহাড়ি সকাল হলদেসবুজে থমকে গেছে। সহজ পাহাড়ি মানুষ সরল বুনো পথে হেঁটে চলে। কিছু কিছু গাছের পোশাক খসে গেছে শীতে। নীল বেগুনি সবুজ ছোটো পাখি ছোটো গাছে। হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়, ধরা যায় না। কুয়াশার ঘোরে সবুজ পাহাড়ের ছায়ায় ছায়ায় ধূসর ধোঁয়া ওড়ে। এই নৈঃশব্দ্যের প্রবল স্পর্শ আমাকে বধির করে দিচ্ছে . . . . . . .

০১/০১/২০১৫। আনুমানিক সকাল ৯:৩০টা।

মেঘভাঙা রোদে কুয়াশা পালায়, পাহাড়ের ঘুম ভাঙে, নদী জেগে ওঠে।

পাহাড়ের সবুজও এ্যাত্তোরকমের হয়! গুনলাম। ১৪ রকমের। সত্যিসত্যি! শুধু পাহাড়েই আছে এমন সবুজ মেঘকুয়াশার রোদ্দুরে পোড়া ধূসরিত সবুজ।

কাঠুরেরা গাছ কেটে নিচ্ছে। এই পাহাড়ি অরণ্যতপোবনের ধ্যানী স্তব্ধতার বুক চিরে বয়েসি সন্ন্যাসীর আর্তনাদ। সমস্ত শরীরমন জুড়ে এক ধরণের বোবা চাপা কান্না বেরিয়ে আসছে যেন! রাতের শিশিরে ভেজা পাতার সাথে পাল্লা দিয়ে চোখের পাতা ভারি হয়। দুই পাতার নির্মম আইরনিক্যাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা! অরণ্যে রোদন! ভাবার্থে, আক্ষরিক অর্থে।

ভাবনা: ছয়শো নয়

……………………………………………………

2 January 2015 ·

: ভাইয়া, সামনে ভাইভা। খুব টেনশন হচ্ছে। কী করবো?

: ব্যাপার না! পরীক্ষার আগে টেনশন করাটা একটা সাধারণ ভদ্রতা।

: আপনার হইসিলো?

: আমাকে কি তোমার অভদ্র মনে হয়?

: ভাইয়া, আপনি কী যে বলেন! আমার মনে হচ্ছে, আমি যা যা পড়তেসি, তার কিছুই জিজ্ঞেস করবে না।

: এটা সবারই হয়।

: কিন্তু এটা কীভাবে কমাবো? কিছু টিপস দেন।

: কোনো টিপস নাই। ঠিকমতো প্রিপারেশন নাও।

: ভাইয়া, প্লিজ। একটু হেল্প করেন।

: একটাই ওয়ে আছে।

: কী সেটা?

: তোমার ভাইভা কোন বোর্ডে পড়বে, সেটা খবর নাও। এরপর ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান স্যার কিংবা ম্যাডামকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস কর, তোমাকে কী কী জিজ্ঞেস করা হবে। সেই অনুযায়ী পড়।

: ভাইয়া, আপনি আমার সাথে দুষ্টুমি করতেসেন।

: না, আমি সিরিয়াসলিই বলতেসি।

: কিন্তু এটা তো সম্ভব না।

: তাহলে এটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করতেস কেন? আমি যা যা পড়ে গেসিলাম, তার টোয়েন্টি পারসেন্টও আমাকে জিজ্ঞেস করে নাই। আমার বোর্ডে আমিই একমাত্র ক্যান্ডিডেট যাকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো প্রশ্নই ধরে নাই। অথচ এটা নিয়ে আমার অনেক প্রিপারেশন ছিল। আবার আমাকে অনেককিছু ধরসে, যেগুলো অন্যকাউকে ধরে নাই। এইজন্য কি আমি উনাদের বিরুদ্ধে প্রিপারেশনহানির মামলা করব? তোমাকে কীভাবে নুডুলস রান্না করতে হয়, এটা জিজ্ঞেস করেও ছেড়ে দিতে পারে এবং তোমার চাকরিও হয়ে যেতে পারে। ভাইভা পরীক্ষার কোনো সেট রুলস নাই।

: এটা ঠিক। কিন্তু ভাইয়া, আমি আরো অনেক ব্যাপারে টেনসড।

: কী ব্যাপারে?

: এই যেমন ধরেন, আমার এক বান্ধবীর হাজব্যান্ড অনেক পাওয়ারফুল। উনি নাকি কাকে কাকে দিয়ে পিএসসি’তে ফোন করাবেন। ভাইয়া, আমার তো কেউ নাই। লবিং ছাড়া কীভাবে হবে?

: তাহলে একটা কাজ করতে পার।

: কী কাজ ভাইয়া?

: ওর হাজব্যান্ডকে বুঝিয়েশুনিয়ে দ্বিতীয় বিবাহে রাজি করায়ে ফেল। তুমিও রাজি হয়ে যাও। এরপর উনাকে বল, উনার দুই বিবির জন্যই লবিং করতে। বুদ্ধিটা কিন্তু খারাপ না। তোমরা দুই বান্ধবী সারাজীবন বোনের মত হয়ে থাকবে। সুখেশান্তিতে সংসার করবে, চাকরি করবে।

: ভাইয়া, আপনার হয়ে গেসে তো, তাই আপনি আমার সাথে ফান করতেসেন।

: অবশ্যই ফান করতেসি। কিন্তু আমার হওয়ার আগেও আমি কখনোই এইসব নিয়ে ভাবতাম না। ফার্স্ট হব, এটা কল্পনাতেও আসে নাই, কিন্তু এটা মনে হত, কাস্টমসে না হলে আমার সেকেন্ড চয়েস পুলিশে শেষের দিকে হলেও একটা চাকরি পাব। এটার জন্য আমার সাধ্যমত ফাইট করসি। চাকরি পাব না, এটা কখনোই মাথায় আসে নাই। ভাইভা নিয়ে টেনশন করে না কে? কিন্তু যেগুলো আমার হাতে নাই, এরকম আজাইরা জিনিস চিন্তা করে ফালতু সময় নষ্ট করার মতো সময় হাতে ছিল না। কত পড়া!

: আচ্ছা, বুঝলাম। কিন্তু ভাইয়া, সবাই বলতেসে এবার নাকি বিসিএস’য়ে করাপশন হবে। অনেকে নাকি টাকাপয়সা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করতেসে। ১০ লাখ থেকে শুরু। আমি কী করব, বুঝতেসি না।

: বুঝাবুঝির কিছু নাই। টাকা যোগাড় করতে থাক। ক্যাশ টাকা। করাপশন তো হবেই। ফার্স্ট হওয়ার জন্য আমি নিজেই তো কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ করসি।

: ভাইয়া, আপনি এভাবে বলতেসেন কেন? সবাই তো ওইটাই বলে। আপনি হয়তো জানেন না।

: শোনো, ২৯ ব্যাচে আমার এক বন্ধু আছে অ্যাডমিনে। চাকরি পাওয়ার আগে ওর হাতে ওদের বাড়ির জন্য নতুন টিনের চাল কেনার মত টাকাও ছিল না। বর্ষাকালে চালের ফুটো দিয়ে পানি পড়ত। আমার বন্ধুর চাকরির জন্য ১০ লাখ টাকা দূরে থাক, ১০ হাজার টাকা দেয়ার মত সামর্থ্যও তো ছিল না। সে কি চাকরি পায় নাই? এরকম আরো অসংখ্য আছে। কত শুনতে চাও? একেবারে অজ পাড়াগাঁয়ের কত কত ছেলেমেয়ে চাকরি পাচ্ছে। সিভিল সার্ভিসে যারা আসে, ওদের বেশিরভাগই একেবারে সাধারণ গরীব কিংবা মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়ে। তোমাদের এইসব কথা শুনলে কষ্ট লাগে, বুঝলে?

: ভাইয়া, আমি সরি। আচ্ছা, কোটা দিয়ে যে অনেকে চাকরি পাবে, সেক্ষেত্রে আমার চাকরিটা তো আরেকজন পেয়ে যাচ্ছে। এটা ভাবতেও কষ্ট লাগে ভাইয়া।

: তোমার চাকরিটা মানে? তোমার তো কোটা নাই। তোমার জন্য বরাদ্দ সিটগুলোতে তো ও আসবে না। ৪৪% তো শুধু তোমার জন্যই। তোমার ভাবনা হওয়া উচিত ৪৪% নিয়ে, ৫৬% নিয়ে নয়। ওটা তো তোমার নয়। তুমি যে চাকরি পাচ্ছ না, এটা তো আর যারা চাকরি পাচ্ছে, তাদের দোষ না। তুমি তো সিস্টেম সম্পর্কে জেনেশুনেই অ্যাপ্লাই করেছ, তাই না?

: কিন্তু ভাইয়া, এটা তো কমানো উচিত।

: তো? কমাও। মানা করসে কে?

: কিন্তু এটা তো আর আমার হাতে নাই।

: যেটা তোমার হাতে নাই, সেটা নিয়ে ভাবতেসো কেন? জানি, এই ভাবনা বড় আরাম দেয়। কিন্তু ওই সময়ে পড়াশোনা করলেও তো কাজে দিত। জগতের অনেক অনেক সমস্যা। সেগুলোর মধ্যে যেগুলো তুমি সলভ করতে পারবে না, সেটা নিয়ে ভাবা মানে তো জাস্ট সময় নষ্ট করা।

: আচ্ছা ভাইয়া, মানলাম। অনেকে যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি পাচ্ছে, তাদের বেলায়? আমার ২ ফ্রেন্ড পরীক্ষা দিসে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে। ওরা তো চাকরি পেয়ে যাবে। আমি তো পাব না, ভাইয়া।

: তাহলে তুমিও একটা সার্টিফিকেট যোগাড় কর।

: ভাইয়া, এটা করার রুচি আমার নাই।

: কিন্তু এটা দিয়ে চাকরি পাওয়ার রুচি তো মনে হয় ঠিকই আছে।

: ভাইয়া, আপনি অদ্ভুত কথা বলেন। আপনি আমাকে যেরকম ভাবতেসেন, আমি কোনোভাবেই ওরকম না।

: তাহলে ওদের দেখলে তোমার এত গা জ্বলে কেন? জ্বলবে, এটাই জগতের নিয়ম। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখসো, এই গা-জ্বলা নিয়ে সময় নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কী লাভ আছে তোমার? দুনিয়াটা ফেয়ার না। এই আনফেয়ার দুনিয়াকে বদলানোর দায়িত্ব তোমার না। এতটা আয়ু কিংবা চাকরির বয়স, কোনোটাই তোমাকে দেয়া হয় নাই। প্রত্যেকটা চাকরির পরীক্ষায় অনেক ক্যান্ডিডেটই চাকরির পরীক্ষা দেয়। তাদের ওয়ান পার্সেন্টেরও কম চাকরি পায়। হাতে সময় কম। হয় পড়াশোনা করে চাকরি পাও অথবা বেশি বুঝে সেই নাইন্টিনাইন পার্সেন্টের মধ্যে ঢুকে যাও। সবসময় চালাক হইয়ো না, মাঝেমাঝে বেকুব হও। এর বাইরে আর কোনো অলটারনেটিভ নাই। ইহাকেই চাকরি বলে। মানলে থাক, না মানলে ভাগ। চাকরি বড়ই প্যারাদায়ক জিনিস।

: আপনি কঠিন কঠিন কথা বলতেসেন, ভাইয়া।

: বলতে বাধ্য হচ্ছি। বিসিএস নিয়ে তো অনেক গবেষণা করে ফেলস। ভাল ভাল। আচ্ছা, যখন প্রাইভেট কোম্পানিগুলোতে একটার পর একটা সিভি পাঠাও, আর ওরা কোনো কারণ ছাড়াই কল করে না, তখন রাগ লাগে না? ওখানে যতটা নেপোটিজমের প্র্যাকটিস চলে, তার শতকরা ১০ ভাগও সিভিল সার্ভিসে নাই। আমি খুব কাছ থেকে কর্পোরেট কালচার দেখসি। আরো অনেককিছুই চলে। থাক, সেদিকে আর না যাই। কই, ওটা নিয়ে তো কারোর মুখে কিছু শুনি না। নাকি, সরকারকে গালি দিতে বেশি আরাম লাগে? ব্যাড কালচার সব জায়গাতেই আছে। তোমাকে ঠিক করতে হবে, তুমি কতোটুকু মেনে নিতে রাজি আছ।

: ভাইয়া, আপনি রাগ করতেসেন। আচ্ছা মানলাম, সিভিল সার্ভিস ভাল।

: হাহাহাহা…………শোনো, ভাল চাকরি বলে দুনিয়াতে কিছু নাই। ভাল চাকরি—-আমার কাছে এটা অক্সিমোরোনের সবচাইতে ভাল একজাম্পল। তবুও চাকরি করতে হয়। কী করবো নাহলে? ব্যবসা করার যোগ্যতা তো আর আমার নাই। বিসিএস নিয়ে কেউ উল্টাপাল্টা কিছু বললে আমার রাগ হয় কেন, জান? হতে পারে, এই সিস্টেমে অনেক গলদ আছে। গলদ কোথায় নাই? কিন্তু এই সিস্টেমটা আমাদের দেশের একেবারে সাধারণ স্টুডেন্টদের সম্মানের সাথে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে। ওরাও ভাল থাকার স্বপ্ন দেখে। আমার নিজের কথাই বলি। আমার অনার্সের সিজিপিএ হল ২.৭৪। এই সিজিপিএ দিয়ে তো বেশিরভাগ চাকরিতে পরীক্ষাই দেয়া যায় না, চাকরি পাওয়া তো অনেক পরের কথা। আমার মত বাজে রেজাল্ট করা স্টুডেন্টের তো চাকরি পাওয়ারই কথা না। কিন্তু আমারও তো আর দশটা ছেলের মত চাকরিবাকরি করতে ইচ্ছে করে, বাবা-মা’কে হাসিখুশি দেখতে ইচ্ছে করে। চাকরির বাজারের যে অবস্থা, আমার ভাবতেও অবাক লাগে, এই আমিও একটা চাকরি করি। শুধু এটাও আমার জন্য অনেককিছু। আমার মত ছেলেকে চাকরি করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি এই সিস্টেমের প্রতি কৃতজ্ঞ।

: ভাইয়া, বুঝসি। নতুন বছরের শুরুতে অনেক ঝাড়ি খাইলাম কিন্তু ঝাড়ি খাইয়া লাভ হইসে। মাঝে মাঝে ঝাড়ি খাইতে ফোন দিব। প্লিজ মাইন্ড কইরেন না। একটা লাস্ট কথা বলি?

: বল।

: ভাইয়া, আমারও আপনার মত ক্যাডার হতে ইচ্ছা করে, কিন্তু পড়াশোনা করতে ইচ্ছা করে না। কী করা যায়? প্লিজ ভাইয়া, বকা দিয়েন না।

: ‘মা’ ডাক শুনতে চাও, কিন্তু বিয়ে করতে চাও না, এটা তো আর হয় না।

: ওকে ভাইয়া, থাক আর লাগবে না। আমি উত্তর পেয়ে গেসি। অনেক অনেক ভাল থাকবেন।

: হাহাহাহা……আচ্ছা, তুমিও অনেক ভাল থেকো।