কখনো কি এমন হয়েছে—প্রথম বার কারও সঙ্গে দেখা হতেই মনে হয়েছে, তাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে? অথবা অন্য কারও শরীরভঙ্গি দেখে বোঝা গেছে—সে-ও আলিঙ্গনের জন্য প্রস্তুত?
এক গবেষণা (বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়) জানায়—অধিকাংশ মানুষ ভাবে, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি উষ্ণ ও ভালোবাসাময়। অর্থাৎ প্রায় সবাই ভাবে, “লোকে আমাকেই বেশি ভালোবাসতে চায়।”
এখানেই ঘটে এক মজার বিষয়। যদি আলিঙ্গনের ইচ্ছে দমন না করে, বরং তা প্রকাশ করা হয়, তবে অন্য পক্ষও সাড়া দেয়—কারণ সে-ও ভাবে যে, সে-ই বেশি ভালোবাসাময়। এইভাবে আলিঙ্গন হয়ে ওঠে পারস্পরিক উন্মুক্ততার চাবি।
একটি সহজ সত্য হলো—ভালোবাসা আর উষ্ণতা দমন করলে তা শুকিয়ে যায়, কিন্তু প্রকাশ করলে তা বহুগুণে ছড়িয়ে পড়ে। একজন থেকে শুরু করে পরিবার, বন্ধু, সমাজে—ধীরে ধীরে এটি হয়ে ওঠে স্বাভাবিক।
আজকের দিনে দেখা যায়—তরুণেরা আগের চেয়ে অনেক বেশি “আলিঙ্গনপ্রিয়।” সম্ভবত ভালোবাসার প্রকাশ ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে এক নতুন সংস্কৃতি।
তাহলে সারকথা— যখন আলিঙ্গনের টান অনুভূত হয়, দ্বিধা করার কিছু নেই। মানুষ আসলে ততটাই ভালোবাসাময়, যতটা নিজেকে ভাবে। তাই আলিঙ্গন, স্নেহ আর উষ্ণতা—সবাই ভাগ করে নিতে পারে। ভালোবাসা সংরক্ষণে নয়, প্রকাশে বাড়ে।