যাকে ভালোবেসেছি, তাকে কখনও বলতে ভয় পাইনি যে ভালোবাসি। যেখানে কিছুই কখনও হবার ছিল না, সেখানেই যখন নিজের ভালোবাসাকে খুঁজে পেয়েছিলাম, তখন অবাক হইনি; কিন্তু প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নিজেকে প্রশ্ন করে গেছে এই ভেতরটা যে, সত্যিই পাবো তো মানুষটাকে? আমি কখনও তোমার হৃদয়ে রাজত্ব করতে চাইনি, ভালোবাসার একচিলতে রোদ হয়ে তোমার গায়ের ওপর আলতোভাবে জড়িয়ে থাকতে চেয়েছি, সেই আমিই যখন হঠাৎ করেই আবার তোমার কাছে কেমন অচেনা হতে থাকলাম, তখনও কখনও ভয় পাইনি যে, হারিয়ে গেলে সেদিন বাঁচতে পারব তো? ভেবেছিলাম, আমার ভেতরটা বুঝি কঠিন ভীষণ, কখনও যে কোথাও কারও দ্বারেই কোনও কিছুর জন্যেই মাথা নোয়ায়নি, সে আজও ঠিক এই আঘাতটিও কাটিয়ে উঠতে পারবে...আগের মতোই! ভেবেছিলাম, যে মানুষগুলো রোজ বিচ্ছেদের দহনে পুড়ে পুড়ে মরে, আমার জীবনে কখনও সেই দুর্ভিক্ষ আসবে না। ভালোবাসাকে হৃদয়ের গভীরে এক অন্য আলোয় আলপনা করেছিলাম রক্তের নামে, আজ যেন তার সবই মিথ্যে হতে বসেছে। আচ্ছা, তুমি কি বলতে পারো, টুকরো হৃদয় যখন ভেঙে যায়, তখন কোনও শব্দ হয় না কেন? বলতে পারো, হৃদয়ে যে রক্ত, তা কখনও অশ্রু হয়ে ঝরে না কেন? কথা ছিল, অনেক শক্ত হাতে পেরিয়ে যাব এই পথ, রোজ সন্ধ্যেবেলা তাই আমার ইচ্ছেবাড়িতে প্রদীপ জ্বেলে প্রার্থনায় কেবলই তোমাকে চেয়েছি। কথা ছিল, নিজেকে শেষ করে হলেও তোমারই থেকে যাবই যাব! আজও কথাগুলো ঠিক তেমনই আছে, অথচ অশ্রু মোছার সে মানুষটাই শুধু অন্য কারও কাছে! আমি নিজেকে কথা দিয়েছি জানো, রোজ প্রতিটি মুহূর্ত নিজেকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জখম করে শেষ করব... এত সহজে বাঁচতে নিজেকে আর দেবো না!