ভাবনার বনসাই: এক-শো বত্রিশ

১. এসো! কেউ তোমাকে ছোঁবে না!
জায়গাটা শীতল, অন্ধকার, আত্মা থেকেও দূরে!
এখানে স্তূপে স্তূপে কিছু স্মৃতি জমে আছে;
এ আমার সকল শব্দহীনতার আশ্রয়।




২. মাঘের ভরসন্ধে।
অনেক যত্নে চা বানিয়ে এনে দেখি,
ক্লান্তিতে তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ।
…কম্বলটা ঠিক করে টেনে দিলাম।




৩. জন্মদিনগুলি
একেকটা রাস্তা---
কোথাও না যাবার।




৪. ভিক্ষুক কিংবা রাজা---
যে-ই হও না কেন,
তোমার দুঃখে ওদের কিছুই যায় না এসে,
যারা থাকে তোমার সুখের ভাগে।




৫. কোন হাসিটা হাসতে ভালো লাগে?
যে হাসির উত্তরে হাসিই মেলে!




৬. কেন আমায় সেই যন্ত্রণাটা দিয়ে
জয়ীর বেসে হাসছ,
যে যন্ত্রণা পাবো জেনেই
তোমার কাছে এসেছি?




৭. যে কবিতাটি আমি লিখেছি একাকী,
সেটি তুমি পড়েছ একাকী।
তবুও কি বলবে,
আমাদের দেখা হয়নি?




৮. আলো আসে যেখান থেকে,
সেদিকে যে অন্ধও ছোটে!




৯. পাখিরা উড়ে যায়
কোনও চিহ্ন না রেখেই---
এক নীল আকাশ বাদে।




১০. হাতের শুকনো পাতাটির দিকে
তাকিয়ে ভাবি,
একদিন আমাদেরও দেখা হবে।




১১. পায়ের শব্দ না পেলেও
গোলাপ ঠিকই জেগে ওঠে
সূর্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে।




১২. বৃষ্টির দেয়াল ভেদ করে
আকাশ দেখা যায় না যদিও,
তোমাকে দেখা যায় ঠিকই।




১৩. বসে ছিলাম, স্বপ্ন দেখছিলাম।
হঠাৎ ঘুমে…
সব স্বপ্নের মৃত্যু!




১৪. যে সুস্বাদু মাংস
কয়লার কাছাকাছি,
ওতে কখনও বসে না মাছি।




১৫. বৃদ্ধটি বেঞ্চিতে গিয়ে বসলেন।
সূর্যের আলোয় তাঁর আত্মা উষ্ণ।
বার্ধক্যের সঙ্গে এখন আর ঝগড়া কীসের?




১৬. পথে পড়ে-থাকা
শুকনো পাতার দল
অচেনা বৃদ্ধার মুখাবয়ব আঁকে।




১৭. তাড়াহুড়োয়
শুধুই দেরি হয়ে যায়।
সময় বাঁচাতে
শুধুই সময় বাড়ে।




১৮. যখন সত্য এসে
চোখে আঘাত করে,
তখন চোখ বুজলেও
মুখ খুলো না।




১৯. প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়েও যে
দিব্যি সুস্থ আছি,
এর নাম কি সাফল্য নয়?




২০. জীবনের আলস্যে ঢেকে দিই
নিজের যত আলস্য।