ভাবনার বনসাই: উনপঞ্চাশ

১. কাউকে পেতেই হবে, ভাবিনি কখনও।
কাউকে পায় কী করে, ভাবিনি তা-ও কখনও।
তোমাকে দেখার পর এখন ভাবছি,
কী করে তোমাকে রেখে দেওয়া যায়!


২. এ জীবনে ছিল অনেকেই,
তবে হৃদয়ে এই প্রথম কাউকে রাখলাম।
এবার পেলে উত্তরটা?


৩. এসো, কথা না বাড়াই।
এসো, ভালোবাসি আজ।
এসো, হার মেনে নিই।
জেতার জন্য অতটা বড়ো…এ জীবন তো নয়!


৪. তোমার হাসিই আমায় বাঁচিয়ে রাখে।
তাই তো তোমায় কাঁদাই না ভুলেও!
বাঁচার ইচ্ছে কার হয় না, বলো?


৫. যখনই তোমাকে দেখি কিংবা ভাবি,
তুমি কী দিলে, তা ভাবার চেয়ে বরং
আমি কী দিলাম, তা ভাবতেই আরাম বেশি!


৬. আমি মানুষ হিসেবে যতটা ভালো,
তারও বেশি, ভালোমানুষ থাকার চর্চা করি।


৭. আমি একধরনের মায়ায় আটকে থাকি!
যে আমার খারাপ চায়, আমি তারও খারাপ চাইতে পারি না।
করার মতো কত কাজই তো আছে!


৮. যা তোমায় করতেই হবে,
তা-ও করার জন্য আয়নার কাছে অনুমতি চাইছ!
এমন আয়নাজীবন আর কদ্দিন!


৯. বন্ধু, আমাকে দোষী প্রমাণ করতে এতটাই মরিয়া হলে!
তার আগে বন্ধুত্বটা শেষ তো করো!


১০. কেন আমার মুখ থেকেই শুনতে চাইছ?
চোখের ভাষা পড়তে পারো না?
না কি আজ আমাকে মিথ্যে বলতেই হবে?


১১. আর নীরব থেকো না।
তোমার নীরবতার প্রতিটি শব্দই আজ আমার পড়া শেষ।
পারলে অন্য আশ্রয় খোঁজো।


১২. কেন তোমার প্রতিটি নীরবতার কৈফিয়ত আমাকেই দিতে হয়?
কেন আমার প্রতিটি কথাই তোমার কাছে কৈফিয়ততলব মনে হয়?
এর নামও ভালোবাসা!


১৩. বড়ো অভাবে পড়ে তোমার কিছু অশ্রু বেচতে বাজারে গিয়েছিলাম।
সবাই বলল, এত সস্তা জিনিস কেনার পয়সা ওদের নেই!


১৪. তুমি আমার জীবনে সেই বইটি, যে বইয়ের
বুঝে যা পড়েছি, তার সবই ভুলে গেছি;
সুখে যা নিয়েছি, তার সবই মনে আছে।


১৫. মানুষ মিষ্টভাষী প্রতারককেই সব দিয়ে দেয়,
স্পষ্টভাষী বন্ধুকেও কিছুই দেয় না।


১৬. তোমার নিয়তি নিয়ে, তুমি চাইলে সারাদিনই লেকচার দিতে পারবে,
কিন্তু নিয়তিকে কখনও বদলাতে পারবে না!
মানুষ তার নিয়ত বদলাতে পারে, নিয়তিকে নয়।


১৭. তুমি তো খুব ধার্মিক জানি!
এই যে এত আহত করো, এ-ও বুঝি তোমার ধর্মাচরণ?


১৮. একজন মুসাফির হিসেবে যে ঘরে আশ্রয় নিলাম,
সে ঘরেই থেকে গেলাম বাকিটা জীবন!


১৯. প্রতিটি চেহারাই তো ভিন্ন ভিন্ন!
তবুও কেন আমি সবার মুখেই তোমাকে দেখি?


২০. যে জায়গাটাতে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল,
আজও সে জায়গার পাশ দিয়ে যাবার সময় তোমার গ্রীবার ঘ্রাণটা পাই!