ভাবনার বনসাই: বায়ান্ন

১. যখন তোমাকে পেতে চেয়েছিলাম,
নিজেকে বোকা মনে হয়েছিল।
যখন তোমাকে পেয়ে গেলাম,
তোমাকে বোকা মনে হলো!


২. সত্যিই যদি ভালোবাসো,
তবে আর ফিরে এসো না;
এখন ভালো আছি।
অনেক দিন পর ভালো থাকতে খুব ভালো লাগছে।


৩. কোনও স্বার্থ ছাড়াই যত্ন নিয়ে গেলাম…
কোনও অপরাধ না করেই শাস্তি পেয়ে যাচ্ছি…


৪. মন ভালো না থাকলেও ওদের সঙ্গে গল্প করতেই কেন হবে?
বারান্দায় চুপচাপ একা বসে থাকো…মনটা ওদের নয়, তোমার!


৫. মনের ঘোমটা খোলো…
পৃথিবী তোমাকে অবগুণ্ঠিত দেখতে চায় না।


৬. যদি আমার হাসিগুলিই শুধু বহন করতে পারো,
তবে আমার হৃদয়টা ফেরত দাও…


৭. তুমি আমার জন্যই পৃথিবীতে এসেছ দাবি করছ?
মানে আমাকে এরকম কষ্ট দেবার জন্যই তো?
দোহাই লাগে, যেখান থেকে এসেছ, সেখানে ফিরে যাও!


৮. যদি ধরে রাখতে না-ই পারো, তবে অত বাহাদুরি কীসের?
ভালো তো অনেকেই বাসে…


৯. তোমার চোখের জলের দামটা দেয় না যে,
তার হাসির দাম দিতে এত মরিয়া হয়ে উঠলে কেন?


১০. তুমি যখন থেকে আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে,
তখন থেকেই আমি সেই কষ্টটা বুঝতে পারি
যা আমি অনেককেই দিয়েছি শুধুই তোমার জন্য…


১১. আমার শায়েরিতে থাকতে যদি এতই আপত্তি,
তবে আমার জীবন থেকে এক্ষুনি সরো!


১২. ধর্মের বড়ো দুর্ভাগ্য!
খারাপ লোকেরাও কোনও-না-কোনও ধর্মের ছায়াতলে!


১৩. আমি প্রচুর হাসি!
তোমার সম্পর্কে লোকজনকে জানিয়ে কী লাভ!


১৪. তুমি বলেছিলে, তুমি আমার আয়না!
আজ বুঝি, তুমি ঠিকই বলেছিলে! এ পৃথিবীতে তো আর ‘অব্যবহৃত আয়না’ বলে কিছু নেই!


১৫. ক্ষত গুনতে যুদ্ধে নামিনি, বন্ধু!
যুদ্ধ গুনতেও যুদ্ধে নামিনি!
একসময় জয় গুনতাম, হিসেবের সুবিধার্থে এখন কেবলই পরাজয় গুনি!


১৬. এ কেমন সম্পর্ক!
তোমাকে পুরোপুরি আমার নিজের মানুষ ভাবতে গিয়েও কোথায় যেন প্রতি বারই ধাক্কা খাই!


১৭. খুশি যদি করতেই হয়, নিজেকেই করো, সমাজকে নয়!
অভিনয় যদি করতেই হয়, সমাজের সাথে করো, নিজের সাথে নয়!


১৮. নিজেকে বরং লুকিয়েই রাখো!
সবাই তো আর তোমাকে ঠিক তোমার মতো করেই দেখতে প্রস্তুত নয়!


১৯. আমি চুপ ছিলাম বলে ওরা ভেবেছিল, আমি হেরে যাচ্ছি!
আমি জিতে গিয়েছিলাম দেখে ওরা ভেবেছিল, এটা একটা দুর্ঘটনা!


২০. আমি দেখছি, ভীষণ বৃষ্টি হচ্ছে।
আমি জানি, সব বৃষ্টিই একসময় থামে!