১. অনুশোচনা? কীসের অনুশোচনা? তার জন্য যে হৃদয় লাগে! তাই জিজ্ঞেস করছি, তোমার আবার কীসের অনুশোচনা?
২. সুরার পেয়ালা ভেবে বিষের পেয়ালা হাতে তুলে নিই বার বার! হে ঈশ্বর! তুমিই বলো, কীসে আমার নিয়তি বাঁধা! বিষে? না কি সুরায়?
৩. তোমাকে ভুলতে মদ ধরলাম। এখন দেখছি, মদের ফোঁটায় ফোঁটায় শুধুই তোমার মুখচ্ছবি!
৪. যে মানুষটা হৃদয়ে বাঁচে, তাকেও কেন ক্লান্ত দু-চোখ কেবলই খোঁজে?
৫. তোমার প্রতীক্ষায় প্রতীক্ষায় চোখদুটো তো ক্ষয়েই গেল! এখন তোমাকে না পেলেও-বা কী হবে! ওই রূপ তো মনে লেপটেই গেছে!
৬. যা ছিল তোমার কাছে খড়কুটো, আমার কাছে তা-ই ছিল জীবন! তাই ভাসিয়ে দিতে পেরেছ যা তুমি, তা-ই নিয়ে আজও বেঁচে আছি আমি!
৭. তোমার মহত্ত্বের দিকে তাকিয়ে তোমার গোপন জীবনকে উপেক্ষা করতে শিখেছি কখন, জানো? যখন থেকে তোমায় ভালোবাসতে শিখেছি।
৮. তোমার মহত্ত্ব দেখে তোমায় ভালোবাসি না, তোমায় ভালোবাসি বলেই তোমার মহত্ত্ব দেখি।
৯. দূরে সরে থাকতে শিখিনি বলেই বলি না মুখে: ঠিকই দূরে সরেছি!
১০. গায়ে ধুলো মেখেই চললাম শুধু, হামাগুড়িটুকু দিতেও শিখলাম না আজও... হাঁটা তো অনেক দূরের কথা!
১১. যার নিয়তি তোমার হাতেই ন্যস্ত, তাকেও দূরে ঠেলতে কেন হচ্ছ এত ব্যস্ত?
১২. তোমায় পাবার পর নিজের ছায়াও দেখি না আর, সে জায়গায় তোমায় দেখি!
১৩. কেন এ হৃদয় ভেঙে কয়েক টুকরো সঙ্গে নিয়ে গেলে? তোমার ঘরে বুঝি আয়না ছিল না?
১৪. : তোমায় পেয়ে আমার শুধু কষ্টই বাড়ল! : আর আমি তো কষ্ট চিনলামই তোমায় পাবার পর!
১৫. তোমার ব্যথায় আমার পুরো ভাগ, আমার ব্যথায় তোমার শূন্য দাগ!
১৬. এত দুঃখ যদি দিলেই, প্রভু, তার ভাগ নেবার কেন মানুষ দিলে না?
১৭. সারারাত একা একা, যেন তোমার সঙ্গে আজও হয়নি আমার দেখা!
১৮. আগে প্রাণ ছিল, কিন্তু কোনও জীবন ছিল না; এখন জীবন আছে, কিন্তু কোনও প্রাণ নেই।
১৯. তোমার প্রেমে নির্লজ্জ হলাম এতই যে, এখন আয়নার সামনে দাঁড়াতেও লজ্জা লাগে!
২০. একই হৃদয়; অথচ তুমি আসার আগে ও পরে একদমই দু-রকমের!