ভাবনার বনসাই: সাত

১. শুনলাম, শায়েরি নাকি লিখেই যাচ্ছ খাতায় কলম দিয়ে?
ওহে উজবুকের দল, শায়েরি তো লিখতে হয় হৃদয়টা হাতে নিয়ে!


২. তুমি আমায় লালরং দিয়ে রাঙাও;
আমি আজ জেগে উঠতে চাই,
এসো, আমার ঘুমটা এবার ভাঙাও!


৩. - শায়ের, ভালোবাসা দেখতে কেমন?
- পানিতে আগুন লাগলে যেমন দেখায়, তেমন!


৪. এবার যেতে দাও আমায়, আর থাকতে বোলো না, আমাকে তো ঈশ্বরের কাছে হাজিরা দিতে হবে!


৫. আমি খুব ভালো করে দেখেছি, তুমি আমাকে বাদে আর সব কিছুই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছ।
আচ্ছা, বলতে পারো, আমি ঠিক কোন অপরাধটা করলে তোমার চোখে অন্তত পড়ব?


৬. তামাম দুনিয়া হাসিমুখে শুধু আমাদের বিচ্ছেদটাই দেখেছে।
আমি তো দেখছি, আমার রুহ কতখানি শক্ত করে তোমার রুহটাকে আঁকড়ে ধরেছে!


৭. আমার কবরের কাছে এসে রোজ রোজ কেনই-বা কাঁদো?
বেঁচে থাকতে কখনও কি আমায় মানুষ ভেবেছিলে আদৌ!?


৮. তুমি আরও আগে কেন এলে না?
তুমি ছাড়া যে শুধুই সময় কাটিয়েছি, বেঁচে দেখিনি একমুহূর্তও!


৯. আমি পা পিছলে পড়ে গেলে, তুমি হাত বাড়িয়ে দিয়ো?
আমার চোখের জলে দুপুরের স্নানটা সেরে নিয়ো?


১০. আমি কতটা ভালোবাসি তোমায়, আমার ঈশ্বর জানে।
প্রমাণই যদি দিতে হবে, তবে অমন ভালোবাসারই-বা কী মানে!?


১১. - শায়ের, আমিও শায়েরি লিখতে চাই। আমাকে দিয়ে কি হবে?
- অনেক আগেই হয়ে যেত, যদি কাঁদতে জানতে, তবে!


১২. তোমার আমার মাঝখানে দ্যাখো একসমুদ্র ব্যবধান।
আমিই বরং যাই তলিয়ে, এটাই শুধু সমাধান!


১৩. শুধু শুধু কেন চালাতে চাইছ ছুরি?
আমি তো তোমার চোখেই ডুবে মরি!


১৪. - কবি, আমি আমার প্রেমিকের মুখের ভাষা, মনের ভাষা কিছুই যে বুঝি না!
- তোমার প্রেমিক চোখে কথা বলে, চোখেই জমায়,
কথার ভারে ক্লান্ত হলে, দু-চোখ শেষে মাটিতে নামায়।


১৫. লুকিয়ে লুকিয়ে আমায় দেখত সকালে, ভাঙতে আড়মোড়া,
বলবে না সে মুখে কিচ্ছুটি, বড্ড যে মুখচোরা!


১৬. - কবি, তাকে আমি ভালোবাসি খুব, এখন তবে কী করব?
- তার কাছ থেকে বহুদূরে চলে যাবে। ভালোবাসা দূরত্ব ভালোবাসে।


১৭. - শায়ের, আপনি সারারাত জেগে কেন লিখেন?
- যেন আমার মৃত্যুর পরে তোমরা আবিষ্কার করতে পারো যে, শায়েরি নামক একটা ব্যথানাশক ওষুধ আছে!


১৮. - সুন্দর সব শায়েরি আপনি একাই জন্ম দেন যত?
- একা জন্মানো যায় না কিছুই, শায়েরির মায়ের নামটা হচ্ছে ‘ক্ষত’!


১৯. ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার মতন আরাম পেলাম,
সাথে করে ভালোবেসে কবিতা লেখার এক ব্যারাম পেলাম।


২০. যারা যারা রাত জেগে থাকে, তারা সবাই-ই কিন্তু কবি নয়,
কাউকে কাউকে আবার কবিতা হবার জন্যও রাতে জেগে থাকতে হয়!