১) : তুমি এখনও কারও হাত ধরছ না কেন?
: আমাকে ছাড়া যার চলবেই না, তেমন কারও হাত ধরব বলে।
২) : একই সঙ্গে বিশ্রী এবং সুশ্রী কিছু দেখছ?
: হ্যাঁ, প্রত্যাশাহীন অপেক্ষা।
৩) : টকশোগুলোতে এমন সব প্রশ্ন কেন করে অতিথিকে, যা কিনা উচ্চারণ করতেও বিবেকে বাধা উচিত ছিল?
: এখন মানুষের অনেক জ্ঞান, বিবেকটাই শুধু অজ্ঞান।
৪) তুমি গান শোনো, সিনেমা দেখো, বই পড়ো আর লেখালেখি করো।
আর আমি তোমাকে শুনি, তোমাকে দেখি, তোমাকে পড়ি আর তোমাকেই লিখি।
৫) আমি তো অনেক দূরে। বলছিলাম, আমার হয়ে তুমি একটু নিজের যত্ন নেবে?
৬) সাঁতার জানি না, আগেই বলেছিলাম তোমায়।
তবু কেন আমাকেই জলে ফেলে দিলে?
এখন তো আমি তোমার মধ্যেই ডুবে যাচ্ছি।
তুমি কি আমাকে বাঁচাবে না?
৭) : পুরুষ-নির্যাতনের সংবাদে পুরুষরাই সবার আগে হেসে ওঠে কেন?
: সমাজে ধনীমানুষ এবং পুরুষমানুষের কোনো কষ্ট থাকতে পারে বলে মানুষ এখনও বিশ্বাস করতে শেখেনি।
৮) : নারীর পাশে নারীই যদি শক্তি হতো, হিংসা ভুলে একে অপরের বন্ধু হতো?
: পৃথিবীটা যুদ্ধহীন কখন ছিল?
৯) : কার রক্ত সব চেয়ে বেশি লাল?
: আজীবন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, মাঝপথে যার হাতটা ছেড়ে দেওয়া হয়, তার।
১০) : কী রে, বিয়ে করে ফেলেছিস দেখি! মাথাভর্তি সিঁদুর। বাহ্, কী সুন্দর দেখাচ্ছে!
: হ্যাঁ, সিঁদুরটাই দেখলে। একাকিত্ব আর দেখলে কই?
১১) : হঠাৎ মিষ্টি খাওয়াচ্ছ সবাইকে। সুসংবাদটা কী?
: আমি আমার মানুষটাকে পেয়ে গেছি।
১২) : আমার না ভীষণ ভয় করছে।
: কীসের ভয়? আমাকে হারিয়ে ফেলবার?
: ও ভয়ে ভয়ে তো আমি কত বার মরেছি। এখন তুমি নেই। তবে অন্য ভয় এসেছে। তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ছুঁতে হবে, এটা কেমন করে সম্ভব? সে ভয়।
১৩) : একটাই তো জীবন, সময় কম, তাই বর্তমানে বাঁচো।
: বাঁচা কাকে বলে, তুমি সেটা বোঝো?
১৪) : একদিন দেখবে, হারিয়ে যাব।
: তোমাকে হারাতে দিলে তো!
১৫) : আমার জন্য একটু প্রার্থনা করবেন?
: কী চাইব প্রার্থনায়?
: আমার নিজের একটা মানুষ হোক, পৃথিবীর সামনে চিৎকার করে যেন বলতে পারি...ও শুধু আমার...ও শুধুই আমার।
১৬) : আমার না অফিসের কাজে একটুও মন বসছে না। কাজে ভুল করায় বসের বকাও খেয়েছি।
ধুর, আমার ইচ্ছে হয়, রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে শুধু তোমায় দেখি।
: আজ চুলোয় তরকারিটা চোখের সামনে পুড়িয়ে ফেলেছি। মনে মনে তোমায় নিয়ে কবিতা লিখছিলাম।
মা এসে বকুনি দিয়ে গেছেন।
১৭) : বাবা, বাজারের ব্যাগটা তো খুব ভারী। এতটা পথ আসতে তোমার কষ্ট হয় না?
: এ তো শুধুই বাজারের ব্যাগ, সংসারের তুলনায় এ কিছুই না।
১৮) মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকে, 'তুই' করে সম্বোধন করবার বন্ধুও তত কমতে থাকে।
১৯) : তুমি এমন অমানুষ, দৈত্যদানবের সাথে মেশো কেমন করে? ওরা তোমার ক্ষতি করবে না? আবার দেখলাম, তোমার জন্য মাদুর পেতে খাবার সাজিয়ে বসেও থাকে।
: ওদের মানুষ থাকার সময়ের গল্পটা আমিই জানি, ওদের কষ্ট আমিই বুঝি। ওরা আমার কিছু করবে না।
২০) : আপনি ভিলেন সেজে বসে আছেন কেন?
: আমি হিরো হতে গেলে বাকিদের ভিলেন হতে হতো, তাই।