শাস্ত্র বলে, শিশুর মতো না হলে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করা যায় না। শিশু মানে শুধু বয়সে ছোটো নয়, বরং এক নির্ভার চেতনা—যেখানে নেই আত্মসচেতনতার ভার, নেই মানুষের মতামতের শৃঙ্খল।
শিশু বিস্ময়ে তাকায় একটি গুবরে-পোকার দিকে, ঘাসের ডগায় ওঠা শিশিরবিন্দুর দিকে। সে ওদের বাধা দেয় না, চুপচাপ দেখে—তার কোনো তাড়া নেই, লোকের মতামতের ভয় নেই। সেখানে নেই কোনো হিসাব, নেই কোনো ভয়ের গহ্বর, নেই কোনো সন্দেহের ছায়া। এই হালকা অনুভবটাই হলো আত্মার প্রকৃত রূপ—চিন্তাহীন আনন্দ, সন্দেহহীন শান্তি।
জাগরণে যখন মন থেমে যায়, ফিরে আসে তখনই সেই হারানো স্বচ্ছতা। সন্দেহ, ভয়, ‘মানুষ কী বলবে’—ওতে সব দেবতা ভেঙে পড়ে। ওসব দূরে সরলে চেতনা গলে যায় প্রেমের সাগরে, যেখানে সত্তা ঈশ্বরের মধ্যে মিলিয়ে যায়, এক হয়ে যায়।
শৈশবের পুনরুদ্ধার মানে আবার সেই সত্যে ফেরা—যেখানে জানা যায়, আমরা ঈশ্বরের সান্নিধ্যে, ঈশ্বরের অন্তরে, ঈশ্বরের সঙ্গেই এক।