ভাবনার বনসাই: এক-শো চৌত্রিশ

১. চাঁদনি রাতে
ঘরের সব আলো জ্বেলেও
...খুঁজছ আমায়!




২. ফিরে যাচ্ছি;
দুই কাপ কফির যুগলধোঁয়াকে
পেছনে ফেলে।




৩. এখন কেউ আর মতামত জানতে চায় না;
বরং বুঝতে চায়,
সবার আগে খুন হতে কে রাজি!




৪. একরাত্রির জীবন,
সারাজীবনের রাত্রি!




৫. পাহাড়ের গায়ে গায়ে
মেঘকে আটকে থাকতে দেখে
ভাবলাম, আকাশ‌ও কি তবে
নিচে নামে এত!




৬. ক্ষত চুলকে
রক্ত উসকে
স্বস্তি এলেও
হয়টা কী?




৭. এসো, সকল কাজ
দূরে সরিয়ে রেখে
নিজেরাই আজ
দূরে সরে যাই...




৮. ফিরে এসো!
আমাকে সহ্য করতে
পারছে না আর কেউই!




৯. ভালো কাজের
শাস্তি না পেয়ে
পালাবে কোথায়!




১০. টুনটুনিও পারে শেখাতে
ইগলের দলকে
রাখে কী করে
হাতের মুঠোয়!




১১. তোমার জন্য যা জরুরি,
আমার জন্য তা-ই ঝালমুড়ি!




১২. মাঘের বৃষ্টি,
পৌষের নরম রৌদ্রের কথা
করে না কি বিস্মৃত!?




১৩. যাকে কখনোই দাওনি কিছু,
তার কাছেও পাবার আশা
করো কী করে!?




১৪. একেকটা জন্মদিন,
একেকটা শূন্যদিন।




১৫. দাঁতের প্রশংসা করতেই
কামড়ে দিলে যে অমন করে?




১৬. অ্যালার্মের দরকার নেই।
গরিব মানুষ, ঘুম অল্প।




১৭. ভাঙা নাকেই
বিবর্ণ গোলাপের
ঘ্রাণ নিতে হয় যাকে,
তার আবার দুঃখ কীসের?




১৮. হেটারদের ও বেকারদের
অত লজ্জা থাকলে কী আর চলে!




১৯. ওই যে মৃত্যু!
ওখানেই তো জীবন!




২০. দুঃখ এসেছে যে পথে,
সে পথের ভিখিরি সেজেও
নিজেকে ভাবছ সুখী!