ভাবনার বনসাই: এক-শো চল্লিশ

১. কর্ম করি যা,
ফেরত আসে তা-ই।




২. আত্মা যত কাছে,
ঈশ্বর কাছে তারও বেশি!
অথচ খুঁজছি তাঁকে
দূরদূরান্তের সীমানা ছাড়িয়ে...




৩. প্রতিদিনের জীবনের চেয়েও বড়ো
কোন সে সত্য?




৪. বদলে ফেলা যায় না যা-কিছু,
অথচ যায় না ফেলাও,
তাতে অভ্যস্ত হবার নামই জীবন।




৫. পেতে চেয়েও পাওয়া যায় না যা-কিছু,
তার উপর দাবি ছেড়ে দেবার নাম
ত্যাগ নয়, দুর্বলতা।




৬. আত্মা চায় যা-কিছু---
নিজের আত্মা কিংবা পরের,
তা-কিছু পাবার ও পেতে দেবার পথই হলো ধার্মিকতা।




৭. লাঙল টানে একজন,
বীজ বোনে আরেকজন,
ফসল তোলে অন্য কেউ।




৮. আত্মা যা চায়,
আত্মাকে তা দিতে না পেরে
পুরো পৃথিবীজয়েও আনন্দ কীসের?




৯. মানুষ তাকেই সবচাইতে বেশি ভালোবাসে,
যার নামে সে লিখে দিতে পারে...নির্দ্বিধায়
...তার যা-কিছু অর্জন কি সৃষ্টি।




১০. প্রখর মস্তিষ্ক ও সরল মন,
এই দুইয়ের চেয়ে বড়ো বিত্ত আর কী আছে!




১১. আলোর দিকে ছুড়লে ছাই,
চোখ কি তখন রেহাই পায়!




১২. হৃদয় যার ঘৃণায় পূর্ণ,
কোন সে মন্দিরে তার হয় পুণ্য!




১৩. ঘোড়সওয়ার যদি হাঁটতে চায়,
ঘোড়ার এতে দোষটা কোথায়?




১৪. নিজেকে না চিনেই
আমায় চিনতে এসেছ!




১৫. মানুষ ততটাই দেখে,
যতটা সে দেখতে পায়।
এর বাইরের সবকিছুকেই
সে দেখে সন্দেহের চোখে।




১৬. জীবনের কাছে আমরা নিজেকে মেলে ধরার আগেই
আমাদের কাছে জীবন নিজেকে মেলে ধরে।




১৭. মনের একেকটা বয়সে
জীবনের একেকটা ঈশ্বর।




১৮. পাই না যা প্রার্থনাতেও,
তা আমার নয়।




১৯. সে-ই দেখে সবচে' বেশি,
যে জানে, কী কী দেখেও দেখতে হয় না।




২০. প্রার্থনাতে যদি ঠোঁটই লাগত,
বোবাদের ঈশ্বর তবে কোথায় পালাত?