ভাবনার বনসাই: এক-শো সাঁইত্রিশ

১. সন্তানের নতুন জুতোয়
ঢাকা পড়ে যায়
বাবার ছেঁড়া জুতোর খুশি।




২. ঝরে-পড়া পাতারা দেখে,
আমরা দু-জন আমরা ভেঙে
আমি হয়ে যাই, তুমি হয়ে যাও।




৩. এমনিতেই সরু রাস্তা;
ওখানেও দেখি
একহাঁটু কাদা!




৪. চাঁদের আলোয়
একেকটা ঢেউ
একেকটা চাঁদ!




৫. শীতে বাড়ে ঘুম,
গরমে কমে।
তবু ওরা কারা
শীতে বিয়ে করে?




৬. চাঁদ ততটা নয় মোলায়েম,
যতটা বানায় কবিরা।




৭. বৃদ্ধরা এবং ব্যর্থরা
থামে না কখনোই...
অজুহাত দেখানোর বেলায়।




৮. যত‌ই কৈফিয়ত চাইবে,
তত‌ই বন্ধু হারাবে।




৯. পিৎজার একেকটা টুকরো
হয় তোমার, নয় আমার।
বাকিগুলো বেকার!




১০. বেকারত্বের দিনগুলিতে প্রেম,
সুখের দিনগুলিতে বেকারত্ব।




১১. বজ্রপাত,
আঘাতের ঝড়।
হ্যাঁ, সুখেরা কাছেই!




১২. দুঃখের রাতেও
ভরা পূর্ণিমা,
যেমনি সুখের রাতে
ঘোর অমাবস্যা!




১৩. ক্ষুধা যত কম,
খাবার তত বেশি।




১৪. ভুল প্রশ্নে
ঠিক উত্তর।
ভুল মানুষে
ঠিক ভালোবাসা।




১৫. শীতের রাত।
অন্ধকারের ছদ্মবেশে
কুয়াশারা আসে।




১৬. শরীর যা চায়
মেটে কি তা
মনের কথায়?!




১৭. নিজের দুঃখের দিকে তাকিয়েও
কার‌ও দুঃখকে কোরো না ছোটো।
মানুষ যে তার দুঃখের সমান বড়ো!




১৮. কথা যার ভার বাড়ায়,
কাজ তার পথ হারায়।




১৯. ফসল যখন পাকে,
তখন কবিকে নয়,
কৃষককে ডাকো!




২০. সময় পাবার আগে
সময়ের দামটা মেটাও!