ভাবনা: তিনশো চুয়াল্লিশ
…………………………………
এক। শান্তিতে থাকাটাই তো বড়, তাই না? মহত্ত্বের পুরস্কার জীবন দিয়ে দেয়ই! পৃথিবীর সকল ভাল মানুষ ভাল থাকুক। ভাল মানুষদের প্রণাম জানাই।
দুই। মানুষটার সাথে অভিমান করে একা থাকা যায় দিনের পর দিনও, কিন্তু বিচ্ছেদে কিংবা মৃত্যুতে মানুষটা হারিয়ে গেলে একা থাকাটা খুব কষ্টের।
তিন। সবকিছুকেই যুক্তির সীমারেখা মেনে চলতেই হবে —- ব্যাপারটা অযৌক্তিক৷ ভালোবাসা যুক্তিতে চলে না, কিছু কিছু সম্পর্ক যুক্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে টিকে থাকে৷ প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সেতুবন্ধন কতটুকুই বা যুক্তিতে হয়! বেশীর ভাগ যুক্তিতেই থাকে হয় স্বার্থপরতা নতুবা স্বার্থসচেতনতা৷ যুক্তির গাঁথুনির সর্বজনীনতা তাই প্রশ্নবিদ্ধ৷ জীবনের সব হিসেব মিলে না, তাই সব দায় স্রষ্টার—জীবনবোধের এই একমাত্রিক উপলব্ধি মৃত্যুর সমান৷ আমার ধারণা, অন্তর্গত চেতনার কাছে যুক্তির অসহায়ত্বেই আত্মিক মুক্তি ঘটে৷
চার। গত ৩১/১০/২০১৫ তারিখ ক্যারিয়ার আড্ডাটি হয়েছিল রংপুরে,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওটা ছিল এখন পর্যন্ত আমার সবচাইতে বড় ক্যারিয়ার আড্ডা,সেখানে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
Disclaimer: মানুষের যে কয়েকটি অ্যাটিটিউড দেখে আমি এ জীবনে সবচাইতে বেশি বিরক্ত হয়ে এসেছি, সেগুলির মধ্যে একটি হল: ক্যারিয়ারিস্টিক অ্যাটিটিউড। তাই ‘ক্যারিয়ার আড্ডা’ নামটা দেখে এটাকে কোনোভাবেই ক্যারিয়ারিস্ট হওয়ার আড্ডা হিসেবে নেবেন না। এতে আমি যা বলতে চাই এবং যা বলতে চাই না, তা বুঝতে সহজ হবে। Job for life! NOT, Life for job!!
পাঁচ। During my journey from CUET to IBA, my cgpa descended to 2.73 from 2.74. It’s still consistent, na? If any PhD program were evaluated by grade and I undertook it, surely, I’d score 2.72! Dear juniors! Never follow my path. I’m the eleventh one out of the ten you can count, I can bet! ……. Who told you you can fly only when you score low?? To fly, you must have wings. To have wings is to be out of the comfort zone you always have felt like being in …….. Hope you can understand what I mean……. There was never, there is never and there will be never a correlation between your grade and your achievement. 85% of the high achievers in the world were never academically sound (if we judge the soundness by cgpa). So, don’t lose your heart if you have already lost all the possibilities of scoring a so-called good cgpa. Believe in your worth and do something so that the world can believe in your worth as well. Nevertheless, of course it doesn’t undermine the charm of scoring a handsome cgpa…..!! You can soar high despite having a poor cgpa surely doesn’t mean to soar high you must have a poor cgpa, or you can’t soar high if you don’t have a poor cgpa!! Soaring high is all about your 95% personal charisma and 5% luck.
ছয়। আমাদের এই জীবন, যাকে নিয়ে আমরা দিব্যি আছি, তা কিছু সাহসী মানুষের দেখা স্বপ্ন। জীবনটা একরকম অনুবাদ, সেটাকে উপভোগ করার সময়-ই হয়তো মহান পাণ্ডুলিপিস্রষ্টাদের হয়না কখনোই। স্বপ্নে-দেখা জীবনটাতে ক’জনই বা বাঁচতে পারে? ওরা মরে গিয়ে বুঝিয়ে দেয় কী প্রচণ্ডভাবেই ওরা বেঁচে থাকে! আমাদের বাঁচাতেই যারা বাঁচতে ভুলে গিয়েছিলো, সেইসব মহান জীবনশিল্পীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। শুভ বিজয়। (২০১৩ সালের এই দিনে স্ট্যাটাসটা দিয়েছিলাম। এক প্রিয় বন্ধু সংগ্রহে রেখেছিল।)
সাত। রাস্তায় বাধা আসা মানেই কিন্তু রাস্তা নেই, তা নয়। বরং এর মানে, অন্য রাস্তা ধরতে হবে! এখুনি!! স্বপ্নছোঁওয়ার জন্য যে জীবনবাজি রাখে, তাকে ভয় দেখানো সম্ভব নয়।
আট। If you’re not thinking about your dream, you’re not thinking at all.
নয়। In life two things are needed: Patience to become successful . . . & Tolerance to others’ jealousy when success comes.
দশ। Things are that they’re. Things will be that they will be. And, between this two there lies some miracles that we’re never aware of. And, miracles are often stranger than facts. Facts are because they’re. Miracles are because we or someone else want them to be. That’s the truth!
এগারো। Sometimes your luck matters much more than your performance.
Excuses are of no use. If you win, you need not show them. If you lose, you should not show them.
The game is always ON. So . . . . . . . JUST PLAY!
বারো। আপনার পছন্দের কষ্টের বাংলা গান শেয়ার করুন। শুরুটা আমি করছি: জগন্ময় মিত্রের ‘তুমি আজ কতদূরে…….
তেরো। যে সুখ পয়সা দিয়ে কেনা যায় না, সে সুখের দাম সবচাইতে বেশি।
চৌদ্দ। মারমেইড ক্যাফে। সাগরপাড়ের শেষ সীমানায়। বালুতটে কিছু নৌকা। ওদের আজ ছুটি বোধ হয়। আশেপাশের সবুজ গাছগুলো শুধুই ঠিক সবুজ নয়। ওদের দেখাচ্ছে আরো অনেক রঙে। রঙগুলো জীবনের। ঠিক এই মুহূর্তে জীবনটা যেমন আর কী! স্লো রিদমে বেজে চলা স্প্যানিশ মিউজিক যেনো কী এক মোলায়েম মোহনীয় সুরে একটু দূরের সেই পাহাড়গুলোকে ডেকে চ’লেছে যারা সাগরতীরের ঢেউগুলো থেকে দূরে স’রে আছে অথবা গেছে সেই অভিমানে যে অভিমানে প্রেমিক চিরতরে প্রেমিকার কাছ থেকে দূরে স’রে যায় এমনকি একটা দীর্ঘতৃষিত চুম্বনের তোয়াক্কা না ক’রেই। চারপাশের সবকিছু যেনো ঠিক তেমনই যেমনভাবে আমি জীবনটাকে সবসময়ই চেয়েছি। জীবনের এই অপার সৌন্দর্য্যে অভ্যস্ত হ’য়ে যেতে ইচ্ছে ক’রছে খুউব। অন্য সবকিছু ভুলে।
I want someone to live with, to live for, to die with, to die for! My best Cox’s Bazar tour ever! I just feel like dying! I’m just lost in Nature’s lap! What is this life if full of care, / We have no time to stand and stare! The whole universe is ready to give when we are ready to receive! Life is so beautiful.
ওয়ান্ডারফুল মোমেন্টস্ উইথ ফ্যামিলি। আই ওয়ানা লিভ বিফোর আই ডাই।
ভাবনা: তিনশো পঁয়তাল্লিশ
…………………………………
এক। : দোস্তো, তুই আমার কথাটা শোন, আমি কলেজছুটির পর তোকে লিফট দেবো, তোর বাসায় আমার গাড়িতে করে নামিয়ে দিয়ে আসব।
: ধুরর্ ব্যাটা! রাখ তোর লিফট! তোর বাপের গাড়িতে তো আমি উঠবই না, নামাবি কীভাবে?
আমার ছোট্ট ফ্রেন্ড / ফ্যান / ফলোয়াররা, This is the attitude! তোমার বন্ধুর বাবার টাকায় শুধু ওকে চলতে দাও, তুমি চলো না। জীবনে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে অল্প বয়সেই মাথা নিচু না করে চলাটা শিখতে হয়। প্রয়োজনে না খেয়ে থাকবে, তবুও কারোর বাবার পয়সায় কখনোই একটা বার্গারও খাবে না যদি ওকেও আরেকদিন একটা বার্গার খাওয়ানোর ক্ষমতা কিংবা সুযোগ তোমার না থাকে। দাদার নামে গাধা, বাপের নামে আধা, নিজের নামে শাহজাদা। আর পরের বাপের নামে তো মহাগাধা! জীবনে যা-ই কর না কেন, পেছনে হাত দিয়ে দেখে নাও মেরুদণ্ডটা ঠিক জায়গাতে আছে তো? রেস্টুরেন্টে বসার আগেই দেখে নাও পকেটে বিল দেয়ার পয়সা আছে কিনা। যে তোমার বিল দেয়, চকোলেট কিনে দেয়, গাড়িতে লিফট দেয়, শপিং করে দেয়, মোবাইল ফোনটা ব্যবহার করতে দেয়, সে কিন্তু তোমাকে আস্তে আস্তে কিনে নেয়। একবার আত্মসম্মানবোধ বিকিয়ে দেয়ার বদ অভ্যাস করে ফেললে জীবনেও আর কোনদিন বড় হতে পারবে না। বাজি ধরে বলতে পারি, ইচ্ছেটাও নষ্ট হয়ে যাবে। জীবনে শেষ হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যেও না। শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও হলেও চেষ্টা করে যাবে। মাথা নত করে বাঁচার চাইতে মৃত্যুবরণও শ্রেয়। প্রাণ থাকতে কখনোই কারোর কাছে মাথা নত করবে না, কারোর পা চেটে চলবে না, সে ব্যক্তি যে মহারাজাই হোন না কেন! এ অভ্যাসটা করতে হবে অল্পবয়সে। নিজের বাবাকে আরেকজনের বাবার কাছে প্রাণ গেলেও ছোট হতে দিয়ো না। একদিন তোমার বাবা আর তোমাকে চালাতে পারবেন না। সেদিন তোমাকে পৃথিবীর মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। পেছনের মেরুদণ্ডটা না থাকলে দাঁড়াবে কীভাবে?
দুই। কোনওকিছুই মনের মত হচ্ছে না? সবকিছুই out of control মনে হচ্ছে? ভাঙচুর শুরু করতে ইচ্ছে করছে? I quit! I quit! I quit! বলে গলা ফাটিয়ে চ্যাঁচ্যাঁতে ইচ্ছে করছে?
আহহহহহহ্ Wait, Boss! প্রয়োজনে রুমের দরোজাজানালা বন্ধ করে ফুল ভলিয়্যুমে হার্ডরক ছেড়ে চিৎকার করে বেসুরো গলায় গাইতে থাকুন, পাগলের মত নাচতে থাকুন! নিজেকে টায়ার্ড করে দিন, নিঃশেষ করে ফেলুন শক্তির প্রতিটি কণা, ধপাস্ করে বিছানায় পড়ে মড়ার মত একটা সেই ঘুউউউউম দিন! তবুও ছেড়ে দেবেন না! এই আর একটু………ধরে রাখুন! God must have a master plan for you! Wait patiently for that! সামনে ভাল কিছু আসছে। Get prepared to grab that!
তিন। Behind every great success, there are some compromises. Your success is what you’ve earned, not what you deserve. Success can never be deserved. Only the failures and vindictive people try to judge you only by the things you gave up for achieving the other ones and undermine your success. Not always you can choose your path, sometimes you’re to accept it. What matters is whether you like it or not. Success is having one side compromising another one in such a way that makes the end happy. Yes, that’s it! The value of anything is the price we’re ready to pay for it or we’re attributing to it. Any set rules? Sorry boss!
চার। আমাদের বাবা-মা’দের জিজ্ঞেস করছি, আচ্ছা, পৃথিবীর সেরা কিংবা সফল মানুষগুলো কি সবাই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার? মেডিকেলে কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স না পেলেই কি জীবন শেষ হয়ে যায়?
জীবনের এতোটা সরলীকৃত রায় দিয়ে দেয়ার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?
আপনার সন্তানের কাছে আপনার চাওয়াটা হতে পারে, যাতে সে সুস্থ শরীরে হাসিখুশি মনে বেঁচে থাকে। দয়া করে ওদের সাথে এমনকিছু করবেন না কিংবা ওদেরকে এমন কিছু বলবেন না, যেটা ওদেরকে নিজেদের সম্মান করতেই ভুলিয়ে দেয়।
যে নিজেকে সম্মান করে, সে কখনোই চিরদিন নিজেকে ছোটো করে রাখবে না। বড় সে হবেই হবে!
সেরা প্রতিষ্ঠানে পড়া নয়, বরং নিজের অবস্থান থেকে সেরা কাজটা করে দেখানোই কৃতিত্ব। সেরা প্রতিষ্ঠানের কাজ কী? সেরা মানুষটা তৈরি করা, এইতো? বরং ওকে এই বিদ্যেটা শিখিয়ে দিন। ওদের উৎসাহ দিন। এতে ওদের মধ্যে দায়িত্ববোধ বাড়ে। আপনার মুখ যদি কেউ উজ্জ্বল করে সেটা আপনার নিজের সন্তানই করবে, অন্য কারোর সন্তান নয়।
ভার্সিটি স্টুডেন্টদেরকে বড় করে না, স্টুডেন্টরাই ভার্সিটিকে বড় করে।
পাঁচ। And sometimes, no matter to whatever extent your heart aches, you’ve to accept the redefinition of friendship when your close friend redefines it, as not always, once a close friend, a close friend forever. You’ve a good soul for someone doesn’t necessarily mean they must have that good soul for you in return. Accept it. Maybe, this is life. Still pray for them as having good wishes for others makes you feel happy. Keep happy, stay happy.
ছয়। কিছু লোক কখনোই আপনার কোনো ঠিক কাজেরই প্রশংসা করেন না, কিন্তু সবসময়ই আপনার ভুল কাজের নিন্দা করেন৷ ওদের পাত্তা কম দেয়াই ভালো৷ প্রশংসা করতে পারার মতো উদারতা ছোটোলোকদের থাকে না৷ নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো৷ ভালো কথা৷ তবে যে নিন্দুক আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়, তাকে ভালোবাসাবাসির কিছু নাই৷ এতো কেয়ার করার টাইম আছে নাকি? জীবনটা আপনার৷ আপনি কী নিয়ে থাকবেন, কী নিয়ে থাকবেন না, এটা ঠিক করার সবচে’ নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি আপনি নিজেই৷ সাফল্য কী? আফসোস ছাড়া বেঁচে থাকাই সাফল্য৷ আর কিছু না৷ নিন্দা করা তারেই সাজে, প্রশংসা করে যে৷
সাত। যে ভাগ্য রক্তে গড়া নয়, সেটি ভাগ্য নয়, করুণা। করুণায় বাঁচার চাইতে মৃত্যুও শ্রেয়।
আট। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ভূতপূর্ব উপাধ্যক্ষ মহোদয় এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহোদয়-এর আকস্মিক অনুরোধে ইংরেজি বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আজ দুপুরে কিছু কথা বললাম। বড় সুখ পেলাম। কুড়িগ্রামে আজ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে। অনেক স্টল বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছে। ছোট ভাইদের সাথে আড্ডা দিলাম, ঘুরলাম, খাওয়াদাওয়া হল, কিছু বই কিনলাম (লোভ বাড়াতে বইয়ের ছবি দেখুন), কিনে দিলাম, আনন্দ ঘরে আনলাম। বইকেনা প্রার্থনার সমান শান্তি দেয়। বইমেলা উপলক্ষে রকমারি’তে এপার আর ওপার বাংলার দেড়শ বই অর্ডার করেছি। হাতে পাওয়ার অপেক্ষায়…….
ভাবনা: তিনশো ছেচল্লিশ
………………………………………
এক। Life is a bridge connecting birth & death. Marriage is a bridge connecting death & death.
দুই। আহা, বাবা কত সহজসরল একজন মানুষ! কথা বললেই কেমন যে শান্তি লাগে! সারাদিনের ক্লান্তি এক নিমিষেই কোথায় যেন চলে যায়! কত আদর করেন, কত আশীর্বাদ করেন! খোঁজখবর নেন। কোনও ব্যাপারেই কোনও অভিমান নেই, কারও প্রতি কোনও অভিযোগ নেই। সবাই যেন ভাল থাকে, এটাই তাঁর একমাত্র প্রার্থনা। অসম্ভব সহজ দর্শনের একজন নিখুঁত ভদ্রলোক। ঠাট্টা করলেও অতো বোঝেন না। মুগ্ধ করার মত সারল্য নিয়ে কথা বলেন। নিজে এতো অসুস্থ, তবু তাঁর সব চিন্তা আমার ভালথাকা নিয়ে! বাবাকে ভাবলে কত মায়া লাগে, বুকের মধ্যে ভালোবাসা জন্মায়। বেঁচেথাকার অসীম ইচ্ছা আর শক্তি জাগে। হে ঈশ্বর, বাবাকে আমার পরে নিয়ো। একটাই প্রার্থনা, আমার মা আর বাবা ভাল থাকুক। তাহলেই আমরা দুইভাই ভাল থাকব।
তিন। আমার চোখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মালায়ালাম মুভি মোহনলাল অভিনীত দৃশ্যম (২০১৩)। আপনার চোখে? তামিল সিনেমার আইকনিক গুরু যেমনি কমল হাসান, তেমনি মালায়ালাম সিনেমার মোহনলাল। এই দুইজনের অভিনয় যতটা না দেখার, তার চাইতে বেশি অনুভব করার। কমল হাসানের পুষ্পক, আনবে ছিভাম, নায়াকান, থেবার মাগান দেখলে বুঝবেন কমল হাসান কী জিনিস! সুযোগ করে এমন কিছু মুভি নিয়ে লেখার ইচ্ছে থাকল।
চার। অসম্ভব রকমের মুগ্ধতা নিয়ে চার্লি (২০১৫) মুভিটা দেখলাম। মালায়ালাম মুভি। যাদের হুমায়ূন আহমেদের হিমু চরিত্রটা ভাল লাগে, তারা চার্লির প্রেমে পড়ে যাবেন! এতটা ধরে রাখতে পারে, এমন মুভি বেশি তৈরি হয়নি বলেই জানি! এই মুভি আপনি কেবলই দেখতে পারবেন না, আপনি এই মুভি অনুভব করবেনই! অদ্ভুত এক ভাললাগা আর মোহ কাজ করছে এখনও!!!
পাঁচ। একজন জেদি অহংকারি স্ত্রীর কাছে প্রিয় মানুষের মৃত্যুর চাইতেও তার জেদ আর অহংকার রক্ষা করা বড়।
ছয়। প্রায়ই, প্রেয়সীর সাথে কথা বলার চাইতে মশার ব্যাট দিয়ে মশা মারা অধিক স্বস্তিদায়ক। অন্যকে নিষ্ঠুর হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার চাইতে নিজে নিষ্ঠুর হওয়ার সুযোগ নেয়াই তো আরামের, তাই না? বেশিরভাগ মানুষই নিষ্ঠুরতাপ্রিয়। প্রেয়সী ওর জায়গায় ঠিক, আমিও আমার জায়গায় ঠিক।
সাত। আজকের কাপল, আগামী দিনের সিঙ্গেল। পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই, আছে শুধু ভালোবাসা দিবস। শুভ বিচ্ছেদ-প্রতীক্ষা দিবস।
আট। ভার্চুয়াল লাইফে ওরা তোমার পোস্টে অকারণে দৃশ্যমান হাহা রিঅ্যাক্ট দিচ্ছে তো দিক না!
রিয়েল লাইফে তোমার পোস্ট ওদের সকারণে অদৃশ্য হাহা রিঅ্যাক্ট দেয় যেন সে পথে হাঁটো না!
এ অদৃশ্য যে বড় সুদৃশ্য, ভায়া! ভার্চুয়ালে মারে হাতি, রিয়েলে খায় লাথি! ফুটানি মারতে বিরানি, খিদে পেলে পানি, অনলাইন হিরো, অফলাইন জিরো! ফেসবুকে নাড়ো পাছা? ব্যাটা হলে বুক ফুলে সামনে দেখি আসো বাছা!
নয়। প্রিয় মানুষের খুশির জন্য সিগারেট ছাড়লে সিগারেট খাওয়ার সময়ে যে শান্তি পাওয়া যেত, তার চাইতে বেশি শান্তি পাওয়া যায়।
দশ। একই ভুল বারবার করে অনুতপ্ত হওয়া ন্যাকামি ছাড়া আর কিছু নয়। কখনও, ভুল করার সুখ পেতেই লোকে অনুতাপকে সাইনবোর্ড বানায়। এমন দুর্বলতা মানুষকে কপট করে দেয়।
এগারো। সকল কথায় চতুর, কাজের বেলায় ফতুর,
পেশীর গরমে জ্বালায়, ঘিলুর শরমে পালায়!
বারো। যিনি মুখ ফিরিয়ে নিলে আমার মুখভার হবে, তার সাথে কিংবা তার সম্পর্কে তো আর মুখে যা-ই আসে তা-ই বলা যায় না, তাই না?
Judge me once, I’ll gag you forever.
তেরো। যোগ্য হওয়ার প্রথম ধাপ—অযোগ্য প্রমাণিত হওয়া।
চৌদ্দ। বিবাহিত পুরুষ দুই সময়ে একাকিত্ব অনুভব করে: নিজের স্ত্রীকে দেখলে, আর সুন্দরী পরস্ত্রীকে দেখলে।
পনেরো। সবসময়ই নিজের কষ্ট মার্কেটিংকরা লোকগুলো ক্রমেই অন্যদের চোখে যে কতটা বিরক্তিকর ও ব্যক্তিত্বহীন হয়ে পড়ে, তা তারা নিজেরা কখনও বুঝতে পারে না।
ষোলো। A man can never forget 2 things even in his old age:
The wealth he didn’t spend
The girl he couldn’t date
সতেরো। সেই দুর্ভাগ্য মেনে নেওয়া সবচাইতে কঠিন, যে দুর্ভাগ্যের জন্য আমি নিজেই দায়ী।
আঠারো। Only four things motivate me to give you time:
Pleasure of any type
Money or Benefit of any type
Obligation of any type
Emotional attachment of any type
If you can’t give me any of the above 4 factors, never expect time from me. Your problems are only your problems, not mine. Trust me, I really don’t care until and unless I don’t feel motivated. You must buy my time with any of those coins. Even if I’ve free time that I can give you, why should I give you it? Why should I give you even 5 seconds? Rather, I’ll be busy sleeping. Problem? It’s my life and only I decide how to use or abuse it. My time is my life. Who are you to claim it? First deserve, then claim. I’m selfish? Huh! Well, people are of 2 types: Selfish & Liars
I’d a few gurus in my early age. They gave me time not for me but for my knowledge. I learnt from them, they learnt from me. It was a two-way traffic. They derived pleasure from communicating with me. I made them happy, they made me happy. I knew very well that they weren’t bound to give me time. I also knew very very very well that I badly needed their time as they’d many things to learn from. So, I shaped and reshaped myself in a way that made them give me time. And, I successfully could make them give me time.
Time is the most valuable thing you can give someone. If you give it to a person who has nothing to learn from, you’re a fool. Only stupids date stupids. Dating a stupid can never make you wise. Being alone is far better than being with a stupid. Time is precious. Don’t expect it free of cost. If you expect someone to give you what you need, be ready to give them what they want. You can never spend time with someone you need to spend time with in your own way. Be ready to be as they want you to be if you really need their time. Or, just don’t disturb them. Simple! Buying time is an art. He who can give it free has nothing that can help you move forward. Be ready to pay the price. Often, things money can’t buy are the most valuable things on earth. Learn to discover the price money can’t pay. Be smart, be logical.
উনিশ। সবকালেই, অসুন্দররা সুন্দরদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে। ওতে অবশ্য অক্ষমের ক্রোধপ্রকাশ ভিন্ন তেমন কোনও কিছু হয় না।
বিশ। জেরা করলে ভালোবাসা নয়, বিরক্তি বাড়ে।
ভাবনা: তিনশো সাতচল্লিশ
………………………………………
এক। শুনলাম, ছলেবলে কৌশলে কোনওরকমে নিজেকে কোনও সেলিব্রিটির ফ্রেন্ডলিস্টের শোপিস করে ফেলতে পারলেই নাকি স্বর্গের অগ্রিম হিরের টিকেট কনফার্ম! কথাটা কি সত্যি? ফেসবুক ফ্রেন্ডশিপ নাকি এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে টাইপ ফ্রেন্ডশিপ!
দুই। অনেকেই রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিতব্য ক্যারিয়ার আড্ডার এন্ট্রি কুপন সংগ্রহ করতে পারেননি। তাই তাঁদের মন খারাপ।
অনেকেই কুপনটি সংগ্রহ করতে পেরেছেন, এবং হয়তোবা আশা করছেন, বিসিএস/আইবিএ নিয়ে অনেককিছুই সেদিন জানতে পারবেন। তাই তাঁদের মন ভাল।
দুই দলের উদ্দেশ্যেই কিছু কথা বলছি:
এক। আমি সেদিন মূল আড্ডায় বিসিএস পরীক্ষা/ঢাকা ভার্সিটির আইবিএ’র এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে কিছুই বলব না। ক্যারিয়ার আড্ডার বেশিরভাগ কথাই বিভিন্ন সময়ে বলা কথার পুনরাবৃত্তি। তাই খুব সহজেই ইউটিউবে আমার ব্যক্তিগত চ্যানেল থেকে ৬-৭ ঘণ্টা ব্যয় করে আড্ডাগুলি শুনে নিতে পারেন। এর মানে, আড্ডায় না এলে যে তেমন কিছু মিস হয়ে যাবে, এমন নয়।
দুই। ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে এখনও পর্যন্ত বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে আমি আর নতুন কোনও লেখা লিখিনি। তাই বিসিএস পরীক্ষার সাম্প্রতিক সময়ের প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। এটা মাথায় না রেখে আড্ডায় এলে আমি বিপদে পড়ে যাব!
তিন। যতদূর জানি, বিসিএস নিয়ে আমার চাইতে বেশি এখনও পর্যন্ত কেউ লেখেননি। আমার সব লেখা একসাথে জড়ো করে পিডিএফ ফরম্যাটে (Vrinda ফন্টে টাইপকরা, ফন্ট সাইজ ১২, মোট ৬৯ পৃষ্ঠা) রাজশাহী ক্যারিয়ার ক্লাবের বর্তমান সভাপতিকে আমি পাঠিয়ে দিয়েছি। উনি সেগুলিকে প্রিন্ট করে কলেজ ক্যাম্পাসের নিকটবর্তী কোনও ফটোকপির দোকানে রেখে দিলে আগ্রহীরা সেখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
চার। যাঁরা কেবল বিসিএস পরীক্ষা/ঢাকা ভার্সিটির আইবিএ’র এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে জানতেই ক্যারিয়ার আড্ডায় আসতে চাইছেন, তাঁরা কষ্ট করে আড্ডায় না এসে ওই বুকলেটটি সংগ্রহ করে নিলেই যথেষ্ট। এতে আপনার কিছু আগ্রহী বন্ধু আড্ডায় থাকার সুযোগ পাবেন। (আয়োজকদের অনুরোধ করছি, এমন কিছু ফাঁকা আসনে অন্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিন।)
পাঁচ। আমি মূল আড্ডায় বিসিএস পরীক্ষা/ঢাকা ভার্সিটির আইবিএ’র এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে কিছু না বললেও আড্ডাশেষের প্রশ্নোত্তর পর্বে আপনাদের নানান প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। আমার মনে হয়, আড্ডায় আসার আগেই বুকলেটটি সংগ্রহ করে সেটি একটু নেড়েচেড়ে দেখলে বিসিএস/আইবিএ নিয়ে প্রশ্ন করতে আপনার সুবিধে হবে।
৩ ফেব্রুয়ারি দেখা হবে, আড্ডা হবে। গল্প বলব, গল্প শুনব—জীবনের গল্প।
আনন্দে থাকবেন।
তিন। শুভ জন্মদিন, বাবা
মজার ব্যাপার, গতকাল ছিল আমার শ্বশুর মহাশয়ের জন্মদিন। অথচ, আমি যতদূর জানি, এ দুইজনেরই জন্ম আমার বিবাহ (=বিপদ বাড়ানো হল)-এর আগে! অতএব, এটা নিছকই কাকতালমাত্র!
চার। মরমু বইলা করমু না, বাঁচলে তয় খামু কী!
জোয়ানকালে খাইল পোলা, বুড়াকালে দেখল ঝি!
পাঁচ।
: তুমি আমার সামনে সাজো না কেন? তোমাকে নিয়ে কোথাও গেলেও অতো সাজো না। কিন্তু কেন?
: সারাদিনই তো তুমি বাইরে থাক, তোমাকে আমি সারাদিন কাছে পাই না। সন্ধ্যায় যখন ফেরো, তখনও যদি সাজতেসাজতে সময়টা শেষ করে ফেলি, তাহলে তো রাত হয়ে যাবে, তুমি ঘুমিয়ে পড়বে, সকাল হতেই আবার অফিসে ছুটবে। আমার তো খুব তোমার কথা শুনতে ইচ্ছে করে, তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করে, তোমার সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করে। আমি তোমার সামনে কম সেজে সময় বাঁচাই, আর সেই সময়টা তোমাকে দিই।
ছয়। The more you become matured, the more you learn to hide your pains.
সাত। শুনছি ঋধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ডি এল রায়ের সে কেন দেখা দিল রে। গানের কথাগুলি কত ধ্রুব, স্মৃতিজাগানিয়া, আদরের, আফসোসের……. ভাবাই যায় না! কোনও এক ক্ষণিকাকে মনে পড়ছে যে এখন অন্যঘরে……… সে কেন দেখা দিল রে? না দেখাই ছিল যে ভাল! (সেইসব ছাগল কমেন্টথ্রেডে সাদরে আমন্ত্রিত যারা আমার পোস্ট পড়ে আমার ব্যক্তিগত জীবনের ব্যবচ্ছেদ শুরু করে দেন সোৎসাহে অনধিকারীর মূঢ়তায়। ছাগ্লামি বিনোদনোদ্দীপক!)
ভাল কথা, এ গানের মূল শিল্পী কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়। অতুলপ্রসাদী শিল্পী বাবা হরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধু দ্বিজেন্দ্রলালের ছেলে দিলীপকুমার রায়ের কাছ থেকে তিনি দ্বিজেন্দ্রগীতির শিক্ষা পেয়েছিলেন। মূল গানটিও শুনে দেখতে পারেন, ইউটিউবে আছে।
আট। শুনলাম নায়ার নূরের কণ্ঠে অ্যা জাজবা-এ-দিল। দুই হাজার সাত কি আট সালে গজলটা শেষবার শুনেছি। আজ গজল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার সময় গানটা পেয়ে গেলাম। এই পুনঃআবিষ্কারের আনন্দ লিখে বোঝানো যাবে না। বড় ভালোবাসার গান এ গান। সে সময় যে কত হাজারবার এমন কিছু প্রিয় গান বারবার শুনেশুনে সুখ খুঁজে নিতাম! এখনও মনে পড়ে, এ গান শুনতাম আর নায়ারা নূরের প্রেমে হাবুডুবু খেতাম। আহা! যদি হিন্দি আর উর্দু শিখতে পারতাম!
নয়। আহা, ফরিদা খানমের কণ্ঠে আজ জানে কি জিদ না কারো! কাল থেকে অন্তত ত্রিশবার শুনলাম। আহা, কী যাদু এ গানে! কখনও পুরনো হয় না। কত মধুরভাবে প্রিয়কে থাকতে বলছেন! এমন করে কেউ বললে সারাজীবনেও পাশ থেকে এক চুলও নড়তাম না! আর আমাদের বজ্জাত বউগুলা ক্যাম্নে থাকতে বলে? …………….তুই থাকবি কি না বল! হায়! কেন প্রেম গান থেকে জীবনে আসে না?
দশ। আজকে দারুণ ফুর্তি করো, কালকে নাহয় খেটে মরো!
বাঁচবেই কাল—গ্যারান্টি কী তার? বাঁচার যেটুক, আজই বাঁচো!
কাল যদি সত্যি মরো, জিতবে তুমি, হারবে জীবন!
আর যদি বেঁচেই থাকো, জিতবে জীবন, হারবে তুমি!
থাকলে হায়াত মরবে তুমি, ফুরোলে হায়াত বাঁচবে তুমিই!
হায়াতের খোঁজ—কে জানে তা! খেললে জুয়া হায়াত নিয়ে—হয় কেঁদে বাঁচবে সারাজীবন, নয় হেসে মরবে এই এক্ষণ!
নিয়তির দায় হায়াতে মেটায়—জ্ঞানী সেজন!
হায়াতের দায় নিয়তিতে মেটায়—মূর্খ কেমন!
এগারো। Perfect by Ed Sheeran!! Ahhhhh…………..I’m in love with it!!!
বারো। অযোগ্যদের হাতে যখন অনেক টাকা থাকে, তখন তারা একসময় বিশ্বাস করতে শুরু করে, যোগ্যতা ও যোগ্য ব্যক্তি—দুইই কেনা যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বাংলাদেশে ওদের এই বিশ্বাস প্রায়ই সত্য বলে প্রমাণিত হয়।
তেরো। হুমায়ূন আহমেদ চলে গেলেন, আর অমনিই লোকে হুমড়ি খেয়ে বিসিএস পরীক্ষার গাইড/ রেফারেন্স বই পড়তে শুরু করল। এখন যাঁরা লিখছেন, তাঁদের চাইতে বিসিএস গাইড লেখকরা ভাল লেখেন হয়তো!
চৌদ্দ। Shape of you! Let’s dance with Ed Sheeran—the name of a pleasant magic!!
পনেরো। গুলজারের Woh Shaam Kuch Ajeeb Thi! একজন গুলজার পৃথিবীতে না এলে পৃথিবীটা খুব গরীব হয়ে যেত!
ভাবনা: তিনশো আটচল্লিশ
………………………………………
এক। মন্দ প্রজার মন্দ রাজা, মন্দ পড়ার মন্দ লেখা।
দুই। আহা, পৃথিবীটা কত সুন্দর, আর লোকে কিনা বিয়ে করে ফেলে!
তিন। ভাই, অ্যাত্তোগুলা হ্যাপি নিউ ইয়ার টু থাউজেন্ড এইটিন দিয়া জাতি কী করিবে? এইসব ভার্চুয়াল মূল্যহীন ঘোড়ার আণ্ডার বদলে নগদ ২০১৮ টাকা করিয়া জাতির অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট করিয়া দিলে জাতি এমনিতেই আসছে বছরে ব্যাপক ভাল থাকিত! বাই দ্য ওয়ে, আজকের থার্টিফার্স্ট নাইটে আপনি কী করবেন? আমার প্লান, আমি যে দুইটা কাজ সবচাইতে বেশি আত্মবিশ্বাসের সাথে করতে পারি, তার একটা করে থার্টিফার্স্ট পেরুবো—লিখব। (বাকিটা করার উপায় নেই, তাই!)
চার। বি বা হ = বিপদ বাড়ানো হল আমার মতে, এটাই বিয়ের সবচাইতে বাস্তবানুগ অকপট ধারণা। এটার সোর্স আমার জানা নেই। নেটে খুঁজেছি, পাইনি। কেউ এই অ্যাক্রোনিমের আবিষ্কর্তা কে, জানতে পারলে এই অধমকে অনুগ্রহ করে জানাবেন।
পাঁচ। কিছু লোকের কাছে খারাপ হওয়া না-শিখলে জীবনে ভালোথাকাটা অসম্ভব। যে সবার চোখেই ভালো, তার চাইতে দুঃখী মানুষ আর হয় না।
ছয়। নারী পুরাতন হয়ে যায়…….পুরুষ হয় না বুঝি? দেখছি ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘অসুখ’।
সাত। যারা সত্যিই অনেক খেটে পড়াশোনা করেছে, যাদেরকে তাদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে, যারা তাদের শ্রম ও চেষ্টার প্রতি আন্তরিক ছিল, যারা প্রস্তুতির পেছনে যথেষ্ট সময় দিয়েছে, তারা যেন বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, সে প্রার্থনা করছি।
আট। কিছু মেয়ে ছ্যাঁচড়া ছেলেরা বিরক্ত করে বলে বিরক্ত হয়। কিছু মেয়ে কৌশলে বিশেষ কারও বিরক্তিকে আমন্ত্রণ করে আনে, এরপর প্রকাশ্যে চ্যাঁচাতে থাকে—আমি বিরক্ত, আমি মহাবিরক্ত!
নয়। মান্না দে’র অপূর্ব কণ্ঠে যে ক্ষতি আমি নিয়েছিলাম মেনে। বাবার বড় প্রিয় গান। অন্তত এক যুগ পর শুনলাম এই আশ্চর্য সুন্দর গানটি। আমার গানের পৃথিবীর এই ঈশ্বরকে আবারও প্রণাম। বন্ধু শোয়েব একটু আগে গানটি মনে করিয়ে দিল। শিল্পের রাস্তায় সমরুচির কারও হাত ধরে হাঁটা খুব সৌভাগ্যের ব্যাপার। তিনটি জিনিস মানুষ কখনও বিস্মৃত হয় না। ঘ্রাণ। কণ্ঠস্বর। সুর। আজ নতুন করে প্রমাণ পেলাম।
দশ। দশ ডজন আকামের ফেসবুক ফ্রেন্ড অপেক্ষা এক ডজন মজেযাওয়া সাগর কলাও উত্তম—অন্তত চটকে ভর্তা করে পিঠা বানিয়ে খাওয়া যায়।
এগারো। মা-বাবা’কে ওদের জেদগুলি পূরণ করতে দিন। আপনি আপনার জেদগুলি পূরণ করার সময় হয়তো পাবেন, কিন্তু উনারা পাবেন না। একসময় আপনি হাজার চাইলেও উনাদের জেদ পূরণ করতে দেয়ার সুযোগই আর পাবেন না। সেদিন আজকের কথা মনে করে খুব কান্না পাবে, আফসোস হবে। কী দরকার, বলুন! উনাদের একটু জিততে দিন না! সারাটি জীবন ধরে উনারা তো আপনাকে জিতিয়ে দিয়েই এসেছেন, তাই না? উনাদের জিতিয়ে দিন। একটু নাহয় অনর্থ হবে। হোক না! হারজিতের কষ্ট কিংবা সুখের অনুভূতির তীব্রতা মুহূর্তের। ভালোবাসার মানুষের কাছে পরাজয়ের সুখ জয়ের আনন্দের চাইতে অনেক বেশি। প্রায়ই মনে হয় না, আপনার মা-বাবা আপনাকে বোঝেনই না? একটা সময়ে হয়তোবা অনুভব করবেন, উনাদের চাইতে বেশি আপনাকে কেউই কখনও বোঝেননি। আর বুঝবেনও না। নিজেকে বোঝার মানুষ না পাওয়ার কষ্ট অসীম। যে আপনাকে বুঝতে পারে, তাকে একটু জিততে দিলে কী আর এমন ক্ষতি হবে? জীবনে চলার পথে কত আজেবাজে লোকই তো জোর করে জিতে যায়! আমরা চুপচাপ তাকিয়ে থাকি, কিছুই করার থাকে না।
বারো। রাঁধুনি বউ দুই রকমের হন। এক। রাঁধতে ভালোবাসেন, তাই বরকে মজারমজার রান্না করে খাওয়ান। দুই। বরকে ভালোবাসেন, তাই বরকে মজারমজার রান্না করে খাওয়ান।
আর রাঁধুনি বর এক রকমেরই হন। রাঁধতে ভালোবাসেন বলেই বউকে মজারমজার রান্না করে খাওয়ান।
তেরো।
বউ আমার দেখলে মরিচ আঁতকে বলে, ঝাল কত!
হায়, মরিচ যদি জানত ও কে, কোন সাহসে ঝাল হত!
মরিচ, তুমি গুরুদেব,
বউজাতিকেও ভয় দেখাও!
এ বিদ্যা তো মহাবিদ্যা,
পায়ে ধরি, আমায় শেখাও!
চৌদ্দ। Pitbull’s Rain Over Me featuring Marc Anthony! Listening to this song feels like making my heart dance!! Who wanna dance with me playing this song?
পনেরো। সক্ষম তোমার কলম থামিয়ে দেবে নিজে কলম ধরে। অক্ষম তোমার কলম থামিয়ে দেবে তোমার কলম ভেঙে। —একেই বলে সক্ষমের জেদ, আর অক্ষমের ক্রোধ।
ষোলো। পুরুষ: এমন নারী, যার ভালোবাসা আর প্রেম লাগে না, কেবল শরীর লাগে—হবে?
নারী: এমন ঘর, যার ছাদ নেই, দেয়ালও নেই, কেবল মেঝে আছে—চলবে?
সতেরো। বড় আমলার গ্রন্থ রচনা ও বড় ব্যবসায়ীর স্ত্রীর কবিতা রচনা, দুইই দেশীয় প্রকাশনা শিল্পের প্রসার ঘটায়।
আঠারো। Luis Fonsi, Daddy Yankee – Despacito ft. Justin Beiber (cover by priata and sushmita)! Loved their performance!
উনিশ। স্ত্রীরা স্বামীদের সত্য কথা সহ্য করতে পারে না।
বিশ। থাক্, ওকে তোমার সম্পর্কে বাজে কথাটা বলতে দাও। ওর এ বাজে কথা বলাতেই আনন্দ! যে যা পারে আরকি! ও তো আর করতে পারে না, তাই ও বলবেই। হয়তো ওটা বলতে পারাই ওর সারাজীবনের অর্জন। কারও অর্জন নিজেকে বড় করায়, কারও অর্জন অন্যকে ছোট করায়। তুমি যদি প্রতিবাদ কর, তবে ও বেশ জাতে উঠে যাবে, তোমার প্রতিক্রিয়া ওকে বরং গর্বিত ও আনন্দিত করে তুলবে। সিংহ যখন ইঁদুরের কথার জবাব দিতে চায়, তখন বাধ্য হয়েই সিংহকে মাথাটা নিচু করতে হয়। ব্যাপারটা ইঁদুরের জন্য দারুণ উপভোগ্য। ইঁদুরের পক্ষে অন্য কোনও উপায়ে সিংহের মাথা নিচু করানো সম্ভব নয়। সে ক্ষমতা তার সারাজীবনেও হবে না। বাজে লোক কেবল বাজে কথাই বলতে পারে। ঈশ্বর তোমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন, সেটা যে ওকে দেননি, তা নিয়ে তো ওর কিছু আক্ষেপ, ঈর্ষা ও রাগ থাকতেই পারে, তাই না? স্কুলে পড়ার সময় ক্লাসের ফার্স্টবয়কে খেলায় নিতাম না, নিলেও ব্যাটিং করতে দিতাম না, বলটা নালায় পড়ে গেলে আনতে পাঠাতাম—ওইটুকুই ছিল আমার অর্জন, ক্ষমতা, খুশি, আত্মতৃপ্তি। এর চাইতে বেশি কিছু করার ক্ষমতাই তো আমার ছিল না। পেশির রাজত্ব, মস্তিষ্কের দাসত্ব ব্যক্তি, সম্প্রদায় ও সমাজকে পঙ্গু করে দেয়। পৃথিবীর সব বাজে মন্তব্য মিলেও তোমার কোনও ক্ষতি ততক্ষণ করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি সত্যিই বাজে না হচ্ছ। যারা তোমার সমকক্ষ নয়, তারা যখন এমন কিছু বলে কিংবা করে, যা তোমার ভাবনা, সিদ্ধান্ত, কাজকে প্রভাবিত করতে পারে, তখন ভীষণ সতর্ক হও। খারাপ লোকের প্রিয় কথা শোনার চাইতে বরং ভাল লোকের অপ্রিয় কথা শোনা অধিক মঙ্গলের।
আমার পুরনো একটি লেখার একটি বাক্য উদ্ধৃত করতে ইচ্ছে করছে—ঈশ্বর মানুষ বুঝে সৌভাগ্য দান করেন।
ভাবনা: তিনশো উনপঞ্চাশ
………………………………………
এক। ‘শব্দ’ দেখলাম। সত্যিই দারুণ একটা মুভি! এই লেভেলের মুভি বড় একটা হয় না। দায়িত্ব নিয়েই বলছি, আসলেই হয় না।
প্রতিভা ব্যাপারটাই পাগলামি। এটা নিরাময়-অযোগ্য। সাধারণ লোকের পক্ষে প্রতিভাবান কারও কোনও কিছুই বোঝা কিংবা বিচার করা সম্ভব নয়। প্রতিভা বুঝতে হলে প্রতিভা থাকতে হবে। প্রতিভাহীন মানুষ প্রতিভাবান মানুষের প্রতিভা খুন করে ফেলে নিজের অজান্তেই। প্রতিভাবান কেউ কোনও গ্রামারেই পড়েন না। এমন কাউকে তার নিজের মতই থাকতে দেয়া উচিত। আরে বাবা, ও আমার মত নয়, এমনকি ও আমার সকল অভিজ্ঞতা ও চিন্তাশক্তির বাইরে। ও যা পারে, আমি তা পারব না। ও যা পারে, তা এক লাখ দক্ষ কর্মী মিলেও পারবে না। ওকে বোঝা যদি অন্য সবার ঘিলুর ক্ষমতার মধ্যে থাকত, তবে নিশ্চয়ই আরও কিছু লোকের মধ্যে আমরা প্রতিভার খোঁজ পেতাম। কই, পাই নাতো! আবারও বলছি, প্রতিভা জিনিসটাই এক ধরনের পাগলামি। আমরা সেটা বিচার করার আস্পর্ধা থেকে নিজেদের যত বেশি দূরে সরিয়ে রাখব, ততই মঙ্গল।
এ মুভির একটা ডায়লগ মাথায় আটকে গেছে—তারক ভুলটা করবে কেন, বলো?
এতটা কনফিডেন্স নিয়ে এমন একটা কথা বলার জন্য প্রতিভা লাগে। স্রেফ দক্ষতার উপর ভর করে এমন কথা মুখ থেকে বেরোয় না। আর যাদের এ দুটোর কোনওটাই নেই, তারা ওরকম কাউকে নিয়ে মাথা না ঘামানোই কর্তব্য। হাতি মাটিতে পড়ে গেলেও কিন্তু ছাগলের চাইতে উঁচু। ছাগলের পক্ষে হাতির উচ্চতায় পৌঁছা কিংবা সে উচ্চতা বোঝা অসম্ভব। তাই ছাগলের একমাত্র কাজ, হাতির বিশালত্ব নিয়ে মাথা না ঘামানো, বিচার না করা, এবং হাতিকে হাতির মতই থাকতে দেয়া।
দুই। যোগ্যতার প্রতিযোগিতার তুলনায় তেলবাজির প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়া কঠিন। কারণ, যোগ্যতার সীমা আছে, আর তেলবাজি অসীম। যখন কেউ একই সাথে যোগ্য ও তেলবাজ হয়, তখন তার সাথে পেরে ওঠা প্রায় অসাধ্য!
তিন। লিন শু। একজন চীনা অনুবাদক, যিনি সাহিত্যের ইতিহাসই বদলে দিয়েছিলেন। উনার জন্ম বাংলাদেশে হলে হয়তো উনি উনার অনেক অল্প পরিচিত অনুবাদকেই নিজের মৌলিক লেখা হিসেবে দাবি করে অমর একুশে বইমেলায় বই বের করে নিমপাঠক বাঙালির হৃদয়ে অমর হয়ে যেতে চাইতেন! রেসপেক্ট!!
চার। জীবনটা একটা খেলা। এ খেলায় ভাল করতে হলে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর তোমার হাতে কিছু টাকা থাকতেই হবে। যদি সে সময়েও তোমার হাতে ওই পরিমাণ টাকা না থাকে, তবে তুমি কেমন খেলছ, এই ব্যাপারটাই অপ্রাসঙ্গিক, কেননা, তুমি সে খেলার মধ্যেই নেই। Yes, you’re OUT of the game if you still lack enough money after a certain age.
পাঁচ। আমাদের এই জীবন, যাকে নিয়ে আমরা দিব্যি আছি, তা কিছু সাহসী মানুষের দেখা স্বপ্ন। জীবনটা একরকম অনুবাদ, সেটাকে উপভোগ করার সময়-ই হয়তো মহান পাণ্ডুলিপিস্রষ্টাদের হয়না কখনোই। স্বপ্নে-দেখা জীবনটাতে ক’জনই বা বাঁচতে পারে? ওরা ম’রে গিয়ে বুঝিয়ে দেয় কী প্রচণ্ডভাবেই ওরা বেঁচে থাকে! আমাদের বাঁচাতেই যারা বাঁচতে ভুলে গিয়েছিলো, সেইসব মহান জীবনশিল্পীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। শুভ বিজয়। (২০১৩ সালের এই দিনে স্ট্যাটাসটা দিয়েছিলাম। এক প্রিয় বন্ধু সংগ্রহে রেখেছিল।)
ছয়। চেতনা খুব ভাল জিনিস……… ততক্ষণই, যতক্ষণ পর্যন্ত এটা কোনও ধান্দায় ব্যবহৃত না হচ্ছে। যদি এমন হয়, কোনও একটি চেতনাকে আমি মানসিকভাবে আসলে ততটা ধারণা করি না, যতটা সেটাকে বাহ্যিকভাবে প্রদর্শন করি বিশেষ কোনও সময়ে, পরিস্থিতিতে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য, তবে আমি জাস্ট একটা অসুস্থ ভণ্ড ঈর্ষাপরায়ণ মানুষ। বাঙালির চেতনাচর্চা যতটা ফেসবুকে চলে, এর সিকিভাগও মস্তিষ্কে চললে এই বাংলা সোনার বাংলা হতে বেশি সময় লাগত না।
সাত। ৩ ধরনের লোকের সাথে সম্পর্ক রাখা কঠিন—
এক। যাদের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ নেই, যারা জীবনকে বিচার করে জীবনে ওরা কী পায়নি, কেবল তা দিয়ে। Gratitude is power.
দুই। যারা সারাক্ষণই তাদের নিজের জীবন এবং আশেপাশের সবকিছু নিয়ে অভিযোগ করতে থাকে। অতি প্রত্যাশা মানুষকে অসুস্থ, ক্রুদ্ধ ও অবিবেচক করে দেয়। You love someone and ‘so’ you overexpect from them. It really destroys their life. Better, even hate them and let them live in peace.
তিন। যারা মনে করে, একমাত্র তারাই ঠিক, বাকিরা ভুল। তারা কখনও নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করে না, কারণ তারা বিশ্বাসই করে না যে তাদের মধ্যে এমন কিছু আছে, যা শোধরানো প্রয়োজন। It’s a serious mental disorder!
এমন মানুষ আপনাকে মানসিকভাবে হত্যা করতে থাকে প্রতিটি মুহূর্তেই। The tragedy is, not always you can get rid of them.
আট। যে রাজ্যে গাধারাই সংখ্যায় ভারি, সে রাজ্য গাধাদের রাজ্য। গাধাদের রাজ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে, প্রায়ই, যে সিংহটি বেশি দৌড়ায়, সেটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গাধাদের রাজ্যে কেবল গাধারাই আদর ও কদর পায়। সে রাজ্যের জাতীয় সংগীত: আমরা সবাই গাধা আমাদের এই গাধার রাজত্বে- নইলে গাধা-রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে? আমরা যা খুশি তা-ই করি, তবু তাঁর খুশিতেই চরি, আমরা নই বাঁধা নই বিবেকবোধ আর জ্ঞানের দাসত্বে– নইলে গাধা-রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে? মোরা গাধারে দিই মান, রাজা আনন্দে লাফান, মোদের খাটো কানে রাখেনি কেউ বৃহৎ মগজে– নইলে গাধা-রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে? আমরা চরব আপন মতে, শেষে মিলব কপট পথে, মোরা মরব না কেউ সত্যপথের বিষম আবর্তে– নইলে গাধা-রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?
নয়। সকালে শীতের হিম ঠেলে অফিসে ছোটার সময় মনে হয়, আহা, বাবা সারাজীবনই তো কাজটি করে গেছেন! যখন আরাম করে ঘুমিয়ে থাকতাম, তখন ভুলেও কি মনে আসত এই মানুষটির কথা? পরিবারের অন্য সবাই ঘুমিয়ে থাকলেও একটি মানুষ কখনওই বিশ্রাম পান না। মানুষটি আমাদের বাবা। পরিবারের সবাই যাতে আরামে থাকে, সে স্বপ্নে বিভোর একটি বোকা মানুষ সারাজীবনের আরামআয়েশ জীবিকার কাছে বর্গা দিয়ে দেন। মানুষটি আমাদের বাবা। যাকে ভুলবোঝা পৃথিবীর সবচাইতে সহজ ও আত্মতৃপ্তির, সে মানুষটির নাম বাবা। বাবা সেই বটগাছটি, যেটি আজীবন ছায়া দিয়ে যায় নিঃস্বার্থভাবে। কী পেলাম-এর জীবন থেকে কী দিলাম-এর জীবনে নিজেকে নিয়ে যাওয়ার নামই বাবা হয়ে ওঠা। এই রূপান্তর বড় সম্মানের, শ্রদ্ধার, মর্যাদার, অহংকারের। নিজের কষ্টের বিনিময়ে পরিবারের সুখের স্বপ্নে বাঁচার নামই বাবা হয়ে বাঁচা। বাবা মানেই নির্ভরতা, নিরাপত্তা। বাবারা সবসময়ই জেগে থাকেন। নিজের আনন্দ মাটি করে পরিবারের দায়িত্ব নেয়া বড় আনন্দের, গর্বের। প্রত্যেকটি ছেলেমেয়ের চোখে সেই স্বপ্নটি প্রচণ্ডভাবে বেঁচে থাকুক, যা তাকে একসময় পরিবারের বাবা করে তুলবে। বাবা হয়ে ওঠার নামই জীবন।
দশ। এ দুর্ভাগা দেশে, চাকরিজীবীরা প্রথমত চাকরিজীবী, দ্বিতীয়ত মানুষ। ব্যবসায়ীরা প্রথমত ব্যবসায়ী, দ্বিতীয়ত মানুষ। বেকাররা প্রথমত বেকার, দ্বিতীয়ত মানুষ। মূল গণ্ডগোলটা এখানেই।
ভাবনা: তিনশো পঞ্চাশ
………………………………………
এক। ফালতু লোক চেনার অনেক বুদ্ধি আছে। দুটো বলি।
এক। যখন দেখবেন, চালের ব্যাপারী কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ব্যবসায় উন্নতি করার বুদ্ধি দেয়, তখন বুঝে নেবেন, ওই লোক ফালতু। হয়তো হার্ডওয়্যার ব্যবসা শিখতে-চাওয়া পাবলিক অনেক, তাই ওই ফালতু লোক ওই ধান্দায় নেমেছেন। উদাহরণ দেই। বিসিএস আর মোটিভেশন—এই দুই বস্তু এখন মার্কেটে ভাল চলে, পাবলিক বুঝে হোক না বুঝে হোক, এই দুই বস্তু ভালই গিলে। এই দুই জিনিসের উচ্চ ফলনশীল ইতর টাইপের সাপ্লাইয়ার রাস্তাঘাটে পাবেন।
দুই। যখন দেখবেন, কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই মিস্টার এক্স মিস্টার ওয়াই সম্পর্কে বাজে কথা বলেন এই আশায় যদি এই চান্সে একটু ‘বিখ্যাত/জনপ্রিয়’ হওয়া যায়! (কে না জানে, আমরা গীবত খাইতে ও গাইতে ব্যাপক পছন্দ করি!) অথচ, মিস্টার এক্সকে গোনার টাইমই মিস্টার ওয়াইয়ের নাই! যে হাগে, সে কী আর শূকরের খোঁজ রাখে! খোঁজখবর রাখার কাজটা শূকরের। কারণ, কেউ দয়া করে হাগলেই শূকর বাঁচে!
এই বঙ্গদেশে ফালতু ও সস্তা হতে জানাটা বিশাল কোয়ালিটি!
দুই। A girl can never forget the boy she was with. A boy can never forget the girl he couldn’t be with.
তিন। গুরুর শক্তিতে শিষ্যের শেখার শক্তি বাড়ে। (কখনও সুযোগ করে এ বিষয় নিয়ে বিশদভাবে লিখব।)
চার। Chopin এর Spring Waltz (Mariage d’Amour)! আহা, ঈশ্বরের সুর!!
ঠিক এক বছর আগে আমার খুব প্রিয় একটা সুর দিয়ে আমার ছোটভাই Prashantaকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। আজও একই সুরে শুভেচ্ছা জানালাম। পাপ্পু, শুভ জন্মদিন ভাল থাকিস, সুস্থ থাকিস, আনন্দে থাকিস। (একটা মজার সত্যি কথা হচ্ছে, যদিও এই অপূর্ব ইন্সট্রুমেন্টালটি ইউটিউবে আছে চপিনের স্প্রিং ওয়ালয্ নামে, সুরটি চপিনের নয়। এটির প্রকৃত নাম ম্যারেজ ডি’অ্যামর যা পল্ ডি সেনেভিলের অমর সৃষ্টি। আর্টের এমন মজার কিছু ভুল নিয়ে ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা’র কোনও এক পর্বে লিখেছি মনে হয়।)
পাঁচ। হাগু করা ও দান করা—দুটোই করতে হয় লোকচক্ষুর আড়ালে, লুকিয়ে। কাউকে দেখিয়ে করলে শান্তিটা ঠিক আসে না। (ইহা একখানা স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা . . . . . . . . . . . . . ব্যবহারে উৎসাহিতকরণ পোস্ট।)
ছয়। জীবন আমাদের কোথায় নিয়ে যায়, কীভাবে নিয়ে যায়, আমরা কখনো তা ভাবতেই পারি না৷ Life is always stranger than fiction.
সাত। কী বুঝলেন? মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে? মেনে নিন মেনে নিন, কারণ এটাই বাস্তবতা। সফল হওয়ার পূর্বশর্ত: সাফল্য সহ্য করা শিখতে হবে। যে জিনিস আপনি সহ্যই করতে পারেন না, সে জিনিস ঈশ্বর আপনাকে দেবেন কেন? বদহজম হয়ে যাবে তো! জীবনে বড় হতে হলে হ্যাবিচুয়াল ‘সেলফিশ’ উইকনেস টু গ্রেটনেস থাকাটা জরুরি। যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল তাদের গুণগুলোকে রেপ্লিকেট করার চেষ্টা করুন। যে লক্ষ্যেই পৌঁছাতে চান না কেনো, সেই লক্ষ্যের প্রতি প্রচণ্ড শ্রদ্ধাবোধ রাখুন। আপনি সাফল্য পাননি? তো কী হয়েছে? আবারও চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে যাঁরা সফল হতে পেরেছেন, তাঁদের কাছ থেকে নীরবে বিনীতভাবে শিখুন, কীভাবে ও পথে হাঁটতে হয়। আমার ব্যর্থতার দায়ভার তো আর আমি অন্যের সাফল্যের ঘাড়ে চাপাতে পারি না, তাই না?
আট। আলো, তুমি আলেয়া’র তোমাদের সুখের এই নীড়ে, আমাকে খুঁজো না, বন্ধু। কতবার যে শুনে ফেললাম!!
নয়। পিয়া থোরা ক্যায়সা আভিমান! আহ্ কী সুর, কী গায়কী! শুনলাম, শুনলাম, এবং শুনলাম। আর কবিতা প্রসব করলাম।
দশ। ওরা কারা, যারা ইনবক্স কনভারসেশন মার্কেটিং করে গাড়িবাড়ি করার স্বপ্ন দেখে? ওরা তারা, যারা বাথরুমের দরোজা খোলা রেখে জনসমক্ষে নগ্ন হয়ে গোসল করে! দুইটাই সেইম মানসিকতা!
এগারো।
ওহে আমার ফুলটুসি হে,
দিলি না তো আর দেখা,
পাঁচটি বছর প্রেম করে আজ
দিয়েই দিলি ছ্যাঁকা!
ভাবিস নারে কাঁদছি ভীষণ,
মরছি মনে একা,
আমার প্রেমে অন্ধ এখন
তোর ছোটবোন কেকা।
বারো। HSTU students are really awesome! Feeling surprised and motivated seeing their patience and dedication! Thank you HSTU Career Club and all concerned for making today’s 6-hour career adda a grand success! Today’s adda is one of my best addas to date. Your VC is a smart youngman of 65—I must say! Got fully recharged seeing his energy level! Just look at him, think and get inspired—believe me, you’ll never need a career adda to help yourself! You guys are supercool! I sincerely beg apology if any of my activities has offended anyone of you. I’m really sorry, boss! Looking forward to meeting you again! Just give me a call whenever you need my help. I’ll surely be here if I’m free and in good health. Love you all!
তেরো।
প্রেম বলতে বুঝি শুধুই—
তোমার ওই দুই চোখের মায়া,
খোলা চুলের নেশানেশা ঘ্রাণ,
আঙুলে জড়ানো একটুকু ছোঁয়া…….
বিশ্বাস করো,
এটুক নিয়েই অনেক জন্ম বাঁচতে পারি,
অনেক মৃত্যু ফেরাতে পারি—হাসিমুখেই!
তোমার বুকের মাংসখণ্ড,
কিংবা আবাদযোগ্য মৃত্তিকাস্বাদ—
কিছুই এর চাই না আমি।
প্রেমের মানে বুঝেছি কেবল—
তোমার গভীর চোখের মায়ায়, মনের ছায়ায়, সুরের কায়ায়………অতটুকু হোক বা না হোক, আর কিছু নয়, তোমার ওই এক চিলতে গালের তিলেই বেঁচে বাঁচা।
চৌদ্দ। দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে, ভালোবাসার চাইতে শান্তি জরুরি, শান্তির চাইতে স্বস্তি জরুরি।
পনেরো। বর্তমানে বাঁচো, তবে সাবধানী হও, যেন এ বর্তমান তোমায় গ্রাস না করে ফেলে। তোমার নিয়তকে তোমার বর্তমানের চাইতে বড় করে তুলো, তবেই তোমার ভবিষ্যৎটা সুন্দর হবে।
ষোলো। একি কাণ্ড! ক্যারিয়ার আড্ডা নিয়া মারামারি শুরু হইয়া গ্যাসে! রেজিস্ট্রেশন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই নাকি ১১০০ ‘ফ্রি ফরম’ শ্যাষ! (ইয়ে মানে, আমি তাইলে ছেলেবেটিই আছি এখনও! হেহেহে………) এরপর ইশ্টার্ট হইসে কান্দাকাটি। আম্মু, আম্মু, আমারে ফুরুম দ্যায় নাই। আমি খেলুম না! আম্মুউউউ………… :'( কয় কী! ফ্রিতে পাইলে আমরা দুই চক্ষু বন্ধ কইরা কয়লাও আরামে চাবায়া খায়া ফালাই! আবারও প্রমাণিত! আরে ভাই, এই জিনিসে এমুন কইরা ঝাঁপাইয়া হামলাইয়া পড়নের কিসু নাই। ট্রাস্ট মি! কয়েক ঘণ্টা দাঁড়াইয়া ভুজুংভাজুং চাপাবাজি করমু, আর কিসুই না। আমি এমুন একটা বর্ণও মুখ দিয়া বাইর করুম না, যা আপ্নে জানেন না। ঈমানে কইতাসি!
কী, পিনিক অহনো কমে নাই? অক্কে বাহে, সহজ কইরা দেই! এইবার আমি সিরিয়াস! আমি শুক্রবার বিসিএস কিংবা আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে কোনও কথাই বলবো না। ৬-৭ ঘণ্টা ধরে যা বলবো, সবই স্রেফ জীবনের গল্প। এই আজাইরা প্যাঁচাল অ্যাত্তো কাহিনি কইরা শোনার কিসু নাই। বিসিএস আর আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে আমার যা লেখা, আমি সবকিছুই প্রিন্ট করে বই আকারে HSTU ক্যারিয়ার ক্লাবকে দিয়ে দেবো। ওই বস্তুটি সংগ্রহ করে নিলেই এনাফ! (এই প্রথমবারের মত আমি এই কষ্টটা শুধু HSTU-র জন্য করেছি।) হ্যাঁ, আড্ডার শেষের দিকে, মানে, সন্ধ্যার পর হয়তো প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি এবং আমার কলিগরা আপনাদের নানান প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। যাঁরা শুধুই বিসিএস আর আইবিএ নিয়ে আগ্রহী, তাঁরা সে সময়ে এলেই যথেষ্ট!
বন্ধুরা! দেখা হবে, বিন্দাস গল্প হবে, গান হবে—জীবনের গান!