দিনের শ্রমে কর্মগ্লানিতে কঠিনীভূত হয়ে জর্জরিত একটি প্রতীক্ষাকাতর প্রাণ খুঁজে চলেছে সামান্য কিছু সম্মাননা। সেই ক্ষুদ্র প্রাণ ছুটে চলেছে এক ফোয়ারা হয়ে... সুপ্রশস্ত ধরণীতল চেয়ে আছে সেদিকে করুণ দৃষ্টিতে... বুড়িয়ে-যাওয়া শরীরে কাঁপছে শত মৃত্যুর আঁধার... এত কাল ধরে জমে-থাকা কিছু আগুনের স্রোত ফুলকি হয়ে বদল করেছে রূপ... কোথায়! কোথায়! কোথায় তোমাদের সভ্য সমাজের অসভ্য সেই সমাজপতি! কোথায় তোমাদের ওসব সম্মাননা! সামান্য ওটুক সম্মাননা! দিনের প্রহরকাল শেষ হয়ে যায়... দিনবদলের খেলা শুরু হয়... দিন আবারও আসে কোনও এক নতুন রেখায়... দিন আবারও বদলের উলটো পিঠে খেলে বদলেরই খেলা... হৃদয়মথিত রক্তক্ষরণ... নিষ্ক্রান্ত আয়ু... শুষ্ক স্নায়ু... অকেজো হৃৎপিণ্ড... রুদ্ধকক্ষ শ্বাসঘাত... এমন কত কত সপ্তরথীর পরাজয়... বিষাদের সপ্তসিন্ধু... কষ্টের কষাঘাত... আধিপত্যের রক্তপাত... এই সকল কিছুর ঊর্ধ্বে কোথায় তোমাদের সেই সম্মাননার রাজ-অধিরাজ! কোথায়! ডাকো তোমাদের সভ্য সমাজের অসভ্য সেই সমাজপতিকে! আমিও দেখি! কোথায় তোমাদের অমন সম্মাননা! সামান্য একটুকরো সম্মাননা!