ঠেলাগাড়িতে যাবতীয় লটবহর নিয়ে একদিন দুপুরের দিকে ঘর্মাক্ত কলেবরে ছমির সাহেব অতুদের বাসায় ভাড়া উঠে এলেন। ছমির সাহেবের বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। আমার বড়োভাইয়ের বয়সের সাথে কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায় বলেই এই রকম আন্দাজ হয়।
ছমির সাহেবের সাথে পরিচয় ঢাকা মেডিকেলে। ক-দিন থেকেই দাঁতের ব্যথায় ভুগছিলাম। অকর্মণ্য আমার জন্যে বড়োভাই ডাক্তারের গাঁটে পয়সা খরচ করতে নারাজ। ক-বছর হলো বিএ পাশ করে আজ পর্যন্ত একটা মাস্টারিও জোটাতে পারিনি। ভাইয়ের সংসারে দু-মুঠো ডাল-ভাত খাই, বিনিময়ে বাজার-রেশন আর বাচ্চুকে (ভাইয়ের ছোটো খোকা) কাঁধে-কোলে নিয়ে সময় কাটাই। মাঝেমধ্যে পত্রিকার ‘আবশ্যক’ জায়গাগুলোতে গিয়ে ধর্না দিই। ছোটোভাই, তাই ভাইয়া আমাকে ফেলে দিতেও পারেন না। তা ছাড়া শহরের বাড়িতে ফাইফরমাশ খাটার জন্যেও একটা লোক লাগে।
ক-দিন সস্তায় তামাকপাতা কিনে দাঁতের গোড়ালিতে দিয়ে কোনো ফল না পেয়ে অগত্যা মেডিকেলেই ধর্না দিতে হলো। বারান্দায় থুতু, নাসিকানির্গত পদার্থ, ভেজা ভেজা লালচে-কালচে নানান বস্তু আর সেসবের বিটকেলে গন্ধে আমার মতো অকর্মণ্য লোকেরও পারতপক্ষে এ দিকটা মাড়াতে ইচ্ছে করে না। দম যেন বন্ধ হয়ে আসে। যদিও মরে যেতে বড়ো সাধ জাগে, তবুও দম বন্ধ হওয়া বা মরে যাবার মতো কাছাকাছি কোনো পরিব্যাপ্তিতে এলে মরতে আগ্রহ জাগে না আর। ডান হাতে মুখটা চেপে ধরে বারান্দায় উঠে পা বাড়িয়েছি। চোখদুটো নিচের দিকে থ্যাকথেকে পদার্থ জাতীয় কিছু খুঁজে খুঁজে এগিয়ে চলছিল যথারীতি।
হঠাৎ করেই ‘মা গো!’ জাতীয় মেয়েলি কণ্ঠে চোখদুটো সামনের দিকে ছুটে গেলে দেখা গেল, জনৈকা মহিলা দু-হাতে মাথা চেপে ধরে কীরকম টলে টলে পড়ে যাচ্ছেন! আশেপাশে তাকিয়ে পেছন দিকে উলটোমুখী কালো প্যান্ট আর খয়েরি রঙের জামা-পরা একটা লোক ছাড়া আর কাউকেই দেখা গেল না। মহিলা পড়েই যাচ্ছেন একটা হাতে পেট চেপে ধরে, অন্য হাতে দেয়ালে ব্যস্ত। বেচারি দেয়াল হাতড়ে হাতড়ে পড়েই যাচ্ছেন। মাথা-টাথা ফেটে যাবার আশঙ্কার কথা মনে হতেই এগিয়ে গিয়ে মহিলাটিকে ধরামাত্রই মহিলা অতিকষ্টে অঙ্গুলিনির্দেশ করে সেই লোকটাকে দেখালেন। মিনিটখানেকের মধ্যেই ইশারাটার মর্মার্থ বুঝে ডাক দিলাম লোকটাকে। “অ্যাই যে ভাই, শুনছেন?”
সে-ই ছমির সাহেবের সাথে পরিচয়। গিয়েছিলেন তাঁর জোড়া বউয়ের এক বউকে নিয়ে—পেটে ব্যথা। লোকটা কীরকম আামি কোনোদিন ঘেঁটে দেখার সুযোগ পাইনি। তবে লোকটার খিস্তি শুনেছি সেই প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত। মহিলা ব্যথায় অস্থির—যখন চোখে অন্ধকার হাতড়ে হাতড়ে দেয়ালে জাপটে ধরবার প্রয়াস পাচ্ছিলেন, সেই সময়টাতে আমি ধরেছিলাম মহিলার বাহুতে। আমার এতদিনের অভিজ্ঞতায় মেয়েমানুষ সম্পর্কে তেমন করে ভাববার সুযোগ মেলেনি কোনোদিন। অকর্মণ্য লোকের জন্যে ওসব স্বপ্ন দেখাও মহাপাপ! কিন্তু সেই সময়টাতে কীরকম আমি যেন দাঁতের ব্যথাটা বেমালুম ভুলে গেলাম। মহিলাকে ওই অবস্থাতেই বায়োস্কোপের মতন মনে হতে লাগল। আমি ওই মহিলার চোখ-বুজে-আসা অসহ্যতম মুখবিকৃতিকে দেখছিলাম, বুঝি তাই।
‘হারামজাদি’ নামক উচ্চতম খিস্তিখেউরে তড়াক করে মহিলার মুখ থেকে ঘুরে চাইতে দেখি, ছমির সাহেব। লোকটা আমাকে দেখে লাল চোখদুটো কীরকম ছোটো করে বললেন, “আপনি তো লালবাগে থাকেন, না?” আমি মাথা নাড়ালাম, আর লোকটাকে দেখে লটবহর-সহ ঠেলাগাড়ি, ঘর্মাক্ত মুখ, অতুদের ভাড়া বাসা মনে করে করে চিনলাম—সেই লোকটা।
সেদিন হয়তো প্রথম পরিচয়ের জন্যেই হোক কিংবা আর কিছুর জন্যেই হোক, ‘হারামজাদি’ জাতীয় কোনো প্রকারের শব্দাবলিতে ফিরে যাননি আর। তবে এর পরে কাছাকাছি ঘর হবার কারণে ওরকমের সংলাপ যখন-তখন শ্রুত হতো। দিনের বারোটা-একটায় ঘরে ফিরেই কি রাতের বারোটা-একটায় ঘরে ফিরেই শুরু হয়ে যেত গালিগালাজ জাতীয় অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দপ্রয়োগ। আর মাঝেমধ্যে জোড়া বউদের মারধর। কেন যে ওরকম করতেন, ঘেঁটে দেখার ইচ্ছে থাকলেও ওই দিকটা সহজে মাড়াতাম না। বড়োভাইয়ের সংসারে অকর্মণ্য আমি এমনিতেই, তার উপর আবার কিছু একটা ঘটে যাচ্ছে, তাই হুলস্থুল কাণ্ড বেধে যাবার আশঙ্কা যেখানে সর্বাধিক, সেখানে—ওরে বাপরে! দিনে-রাতে বার কয়েক বাপের নাম স্মরণ করি। তবুও ওই দিকটা ভুল করেও নয়।
ছমির সাহেব ঠিকেদারি জাতীয় কিছু-একটা করতেন হয়তো। মাঝেমধ্যে দু-একজন বাইরের লোক “কন্ট্রাক্টর ছমির সাহেবের বাসা কোনডা” জানতে চাইত। লোকটার সাথে কোনোদিনই দু-চারটার বেশি কথা বলতাম না। শত ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নিজের দিকটা ভেবেই বলতাম না। কথা না বললেও হাসপাতালের বারান্দায় দেখা ছবি ছবি সুখটা দেখার বাসনা জাগত মনে। মাঝেমধ্যে তাই বিকেলের দিকে কি দুপুরের নির্জনতায় বাচ্চুকে কোলে নিয়ে অতুদের বাসার পাশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করতাম। দেখতাম মহিলাকে। বারান্দায় একটা টেবিলের উপর বসে ঘরের বেড়ায় হেলান দিয়ে কীরকম আকাশ দেখছে। হঠাৎ হঠাৎ চোখে পড়ে গেলে তাকিয়ে থাকত প্রথম প্রথম। তারপর ধীরে ধীরে তাকানোর সাথে হাসি আর নানারকম ইশারা। নিজেকে তখন কী যে ভাবতাম মাঝে মাঝে। কিন্তু লোকটার কথা মনে হতেই গা-টা শিউরে উঠত।
বদমাশ, গুন্ডা, মদখোর, গাঁজাখোর আর সবচেয়ে বেশি যে-কথাটা শুনে তিন দিন পর্যন্ত মরা বাপের কথা স্মরণ করেছি—জোড়া বউদুটি নাকি বউ নয়, মেয়েমানুষ, ওরা খারাপ—জঘন্য খারাপ। ওদের নাম মুখে আনলেও নাকি সাতদিন মুখ নাপাক থাকে। অতএব চিরদিনের জন্যে ওই পথ বন্ধ।
ক্রমশ পাড়ায় সবার মুখে মুখেই ছড়িয়ে পড়ল এইসব মহাকেলেঙ্কারি রকমের কথাবার্তা। সবাই বলাবলি করছে, লোকটাকে এ পাড়া থেকে তাড়ানো দরকার। "দরকার মানে রীতিমতো ফরজ।" মসজিদের ইমাম সাহেব মন্তব্য করেন। কিন্তু হ্যাঁ, একটা কিন্তু আছে। পাড়ার লোকেদের ঐক্যজোটের ‘তাড়ানো’ আর ইমাম সাহেবের ‘ফরজ’-এর কাছে বাধ্য হয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াল সেই 'কিন্তু'-টা। লোকটা গুন্ডা, বদমাশ, অতএব কে যাবে এগিয়ে কিছু বলতে? বলা তো যায় না, এমনিতেই দিনকাল যা পড়েছে, শেষে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই আবার টানাটানি না হয়!
বেশ চলছিল পাড়াময় ফিসফাস কানাকানি। মাঝবয়সি ছোকড়াদের উত্তেজিত বক্তৃতা। “আমাদের পাড়াতে যাচ্ছেতাই কাণ্ড ঘটবে আর আমরা চুপ করে থাকব? না, এ কিছুতেই হতে পারে না।”
"হ্যাঁ, আমিও তো বলি, চল নান্টু, ওই ব্যাটা হারামজাদাকে আজই…" কথাটা শেষ করতে পারে না এমরান। সঙ্গে সঙ্গে টুলু বলে ওঠে, “আজই, মানে এক্ষুনি এই মুহূর্তে ওই শালার ঘাড় ধরে চল শেষ করে দিই!” টুলু, ওই পর্যন্ত বলেই থেমে যায়।
মাঝে বেশ ক-দিন আমি আর কোনো কিছুই শুনতে পাইনি। না, ছমির সাহেবকে…কেন জানি না অন্যদের মতো গুন্ডা, বদমাশ, মদখোর, গাঁজাখোর এইসব জাতীয় কোনো শব্দপ্রয়োগে…কোনোদিনই জাজ করতে পারিনি লোকটাকে। লোকটাকে ভাবলেই ওই ছবি ছবি মুখটা ভেসে উঠত চোখে। ওই ছবি-মুখেরই তো স্বামী লোকটা—এই রকমের একটা দুর্বলতাও হয়তো ছিল—গালিগালাজ না, বড়োদের একজোট হয়ে তাড়ানো বা ইমাম সাহেবের ‘ফরজ’ নামক মন্তব্য না, পাড়ার মাঝবয়সি ছোকড়াদের উত্তপ্ত বক্তৃতা না…না, এসবের কিছুই না। খুবই ব্যস্ত ছিলাম এ ক-দিন। অবশ্য এ ধরনের ব্যস্ততায় ক-বছর ধরে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে কেমন যেন একটু ঝিমিয়ে পড়েছিলাম। তবুও শেষের দিকে এ ক-দিনের ব্যস্ততাটা যেন সেই প্রথম দিনের মতোই লাগছিল।
পত্রিকায় বর্ণিত আবশ্যক স্থানগুলোতে ধর্না দিয়ে অন্যান্য বারের চেয়ে বেশ কীরকম যেন একটু আশা আর ভরসা ভরসা গন্ধ পাচ্ছিলাম। ঈশ্বরকে দিনে শত বার করে স্মরণ করছিলাম। হা ঈশ্বর, আমায় তুমি অকর্মণ্যতা থেকে মুক্তি দাও। আমার কলেজজীবনের কৃতি ছাত্র বন্ধু আমিন ছিল কলেজের অধ্যক্ষের খুব কাছের লোক।
- আরে, তুই? কী ব্যাপার? ইস্ বয়সের চেয়ে আরও বুড়িয়ে গেছিস মনে হয়। তারপর হঠাৎ কী মনে করে? আয় আয়, বোস।
আমিনের অ্যাত্তসব কথায় প্রথম দিকটায় কিছুই বলতে পারিনি। চিনতেই কষ্ট হয়েছিল। সেই আমিন, সবসময় একটা পাজামা আর একটা নীল শার্ট গায়ে কলেজে আসত। খুব ভালো ছাত্র ছিল আমিন। প্রফেসররা সবসময়ই ওর প্রশংসা করতেন।
চোখে কালো মোটা ফ্রেমের চশমা, শাদা টেট্রনের শার্ট, টাই—গায়ের রং কত উজ্জ্বল হয়েছে আমিনের, কত ভালো হয়েছে স্বাস্থ্য, কেমন গম্ভীর গম্ভীর ভাব।
আমিনের কলেজ থেকে বাসায় এসে সেই আমিন আর এখনকার আমিনকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই সময় ফুরিয়ে যেত। কলেজের বন্ধু আজ সরকারি কলেজের প্রভাষক। সেদিন আমিনের কথায় কিছুই বলতে পারিনি। কেবল আমিনের দুটি হাত ধরে বলেছি, হ্যাঁ ভাই, আমি। এসেছি…এসেছি (এতদিন পর আমার বুঝি কেঁদে ফেলতে ইচ্ছে হলো) …এ চাকরিটা আমায় দাও, ভাই।
চাকরি? ও-ও…! বলেই আমার আধময়লা তালি-দেওয়া পাজামা-পাঞ্জাবি আর ক্ষয়ে-যাওয়া দুটি স্পঞ্জের স্যান্ডেল একনজরে দেখে ফাইলের দিকে চেয়ে আরও গম্ভীর হয়ে গেছে আমিন। অনেকক্ষণ কী যেন ভেবে ভেবে শেষে আমার বর্তমান হালহকিকত সম্বন্ধে জানতে চাইলে আমি ওকে সবই জানালাম। আমিন চা, বিস্কুট খাইয়ে নির্দিষ্ট তারিখে ওর টেবিলে দরখাস্তটা রেখে আসতে বলে আমায় বিদেয় করলে আমি চলে এলাম বটে, কিন্তু নির্দিষ্ট সেই দিনের আগের ক-টা দিন অপেক্ষা করতে আর পারলাম না। তাই কোনোদিন হেঁটে, কোনোদিন বাসে কলেজে গিয়ে আমিনের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছি, এ চাকরিটা না হলে আমার...। আমিন বিরক্ত হয়নি, কেবল চেয়ে চেয়ে দেখেছে আমায়। শেষে, নির্দিষ্ট দিনে আমার সারাজীবনের খুশি উপচে পড়ল। আমি…আমি আমিনের কলেজে কেরানির চাকরিটা পেলাম।
সারাদিন এদিক-সেদিক খুশিতে ঘুরে ঘুরে সন্ধের দিকে ফিরে এলাম ঘরে। এসেই বাচ্চুকে কোলে নিয়ে বাইরে গেলাম। দু-টাকা দিয়ে একটা লজেন্স কিনে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অতুদের বাসার কাছে এসে মনে পড়ে গেল ওই ছবি ছবি মুখটা। একটু এগিয়ে গিয়ে আজ অনেক দিন পর সেই মুখটাকে দেখার ইচ্ছে হলো খুব। কিন্তু নাহ্, বাসায় নেই নাকি কেউ? চারিদিক কেমন অন্ধকার!
ঘরে ফিরে আজ নিজ থেকেই তাগিদ দিলাম ভাবিকে—কই ভাবি, ভাত দাও দেখি! আর হ্যাঁ, কাল একটু সকাল সকাল নাস্তাটা কোরো, আমার আবার অফিসে যেতে হবে।
- ওম্মা, তা-ই নাকি! ছোটোকর্তার অ্যাদ্দিনে বুঝি একটা রফা হলো? তা কোথায় কী চাকরি?
ভাবি কোনোদিনই আমার প্রতি বিরাগভাজন ছিলেন না। তবুও আজ যেন ভাবিকে নূতন নূতন মনে হলো। ভাবি যেন আজ নূতন করে কথা বলছেন।
“জানো, ওই ভদ্রলোক হঠাৎ অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেলেন আজ সকালে।” ভাত দিতে দিতে বললেন ভাবি। "ভদ্রলোক? কোন ভদ্রলোক?" থালা ধুতে ধুতে ফিরে চাইলাম ভাবির দিকে। "ওই যে ওই অতুদের ভাড়াটিয়া… যে-ভদ্রলোকের দুই বউ ছিল!"
- অ্যাঁ! ছমির সাহেব? ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি…
- হ্যাঁ, আর বউদুটো নিজেদের গাঁয়ের কোন এক লোকের সাথে যেন চলে গেছে। সত্যি, ভদ্রলোককে যে যা-ই কিছু বলুক না কেন, কোনোদিন খারাপ কিছুতে তো পায়নি কেউ! কেবল দোষের মধ্যে ছিল, বউদের বকাবকি করত…এই যা! তা অমন তো স্বামী-স্ত্রী’তে হয়েই থাকে।
ঠেলাগাড়িতে যাবতীয় লটবহর-সহ ঘর্মাক্ত মুখ, অতুদের ভাড়াটিয়া জমির সাহেব। গুন্ডা, বদমাশ, মদখোর, গাঁজাখোর ছমির সাহেব। এবং মরে গিরে…কী অবাক কাণ্ড…ভদ্রলোক ছমির সাহেব! হা হা…ছমির সাহেব ভদ্রলোক! কিন্তু এইসব দৃশ্য ছাড়িয়ে আমার চোখের তারায় সেই ছবি ছবি মুখটা কেঁপে কেঁপে ওঠে কেবল! আহা সোনাবউ! ভালোবাসা! আমি তোমায় দেখতে পাবো না আ-র…!