সাগর শুকায়ে যায়

ভোর থেকে বৃষ্টি। ঝুপঝাপ। অঝোরে ঝরছে। থামবার নাম নেই। বেলা যে কত হলো, তা আন্দাজ করা মুশকিল। হালিমা বেগমের ইচ্ছে করে না বিছানা থেকে উঠতে। শরীরটা ম্যাজম্যাজ করে। কোমরের ব্যথাটাও বৃষ্টি পেলে টনটন করে। প্রথম রাতে মোটেও ঘুম আসেনি। রাজ্যের সব পুরোনো কথা মাথায় ভর করে।




মা-বাবা’র কথা। স্বামীর কথা। তাঁরা কেউ বেঁচে নেই। আছে শুধু ছেলে, কাদের। আসল নাম আবদুল কাদের। সবেধন নীলমণি। সে তার বাবা আবদুল খালেককে চোখে দেখেনি। মায়ের কাছে শুনেছে। তার জন্মের ছ-মাস আগে পুলিশের গুলিতে বাবা শহিদ হয়েছে।




স্মৃতিতে জাগে ‘৬৮ সালের কথা। ওই বছর খালেকের সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। জানাজানির বিয়ে। হালিমা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। সামাজিক পরিবেশের কারণে বাড়ন্ত শরীর নিয়ে গাঁয়ের পথে স্কুলে যাওয়া আর সম্ভব হয়নি। ছেলে-ছোকরারা কৈশোরের চাঞ্চল্য মিশিয়ে ছড়া-কবিতা লিখত। কেউবা করত প্রেমনিবেদন, আবার কেউবা বাজাত বাঁশের বাঁশরি। বিচ্ছিরি লাগত হালিমা বেগমের। মাকে কিছুই বলতে পারত না। কিন্তু মা ছিল সবসময়ই চিন্তিত, কী করে তাকে একটা ভালো ছেলের হাতে তুলে দেওয়া যায়।




খালেকের সাথে হালিমার প্রথম দেখা অসুস্থ মায়ের শয্যাপাশে। মায়ের জীবনপ্রদীপ যখন নিবুনিবু, তখন। অন্ধকার রাত। মা ছাড়া ঘরে আর কেউ নেই। দিনেও কেউ থাকে না। দীর্ঘদিনের ক্ষয়রোগের কারণে বাড়িতে কেউ-একটা আসে না। প্রথম প্রথম আত্মীয়-স্বজনরা আসত। সহানুভূতি জানাত। এখন কেউ আসে না। যে যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। মায়ের সেবাশুশ্রূষা সে নিজেই করে। ওষুধ, খাবার, পথ্য দেয়। মায়ের অবস্থা খুব খারাপ। শ্বাসপ্রশ্বাসের বড়ো কষ্ট। হাত-পা ঠান্ডা। মা যেন ধীরে ধীরে একটা লাশে রূপান্তরিত হচ্ছে।




নিঃসঙ্গ হালিমা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে। দরজায় একটা শব্দ হলো। আবারও একটা শব্দ। হালিমা আঁতকে ওঠে। কে? আমি খালেক। আমাকে চিনবেন না। পাশের গ্রামে আমার বাড়ি। ঢাকায় ফেরার পথে ডাক্তার সাহেব এই প্যাকেটটি দিলেন। এই ধরুন, আপনার মায়ের এক্সরে-রিপোর্ট। হালিমা ভয়ে ভয়ে দরজা খুলে দেয়। এক্সরে-রিপোর্ট-হাতে দাঁড়ানো যুবককে দেখে তার ভয়ভীতি উবে গেল। মনে হলো যেন সে কত দিনের চেনা। কত আপন জন। খালেকের কাছে জানা গেল, মায়ের ফুসফুস প্রায় শেষ। মৃত্যু সন্নিকটে। ওই রাতেই মা মারা গেল। মৃত্যুর সময় সে কাছে ছিল না। খালেকের জন্য চা করতে গিয়েছিল। এসে দেখল, খালেকের ডানহাত মায়ের মুষ্টিতে আবদ্ধ। সে রাতে হালিমা খুব কেঁদেছিল। তার কান্না দেখে খালেক অশ্রু সংবরণ করতে পারেনি। তাকে সান্ত্বনা দিয়েছিল, চোখের পানি রুমাল দিয়ে মুছে দিয়েছিল।




বিয়েতে খালেক খুব ধুমধাম করেছিল। একপয়সার‌ও যৌতুক নেয়নি। হালিমার মনের খায়েশ কানায় কানায় ভরে দিয়েছিল—কোনো কিছুই অপূর্ণ রাখেনি। শাশুড়ির আদর আর স্বামীর সোহাগে হালিমা ধন্য। খালেক চাকরি করত ঢাকাতে। শনিবার বিকালে বাড়ি আসত। রোববারে থেকে সোমবার সকালে চলে যেত। মাঝেমধ্যে এর ব্যতিক্রম ঘটত। হঠাৎ করে রাতে বাড়ি এসে হালিমাকে চমকে দিত। আবার ভোরে উঠে চলে যেত। একবার তাকে ঢাকাতে নিয়েছিল। সিনেমা দেখেছে। হোটেলে দু-জনে বিরানি খেয়েছে। কেনাকাটা করেছে। হালিমা ভাবত, এত সুখ সইবে কি!




বিকেলে খালেক বাড়ি আসবে। অধীর হয়ে আসবে। তাকে ফ্রি না পেলে তুলকালাম শুরু হয়ে যাবে। তাই সংসারের কাজকাম সেরে হালিমা আগেভাগে গোসল করে। বেলাশেষে গোসল করলে চুল ভেজা থাকে, বাজে গন্ধ আসে। তা ছাড়া শরীরটাও বেশি ভালো না। বমি বমি ভাব। শাশুড়ি আন্দাজ করতে পেরে হুজুরের কাছ থেকে একটা তাবিজ এনে দিয়েছে। গলায় তাবিজ। কেমন পোয়াতি পোয়াতি লাগে হালিমাকে। শাশুড়ি তার মাথায় তেল দিয়ে দেয়। ঘনচুল। একেবারে শ্রাবণের মেঘের মতো। চিরুনি ঢুকতে চায় না। শাশুড়ির কষ্ট হয়। তবু আদর করে বিলি কেটে দেয়। উকুন মারে। হালিমা ভাবে, খালেককে আজ তার গোপন কথাটি বলবে। গত সপ্তাহে বলব বলব করেও বলা হয়নি।




বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা। হালিমা আঙিনা দিয়ে দূরের রাস্তাটি বার বার দেখে আর মনে মনে ভাবে, এই বুঝি খালেক এল! অন্যান্য শনিবার তো তার এত দেরি হয় না। বিকেল পাঁচটার মধ্যে বাড়ি পৌঁছে যায়। মাগরিবের পর এশার আজান হলো। মুসল্লিরা নামাজ পরে বাড়ি চলে গেল। এখনও খালেক এল না। অজানা আশংকা মনে ভিড় করে। চোখের পাতায় ঘুম নেই। একটা মাত্র চিন্তা, তার প্রাণের মানুষটির হলো কী!




বিয়ের পর থেকে একটাও শনিবারের রাত সে খালেককে ছাড়া কাটায়নি। খালেক এসে হ‌ইচ‌ই করে বাড়িটাকে মাথায় তুলত। সারারাত ধরে তাকে একটুও ঘুমোতে দিত না। এ কথা, সে কথা। কখনো রাজনীতি, কখনো সংসার। বলত, জানো, দেশের এ অবস্থা থাকবে না। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মিথ্যে। পাঞ্জাবিরা আমাদেরকে দাবিয়ে রাখতে চায়। শেখ মুজিব ও মাওলানা ভাসানী তাদেরকে দেখিয়ে দেবে, কত ধানে কত চাল। মাও সেতুং, সিআইএ, কর্নেল গাদ্দাফি, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, হরতাল, ঘেরাও কত-কী সব বলত। হালিমা কিছু বুঝত, কিছু বুঝত না। একবার তাকে সোহাগ করে বলেছিল, ঢাকায় নিয়ে স্কুলে ভর্তি করে দেবে। ম্যাট্রিক পাশ করাবে। পড়তে চাইলে আরও পড়াবে। কলেজে। বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুনে হালিমা লজ্জায় লাল হয়ে যেত। বিয়ে-করা ব‌উ কি আবার স্কুলে যায় নাকি? লোকে কী বলবে!




রোববার। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেল, শেরেবাংলা নগরে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণ। আসাদ-সহ ৪ জন ছাত্র নিহত। আহত ৫০ জন। খালেক নামে ২৫ বছরের এক পথচারী যুবককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেবার সময় পথের মধ্যেই প্রাণত্যাগ করে।




হালিমা লাশ আনার চেষ্টা করেছিল। পায়নি। পুলিশ লাশ গুম করে দিয়েছে। মনে পড়ে মাওলানা ভাসানীর কথা। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে শত-সহস্র মিছিলকারী গিয়ে পল্টনে গায়েবি জানাজা পড়েছিল, আসাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছিল। পুলিশের বাধা মানেনি। আইজি মহিউদ্দীন সাহেবকে বুক বাড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন—গুলি করতে হয় আমাকে করো। ১৪৪ ধারা মানি না। নামাজ পড়তে এসেছি, পড়বই। মিছিলকারীরা খালেকের কথা বলেনি। শুধু আসাদ আর আসাদ। আসাদ ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না। আইয়ুব খানের পতন চাই। হালিমার এসব ভালো লাগেনি। তার মনে প্রশ্ন, অনাগত ভবিষ্যতের কাছে সে কী জবাব দেবে! যাহ্, যতসব বাজে চিন্তা। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।




হালিমা বাস্তবতায় ফিরে আসে। বৃষ্টি বুঝি একটু থামল। শুতে আর মন চায় না। পিঠটা ব্যথা ব্যথা করে। যাই, এবার উঠি। কাদের আবার বাড়ি আসবে। শুক্রবার তার বন্ধ। কিছু-একটা ভালোমন্দ তৈরি করি। একেবারে বাপের স্বভাব। সারাগ্রাম হ‌ইচ‌ই করে মাথায় তোলে। বন্ধুবান্ধব সবাই প্রতীক্ষা করে, কখন কাদের বাড়ি ফিরবে।




ছাত্র হিসাবে তার একটা নামডাক ছিল। বাহিরচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩টি লেটার নিয়ে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করেছিল। হালিমার বুক গর্বে ফুলে উঠেছিল! এবার বুঝি তার আশা পূর্ণ হবে। চেয়ারম্যান সাহেব ছেলেটিকে চেয়েছিলেন। লেখাপড়া শিখিয়ে আপন করে নেবেন। হালিমা তাতে রাজি হয়নি। নিজেই কষ্টেসৃষ্টে ছেলেকে মানুষ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাদের ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়। থাকে একটা মেসে। হোস্টেলে সিট পায়নি। পরিচিত লোক না থাকলে সিট পাওয়া মুশকিল। দুইটা টিউশনি করে। মা যে-টাকা দেয়, তাতে চলে না। ঢাকার পরিবেশ তার ভালো লাগে না। না পারে কলেজে খাপ খাওয়াতে, না পারে মেসে। স্যাররা ক্লাশে যে-বক্তৃতা দেন, তা সে ধরতে পারে না। বন্ধুরা সবাই প্রাইভেট পড়ে মেকআপ করে নেয়। সে মেকআপ করতে পারে না। স্যারদের যা বেতন, তার দ্বারা তা জোগাড় করা অসম্ভব।




কাদের নিয়মিত কলেজে যায় না। এক দিন যায় তো পাঁচ দিন যায় না। কলেজে তার মন‌ই বসে না। আস্তে আস্তে একসময় সে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। মাকে কিছু বলে না, গোপন রাখে। মাঝে মাঝে সে জনশক্তি অফিসে যায়। যদি মধ্যপ্রাচ্যে যাবার সুযোগ হয়, তাহলে মাকে কিছু সুখ দেওয়া যাবে। বেচারি সারাজীবন কষ্ট‌ই শুধু করে গেল। সুখ আর পেল না। মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে ছলিমউদ্দিন-কলিমউদ্দিনরা কত টাকা আনল। বিল্ডিং বানাল। জমি কিনল। গয়না করল। রংবেরঙের শাড়ি, জামা। কাদের আর ভাবতে পারে না।




রহিমউদ্দিন। তার কী ছিল? পরের বাড়িতে কামলা খাটত। আজ কুয়েতে গিয়ে তার অবস্থা কী! টাকার গরমে মাটিতে পা পড়ে না। আলিশান বাড়ি। গায়ে কী সব সেন্ট মাখে। দূর থেকে বোঝা যায়, রহিমউদ্দিন এ পথ দিয়ে গিয়েছে। সারাক্ষণ বাড়িতে ধুমধাড়াক্কা ক্যাসেট চলে। রাত চলে ভিসিআর। ট্যাং দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করে।




এভাবে চলতে পারে না। মাকে সে সব কথা খুলে বলবে। অব্যক্ত ব্যথার হিস্যা মাকেও দেবে। একটা চাকরির প্রয়োজন। বাঁচতে হলে কিছু-একটা করতে হবে। লেখাপড়া ছাড়াও তো চাকরি করা যায়।




আল্লাহর অসীম রহমত। কাদের একটা চাকরি পেয়ে গেল। ফটোস্ট্যাট অপারেটর, সর্বসাকুল্যে বেতন ৯০০ টাকা। মতিঝিলে অফিস। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস। বৃহস্পতিবারে হাফ, শুক্রবারে বন্ধ।




শহরের অবস্থা থমথমে। ৫৪ ঘণ্টা হরতাল, বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত। গাড়ি-ঘোড়া, কলকারখানা, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ কিছুই চলবে না। সব বন্ধ। কাদের মঙ্গলবারেই বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু বস তাকে যেতে দেয়নি। হরতালের সময় অফিস করলে নাকি দিনপ্রতি বাড়তি ১০০ টাকা পাওয়া যাবে। তিন দিনে তিন-শো টাকা। মন্দ কী! মায়ের জন্য একটা সুন্দর শাড়ি কেনা যাবে।




সকাল থেকেই মিছিল। ছাত্রদের মিছিল। শিক্ষকদের মিছিল। শ্রমিকদের মিছিল। বুদ্ধিজীবীদের মিছিল। মিছিল আর মিছিল। মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাকা শহর। কাদের একটা মিছিলে মতিঝিলে আসে। ইচ্ছে ছিল, ফাঁক বুঝে অফিসে ঢুকে যাবে। কিন্তু তা আর হলো না। আল্লাওয়ালা বিল্ডিং-এর সামনে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। বিক্ষুদ্ধ জনতার সাথে পুলিশের বচসা হয়। ধাওয়া, পালটাধাওয়া চলে। একপর্যায়ে কাঁদানে গ্যাস, তারপর গুলি।




রাত সোয়া ১২টায় কাদের চোখ মেলে তাকায়। ডাক্তার, নার্স, রক্ত, অক্সিজেন। কেন? সে এখন কোথায়? হাসপাতালে। সে হাসপাতালে কেন? হাত-পা নাড়া দেয়। নার্স বারণ করে। পা নাড়াবেন না। ক্ষতি হবে। আপনার ডানপায়ের গোড়ালিতে গুলি লেগেছিল। ক্ষতবিক্ষত হওয়ার কারণে কেটে ফেলা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবেন। চিন্তার কারণ নেই।




বৃহস্পতিবার বিকেলে কাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলো। আরও দু-চার দিন রাখার কথা ছিল। কিন্তু আহত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্থানাভাবের জন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে সোয়ারি ঘাট পর্যন্ত সে এসেছে। বাকি পথটুক যেতে হবে একা একা। নৌকা করে, ট্যাক্সি করে। কাদের সাহস পায় না। ঘাটে দেরি করে, যদি গ্রামের কাউকে পাওয়া যায়।




এ কী, কাদের ভাই! আপনার এ অবস্থা। পায়ে ব্যান্ডেজ কেন? পাশে-দাঁড়ানো সেলিম প্রশ্ন রাখে। সেলিম রহিমার ছোটো ভাই। রহিমা তার সাথে পড়ত। দু-জনের মধ্যে ভাব ছিল। রহিমার বিয়ে হয়েছে। স্বামীর সাথে ঢাকাতে থাকে। সেলিম বোধ হয় সেখানে গিয়েছিল। সেলিম, আমাকে বাড়ি নিয়ে চলো। পায়ের অবস্থা ভালো না। পুলিশের গুলি লেগেছে।




কাদের যখন বাড়ি পৌঁছল, তখন সন্ধ্যা হয় হয়। মা যাচ্ছিলেন পুকুরে পানি আনতে। সেলিমের কাঁধে-ভর-করা কাদেরকে দেখে মা হতভম্ব হয়ে গেলেন। কাঁখের কলসিটি মাটিতে পড়ে গেল। পানি নেওয়া আর হলো না। পশ্চিমের সূর্যটা লাল আভা ছিটিয়ে দিগন্তে ডুবে গেল।




চার দিন পর কাদেরের নামে একটা রেজিস্টার্ড চিঠি এল। তাতে লেখা: দাপ্তরিক আদেশ অমান্য করার অপরাধে বাংলাদেশ শ্রমিক নিয়োগ (স্থায়ী আদেশ) আইন ১৯৬৫-এর ধারা ১৯ বলে আপনাকে ২২/০৭/১৯৮৭ ইং তারিখ হতে চাকরিচ্যুত করা হইল।