ভাবনার বনসাই: পঞ্চান্ন

১. তোমাকে দোষ দিয়েই-বা কী হবে!
তুমি তো তা-ই করেছ, যা তোমার কাছ থেকে আশা করা যায়!
দোষ তো আমার যে আমি তোমার কাছে গিয়েছিলাম!


২. আমি একটা মেয়ে।
আমি শিখেছি,
যে আমায় কষ্ট দেয়, তাকে কখনও স্যালুট করতে নেই।
ভালো থেকো।


৩. এখন আমি সবাইকেই বিশ্বাস করার অভিনয় করি,
বিশ্বাস তবে কাউকেই করি না।
তোমাকে ধন্যবাদ।


৪. মনে রেখো,
তোমার কথাগুলি
বাগানের গোলাপ হয়েও ফুটতে পারে,
আবার পুরো জঙ্গলটাই পুড়িয়ে দিতে পারে!


৫. গতকাল তুমি জানতে, আমি কতটা দুর্বল!
আজ আমি জানি, আমার কতটা শক্তি তুমি দেখোইনি!


৬. তুমি আমার সেই কষ্টটা,
যে কষ্টটা থেকে মুক্তি পেতে আমি নিজেই কখনও চাইনি।


৭. আমার হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছোতে চাও যদি,
আমার ক্ষতগুলিকে খোঁজো।


৮. বিয়েটা তাকেই করো,
যার সঙ্গে থাকার সময় মনে হয়, বেঁচে আছ!


৯. তোমাকে নিয়ে অনেক ভেবে দেখলাম,
তোমাকে নিয়ে ভাবারই কিছু নেই!


১০. পাহাড়কে চাইছ তার একাকিত্বকে দূরে সরিয়ে রেখেই?
তুমি বরং সমতলেই থেকে যাও!


১১. অপেক্ষা করেও দুঃখই পেলাম।
অপেক্ষা করেই দুঃখও পেলাম।


১২. কাঁদিনি যেদিন,
সেদিন কাঁদলে আজ এত কাঁদতে হতো না।


১৩. কাঁদতে চেয়েও কাঁদতে না পারা...কষ্টের চেহারা কি এর চেয়েও কুৎসিত?


১৪. আমি যে আজও বেঁচে আছি,
তার কারণ বোধ হয় একটাই---
আমি আজও তোমাকে মনে করতে পারি।


১৫. তুমি পাশে নেই; অন্য সবাই আছে।
তাই আমার পাশে আমি কাউকেই চাই না।


১৬. সেইসব পুরনো স্মৃতিগুলির চাইতে বরং
নতুন স্মৃতিই বেশি যন্ত্রণা দেয়, যেগুলিতে তুমি নেই।


১৭. তুমি যেদিন বলেছিলে, আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না,
সেদিন থেকেই আমি এমন একজনকে খুঁজে চলেছি,
যে বলবে, তুমি ভুল বলেছ।


১৮. আমাকে বদলে ফেলেছ তো তুমিই!
এখন তোমার উচিত আমাকে মনে রাখা।


১৯. আমাকে অসুস্থ বোলো না।
তুমি আমাকে সুস্থ হিসেবেই পেয়েছিলে।


২০. এই যে গতকালের পর আজও বেঁচে আছি,
এই আয়ুটা, শুধুই আমার নয়,
অন্য কারও কাজেও কাজে লাগতে পারে!