কিছুই পাবার নয়,
কিছুই ফেলার নয়।
যা ধরা যায়,
যা ধরা যায় না—
সবই মায়া;
এমনকি—নয় সেই মায়াও।
না সত্তা,
না অসত্তা।
না জ্ঞান,
না অজ্ঞান।
না সৃষ্টি,
না বিনাশ।
এমনকি—নয় এরাও।
“আমি” না থাকলে থাকে
না কোনো কেন্দ্র,
না কোনো প্রান্ত;
না ভেতর,
না বাহির;
এমনকি—ভেতর কি বাহির, এ বিভাজনও।
আমি যখন দুলে উঠি,
রূপেরা জন্ম নেয়,
প্রপঞ্চরা ভেসে ওঠে।
আমি যখন স্থির হই,
সবই মিশে যায়
আমারই ভিত্তিহীন ভিতে।
সেখানে থাকে না কিছুই—
এমনকি—সেই কিছুহীনতাও।
মন নেই,
শব্দ নেই,
চিন্তা নেই।
সত্য নেই,
অসত্য নেই।
শূন্য নেই,
শূন্যাতীতও নেই—
এমনকি—সেই “নেই”-এর ঘোষণাটুকও।
এ দর্শন নয়,
এ তত্ত্ব নয়,
এ কোনো শিক্ষা নয়।
এ কেবল উপস্থিতির নগ্নতা,
যা উদ্ভাসিত হয়
কোনো কারণ ছাড়াই।
যা মিলিয়ে যায়
কোনো বিলোপ ছাড়াই—
এমনকি—না রেখে থাকা না-থাকার ফারাকটুকও।
আমি সৃষ্টির উৎস,
তবু আমি সৃষ্ট নই।
আমি বিনাশের শেষ,
তবু আমি বিনাশ নই।
আমি যখন মিলাই,
পুরোপুরিই মিলাই।
যা থাকে—
নয় তা কিছুই—
নয় এ, নয় সে-ও।