সামনে যে পথ--কষ্টে মাখা,
মন চাইলেই এড়ানো তো যায়ই!
তবু কেন মন সে পথেই চলে,
যে পথে কেবল কষ্ট সাথী!
পথ এড়িয়ে কী-ইবা হবে...কষ্ট তো আর এড়োবে না!
“তোমায় দেখা? সেতো পাগলের কাজ...”
কে যেন সেই পুরনো স্বরে বলতে থাকে, বলতেই থাকে.....
শুনতে থাকি, আমি কেবল শুনতেই থাকি......
সমস্ত বোধ হারিয়েও যেন...শুনতেই থাকি।
অথচ এ পথের চেনাঘ্রাণটা চিনে নিলে পরে
হতাম মাতাল কী সহজেই!
তোমায় চিনে নিয়েছি বুঝে,
কেবল মাতাল হওয়াই পথ নয়কো!
আছে নিশ্চয়ই--অমন কত হাজারো শত প্রাণের কোটর,
যাদের এই পথের হাওয়া সুখের স্মৃতির মাতাল ঝড়ে পথহারা করে--
অনুভূতির পূর্ণতায়, মনের টানে, সম্পর্কের মায়ায়, সান্নিধ্যের ভালোবাসায়--এসব স্পর্শের প্রবল স্মৃতিতে বেঁচেছিল ওরা!
দায়ছাড়া কোনো স্পর্শসুখের মোহ যাদের করে না মাতাল,
ভালোবাসায় কেবল ওরাই বাঁচে!
আমার এ পথে ওরা কেউ নেই।
তবুও এ পথ ধরেই
কীসের যে টানে এত হেঁটে যাই হোঁচট খেয়েও!
চারপাশের কত দৃষ্টি আমায় হেলায় ঠেলে....
ইদানিং গায়ে আর মাখি না, এখন শুধুই অশ্রু মাখি।
কেন এ পথে খুব দ্রুত পায়ে ছুটেচলা তবু?
অনেকটা পথ এগিয়ে দেখি, শুরুর বিন্দু সখ্য পাতায়......
পায়েহাঁটা পথের হাল্কা বালিতে অগুনতি জুতোর ছাপের মাঝে
কেন অচেনা জোড়া জুতোর ছাপে জীবন খুঁজি--
বুঝি না কখনো।
প্রখর রোদে, তীব্র গরমেও....কেন মনে হয়, চারপাশে ওরা হুডি পরে হাঁটে,
সবাই ওরা যে যার মতো......নিজেদের কথা শুধু বলে যায়....
কেন আমি তবু শুনি কেবলই, সবাই ওরা চেঁচিয়ে যেন বলে--এদিকে নয়, ওদিক সরো! এইটুকু ব্যস্!
কোনো এক রিকশা ছোটে, তার পিছু নিয়ে আনমনে হাঁটি আমি অবিরাম....পথ পাবো তাই চেনাপথে হেঁটে পথটা হারাই!