১. নিজের মনের চাইতে বড়ো প্রতারক আর কে আছে!? ২. জলের মধ্যে হাঁটতে গিয়ে মাছের খোঁজে, দেখি, একটি মাছ আশ্রয় খোঁজে আমার পায়ের তলায়। ৩. পাহাড় নিজেই গড়িয়ে নামে মেষের পাল গড়াতে দেখে। ৪. তোমাকে মিথ্যে বলতে দেখে বৃষ্টির ফোঁটাও কাঁদে এতটাই... যেন কালো নুড়ির একেকটি টুকরো! ৫. বুনো বৃষ্টি! গাছের সারি! অখণ্ড স্তব্ধতা! ৬. সূর্য ওঠে ভীষণ তেতে, আর তখনই একটা বানর রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জল চেয়ে খায়। ৭. পুরনো আমগাছটি সূর্যের কাছ থেকে রৌদ্র শুষে নেয়, জলের নৃত্যের বদলে। ৮. ঘুমঘুম চোখের পাতা সাক্ষ্য দেয় শ্রমের এবং ক্লান্তির। ৯. যার ঘরই নেই, তার জন্যও, রাস্তার বিলবোর্ডে বিলবোর্ডে, হাজারো ঘরের খোঁজ! ১০. মেঘশূন্য আকাশে রংধনু নয়, শুধুই রৌদ্র মেলে। ১১. আমার মৃত্যুর পর আমার অব্যবহৃত পোশাকগুলি আমার আয়ুর সাক্ষ্য দেবে। ১২. রাস্তার পাশে দাঁড়ানো গাছেরা রাস্তায় ছোটা গাড়িদের আর হাওয়ায় ওড়া ফড়িংদের হাসিমুখে অভিবাদন জানায়। ১৩. তোমার আধ-খাওয়া আপেলটিতে কামড় বসিয়ে বড়ো তৃপ্তি পেলাম। ১৪. যেদিন কোথাও একটুও হাওয়া নেই, সেদিনও, ভারী পাতাটি নিজের ইচ্ছেয় নীরবে মাটি ছোঁয়। ১৫. চাঁদের আলো সুন্দর তখনই, যখন সে আলোতে... অভাব কি দুঃখ, থাকে না কিছুই। ১৬. যে সেতুটি প্রায়ই দুলত হাওয়ায়, সেটিই এখন...স্থির শরীরে কিছু ফাটলের সাক্ষ্য দেয়। ১৭. যতই চেঁচাও, যদি চেয়ারে না বসো, তবে শত চেঁচিয়েও লাভ কী হবে!? ১৮. সমুদ্রের এ-পিঠে ও-পিঠে ক্রমেই নিঃশব্দ আঁধার নামে... থামে না তবু মাছেদের প্রাচীন ক্রন্দন। ১৯. চাঁদের দিকে তাকিয়ে ভাবি, সত্যিই কি এ রূপের জোয়ার পেয়েছে কখনও সঠিক বিচার কোনও কবির হাতে! ২০. সাহস থাকে তো আমার চোখের সামনে এসে আঘাত করো, যতটা পারো! আহত হতে...আজ ভালোই লাগে!