স্রোতের বিপরীতে চলে হলেও তুমি নিজেকে ভালো রাখো এবং অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখো। সময় বুঝে কোনও জিনিস কিংবা মানুষের উপর তোমার দাবিটা তুমি হাসিমুখেই ছেড়ে দিতে পারো। যতটা তোমার প্রাপ্য, তার চাইতে কম পেলে তুমি কখনোই তা মেনে নাও না। বন্ধুরা সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে কিংবা বসে আড্ডা দিচ্ছে, সেখানে তোমাকে হাজারো ডাকলেও তুমি যাও না, যদি তোমার যেতে ইচ্ছে না করে। প্রায়ই এমন হয়, অন্যরা যেভাবে চলে কিংবা ভাবে, তা তোমার ভালো লাগে না। নিজের দুঃখ নিজের মতো করে তুমি সারিয়ে ফেলতে পারো অন্য কারও মুখাপেক্ষী না হয়েই। দেরিতে হলেও যদি কখনও বুঝতে পারো, কোনও ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ না রাখাই তোমার জন্য ভালো, তবে তুমি তখনই তার সাথে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে পারো। তোমার যা ভালো লাগে না, তা কেউ করতে বললে তুমি তাকে ফিরিয়ে দিতে পারো, কেননা মানুষকে 'না' বলতে তুমি শিখে নিয়েছ। তোমার নিজস্ব কিছু আচরণ আছে, যা কারও কোনও ক্ষতি না করে না, কিন্তু যা অনেকেই পছন্দ করে না। তুমি যেমন করে ভাবো, তা বেশিরভাগ মানুষের সাথেই মেলে না। তুমি যার খাও-ও না, পরোও না, তার কোনও কথায় তোমার কিছুই এসে যায় না; তাই সে গায়ে পড়ে তোমার লাইফ নিয়ে মাস্টারি করতে এলে খুব সহজেই তুমি তাকে ইগনোর করতে পারো। তুমি নিজের ভালো থাকাটা সবার আগে দেখো, কেননা নিজেকে ভালো না রেখে পুরো পৃথিবীকে ভালো রাখলেও দিনশেষে তুমি নিজেই কষ্টে থাকবে। ছুটতে ছুটতে কখনও ব্রেক নিতে মন চাইলে তুমি নিয়ে ফেলো, নিজের মনের কথা তুমি শোনো। কে কী বলল বা ভাবল, তার বিন্দুমাত্রও তোয়াক্কা না করে তুমি সবসময়ই নিজের নিয়মে সুখী হতে চাও। কে তোমাকে মূল্যায়ন করল কিংবা করল না, কে তোমাকে ভালো বলল কি খারাপ বলল, কে তোমার প্রশংসা করল বা নিন্দা করল, এসবে তোমার কিছুই এসে যায় না, কেননা তুমি জানো, মানুষ নিজের প্রয়োজনে অন্যকে বুকে টানে কিংবা দূরে ছুড়ে ফেলে দেয়। কিছু বুঝতে না পারলে তুমি তা জিজ্ঞেস করে পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে নাও। কিছু কিছু বিষয়ে তোমার মধ্যে দেয়াল বা সীমারেখা আছে, তুমি কোনোভাবেই সেখান থেকে নিজেকে বের করে আনতে পারো না বা চাও না। কারও এমন কোনও কথা বা আচরণকে তুমি কখনোই মেনে নাও না, যা মেনে নিলে তোমার নিজের ক্ষতি হতে পারে। কখনও কখনও আবেগের বশে তুমি বাচ্চাদের মতো করে অঝোরে কেঁদে ফেলো। ওই মুহূর্তে ফোনটা ধরতে ইচ্ছে না করলে তুমি ভুল করেও ফোনটা ধরো না, কেননা সব ফোনই ধরার মানে হলো, নিজের দামি সময় অন্যের জন্য বরাদ্দ করে রাখা। তুমি খুব সহজেই উটকো লোকজন চিনে ফেলতে পারো এবং তাদেরকে সময় ও মনোযোগ দেওয়া একদমই বন্ধ করে দিতে পারো। উপরের ব্যাপারগুলির জন্য সরি ফিল করার কিছুই নেই, নিজের বা অন্য কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ারও কিছু নেই। জীবনটা তোমার। লোকের মন জুগিয়ে চলতে গিয়ে অসুখী হলে দিনশেষে তোমাকেই কাঁদতে হবে।