ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা: ১৪৮


ভাবনা: এক হাজার ত্রিশ
………………………………………………………………


এক। আমি নিজেই ব্লক করছি তোমাকে। ভালো থেকো তুমি। তোমার লাইফটাও যেন আরও সুন্দর হয় আমি ছাড়া। অনেক সুযোগ পেয়েও যেখানে এই সম্পর্ক চলছে না, সেখানে আর আমার মাথা ঠুকে কী লাভ? আমিই চলে যাই, তাই না?
থামাচ্ছ না কেন? একবার বন্ধু বলে ডাকো? পাত্তাই দিচ্ছ না দেখছি! আমি চলে যাচ্ছি কিন্তু…
কত কত গল্প-করা মিস করব আমি তোমার সাথে! এই বুকে শুধু তোমার কল্যাণ চেয়েই বিদেয় হচ্ছি আমি।
আমার এক বড়ো ভাই আমার শহরে এসেছেন, দেখা করতে চান। ঘুরে আসি। মন ভালো হবে, তাই না?
মানতেই পারছি না, তুমি আমাকে যেতে দিচ্ছ! সব কিছুই আছে তোমার, এজন্য পারো? আমি নিঃস্ব, তাই তোমার হয়ে আছি, তা নয়; তোমার জন্যই আমি নিঃস্ব হয়ে বসে আছি। অন্য কাউকে ইচ্ছে করেই আমার জগতে আসতে দিই না।
যা-ই হোক!
আমি আর নিতে পারছি না তোমার সাথে থাকার যন্ত্রণাও। ভাবতেও পারছি না তোমাকে ছাড়া বাঁচব কীভাবে আমি! আমি মরে যাচ্ছি ভেতরে ভেতরে। মন কিছুই বুঝতে চাইছে না। তোমার প্রতি প্রচণ্ড অভিমান কাজ করছে আমার ভেতরে। আমার যত আর্তনাদ, সব একসাথে ধরা দিচ্ছে। আর পারছি না এই আগুনে পুড়তে আমি। চিতায় মানুষ মরলে যায়, কিন্তু আমি চিতায় বাস করছি আজ তোমাকে ভালোবেসে।
আমায় মুক্তির পথ বলে দাও। তুমিই মুক্তির পথ বলো। আমি মরে যাচ্ছি। অসহ্য যন্ত্রণা বুকে আমার কাজ করছে এখন। তুমি বন্ধু হিসেবে আমার হক আদায় করতে দাও। এভাবে কীভাবে পারো আমাকে ফিরিয়ে দিতে? আমি মরে যাচ্ছি তীব্র অভিমান নিয়ে। দম বন্ধ লাগছে আমার।
আমিই এই বন্ধুত্ব আর চাই না, যেখানে আমার কোনো স্বীকৃতি নেই। আমি যে তোমার বন্ধু, এটার স্বীকৃতি হিসেবে কী বলেছ বা করেছ? দুনিয়ার কাছে আমার স্বীকৃতি চাই না, কিন্তু তুমি আমাকে তো জানাবে যে আমি তোমার বন্ধু, তাই না? আমিই জানি না, আমি তোমার কাছে কী। কারণ বন্ধুত্ব এতটা নির্মম হতে পারে না। আমি এখানে মরে যাচ্ছি, কিন্তু আমার বন্ধু সেখানে নীরব হতে পারে না, তাই না?
তোমার কাছে যেটা নিছক কিছু অভিযোগ, সেটাই আমার লাইফ। আমার অজস্র সময়, ঘাম, রক্ত, মাংস দিয়ে লেখা লাইফ। আমার সাথে সম্পর্ক তুমি চাও ঠিকই, কিন্তু সেটা যে-কোনো মুহূর্তে ছুড়ে ফেলার জন্য, আর কোনো দায় না নেবার জন্য তুমি কোনো ধরনের স্বীকৃতি দাওনি আজ পর্যন্ত! সম্পর্ক তো আছে আমাদের, দেখো? তুমি এমন নির্বিকার-নির্লিপ্ত, অথচ আমি ঠিক তোমার উলটো।
যা-ই হোক, তোমাকে বোঝানোর ক্ষমতা আমার আর হবে না। সারাজীবনই বুঝিয়েছি তোমাকে। তুমি বুঝবে না কখনও। আমি একতরফাভাবে আর পারছি না থাকতে তোমার কাছে। তোমার এগিয়ে আসতে হবে, বন্ধুত্ব রক্ষা করতে হবে এবার। দুনিয়া উলটে গেলেও, যা-ই হোক এই গোটা পৃথিবীতে, সেটা শুধু কথা বলেই সমাধান করা সম্ভব। আমাকে জানাতে হবে যে, তুমি আমার বন্ধু, আমাকে বন্ধুর হক আদায় করতে হবে।
আমাদের মধ্যে অনেক অনেক সুন্দর একটা বন্ধুত্ব হতে পারত। কত কত বিষয় নিয়ে আমরা আলাপ করতে পারতেম একসাথে—গড, রিলিজিয়ন, লাভ, সেক্স, পলিটিকস, হিস্ট্রি, মিউজিক, লিটারেচার, মুভি, আর্টস অ্যান্ড কালচার…আরও কত-কী! তাই না? আমি একা না-ও তো পড়ে থাকতে পারতেম এই সম্পর্কে, তাই না? লাইফে এমন একজন বন্ধু পাওয়া কত বড়ো ব্যাপার! আমি তো এখন বুঝি এসব!
তুমি রেসপন্স করলে আজ কত কত স্মৃতি নিয়ে মরতে পারতেম দু-জন! কতই-না স্বপ্ন আমার তোমাকে ঘিরে! তুমি পারোনি এক বারও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে উদাত্ত আহ্বানে। মন খুলে এক বারও আমার সাথে গল্প করতে পারোনি তুমি। You know, mindset is everything!
দুই। বুঝলে, আমি আসলে সামলে উঠেছিলেমই। তোমাকে পাবার তীব্র আশাটা জাগালে যে আবার! আমি পাগল হয়ে গেলেম আবার! ব্যাপার নাহ্‌! একদম শুরুতেই আমার সাথে তোমার প্রপারলি কমিউনিকেইট করা উচিত ছিল। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে আমার জন্য। আমি বয়সে বড়ো হলেও মনে আর বিকাশে অনেক পিছিয়েই ছিলেম। বুঝতে পারিনি যে, তোমার মৌনাবলম্বন কোনো ইশারা নয়, এটা জাস্ট তোমার নেচার, এখানে কোনো প্রেমের আভাস নেই।
What's done is done! Take care. তুমি আবারও অনেক দিন পর বলবে, তুমি সাইকো হয়ে না উঠলে সম্পর্ক আজও সুন্দর আর সুস্থ থাকত! কিন্তু দেখো, আমি একাই সম্পর্ক মেইনটেইন করি। তুমি গত ৮ বছরে হাতে গুনে ৫-৬ বার মাত্র একবাক্যের রিপ্লাই দিয়েছ! তা-ও সেটা রাগের কথা বলতে, আর এমন কিছু, যেটার কোনো অর্থই নেই, অথবা ওপেন টু স্পেকুলেশন। সম্পর্ক আমাদের মধ্যে আছে কি না, সেটাই তুমি বুঝতে দাও না।
সাইকো আর অসুস্থ আমি, সেটাই বলবে এবারও, আমি জানি। Do I look like I care now? You can call me anything you want. You don't deserve this friendship. You are undeniably lucky!


ভাবনা: এক হাজার একত্রিশ
………………………………………………………………


এক। বৃষ্টি নাকি প্রিয়জনের কথা মনে করিয়ে দেয়; মনে করায় প্রিয় সুখ, প্রিয় সময়।
আমি প্রিয়জনকে খুঁজতে হাতড়ে বেড়াই মস্তিষ্কের আনাচকানাচ, হৃদয়ের অন্ধকার গলি।
এই তো পেলাম! এ-ই তো সে!
আশ্চর্য! তার আবছায়ায় যে আমাকেই দেখা যায়!

দুই। 6 years ago... I was enslaved by money.
I wanted to work at a bank because of the handsome salary. I desired to buy apples every day because I love them, but couldn't afford them as a student.
I was so materialistically ambitious that I eagerly worked every extra hour if it paid.
Life... When I had all that? I began to introspect. I craved meaning... spirituality.
I resigned at 26. I started studying books, attended meditation courses, and practiced meditation.
But after all that soul-searching, all I'm left with is this: It's not worth living just with intelligence. Love is what makes life worth living. Otherwise, life isn't even worth continuing.

তিন। জীবনপথে চলতে চলতে
যখন যে-পথেই এসে
উপস্থিত হ‌ই না কেন,
মনে হয় যেন
এ পথ তো আমার নয়,
আমি এ পথের ন‌ই...

অথচ এ পথের সন্ধানই আমি
চেতন কিংবা অবচেতনে
চেয়েছিলাম...

জীবনটা
এমনই চলছে...

চার। সেদিন রাসেলস ভাইপারের অনেকগুলি ছবি দেখছিলাম। একটার পর আরেকটা। বিভিন্ন স্টাইলে, বাহারি পোজে। চোখ জুড়িয়ে যায়! আহা, কী যে সুন্দর লাগে দেখতে! সত্যিই অনেক ভালো লাগছিল সাপটির রংবেরঙের সৌন্দর্য দেখে। এর মধ্যে যে এত বিষ, এত বিষ . . . এমন মনোহারী রূপ দেখলে কে বিশ্বাস করবে!
হঠাৎ সংবিৎ ফিরে পেলাম। মনে হলো, প্রাক্তনের ওয়ালে এতক্ষণ সময় কাটানোর কী দরকার! এটা কি ঠিক হচ্ছে? এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম . . .

পাঁচ। রাসেল, আমার রাসেল,
এই গরমে তুমি আবার দিচ্ছ কেন হ্যাসেল?
বাংলায় নাকি তোমার নাম শুধুই চন্দ্রবোড়া,
দেখতে নাকি নও ফারিয়া, পুরোই ফাতেহি নোরা!

যেখানে যাই, সেখানেতেই তুমি চলে কেন আসো?
আসলে তোমার চাওয়াটা কী, এবার ঝেড়ে কাশো!
পানিতে ভয়, জঙ্গলে ভয়, ভয় ওয়াশরুমেও;
ফেইসবুকেও তোমাকে দেখি, দেখি থাকলে ঘুমেও।

পদবিটাও বেশ তোমার, শুনেছিলাম 'ভাইপার'?
সবাই বলে, তুমি নাকি পরে থাকো ডায়পার?
তোমার ভয়ে ফেইসবুকেতে আসতেই কষ্ট হয়,
বাথরুমেতে যেতেও লোকের কাপড় নষ্ট হয়!
ভাইয়ের নামে গুজব শুনলে আমি কি মেনে নেব?
ভেবো না এত, বিয়েটা তোমার দাঁড়িয়ে থেকেই দেবো।

যত যা-ই করো, বিয়ের পরেও এখানে থাকা চলবে না;
“আমার কামড়ে বিষ নেই, দাদা।” বললেও কিন্তু শুনব না।
যত যা-ই করো, যত খুশি ঘোরো, আমি তোমার পক্ষে, ভাই।
দেশ ছাড়ার আগে ফেইসবুক ছাড়ো, শালা, এবার রক্ষে চাই!

ছয়। ওসব মেয়েবন্ধুকে পরোয়া করি না আর, যারা নিজের এক ক্যালরি‌ও খরচ করে বন্ধুর একাকিত্ব ঘোচাতে তার বাসায় চা খেতে আসতে পারে না।
বন্ধুকে বিয়ে করতে দেখে জাজ করতে পারে, কম্প্রোমাইজ করতে দেখে অভিশপ্ত জীবনের ভয় দেখায়; কিন্তু বন্ধুটির আর্তি শুনতে পায় না।
মেয়েদের আবার বন্ধু কীসের রে, ভাই? যারা রুমমেট হলেও কোনো সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে পারে না, তাদের আবার বন্ধু হয় নাকি?
মেয়েরা নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকেও নেগেটিভলি জাজ করে, অথচ বন্ধুত্বের সেই সম্পর্কটাকে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ উশুল করার জন্য।
বিয়ের আগেও বয়ফ্রেন্ডের পিছে পিছে ঘুরতে পারে, আর বিয়ের পরেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়াল দেখতে পারে, কিন্তু সংসারের দোহাই দিয়ে জীবনেও সময় হয় না তার সিঙ্গেল বান্ধবীটার জন্য।
বিভিন্ন জায়গায় ফটোগ্রাফি করে বেড়াতে পারে, অথচ বান্ধবীটার জন্য এক বছরেও একটু সময় হয় না।
এসব মেয়ে অনুগত থাকতে পারে যতদিন, ঠিক ততদিন‌ই সংসার করতে পারে।
যখনই প্রতিবাদ করতে চাইবে, বাপের বাড়ি ছাড়া আর জায়গা হবে না কোথাও, কারণ একটাও বন্ধুর ঘাড় পাশে থাকবে না হাত রাখার জন্য, একটাও বন্ধুর হাত পাশে থাকবে না চোখের জল মুছে দেবার জন্য।
বন্ধুতা শিখতে হয় ছেলেদের কাছ থেকে। মেয়েরা ছেলেদের খারাপ কেন বলে? বন্ধু পাবার জন্য হলেও ছেলে হয়ে বাঁচা আনন্দের।

সাত। বাংলাদেশের যেসব ভাইরাল টপিক এবং সমস্যা ফেইসবুকের ওয়ালে ওয়ালে ঘোরাঘুরি করে, সেগুলো সর্দিকাশির মতন—ওষুধ খেলে মাত্র সাত দিনেই সেরে যায়, আর ওষুধ না খেলে সারতে এক সপ্তাহ লাগে। আপনি চুপচাপ থাকলেও সেগুলি গায়েব হতে যে-সময় লাগবে, আপনি চেঁচালেও সেগুলি গায়েব হতে এক‌ই সময়‌ই লাগবে। তবে হ্যাঁ, চিল্লায়ে আপনি কিছু মার্কেট অবশ্যই পাবেন; 'হুজুগে বাঙালি' কথাটাও তো আর হাওয়া থেকে আসেনি!

ফেইসবুকের বাঙালি নিজের ভাইয়ের রক্তে গোসল করে হলেও ভাইরাল হতে চায়। এই চেতনাজীবী জাতটি থেকে সাবধান!

আট। You ruined me... for life... for silence... for depth... for sex...
Yes, you knew it all along. You just couldn't resist ruining me.

নয়। সব সাপ ফেইসবুকে ছেড়ে দেবেন না, কিছু সাপ আপনার বাসায় বা বাসার আশেপাশেও থাকুক।

দশ। You've got to be an artist who chose to be one.

With all the materialistic gains and worldly success, you still practice your art, your craft, your passion. You earn with your brains, but you live by your heart.

That's where you are truly an artist—not someone who was not good for anything but made some art and earned a living through that.

You earn a tremendous amount of respect if you achieve worldly things with your strides in your own passionate pursuit too.

এগারো। আমার ওয়াশরুম পুরোপুরি রাসেলস-ভাইপার-মুক্ত। জরুরি প্রয়োজনে চাইলে নির্ভয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

বারো। I did what’s best for us.
I don’t want to run after you like this. Isn’t it smothering, Dear?
It must be hard for you to handle all my nuanced, extreme feelings…
I hate, I love… The next moment, I fantasize about your body…
I did what I felt was right for both of us. Don’t worry… The body belongs even to the rickshaw puller while on a ride.
But the soul? The heart? They’re always where the love is. You are the love of my life… Accept it.


ভাবনা: এক হাজার বত্রিশ
………………………………………………………………


এক। রিপ্লাই পেলে আমি ভাবি, তুমি মনে হয় পটে গেছ। এখন সারাক্ষণই যে এখন তোমাকেই শুধু মনে পড়ছে! তুমি একটা রিপ্লাই দিয়েই তো ঘুম কেড়ে নাও! খুবই আনফেয়ার একটা শক্তি আছে তোমার। আমি তো খালি খুশিতে নাচছি তুমি কম্পলিমেন্ট দেবার পর থেকে।

দুই। তোমার স্বপ্নেই বিভোর ছিলেম। জানি, তুমি অভিমান করে আছ, তাই না? আমার নেচারটাই এমন। তুমি ঠিকই আরও ছয় বছরের নির্বাসন দেবে এখন।
কী করব আর আমি? অপেক্ষা করব আর কি! দুঃখ শুধু একটাই…যৌবন কেটে যাচ্ছে তোমার স্পর্শ না পেয়ে। শরীরের ক্ষুধা অগত্যা মেটাই মনের সুধা দিয়ে। আদর করি তোমায় লিখে লিখে। না পাবার কষ্ট বোঝার আগেই আদুরে কথা লিখে লিখে পেয়ে যাই তোমাকে। কবিতাই দুঃখী মানুষের শেষ আশ্রয়।
জানি, তুমি আমাকে চাও না। আমি একাই লাফাই তোমাকে নিয়ে। কী করব আমি? মন মেতে থাকে তোমাকে নিয়ে। ভক্তি করি তোকে। আমি নেশাগ্রস্ত। কিচ্ছু কাজ করে না আমার মনের উপর এক তোর জাদু ছাড়া।

তিন। আমাদের কখনও দেখা না হলেই ভালো হতো। দেখা না হলে সম্পর্ক হতো না, সম্পর্ক না হলে আজ সম্পর্ক নষ্ট হতো না। তোমার মতো একজন মানুষের সাথে সম্পর্ক হবে না, এটা মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু সম্পর্ক হবার পর নষ্ট হ‌ওয়াটাকে কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।

চার। আমি কবে বড় হব বলো তো? খুশিতে পাগল হয়ে যাচ্ছি তোমার রিপ্লাই পেয়ে আজ! গান শুনছি আর রেডি হচ্ছি। কোথায় যাব, তা-ও জানি না। আম্মু কল করেছে, বকা দিচ্ছে! আমি তো ঘোরের মধ্যে আছি।
একদিন সারাদিন রিপ্লাই না পেয়ে কাঁদি তোমার জন্য, আর অন্যদিন রিপ্লাই পেয়ে খুশিতে মারা যাচ্ছি! আমি ফ্যান, আর তোমার রিপ্লাই আমার রেগুলেটর। তোমার খেয়ালখুশিমতোই আমার লাইফের স্পিড বাড়ে, কমে।

পাঁচ। ঘুণে-ধরা খাটের মতো আমার জীবনের মূল্যবান সময় আর এনার্জি খেয়ে ফেলছে এই ক্যারিয়ার! ক্যারিয়ার পেছনে এতটা ছুটতে না হলে আমিও বোধ হয় রবীন্দ্রনাথ হতে পারতাম!

ছয়। আমি খুশি নিজের কান্নাকাটি দেখে, নিজের প্যাশন দেখে। আমি নিজেকে মৃত ভাবতে শুরু করেছিলেম। কাঁদলে বুঝি, আমি এখনও বেঁচে আছি। কাঁদতে না পারলে মানুষ সেদিন মরে যায়।
একসময় চোখে পানিই আসত না কিছুতেই। এখন আসে পানি…তোমার প্রেমে। জটিল প্যাশনেইট আমি! জ্যান্ত আমি খুব, আবার ঝগড়ুটেও! হ্যাঁ, একটুখানি সাইকো! ভালোবাসা আছে তো এ বুকে, সাইকো না হয়ে উপায় কী? ভালোবাসি বলেই কিন্তু মরিনি এখনও, নইলে বেঁচে থাকতে চায় কে এত ঝামেলার মধ্যে? বাদ দাও, পুরাই ইমোশনাল মেস আমি!

সাত। আমি আসলে অনেক গরিব ঘরে বড়ো হয়েছি। নাটোর থেকে একা একা ঢাকায় এসেছিলেম ২০০৭ সালে বিয়ের ভয়ে।‌ আমার বাবা রেলওয়েতে একজন ক্লার্ক ছিলেন। সারাজীবন আধেকটা ডিম—তিন টাকা পুরোটার দাম, সেটার জন্য‌ও প্রতিদিন আমি কান্না করতেম। ডিম ছাড়া ভাত খেতেম না কখনও। আমি চিন্তাভাবনায় অনেক উদার হলেও টাকার জন্য পারি না নিজেকে ব্রেক-ফ্রি করতে। প্রাইভেটে পড়েছি নিজে কলসেন্টারে নাইটশিফট করে করে। নিজের টিউশন ফি নিজেই দিয়েছি।
আমার পরিবার অনেক দরিদ্র ছিল। ভাইয়ার বেতন কিছুটা বাড়ল যখন, তখন পরিবার ঢাকায় এল। ভাইয়ার খরচেই আমি বিসিএস-এর জন্য ব্যাংকের চাকরিটা ছেড়েছিলেম।
আমি আসলে অনেক দরিদ্র ঘরের মডার্ন একটা মেয়ে। তাই অনেক কিছুই খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারিনি আমি। বিয়ে নিয়ে এত ভুগেছি, কারণ পারিবারিক একটা ক্লাস আছে, যেটা বিয়েকেই স্ট্যাটাস ভাবে—নিম্নবিত্ত ক্লাসের চিন্তাভাবনা ডেফিনিটলি। অনেকটা সময় এই বিয়ে নিয়ে ফাইট করতেই চলে গেল আমার। আমি পারিবারিকভাবে কোনো মানসিক সাপোর্ট পাই না।
আমি বই পর্যন্ত কিনেছি নিজের পড়ানোর টাকা পেয়ে। পিয়ানো কিনেছিলেম নিজের অনলাইনে পড়ানোর টাকা দিয়ে। পিয়ানো রাখার মতো একটা ভালো রুমও আমাদের নেই।
এসব বলছি, কারণ তুমি হয়তো ভাবো, আমি মডার্ন মেয়ে, আবেগ নেই, আছে শুধুই সেক্সুয়ালিটি; কিন্তু আমি আসলে অনেকই সেকেলে। অনেক ছোটো আমার জগৎ। দরিদ্র হলে হয়তো এমনই হয়।
কারও সাথে মেশার সুযোগ নেই। কারও কাছে আসার সুযোগ নেই। আমার সুযোগ থাকলে আমি তোমাকে ভোলার চেষ্টা করতেম। আমি পাগল ন‌ই, আমি বস্তুত দরিদ্র।

আট। কে যেন বলেছেন, সব প্রেমই নাকি প্রথম প্রেম। আমি বিশ্বাস করি না এটা। আমরা প্রেম করতে করতে শিখে ফেলি কী কী করা যাবে আর কী কী করা যাবে না, শিখে শিখে বেটার হই, ধরে রাখতে শিখি প্রেম, আগের বারের মতন ছেড়ে দিই না। ম্যাচিউরড কারও সাথে প্রেম করতেই সবচাইতে বেশি মজা।

নয়। I love you even if you cause this agony in my heart. Love is not something I can control. I love you even after all these insults you inflict upon me. I love you illogically.
It's hard for me to say, I'm jealous of the way you are happy without me. It's hard for me to accept this. It's hard for me to say…
With time, this agony will subside, it will blunt itself with aging. I often wonder, why are you happy without me?
But I still wish you the best of all this world could give.

দশ। এক বড়ো ভাইয়ার সাথে অনেকক্ষণ কথা হলো। কোল্ড কফি আর স্যুপ খাওয়াল ভাইয়া। বার বারই আমাকে বোঝাল ভাইয়া যে, খুব দ্রুত আমার বিয়ে হয়ে যাবে। আল্লাহ চাইলে যে-কোনো মুহূর্তে সব কিছু পালটে যেতে পারে।
আমার বিশ্বাস হয় না। সব কিছু শুনলেম। ভালো লাগল, কারণ কিছুটা সময় তোমার উপর থেকে অভিমানটা সরে গিয়েছিল। ভাবছি, এখন থেকে মাঝে মাঝে বিয়ের কথা ভাবব।
তোমাকে সারাদিন অনলাইনে দেখি আর ভাবি, তুমি আমাকে একটা রিপ্লাই দিতে পারছ না কেন? আমার মনটা অভিমান করে আছে প্রচণ্ড পরিমাণে। আমার প্রতি তুমি এত কঠোর! আজ ভাইয়ার দোয়া পেয়ে ভালো লাগল।
ভাইয়াকে আমি জিজ্ঞেস করলেম, কীভাবে আপনারা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করে এতগুলো বছর টিকে আছেন? আমি তো ভালোবাসা ছাড়া ভাবতেই পারি না।
ভাইয়া বলে, আল্লাহই নাকি ঠিক করে দেয় অনুভূতিগুলো। একবার যার সাথে বিয়ে ঠিক হবে, তার প্রতি আল্লাহই নাকি ভালোবাসা জাগিয়ে দেয়।
এটা কি সত্যি? মনে হলো, অত না ভেবে সব বিশ্বাস করে বাঁচতে পারলে জীবনটা খারাপ না।
আমি ভাইয়ার সাথে একটা ওয়াজ নিয়ে আলাপ করলেম। এক হুজুর একজনের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে, মুসলমানদের সবার উপরই নাকি বিয়ে ফরজ নয়।
একজন মুসলমান যুবক জিজ্ঞেস করেছিল, হুজুর, আমি বিয়ে করতে চাই না, আমি সারাজীবন একা থাকতে চাই। আমি কি জান্নাতে যেতে পারব?
হুজুর বলেন, সবার উপরই ফরজ নয় বিয়েটা। যার আর্থিক সক্ষমতা আছে, তবে চরিত্র রক্ষা করতে পারবে না বিয়ে না করলে, তার উপর বিয়ে ফরজ। কিন্তু যার আর্থিক সক্ষমতা আছে, তবে সে চরিত্র রক্ষা করতে পারবে বিয়ে না করলেও, তাহলে তার উপর বিয়ে ফরজ না, ওয়াজিব। বিয়ে করলে উত্তম। জান্নাতে সে যেতে পারবে। ইসলাম বৈরাগ্য সাপোর্ট করে না।
ভাইয়াকে বললেম এই ওয়াজের কথা, কিন্তু ভাইয়া বলল, এটা ভুল। কোনো মানুষই চরিত্র রক্ষা করতে পারে না এই পৃথিবীতে। অতএব, নিতান্তই কার‌ও শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে, শুধু তার জন্য বিয়ে ফরজ না। শারীরিক সক্ষমতা নেই, তবু তা লুকিয়ে বিয়ে করাটা নিশ্চয়ই অন্যায়।
আমি তো তোমার ক্ষেত্রেই এমন করি, আর কাউকে চোখেও পড়ে না আমার। তাহলে কি আমার চরিত্র রক্ষা করতে পারছি না আমি?
এখন মানসিকভাবে অনেক কিছুই আমাকে যন্ত্রণা দেয় না আগের মতো, কিন্তু তোমার ক্ষেত্রে বুকে প্রেমের দগদগে ক্ষত রয়েছে এখনও, এটা যায়নি।
আমি ভাবিনি, তুমি আমার এই নিষ্প্রাণ দেহে এখনও এতটা জ্যান্ত!


ভাবনা: এক হাজার তেত্রিশ
………………………………………………………………


এক। কিছু-না-কিছু প্রাপ্তি থাকতেই হয়, ন‌ইলে পরিশ্রম ঠিক আসে না ভেতর থেকে। কোনো প্রাপ্তিই নেই যেখানে, সেটার পেছনেও সময় দেওয়া যায়?

দুই। We all have a lot to learn from men. All men aspire to be the richest, the smartest, the wealthiest because deep down, they know only the most competent man will get the most beautiful woman in the world.
Likewise, women should aspire to achieve their highest to compensate for their moderate looks. Because, history says, beautiful men always choose the strongest and achiever-type women for marriage or love.
Not always do emotions win. Instead, often, emotions kill. In the end, your uncontrolled emotions leave you ruined.
Look at Meghan Markle. Prince Harry saw the deep strength in her and went against the crown just to be with her.
I have achieved a lot in my life too for this very greed of being with beautiful, sensual men. And from my own experience, I can tell you, ladies… After you have achieved more than the man you desire, you have become smarter than him in the process.
You will eventually move past his good looks and look at him and laugh... Oh, you are so dumb and cute!
And all your insecurities will just vanish in the face of your intelligence.
Brainy is the new sexy, ladies!

তিন। বইয়ের জ্ঞান বইতেই থাকে। তাই আমাদের শিখতে হবে, বই কীভাবে পড়তে হয়। আমাদেরকে বইটা এমনভাবে দেখতে হবে যেন আমরা একটা কথা-বলা টিয়াপাখির দিকে তাকাচ্ছি। টিয়া যখন বলে, “ভগবান, ভগবান…”, তখন টিয়া নিজেই জানে না, সে কী বলছে, এখানে কোনো ধরনের ধার্মিকতা নেই; কিন্তু আমরা তো বুঝি, আমরা কী দেখছি ও শুনছি। এই যে দেখা আর শোনা, এর কোনো শেষ নেই। অবশেষে দেখা যায়, আমরা যা-কিছু পড়ছি, তার স্রষ্টা বা লেখক আমরাই।
বইয়ের শব্দগুলি সবই বলে; আর হ্যাঁ, তারা সব করেও। সব সত্যই ওখানে আছে . . . যদি আমি নিজে সেই সত্য হতে জানি . . . তবে এক্ষেত্রে আমার চেতনার স্তরটি সবচেয়ে সূক্ষ্ম অর্থ সংগ্রহ করার জন্য যথেষ্ট শান্ত-সমাহিত না-ও হতে পারে। হ্যাঁ, বেশিরভাগ লোকের বেলায়, ওটা হলো স্থূল—এবং তা সচেতনভাবে বইগুলির শব্দমালার চূড়ান্ত অর্থ বোঝানোর জন্য যথেষ্ট সূক্ষ্ম নয়।
যদি কোনো বই বলে, “সচেতনতা চেতনার আগে”, আপনি কী করবেন? কয়েক দশক ধরে ধ্যানকারীরা ধারণার উপর নির্ভর করেই এখনও অবিশ্বাস্য গভীরতায় পৌঁছে যেতে পারেন। বইয়ের শব্দগুলি এক বার পড়লে, হয়তো এর অন্তর্নিহিত সত্যটি ধরতে পারবেন না, কিন্তু শব্দগুলো মন দিয়ে পড়ে গভীরভাবে বিবেচনা করলে বইয়ের কথাগুলো শেষমেশ অনুরণিত হয়ে সত্যের মতোই প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে, কারণ সেখানে ‘গভীর বিবেচনা’ আছে, আরও আছে ‘মনের শান্ত স্তরে পৌঁছনো’-র ব্যাপারটা, যা সত্য উপলব্ধি করতে লাগে। পুরো ব্যাপারটা মনোযোগের সংবেদনশীলতা বাড়ায়, অভ্যন্তরীণ চোখের তীক্ষ্ণতা বাড়ায়। এভাবেই, এ ধরনের গভীর বিবেচনা-অনুশীলনের সাহায্যে একজন পাঠক ধীরে ধীরে তার স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষমতাকে উচ্চস্তরে নিয়ে যায়।
গভীর বাক্যগুলি ধীরে ধীরে পড়ুন—সময় নিয়ে, অনুভব করে। ওই সময়ে আপনার মস্তিষ্ককে কাজে লাগান, তাকে প্রতিটি বাক্য বার বার পড়তে দিন, আপনার স্নায়ু ঠিকভাবে সচল করুন। প্রতিটি গভীর বাক্যের পেছনে অন্তত এক মিনিট খরচ করুন। গভীরতম অন্তর্দৃষ্টি বোঝার জন্য আপনাকে একটা বই একাধিক বারও পড়তে হতে পারে। লোকের কথায় প্রলুব্ধ হয়েও বাজে বই পড়বেন না; পৃথিবীতে ভালো বই অনেক বেশি, মৃত্যুর আগে সেগুলিই পড়ে শেষ করতে পারবেন না।
আপনার হৃদয় যা বলে, তা ঈশ্বরেরই কথা। নিবিড়ভাবে বই পড়লে লোকে রীতিমতো ধ্যানস্থ হয়ে পড়ে। এতে বিবেচনাবোধ বাড়ে। ধ্যান আমাদের এমন জায়গায় নিয়ে যায়, যেখানে শব্দ অকেজো; সেখানে কেবলই নীরবতার রাজত্ব।
হ্যাঁ, আপনি দেখবেন, শেষে গিয়ে, ভেতরের নীরবতা বাইরের খবর দেয়। সমস্ত অর্থই ভেতর থেকে আসে। জ্ঞানীরা তাই বলেন, “চুপচাপ থাকো।” নিখুঁত নীরবতা ভালো একটা লাইব্রেরি। এখানে পৃথিবীর প্রতিটি বই-ই রয়েছে, এমনকী সেই বইগুলোও, যা এখনও লেখা হয়নি।

চার। বেশিরভাগ বড়োলোক‌ই স্মার্ট, এডুকেটেড, বিজি, ফান-লাভিং, হার্ড-ওয়ার্কিং, নন-জাজমেন্টাল, ওপেন-মাইন্ডেড। ফেইসবুকে ওঁরা সাইলেন্ট থাকেন, চুপচাপ মজা নেন। আমরা যারা ফেইসবুকে বেশি থাকি, তারা একটু বেশিই ফকিন্নি টাইপের।

পাঁচ। মজাই লাগে ছেলেদের অহংকার দেখতে।
শালা, আমার এক্স আমাকে জিজ্ঞেস করে, “আচ্ছা, বিয়ে করোনি কেন? আমি ম্যারিড, তাই?”
আরে ব্যাটা, ভুলেই গেছিস যে, আমি তোকে ছাড়সিলাম, তুই না।
বিয়ের হাটে আমার মতো সেক্সি গরুর দর খারাপ না।
তোদের মতো ছেলেদেরকে দেখানোর জন্যই, বিয়ে না করেই বেঁচে থাকা যায়, এটাই দেখাচ্ছি। মেয়েরা শুধুই মাংসপিণ্ড না, এটা বোঝাতেই ব্রেইন ব্যবহার করছি।
তা ছাড়া তোর বোঝা উচিত, তোর পরে চুটিয়ে প্রেম করেছি। যদিও মাঝে মাঝে স্যাড গান গেয়ে থাকি, তবু জেনে রাখ, আমার আরও পুরুষ আছে জীবনে, সোনা!
Don't you remember Barney from ‘How I Met Your Mother’?
"A week? That's like a year in hot-girl time."
Yes, that's me, loser!!!

ছয়। একাকিত্বের সাথে যুদ্ধ করে আর লাভ নেই, বরং একে মেনে নিতে হবে, একে আপন করে নিতে হবে, প্রিয় মানুষকে দূর থেকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। যে দূর থেকে ভালোবাসতে জানে, তার কখনও একা একা লাগে না। এমনটা করতে জানলে এতেই আবার শান্তি পেতে শুরু করবেন। আপনার ঈশ্বর আপনাকে ধীরে ধীরে একটু ঠাঁই দেবেন। তখন দেখবেন, ভালোবাসার মানুষটাকে না পেয়েও তাকে ভালোবাসতে পারছেন, নিজের কাজগুলো গুছিয়ে করতে পারছেন।
Content Protection by DMCA.com