সোনালি দুঃস্বপ্ন

আইচ্ছা বাবুই, ধরো, তোমারে ছাইড়া আমি অনেক অনেক দূরে চ‌ইলা গেলাম…এতটাই দূরে যে, তুমি পুরা দুনিয়া ঢাইলা দিলেও আমারে আর খুঁইজা পাইবা না।




ধরো, এত দূরের তারা হ‌ইলাম যে, ছুঁইতেই পারবা না; এতটাই বেশি বিচ্ছিন্ন হ‌ইলাম যে, খুঁইজাই পাইবা না।




তাইলে কি তোমার হালকা কষ্ট হ‌ইব?




এই ধরো, তোমার প্রিয় মগটা ভাইঙা গেলে, পোষা বিড়ালটা ম‌ইরা গেলে, শেয়ারবাজারে ম্যালা টেকা লস খাইলে, কিংবা ব্যালকনিতে যতন ক‌ইরা জিয়াইয়া রাখা অর্কিডটা শুকাইয়া গেলে যতটা কষ্ট পাইবা, ঠিক ততটাই ব্যথা জমব? না কি এত এত বেশি জমব যে, তুমি নিঃশ্বাস‌ই নিতে পারবা না ঠিকমতন?




আইচ্ছা, আমার খুনসুটিগুলা তোমার বেশি মনে পড়ব? না কি অভিমানগুলা? আমার কান্নাগুলা তোমারে বেশি ভাবাইব? না কি হাসিগুলা?




আমি হারাইয়া গেলে আমারে তুমি কোথায় খুঁজবা—আকাশে? বাতাসে? আলোয়? না কি আন্ধারে?




না কি…না কি তোমার ডানহাতের আঙুলগুলায়?




আইচ্ছা, মাঝরাইতে কি হুটহাট হু-হু ক‌ইরা কাইন্দা উঠবা? পাশেরজন ভয় পাইয়া অবাক হ‌ইয়া ঘুম ভাইঙা জিজ্ঞাস করব, "কী হ‌ইসে তোমার!" তুমি বুঝি কথা লুকাইতে কইবা, "না না, তেমন কিছু না, দুঃস্বপ্ন দেখসি!"




পরক্ষণেই তোমার মনে প‌ইড়া যাইব, আমি দুঃস্বপ্ন না, আমি তো ছিলাম তোমার সোনালি স্বপ্নের মানুষ।




অথচ দ্যাখো, আমার কথা তুমি কাউরেই বলতে পারবা না। হা হা হা 




যারে নিয়া বাঁচবা, তারেই আজীবন বুকের ভিতরে লুকায়ে রাখা লাগব! কী আজব, তাই না, বাবুই?