ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা: ১৩৫


ভাবনা: নয়শো উনচল্লিশ
………………………………………………………

১। আর্জেন্টিনার সাপোর্টার মেয়েদের প্রেমিকেরা সাবধান! এ জীবনে আর চাকরি পাবে বলে মনে হচ্ছে না! অবশ্য, জীবনে তেমন কিছু করতে না পারলেও সমস্যা নেই, তোমাদের প্রেমিকাদের অনেক ধৈর্য, কখনোই ছেড়ে চলে যাবে না। ভালোবাসা অন্ধ, আর আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের ভালোবাসা রীতিমতো অন্ধ প্রোম্যাক্স! তাই প্রেম করলে আর্জেন্টিনার সাপোর্টারের সাথে করাই ভালো। ও বাঁধন কভু যাবে না ছিঁড়ে... অন্ধ সংসার, সুখী সংসার।

২। ভাবছেন, ব্রাজিলের এমন একটা জয়ের পরও কিছু লিখছি না কেন! জানি, আমার একটা পোস্টের আশায় থাকতে থাকতে আপনাদের সব চুল পেকে যাচ্ছে!
দেখুন, ব্রাজিল তো প্রায়‌ই জেতে, কত আর লেখা যায়! তবু আপনাদের কথা ভেবে বলছি, পরাজয়ের হাজারো ব্যাখ্যা লাগে, জয়ের একটাও ব্যাখ্যা লাগে না। জয় নিজেই সুন্দরতম ব্যাখ্যা। জয়ীরা করে জেতে, পরাজিতরা বলে জেতে। জয়ীরা খেলে মাঠে, পরাজিতরা খেলে ফেইসবুকে। ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে, বস!

অনেক দিন আগে একটা মুভি দেখেছিলাম: অ্যা সার্বিয়ান ফিল্ম। মুভিটা না দেখে থাকলে দেখার দরকার নেই। এ বস্তু হজম করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
মুভির কথাটা কেন বললাম? কোনও কারণ নেই, এমনিই বললাম; আই মিন, হুদাই বললাম।এমনি এমনি কেন বললাম? আমার ওয়ালে আমি যা ইচ্ছে বলব, এমনি এমনি বলব। এই যে আপনারা কোনও কারণ ছাড়াই এমনি এমনি আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করেন, আমি কি কখনও এটা নিয়ে কিছু বলেছি আপনাদেরকে? তাহলে আমাকে কেন বলবেন?

বাই দ্য ওয়ে, গতকালের আগে রিচার্লিসনকে আমি চিনতাম না। গতকালের পর রিচার্লিসনকে আমি আর ভুলতে পারব না। কেউ হাতে-পায়ে খেলেও জিততে পারে না, কেউবা পায়ের জাদুতে পুরো পৃথিবীকে মাতাল করে রাখে! আমার দেখা সবচাইতে দৃষ্টিনন্দন গোলগুলোর সাথে আরেকটি যুক্ত হলো। ভামোস, ব্রাজিল!

৩। To be happy, just do two things:
Stop overthinking RIGHT NOW!
Stay away from the person who overthinks.

Remember, overthinking kills.

৪। Most of the people who overthink are toxic, psychopaths.

৫। কী! তুমি আমায় ভালোবাসো না? তার মানে তুমি নিশ্চয়ই সাদিয়াকে ভালোবাসো!  
কী! তুমি আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করো না? তার মানে তুমি নিশ্চয়ই ব্রাজিলের সাপোর্টার!  
আমরা এত কিউট ক্যান? বাকি টিমগুলা কি দুধভাত?  

আমরা ভালোবাসি সৌদি আরবকে, সাপোর্ট করি আর্জেন্টিনাকে।
আমরা ভালোবাসি কুলসুমকে, আমাদের ভালো লাগে বিলকিসকে।
আমাদের হৃদয়ে মেসি, আমাদের মস্তিষ্কে মেসি; বাকি দশ জন ম্যারাডোনার দেশের, তাই বাংলাদেশের।

৬। আমি এতদিন তোমার সাথে যোগাযোগ করিনি, অথচ তুমি আমার একটা খোঁজও নিলে না কখনও। আমি তো তোমার কাছে কোনও কিছুই চাইনি, চাই না, চাইবও না; তাহলে কী ভেবে অন্য সব বিষয় এভাবে এড়িয়ে যাও? সেদিন তুমি বললে, এক মিনিট পর ফোন দিবে…অথচ এই তোমার এক মিনিট?

ভালোবাসা প্রকাশ করলে আমি মাথায় উঠে যাব ভেবে তুমি কখনও আমার কোনও কিছুকেই পাত্তা দাও না। আমি থাকলাম না গেলাম, তাতে তোমার খারাপ লাগলেও তুমি সেটা বুঝতেই দাও না, আর আমি সেটা জানলেও এর আগে কখনও এসব বলিনি। আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি, কতটা চাই, সেটা তোমার ধারণারও বাইরে, কিন্তু সেটা আমি চেপে গেছি, কারণ তুমি ভাবো, আমি হয়তো নিজেকে ছোটো করছি।

আসলে এমন কিছুই না। কাউকে ভালোবাসলে তার কাছে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করা, তার কাছে ছোটো হওয়াতে ভালোবাসার অবমূল্যায়ন হয় না, বরং নিজের শক্তিটা অনুভব করা যায়। ভালোবাসার ফিলসফি সবার কাছে একরকমই হবে, এমনটা কোথায় আছে? আমি তোমার অবহেলা আর অবমূল্যায়ন উপেক্ষা করে তোমাকে চেয়ে গেছি বলেই আমি এখনও ভালোবাসতে পারি, সামনেও পারব। এগুলো আমার কাছে সত্যিই ম্যাটার করে না…তুমি কতটা আমার ভালোবাসার স্বীকৃতি দিলে বা দিলে না। আর তোমার মনে হতে পারে, আমি তোমার কাছে চাইলেই যেতে পারি, তবু ইচ্ছে করেই যাচ্ছি না; আসলেই বিষয়টি তেমন কিছু নয়। আমি সবসময় চেয়ে এসেছি তোমার কাছে একটু থাকার, সেটা আমার সাধ্যের যে-কোনও কিছুর মূল্যেই হোক না কেন! পারিবারিক অনেক কারণে আমি কিছুই করতে পারি না, কিন্তু একটা সময় যখন আমার নিজের শক্তিসামর্থ্য হবে, সেইদিন অবশ্যই পারব।

আমি জানি, একদিন-না-একদিন আমার নিজের একটা কিছু হবেই। শুধু সেইসব দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকি। জানি না, তুমি ততদিনে অন্য কোথাও মন ঘুরিয়ে ফেলবে কি না, আমার প্রতি ন্যূনতমও চাহিদা তোমার থাকবে কি না। সেটা হতেই পারে, কারণ মানুষের সহ্যের সীমা থাকে, সারাজীবন তো তুমি তোমার সব কিছু বাদ দিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকবে না যে আমি কবে তোমার কাছে আসতে পারব, কিংবা তুমি অপেক্ষা করেও নেই হয়তো; কিন্তু তাতে কিছুই এসে যায় না, বিশেষ করে, ভালোবাসার মানুষ অন্য কারও সাথে শুলেই অন্য কারও হয়ে যায় না, ভালোবাসায় মানসিক একটা ব্যাপার থাকেই!

আমার অসুবিধা নেই, তুমি অন্য যত মেয়ের সাথেই থাকো না কেন! আমি আমার ভালোবাসা ছাড়তে জানি। আমি যা তোমার জন্য করতে পারছি না, সেটার জন্য তোমাকে আমি কখনও আশা করি না। আমি চাই-ই না যে তুমি আমার জন্য নিজেকে বঞ্চিত করো। তুমি যা খুশি করবেই, সেটা তোমার ইচ্ছা; আমি বারণ করলেও লুকিয়ে ঠিক‌ই করবে। আমি আর কোনও কিছু নিয়েই অভিযোগ করব না। আমি যেদিন তোমার কাছে যেতে পারব যাব, না পারলে তোমাকে আটকে রাখবো না, তুমি তোমার যা খুশি হয় করলেও আমার তোমার প্রতি ভালোবাসা কখনও কমবে না। আমি আর কক্ষনো তোমাকে বলতেও যাব না, আমি তোমার জন্য, তোমার কাছে যাবার জন্য কতটা উদ্‌গ্রিব হয়ে আছি, কিংবা আমি তোমাকে প্রতিমুহূর্তে কতটা অনুভব করি, তোমাকে কতটা ভালোবাসি। ভালোবাসা বোঝাতে অনেক সুযোগ আমি পাবো…আমি জানি সেসব।

৭। আর্জেন্টিনার পরাজয় উদ্‌যাপন করার জন্য আমার এক জুনিয়র সহকর্মী ১৫ কেজি মিষ্টি কিনে বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ করেছেন। সেই মিষ্টির তিন পিস আমি নিজেও খেয়েছি। বড়োই সুস্বাদু মিষ্টি। আর্জেন্টিনা জিতলেও তা সুস্বাদুই থাকত। হারে কি জিতে মিষ্টির স্বাদ এদিক-ওদিক হয় না।

আমি বরাবরই বলি, আমরা যতটা আর্জেন্টিনার কিংবা ব্রাজিলের সাপোর্টার, ততোধিক অ্যান্টি-ব্রাজিল কিংবা অ্যান্টি-আর্জেন্টিনা সাপোর্টার। জাতিগতভাবে আমরা যতটা ক্রীড়ামোদী, ততোধিক ক্রীড়াদ্বেষী। যুদ্ধ আমাদের রক্তে!

যা-ই হোক, মিষ্টিটা তিনি যে দোকান থেকে কিনেছেন, সেই দোকানের মালিককে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। মালিক এবং তাঁর পুরো পরিবার আর্জেন্টিনার একনিষ্ঠ সমর্থক। ভদ্রলোক তাঁর মিষ্টির দোকানটিও আর্জেন্টিনার পতাকায় ঢেকে দিয়েছেন। দেখতে আকাশ আকাশ লাগে।

অথচ এ কী হলো! সামান্য ক'টা টাকার জন্য... ব্যাবসার কিংবা হিসেবের কাছে যুগে যুগে এভাবেই ভালোবাসা পরাজিত হয়েছে নির্মমভাবে।

আপনারা হয়তো বলবেন, দোকানের মালিক মিষ্টি কেনার উদ্দেশ্য জানতে পারলে কিছুতেই মিষ্টি বিক্রি করতেন না। বলবেনই তো, খুবই স্বাভাবিক! ভালোবাসা যে অন্ধ!

উল্লেখ্য, তিন পিস মিষ্টি খেয়ে ফেলার পর আজকের খেলায় হ‌ওয়া গোলের সংখ্যা মনে পড়ল। বুঝলাম, সব‌ই তাঁর লীলা!


ভাবনা: নয়শো চল্লিশ
………………………………………………………

১। একটা নাগরদোলা প্রেম, দুটো প্রাণের গাঢ় বন্ধন, আর ঝলমলে প্রজাপতিনীর মহাপ্রস্থান। এইভাবেই বোধ হয় মরে গিয়েও অমর হয়ে যাওয়া যায়, এভাবেই বুঝি মরে গিয়েও কেউ চুপিসারে খুব করে থেকে যায়।

জিতে গেছে ঐন্দ্রিলা, জিতে গেছে প্রেম, জিতে গেছে সব্যসাচীরা, ভালোবাসার চৌরাস্তায় সগর্বে দাঁড়িয়ে থাকা নিখাদ একটি মৃত্যুঞ্জয়ী প্রেমের কাছে হেরে গেছে মৃত্যু।
সবাই ছেড়ে যায় না, কেউ কেউ কথা রাখে, কেউ কেউ প্রিয় মানুষটির বুকে মাথা রেখে মরে যেতে পারার মতন সৌভাগ্য নিয়েও জন্মায়।

যখন কেউ সামান্য অজুহাতেও ছেড়ে যায়, সারাজীবন সাথে থাকবে বলে কথা দিয়েও মাঝরাস্তায় হাত ছেড়ে দেয়, তাদের ভিড়ে সব্যসাচীরা মৃত্যুপথযাত্রী প্রেমিকাকে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে খুব স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়, ভালোবাসার চেয়ে দামি কোনও বস্তু পৃথিবীতে নেই।
নিখাদ ভালোবাসা নিয়ে এক দিন‌ও বাঁচাটা খুঁতে-ভরা ভালোবাসা নিয়ে এক-শো বছর বাঁচার চেয়ে ঢের গৌরবের, ঢের সৌভাগ্যের।

মরে যাবার একসেকেন্ড আগেও ঐন্দ্রিলা বুঝতে পেরেছিল, কেউ একজন তার পাশে আছে, কেউ একজন এমন দুঃসময়েও পাশ থেকে সরে দাঁড়ায়নি।
মৃত্যুর আগে এতটা তৃপ্তি, এতটা আশ্রয়, এতটা ভালোলাগা জোটে ক-জনের ভাগ্যে? মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তের সুখের চাইতে বড়ো সুখ আর কী আছে!
হ্যাঁ, এমন ঈর্ষণীয় কপাল নিয়েও কেউ কেউ জন্মায়! এমন নির্ভার স্বস্তির মৃত্যুও কার‌ও কার‌ও হয়!

২। আর্জেন্টিনার ভক্ত আর আমার ভক্তদের মধ্যে মিল কোথায়, জানেন?
দুই গ্রুপই পুরোনো একটা সাফল্য নিয়ে এখনও নাচে!

৩। Your result says it all...যদিও সব‌ই তাঁর ইচ্ছা।

৪। Do the ugly citizens make their country ugly?
Or does an ugly country make its citizens ugly?
What's your opinion?

৫। তবে আমিই কি সেই উটকো লোকটা, বিশ্বকাপ নিয়ে যার উন্মাদনা দূরে থাক, কোনও মাথাব্যথাই নেই?

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে এই মাসে, এই তথ্যটি জানলাম সপ্তাহখানেক আগে!

৬। মানুষ একা হবার ভয়েই নিজেকে সামাজিক নিয়মের শেকলে বেঁধে ফেলে। বলা যায়, বাঁধতে সে বাধ্য হয়। এজন্যই হয়তো মানুষই একমাত্র জীব, যে কিনা স্বাধীন হয়েও পরাধীন। সংঘবদ্ধ হয়ে বাঁচতে গেলে একে অপরের অনেক কিছুর সাথেই মানিয়ে নেয় অন্য কিছুর বদলে, কারণ দিনশেষে তাকে সেখানেই ফিরতে হবে, আর কোনও জায়গা নেই ফেরার কিংবা হয়তো সামর্থ্য থাকলেও একা বাস করবার মতো মানসিক শক্তিটা তার নেই।

আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের সাথে থাকা মানুষগুলোর সাথে লড়াই করি, তাদের সাথে আমাদের যে বিষয়গুলো মেলে না, কখনওবা সেগুলো নিয়ে তাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করি। আমরা প্রত্যেকেই চাই, অন্যরা আমাদেরকে বুঝুক, আমাদেরকে মানতে শিখুক, মেনে নিক আমাদের মতো করে, আবার এ-ও জানি, তাদের ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব! তথাপি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও চুপচাপ সব সহ্য করে যাই।

এভাবেই ধীরে ধীরে আমরা অন্যের কাছে জিম্মি হয়ে যাই। আমাদের একান্ত ইচ্ছে-অনিচ্ছে পছন্দ-অপছন্দ সবই কখন যেন নেই হয়ে যায়। এভাবে ক্রমশ আমরা একটা অদৃশ্য শেকলে আটকা পড়ে যাই। মানুষ এতটাই দুর্বল যে নিজেই নিজের শেকলটা ছিঁড়তে পারে না।

২০১৫ সাল থেকে তোমার সাথে আমার পরিচয়। পরিচয় বললাম, কারণ এটাকে কোনও সম্পর্ক বলা চলে কি না আমি জানি না। এই ৭ বছরে এই প্রথম আমি তোমার ফোন পেয়েও কেটে দিতে বাধ্য হলাম। আমি কখনও তোমার ফোন কেটে দেওয়া তো দূরের কথা, আজ পর্যন্ত কয়টা কল রিসিভ করতে পারিনি, সেটাও গুনে বলে দিতে পারব। আমি তীর্থের কাকের মতো তোমার একটা ফোনের জন্য বসে থাকি, কখন তুমি ফোন করবে। জানি, তুমি ফোন করে আমাকে ভালোবেসে কখনও কোনও গল্প করবে না, তারপরও অপেক্ষায় থাকি। অপেক্ষায় থাকতে আমার ভালো লাগে। অপেক্ষায় থাকলে তুমি আমার কাছে থাকো।

তুমি কখনও কারও জন্য এভাবে অপেক্ষা করেছ? কিংবা প্রতিনিয়ত কারও কাছ থেকে অবহেলা, অমনোযোগ পেয়েও তাকে একইভাবে ভালোবেসে গেছ? যেতে যদি, তাহলে বুঝতে আমার কতটা কষ্ট হয় তোমার ওপাশ থেকে এসব রোজ পেয়েও গিলে ফেলতে। কারণ আমি জানি, আমি তোমাকে কতটা গভীরভাবে ভালোবাসি। আমি জানি, আমি ইগো নিয়ে বসে থাকলে আমি জিতে গেলেও আমার ভালোবাসার মানুষটা হারিয়ে যাবে। কিংবা অন্য কেউ এসে এই জায়গাটা ভরাট করে ফেলবেই, কারণ কোনও স্থানই শূন্য পড়ে থাকে না। কিছু-না-কিছু একটা দিয়ে সেটা পূর্ণ হয়েই যায়।

তোমার কাছে আমার এই ভালোবাসার কোনও মূল্যই নেই, তোমার নিয়মে ভালোবাসা বলে কিছু নেই, আমি সেটাও জানি, কিন্তু তা সত্ত্বেও থাকি কেন, জানো? কারণ আমার কাছে আমার ভালোবাসার মূল্য আছে, আমি তোমাকে...আমার ভালোবাসার মানুষটাকে ধরে রাখতে চাই। মানুষ সারাজীবন একরকম থাকে না। একটা সময় মানুষ ঠকে কিংবা ঠেকে হলেও স্থির হয়ে যায়। তখন সে শুধুই বিশ্বস্ত একটা হাত খোঁজে, যার কাছে তার যথাযথ মূল্যায়ন আছে।

একটা সময় পর গিয়ে মানুষ বুঝতে পারে, বেঁচে থাকতে পৃথিবীসুদ্ধ মানুষের প্রয়োজন হয় না, শুধু কয়েকটা মনের মানুষ থাকলেই চলে। যার জীবনে যত মানুষ, সে তত দুঃখী।

৭। একটা ভালো জবে না ঢুকে আর যা-ই করো, ভুলেও বিয়ে কোরো না।

বাই দ্য ওয়ে, কর-করো-কোরো কখন কোনটা হয়, জানো?

৮। Learn to forget someone before they forget you. Not shaking off emotions for a wrong person sucks.

৯। Not happy, not unhappy either; just tired.

১০। যার যায়, তার শুধু যেতেই থাকে...

১১। বিনা কারণে অপরিচিত বা অল্প-পরিচিত কারও সাথে ফোনে কথা বলা আমার অপছন্দের কাজগুলোর একটি। যত বেশি লোকের সাথে পরিচিত হ‌ই তত‌ই দায়বদ্ধতা তৈরি হয়। কল ধরার দায়বদ্ধতা, ধরতে না পারলে কলব্যাক করার দায়বদ্ধতা...

১২। মানুষ কেন মৃত্যুর পর অমর হয়ে থাকতে চায়? সেই অমরত্বে কী এসে যায়, যা নিজের চোখে দেখা যায় না? Not after death... before death or never.

১৩। স্রষ্টায় স্রষ্টায় হয় না বিভেদ, মানুষে মানুষে হয়!
কিতাবে কিতাবে হয় রে লড়াই, হৃদয়ে হৃদয়ে নয়!

১৪। আপনার বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনোটাই আমাকে বিরক্ত বা চিন্তিত করে না। ওসব নিয়ে আমার কখনোই কোনও মাথাব্যথা থাকে না। কার‌ও পেছনে লেগে থাকার জন্য অফুরন্ত অবসর ও ওরকম মানসিকতার দরকার হয়, যার একটিও আমার নেই। তবে আপনি যখন নিজ থেকে গায়ে পড়ে আমার আশেপাশে এসে ঘুরঘুর করেন আর আপনার বিশ্বাস বা অবিশ্বাসকে বার বার আমার উপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করেন, তখন আমি ভীষণ বিরক্ত হ‌ই। বিশ্বাসের এমন পুশসেল সবসময়ই অরুচিকর। আর কবে বুঝবেন, নলেজের চেয়ে কমনসেন্স অনেক বেশি জরুরি!

১৫। অনেক সুখের জীবন ঈশ্বরেরও বোধ হয় সহ্য হয় না।

১৬। কাঙালের ভাত কাকেও খায় না।

১৭। আমার কাছে ২ নভেম্বরের দীক্ষামন্ত্র হলো এ-ই: আমরা যা চাই, তা পাই না। আমরা শুধু তা-ই পাই, যা আমাদের দরকার।

১৮। হাতে টাকা না থাকলে ভালোবাসাও ন্যাকামি লাগে।

সবাই প্রেমহীন নয়, কেউ কেউ গরিব।

১৯। খুব ভালো কিছু কেউ একেবারে বিনা মূল্যে পেয়ে গেলে, যেটা পাবার যোগ্যতাই তার নেই...সে কখনোই তার মূল্য বুঝবে না।

এক-শো'টা ভুল‌ও ক্ষমা করা যায়... কিন্তু অপমান?...না না না!

নিজের এই অপমান আমি নিতে পারছি না আর...

নিজের উপরই ঘেন্না লাগছে...আমি নিজেই নিজের উপর বিরক্ত...জানি, নিজেই সুযোগ করে দিয়েছি... তবু এসব অপমান মেনে নেবার মতো না।

২০। আমি তোমার সঙ্গে থাকতে পারিনি,
তবু তোমার কাছ থেকে ফিরতে পারিনি।


ভাবনা: নয়শো একচল্লিশ
………………………………………………………

১। The night is still young!
JUST just rocks!!
Music welcomes night on grass...
Love you, brothers!! You're awesome!!

২। বঙ্গবন্ধু ক্যারিয়ার ক্লাব ও সাংবাদিক সমিতি মিলে আজ জাস্ট ফাটিয়ে দিয়েছে!! ওদের আন্তরিকতা আর স্যারদের সহযোগিতা, এই দুই এক হয়ে আজকের অনুষ্ঠানটা জমে একদম ক্ষীর!! প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে চলল পুরো অনুষ্ঠান!! দর্শকদের ধৈর্য দেখে আমি অবাক!!
জাস্ট ইজ জাস্ট অসাম!!
কেমন লাগল আজকের ক্যারিয়ার আড্ডা?

৩। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন স্যারের সাথে গল্প করে মুগ্ধ হয়েছি। জাহিদ স্যার ও গালিব স্যার খুব চমৎকার বন্ধুবৎসল মানুষ।

ক্যারিয়ার ক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির যৌথ আয়োজনে আজকের ক্যারিয়ার আড্ডায় আসতে পেরে ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। ক্লাবের সদস্যদের আন্তরিকতা চোখে পড়ার মতো!

সেন্ট্রাল গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ! উপাচার্য মহোদয়ের কথায়, এই গ্যালারিতে একসাথে এত স্টুডেন্টের সমাগম আমি আর কখনও দেখিনি।

সবাইকে দেখে ভালো লাগছে।

৪। আমি তোমাকে ভালোবাসিনি... আমি তোমাকে ধারণ করেছি...

৫। ভয় হয়... কিছু মানুষের ভুল-বোঝা মেনে নেওয়া কঠিন...

৬। স্বার্থপরতায় বেহায়াপনার হয়তো একটা সীমা থাকে, কিন্তু নিঃস্বার্থতায় বেহায়াপনা অসীম হয়। এ কারণেই একতরফা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা মানুষকে এতটা তীব্র কষ্ট দেয়।

৭। আমার স্কুলের এক সহপাঠী, স্কুলে পড়ার সময় যার সাথে আমার তেমন পরিচয়ও ছিল না, হঠাৎ একদিন হোয়াটসঅ্যাপে নক করে আমার খোঁজখবর নেওয়া শুরু করল। প্রথমে চিনতে না পারলেও পরে কিছুটা চিনতে পারলাম, কিংবা বলা যায়, সে-ই অনেকটা জোর করে নিজেকে চেনাল। তার দাবি, আমরা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

সহপাঠী প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে অনেকেই তাকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানিয়ে ফেলে, এমনকী অপরিচিত প্রতিষ্ঠিত মানুষকে নিজের বন্ধু দাবি করে বসতে অনেককে দেখেছি; আবার প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলে বন্ধু বা সহপাঠী দূরে থাক, পরিচিত বলেও পরিচয় দিতে চায় না ওরা। ওদের বেলায় অবশ্য এটাই স্বাভাবিক। আমার সংশয়ী মন ওরকমই কিছু-একটা ঘটছে বলে ধরে নিয়েছিল। তবু ভাবলাম, থাক, স্কুলের ক্লাসমেট, টুকটাক হাই-হ্যালো'ই তো করছে, এর বেশি কিছু তো নয়!

দু-একদিন যেতে না যেতেই তার কথাবার্তা একটু সন্দেহজনক ঠেকতে আরম্ভ করল। একটা মেয়ে কোনও ছেলের প্রেমে পড়লে যে ধরনের আলাপ করে বা করতে চায়, তার টেক্সটগুলিও ওরকম হতে লাগল। কীরকম সব আবেগমাখা আলাপের ইচ্ছে দেখলাম তার মধ্যে! ছেলেতে-ছেলেতে অমন আলাপচারিতা আমার জন্য সুখকর কিছু নয়।

সমকামিতা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা বা আপত্তি নেই, কিন্তু আমার নিজের মধ্যে যেহেতু কোনও ছেলের প্রতি বিন্দুমাত্রও আগ্রহ বা টান কাজ করে না, সেহেতু একটা ছেলে আমাকে "আই লাভ ইউ!", "তোমার সাথে খুব কথা বলতে ইচ্ছে করে।", "তোমাকে ভীষণ মিস করি।", "মাঝে মাঝে তোমাকে স্বপ্নে দেখি...", "তোমার সাথে দেখা করতে খুব ইচ্ছে করছে!", "তোমার সাথে কিছুটা সময় কাটাতে পারলে অনেক ভালো লাগত।" ইত্যাদি টাইপের কথা বললে আমি অতিমাত্রায় বিরক্ত হই।

সে আমার পার্সোনাল নম্বর চাইল অনেক অনেক বার। বার বারই বললাম, আমার পেইজে যে নম্বর দেওয়া আছে, ওটাই আমার পার্সোনাল নম্বর। তুমি তো ঠিক নম্বরেই কথা বলছ! উল্লেখ করি, আমার মোবাইলে দুইটা সিম; একটা পেইজের, আরেকটা পার্সোনাল ও অফিশিয়াল। পেইজের নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে যেসব কল বা টেক্সট আসে, সেগুলি আমি সহজেই ইগনোর করতে পারি কিংবা মন চাইলে কখনও রেসপন্ডও করতে পারি। অন্য নম্বরটি যেহেতু অফিশিয়াল, তাই সেখানে কল বা টেক্সট যা-ই আসুক, আমাকে রেসপন্ড করতেই হয়। সবার আগে যে চাকরি!

ইউ নেভার নৌ হোয়েন ইউ বিকাম অ্যা গে! আমার সেই সহপাঠী গে, বাই কি স্ট্রেইট, তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা না থাকলেও আমার সাথে ওরকম অতি-মাখামাখি করার চেষ্টা দেখে আমি ওর উপর যারপরনাই বিরক্ত হচ্ছিলাম। তবু ওকে তা বুঝতে দিলাম না, কেননা শত হলেও সে আমার স্কুলমেট। আমার বাংলালিংক নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপে অনেক বার ফোন করেও সে আমাকে কিছুতেই ধরতে পারছিল না। এমনিতেই আমি ভয়াবহ রকমের ব্যস্ত থাকি, তার উপর একটা প্রায়-অপরিচিত ছেলের সাথে বিনা কারণে খেজুরে আলাপ করতে আমার একটুও ইচ্ছে করে না। তাই আমি চুপচাপ তার কলগুলি দেখি আর ইগনোর করি। আমার একটাই ভয় কাজ করত... সে যদি হঠাৎ আমাকে ধর্ষণের অনুমতি চেয়ে বসে, তখন?!

আজ সন্ধ্যার পর সে নক দিল। যথারীতি বেশ আবেগমথিত টেক্সট পাঠাতে লাগল। বার বার বোঝাতে চাইল, সে আমার সাথে দেখা করতে চায়, আমার সাথে তার অনেক কথা আছে, সে আমাকে অনেক মিস করে, আমার সাথে বসাটা তার জন্য অনেক জরুরি, ফোনে সে দীর্ঘসময় ধরে আমার সাথে কথা বলতে চায়...এইসব। আমি রিপ্লাই করলাম না। ঘণ্টাখানেক পর সে আবারও টেক্সট পাঠাল। তার টেক্সটে অভিমানের সুর...সুশান্ত, তুমি কি সত্যিই খুব ব্যস্ত? তুমি কি আমার সাথে কথা বলবেই না? তুমি চট্টগ্রামে কবে আসবে?

আমি এবার রিপ্লাই করলাম, তুমি কী নিয়ে আলাপ করতে চাইছ? বার বার টেক্সট পাঠাচ্ছ কেন?
এরপর আসল কথা বেরোল। সে আমার কাছে বেশ কিছু টাকা চায়। তার কী কী যেন কাজে টাকার দরকার। সবাইকে সে এই সুযোগটা দিচ্ছে না। আমি তার 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু' হিসেবে তাকে সাহায্য করার মহাসুযোগটা পাচ্ছি!
সরাসরি জানিয়ে দিলাম, সরি, আমি পারব না।
তখন সে জিজ্ঞেস করে বসল, পারবে না মানে? তুমি কি সত্যিই সুশান্ত? না কি ফেইক কেউ?

শেষ দুইটি কথা আমার কাছে খুবই পরিচিত। যখন কেউ তার ধান্দা হাসিল করতে ব্যর্থ হয়, তখন তার কাছ থেকে আমি এই প্রশ্নটা পাই। অর্থ ও সময়, এই দুইয়ের চাইতে দামি এ পৃথিবীতে আর কী আছে? একদমই বিনা কারণে কেন একটা উটকো লোককে আমি পয়সা বা সময় দেবো? মানুষ এই সহজ ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টাই করে না! কিংবা বুঝতে পেরেও ঘিলুর অভাবে উপায় বের করতে পারে না।

প্রিয় বন্ধু আমার! তুই আমার শরীর চাসনি, পয়সা চেয়েছিলি। আমি তোকে ভুল বুঝেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিস!

৮। হৃদয়টা বেশ দামি। এর যত্ন নিতে শেখো। ইচ্ছে হলেই এমন কাউকে ক্ষমা করে দিয়ো না, যে ক্ষমাটা অর্জন করতেই জানে না। ক্ষমা পাবার যোগ্যতা যার নেই, তার সাথে মিশে কী হবে? ওতে হৃদয় কষ্ট পায়, বার বার ভেঙে যায়; নিজের প্রতি বিশ্বাস নষ্ট হয়। তাই এমন লোকজনের মধ্যে নিজেকে রেখো না, যাদের সাথে মিশলে মন খারাপ হয়, যাদের বার বার ক্ষমা করে দিতে হয় বিনা কারণেই। হয়তো তুমি অন্যের ভুল সহ্য করতে পারো, তবে এই সহ্য করতে গিয়ে যে সময়টা খরচ হয়, ওটার দাম আছে। তোমার সময়ের দাম দিতে জানে না যারা, তাদের সাথে যত মিশবে, ততই ধাক্কা খাবে।

৯। Meeting you once is missing you forever!

I wish I'd known this before meeting you!


ভাবনা: নয়শো বিয়াল্লিশ
………………………………………………………

১। কতদিন কাচের চুড়ি পরি না! আমার একড্রয়ার ভর্তি শুধু নানান রঙের কাচের চুড়ি... সেই কবে থেকে তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে আছে! ছেলে ইদানীং প্রায়ই তালা খুলে ড্রয়ার থেকে চুড়ি বের করে বলে, মা, পরো, আমাকেও পরিয়ে দাও। ওর হাত থেকে চুড়ি নিয়ে আবার তালাবদ্ধ করে রাখি।

আজ পরেছি। পরার পর খুব ইচ্ছে হচ্ছিল, শাহবাগ যাই। হেঁটে হেঁটে বইমেলার ওই পথটা থেকে আরও অনেক অনেক কাচের চুড়ি কিনি! এত যত্ন করে পথে-বসে-থাকা খালারা চুড়ি পরিয়ে দেয়! ইসস্! ওদের কাছে বসে সব রঙের চুড়ি, মালা, পায়েল পরেছি একসময়। চোখে ভাসে দিনগুলি... উলটাপালটা রঙের চুড়ি পরেই বইমেলা, টিএসসি, নীলক্ষেত, পলাশী, ইডেন কলেজ ঘুরে বেড়িয়েছি; বই কিনেছি, ফুচকা খেয়েছি, ঝালমুড়ি খেয়েছি... আরও কী কী যে স্ট্রিটফুড খেয়েছি হিসেব নেই!

ভার্সিটি এরিয়াগুলিতে সবসময়ই নতুন নতুন স্ট্রিটফুডের উদ্ভব হতো। মামারাও পাল্লা দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করত! হা হা হা... সবচেয়ে পপুলার হয়েছিল কাঁচকলা ভর্তা। কলাভবনের সামনে এক মামা ছিল, উফফ... ওর বানানো ভর্তা না খেলে তো আমার দিনটাই বৃথা মনে হতো! কাঁচকলার সাথে তেঁতুল, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, কাসুন্দি, লবণ, চিনি আরও কী কী যেন মিক্স করত! আহা, বলতে বলতে জিভে পানি চলে এল...

সবচাইতে বেশি মিস করি ওই চুড়িওয়ালা খালাদের। এ জীবনে আর কেউ তো অমন যত্ন করে চুড়ি পরিয়ে দিল না!

২। : Do you know for how many days we've not met?
: I don't count, I just wait.

৩। I miss you a lot.
But I don't want you anymore.
You're loved and prayed for... just know it.
That's all.

৪। একদিন ভাবছিলাম... তুমি আর আমি... কলকাতার দালান বাড়িগুলোতে... বড়ো বড়ো ঝুলবারান্দা... ধুপধুনোর গন্ধ... ঠিক রবীন্দ্রনাথের নায়িকার মতো... রোজ সকালে বদলে-ফেলা ফুলদানির ফুল... তাজা রজনীগন্ধা... আমার পিয়ানোতে তোমার প্রিয় সুর... শুয়ে শুয়ে শোনা তোমার বইপড়া...

আমি তোমাতে বেঁচেছি বহুকাল... বাঁচছি... আমার মননে-যৌবনে...

এমন নয়, তোমাকে আমার খুব ছুঁতে মন চায়... মনে হয়, তুমি সামনে থাকলে তোমাকে ছুঁয়েই একটা জীবন দিব্যি পার হয়ে যাবে...

সবাই তোমাকে দেখার জন্য পাগল... আমি সুযোগ পেয়েও দেখতে যাইনি... ইন ফ্যাক্ট, তোমার সাথে দেখা করব, এটা ভাবলেও ভয় হয়... যদি ভালোলাগা কমে যায়... কী দরকার! এই অনুভূতি যে স্বর্গীয়!

আমি এত বছরে তোমার কোনও পোস্টে একটাও লাইক, লাভ রিয়্যাক্ট, কমেন্ট কিছুই করিনি, জানো... সবসময়ই আমার মনে হয়েছে, আমার জায়গা আর যা-ই হোক, তোমার কমেন্টবক্সে নয়...

৫। Your mind may need a mate.
Your body may need a mate.
But your soul never needs a mate. Soul is always a lone traveller.
Once you learn to live with your soul, you will never feel lonely again.

৬। এ জীবনে শুধু নিজের ক্যারিয়ারেই বিন্দুমাত্র‌ও ছাড় দেওয়া যাবে না। দিনশেষে কেবল এটাই নিজের...

৭। জীবন কিছু ভুল একদমই ক্ষমা করে না... একদমই না!

৮। একজন অথর্ব পুরুষকে বিয়ে করার সত্যিই কোনও মানে হয় না। এমন স্বামী থাকা না থাকা সমান। বিয়ের পর শুরুতে শুরুতে ভালো লাগে। ধীরে ধীরে চরম বাস্তবতায় পিষ্ঠ হতে হতে পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়। সেই অবস্থাটা কাউকে বলাও যায় না, স‌ওয়াও যায় না। অতিনিশ্চয়ই আবেগ দিয়ে জীবন চলে না। যে পুরুষ দায়িত্ব নিতে পারে না, তার সাথে বড়োজোর সময় কাটানো যায়, কিন্তু জীবন কাটানো যায় না।

৯। আমার সারাগায়ে সবাই মিলে যেন সুঁই ফুটিয়ে দিচ্ছে! যন্ত্রণা বেড়েই চলেছে... এই যে এই জীবন, যার চেহারাটা দেখাচ্ছে দুরারোগ্য এক ব্যাধির মতো, তাকে বহন করে নিয়ে যাবার আদৌ কি কোনও মানে আছে? এই পুরো পৃথিবীতে এমন এক জন‌ও বন্ধু পেলাম না, যার সাথে প্রাণ খুলে কথা বলা যায়, জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে হালকা হ‌ওয়া যায়। সবার চোখেই প্রশ্ন, সন্দেহ, কপটতা। জীবন কি তবে সেই ফুলটি, আলো ফুরোনোর আগ পর্যন্তই যার আয়ু? জীবনে কেন নামে সেই আঁধার, যে আঁধারে বাঁচতে শিখিনি আজ‌ও?

১০। যে ছেড়ে যেতে চায়, কখনোই তাকে ধরে রাখার সুযোগ দেবেন না, নিজেও সেই সুযোগ নেবার চেষ্টা করবেন না। যে মানুষটা আপনাকে পুরোপুরি ছাড়তেও চায় না, আবার ধরতেও চায় না, সে আসলে আপনাকে নিয়ে খেলতে চায়। নিজেকে যত সস্তা খেলনা হতে দেবেন, তত‌ই মানসম্মান হারাবেন। হারিয়েও যদি তাকে পাওয়া যেত, তাহলে তো হতোই! কিন্তু...না, শেষপর্যন্ত তাকে আর পাবেন না, মাঝখানে কিছু সময় নষ্ট হবে, কিছু ফালতু ইমোশন আপনাকে কষ্ট দেবে, কিছু কান্না আপনার সঙ্গী হবে। যে সম্পর্ক থেকে এক দুঃখ বাদে আর কিছুই পাবার নেই, তা থেকে (জোর করে হলেও) যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবেন, তত তাড়াতাড়ি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। এই মুক্তির জন্য যা যা করা দরকার, করুন...কার‌ও ক্ষতি না করে...কোনও বিধি-সংস্কারের তোয়াক্কা না করেই!

'অপরিহার্য মানুষ' বলে এ পৃথিবীতে কিছু নেই। থাকত যদি, তবে চোখের সামনে নিজের সন্তানের মৃত্যু দেখেও মা বেঁচে থাকতে পারতেন না।

১১। ঘুমপাড়ানি গান শুনতে চাইলে জেগে থাকতে হয়। ঘুমিয়ে পড়লে কেউ কি আর ঘুমপাড়ানি গান শোনায়?

১২। কেন সেই বন্ধুরাও দেখা হলেই এই তুলনামূলক হিসেবটা শুরু করে দেয়, আমার কী আছে কী নেই, তার কী আছে কী নেই, যাদের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল সেইসব সময়ে, যখন আমরা বুঝতাম‌ই না, কিছু থাকা বা না থাকা কাকে বলে!

ভাবনা: নয়শো তেতাল্লিশ
………………………………………………………

১। The most powerful sentence I've ever learnt in my life:

Leave and move on.

: What to leave?
: The people, places and incidents that destroy our inner peace.

: From where to move on?
: The people, places and incidents that destroy our inner peace.

: Where to move on?
: The people, places and incidents that give us inner peace.

Leave to live. Only peace matters. Peace is greater than all the memories. Simple!


২। তবে কি একটা সময় পর গিয়ে পুরোনো বন্ধুরাও আন্তরিকতার বদলে তুলনার চোখে তাকাতে আরম্ভ করে আর ক্রমাগত খোঁচা মেরে মেরে কথা বলতে থাকে ন্যূনতম উস্কানি ছাড়াই?

৩। যে ব্যক্তি যে সম্মান পাবার যোগ্য নয়, তাকে সেই সম্মান দেবার কিংবা পাইয়ে দেবার চেষ্টা করলে মাঝে মাঝে নিজেকেই অসম্মানিত হতে হয়।

যারা সম্মান নিতে জানে না, তাদের কাছে সম্মান আলাদা বা বিশেষ কিছু নয়, স্বাভাবিক একটা আচরণ মাত্র।

৪। : আপনি তো ব‌ই পড়ার তেমন সময় পান না। তবু ব‌ইয়ের পেছনে এত খরচ করেন কেন?
: নিজের পয়সা নিজের ব‌ইয়ের পেছনেই তো খরচ করি, তাই না? তা না করে যদি পরের ব‌উয়ের পেছনে খরচ করতাম, সেটা কি ভালো দেখাত?

৫। শুভ বিজয়া!

এসো, সেই বিজয়ের খোঁজে হাঁটি, যে বিজয়ের মুকুট পরলে পরে অপাঙ্‌ক্তেয় হ‌ওয়া কঠিন খুবই! বুলিতে নয়, কাজেই পরিচয়!

৬। শিক্ষকতা করি না, তবু শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা পেলাম অসংখ্য! একজীবনে কম তো আর পাওয়া হলো না!  

"আমি অকৃতী অধম বলেও তো, কিছু কম করে মোরে দাওনি!"  

৭। নির্জনতা, একটুখানি নির্জনতা লাগবে...! নির্জনতাই শান্তি!

৮। Never request without a reason.

৯। দুর্গাপূজার গান! আহা, এ যেন খুব মোলায়েম মেজাজে ছোটোবেলায় ফিরে যাওয়া! অমন একেকটা গান যখন কানের দূরত্বে বাজতে থাকে, কী যে ভালো লাগে...! মনে হয়, হৃদয়ে-মস্তিষ্কে-অনুভবে-ভাবনায় হঠাৎ করে আনন্দের সুবাতাস ব‌ইছে! বড়ো আপন আপন লাগে সুরগুলিকে! হ্যাঁ, স্মৃতি শুধুই কষ্ট দেয় না!

আপনার ভালো লাগে, এমন পুজোর গান এই পোস্টের কমেন্ট-থ্রেডে শেয়ার করতে পারেন। আমিও করছি।

১০। আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে, আমার বিশ্বাস আমার কাছে।
আপনার অবিশ্বাস আপনার কাছে, আমার অবিশ্বাস আমার কাছে।
নিজের বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের উপর ভর করে অন্য কারও বিশ্বাস বা অবিশ্বাসকে হেয় করে কথা বলা বা কাজ করা নিশ্চয়ই অতিমূর্খতার পরিচায়ক।
বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস করার অধিকার সবারই আছে, তবে তা দিয়ে অসহিষ্ণু কেবল তারাই হতে পারে, যাদের শুধুই বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস আছে, মগজটা আর নেই।

ধর্ম থাকুক মর্মে ও কর্মে, ওষ্ঠে কিংবা পেশিতে নয়। যে ঘরে আপনি বেড়ে ওঠেননি, সে ঘরের‌ও সৌন্দর্য আছে; তা উপভোগ করার মন তৈরি করুন। তৈরি করতে না পারলে নীরবে নিজের ঘরের সৌন্দর্যে ডুবে থাকুন। ধর্মের পালন ও যাপন হোক আত্মিক‌, শাব্দিক নয়।

১১। 'দুর্গা', 'দূর্গা' নয়।
'পূজা', 'পুজা' নয়।
'পুজো', 'পূজো' নয়।
'দুর্গাপূজা', 'দুর্গা পূজা' নয়।
'দুর্গোৎসব', 'দুর্গা উৎসব' বা 'দুর্গা-উৎসব' নয়।

সবার পুজো ভালো কাটুক।

মন চাইলে আমার ওয়েবসাইট/অ্যাপ থেকে দুই পর্বের 'দুর্গাপূজা থেকে দুর্গোৎসব' লেখাটি পড়তে পারেন। দুর্গাপূজার পালাবদল কীভাবে পূজা থেকে উৎসবে হলো, তা নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি ওখানে।

১২। আমি মনে করি, ধার্মিক হবার চাইতে শিক্ষিত ধার্মিক কিংবা শিক্ষিত হ‌ওয়া বেশি জরুরি।
এখানে 'শিক্ষিত' শব্দটি 'প্রকৃত/কাজের শিক্ষায় শিক্ষিত' অর্থে ব্যবহার করেছি।

১৩। মানুষ...
সাহায্য না করলে অভিযোগ করে,
আর সাহায্য করলে আঘাত করে।

১৪। একটা শান্তির ঘর লাগবে।
ঘরটা আমি ভাড়ায় নিতেও রাজি!
...হবে?

১৫। অভিনন্দন, প্রিয় মানুষেরা! তোমাদের পায়ের কাছে অহংকারের টুপিটা খুলে রাখলাম।

কনফিডেন্স। স্মার্টনেস। স্ট্রেংথ।...মেয়ে, তুমিও শেখো এই তিন, ওদের কাছে!

১৬। আড্ডাশেষে শাহজাদপুর কাপড়ের হাটে গিয়েছিলাম। দেশের সবচাইতে বড়ো কাপড়ের হাট এটি। একসঙ্গে এত কাপড় বিক্রি হতে জীবনে এই প্রথম দেখলাম। শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, ওড়না...কী নেই এখানে! দেখে আমি রীতিমতো মুগ্ধ! একদমই অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা!

১৭। ভুলতে নাগরিক ভিড়,
ছুটছি যমুনার তীর।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব আয়োজিত আগামীকালের ক্যারিয়ার আড্ডায় কথা বলতে এই প্রথম সিরাজগঞ্জে আসছি।

আচ্ছা, চায়না বাঁধের আশেপাশে দেখার ও খাওয়ার মতো ভালো কী কী আছে? কোন টং দোকানের চা বেস্ট?

১৮। সলপের ঘোল খেতে যাচ্ছি। কোন দোকানেরটা বেস্ট?

১৯। বিশ্বস্ততার জন্য যতটুকু মূল্য পাওয়া যায়, অবিশ্বস্ততার জন্য তার চেয়ে অনেক বেশি মূল্য দিতে হয়।

২০। Maybe you are a nice person, but if you are not nice to me, you are not a nice person.
Maybe you are not a nice person, but if you are nice to me, you are a nice person.
That's all.

২১। তোমার মধ্যে একটা হৃদয় আছে। তা দিয়ে অনুভব করতে শেখো।
তোমার মধ্যে একটা সূর্য আছে। তা থেকে আলো ছড়াতে শেখো।
তোমার মধ্যে ভালোবাসা আছে। তা ছুঁয়ে নিজেকে ভালো রাখতে শেখো।
তোমার মধ্যে একটা সমুদ্র আছে। তা জাগিয়ে গর্জন করতে শেখো।
তোমার মধ্যে নীরবতা আছে। প্রয়োজনে তা ভাঙতে শেখো।
এসব করতে গিয়ে ভয় লাগবে। খুব স্বাভাবিক। যারা করতে পেরেছে, তারাও ভয় পেয়েছে। নতুন কিছু করতে যাবার প্রথম ধাপটিই হচ্ছে: ভয় পাওয়া। এবং পরের ধাপটি হচ্ছে: তবু থেমে না যাওয়া।

২২। চলার পথে কিছু জিনিস নষ্ট হবেই---বস্তুগত ও অবস্তুগত উভয়ই। এই সত্যটা সহজভাবে মেনে নিতে না পারলে জীবন কাটানো খুব কঠিন।

২৩। Solvency matters. Even the moon shines more in the window of a solvent person's home.

২৪। আমার প্রায়‌ই মনে হয়, আমাদের পরিচয় মূলত দুইটি: হয় সুবিধাভোগী, নয় সুবিধাবঞ্চিত। বাকি পরিচয়গুলি আরোপিত, আয়োজিত কিংবা দীর্ঘচর্চার ফলে অনুমিত।

যারা সুবিধাবঞ্চিত, তারা সুবিধাভোগীদের পেছনে লেগে থাকে, ওদের অপছন্দ করে। বাহ্যিকভাবে এখানে অন্যান্য অনেক বিষয়কে 'কারণ' মনে হলেও এখানে মূল কারণটি: সুবিধাভোগীদের প্রতি সুবিধাবঞ্চিতদের একধরনের সুপ্ত ক্রোধ বা দ্বেষ।

একজন সুবিধাবঞ্চিত মানুষ সুবিধা ভোগ করতে আরম্ভ করলে তার ঠিক-বেঠিকের ধারণাও ধীরে ধীরে পালটে যায় সময়ের প্রয়োজনে।

২৫। যে বিষয়েই হোক না কেন, কখনোই কারুর ইচ্ছের দায়িত্ব নেবেন না...মানুষটা যে-ই হোক না কেন। নেন যদি, কষ্ট পাবেন কিংবা বিব্রত হবেন।



ভাবনা: নয়-শো চুয়াল্লিশ
………………………………………………………

১। ছেলেকে ভাত খাওয়াচ্ছি। কিছুতেই ভাত মুখে নিচ্ছে না। ঘ্যানঘ্যান করছে। আমি জোর করেই মুখে খাবার দিয়ে দিয়েছি দেখে সে কান্না কান্না ভাব নিয়ে বলছে, “মা, আমি তোমাকে ভালোবাসি না।”

আমি: ভাত খেয়ে তোমার পেট ভরলেই আমি খুশি, বাবা। ভালোবাসার দরকার নাই আপাতত।
আমার শ্বশুর: তোমার ভালোবাসা তুমি তোমার কাছে রাখো, ভাইয়া; মাথায় বাইন্ধা রাখো।
ছেলে: “না... আমি মাথায় রাখব না!” বলেই আবার কাউকাউ শুরু করল।

২। ছেলের স্কুল থেকে ম্যাম আমাকে বললেন, বাচ্চার সাথে বাসায় ইংরেজিতে কথা বলবেন। এতে করে বাচ্চা ভালো ইংরেজি শিখতে পারবে।

আমি: বাবা, এখন থেকে আমরা ইংরেজিতে কথা বলব, কেমন?
ছেলে: মা, ইংরেজি মানে কী?

৩। I hate everyone, এই মুহূর্তে!

৪। : তোমার আর কোনও কাজ নাই নিজেকে ইনজিউর করা ছাড়া?
: এই প্রশ্নটা সৃষ্টিকর্তাকে করি আমি মাঝে মাঝে।

৫। বলেছিলাম থাকো এইখানে,
আর তুমি কিনা থাকতে গেলে পুরো দুনিয়ায়!

৬। চাঁদ দ্যাখো, রুপোর গয়নার মতো মেঘের টুকরোগুলি দ্যাখো,
জোছনায় ভেসে যাওয়া আকাশটাকে দ্যাখো...
কী ভয়ংকর! কী ভয়ংকর!!

৭। গোধূলিবেলা সত্যিই স্বর্গীয়!
সূর্যের পেট থেকে চাঁদ বেরিয়ে আসার মুহূর্ত!
ছাদে বসে আকাশ দেখি, তোমার সাথে গল্প করি।
কী একটা নরম বাতাস এসে গালে লাগে একটু পর পর...
মনে হয়, ওরা জেনে গেছে সবই...

৮। কারেন্ট চলে গেছে। ছেলে আর আমি বারান্দায় বসে আইসক্রিম খাই। ওরটা দই কাপ আইসক্রিম আর আমারটা সাধারণ চকোবার। কিছুক্ষণ পর...

সে বলছে, “মা আমি আমারটা তোমাকে শেয়ার করতে ভুলেই গেলাম! নাও, আমার থেকে একটু খাও। খাও, খাও মা…!”
আমি বললাম: থ্যাংক ইউ, বাবা। তুমি খাও। আজকে শেয়ার করতে হবে না।
সে বলে: না না, খেতেই হবে!

অগত্যা, খেলাম একটু। তারপর সে বলে: এখন তোমারটা আমাকে একটু দাও।
বলেই সে হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছে আমার চকোবারটা খাবার জন্যে।

আকাশে তাকিয়ে দেখি, চকচকে সাদা মেঘ উড়ে যাচ্ছে। আহারে, কে জানে এরকম এক রাতে হয়তো আবারও বারান্দায় বসে আমি এই স্মৃতিচারণ করব, হালকা বাতাস এভাবেই বইবে...

৯। মাঝে মাঝে তোমাকে ছাড়া বাঁচতে এত কষ্ট হয় কেন, বুঝি না। খু-উ-ব কান্না পায়। তবে কি কাছে আসাটা ভুল?

মনকে প্রশ্ন করি, শুধুই কি শরীরের টান? তা-ই যদি হতো, তবে বিগত তিন বছরে কেন কারও ডাকে চলে যেতে পারলাম না? নামমাত্র বৈবাহিক সম্পর্কে কেন পাঁচটা বছর এমনি এমনি থেকে গেলাম!

কেন তোমার-আমার সম্পর্কটা এরকম হবে? পৃথিবীর সব নিয়মই ভুলে-ভর্তি, বিরক্তিকর, বাজে, ভণ্ডামিপূর্ণ, ফালতু, পীড়াদায়ক!

আমি বোধ হয় সত্যিই পাগল হয়ে যাচ্ছি, আবারও...

১০। তোমার জ্বর হলে কী ভাবি, জানো? পাশে থাকলে মাথার কাছে বসে তোমাকে জীবনানন্দের কবিতা পড়ে শোনাতাম, লেবু-চা করে দিতাম; বারান্দায় একটু খোলা বাতাসে বসে খেতে ভালো লাগত। অসুস্থতায় মন ভালো রাখাটা শরীর সুস্থ হবার জন্য সবচেয়ে জরুরি।
১১। চোখ বরাবর পশ্চিমের জানালা খোলা, বাইরের আকাশে চোখ পড়তেই ভয় পেয়ে গিয়েছি। মেঘের ভেতর থেকে হলুদ কালো চাঁদ চোখ গরম করে কিছুক্ষণের জন্যে তাকিয়ে ছিল! বুঝতেই পারছিলাম না, ওটা চাঁদ। দেখতে এত ভৌতিক লাগছিল!! বুঝতে বুঝতেই মেঘে ঢেকে গিয়েছে।

চোখে ঘুম থাকা সত্ত্বেও ঘুম ভেঙে গেলে সহজে আর ঘুমুতে পারি না। মনে হয়, তোমাকে একটু জড়িয়ে ধরলেই ঘুমুতে পারতাম! ক্লান্তিতে অবচেতনভাবে ঘুমিয়ে পড়তে পারাটাই বড়ো সৌভাগ্য!

১২। বাইরে আজ অদ্ভুত বাতাস!
মৃদু...
হঠাৎ...
এলোমেলো...
ঠাণ্ডা...
বাইরের কলাগাছের পাতাগুলি নাচতে নাচতে মনে হয় চাঁদটা ছুঁয়েই দেবে...

১৩। আমি বারান্দায় বসে থাকি হাত-পা ছড়িয়ে এই সময়ে, কখনও শুয়ে থাকি। গান শুনি, চা খাই, আকাশ দেখি, তোমার সাথে প্রেম করি। ঠাণ্ডা বাতাসের চুমু খাই, মশার চুমুও খাই। আকাশে একটার পর একটা প্লেন যায়, সময়ের ব্যবধানটা বুঝতে পারি, ঠিক কতক্ষণ পর আরেকটা প্লেন আসবে। সাড়ে নয়টা পর্যন্ত এভাবেই সময় কাটাই।

এই সময়টা আমার ভীষণ প্রিয়!

১৪। বেশিরভাগ সময়ই তোমার সাথে দেখা হবার সময়ে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হবে, আর আমার ঠাণ্ডা লাগবে।
কৃষ্ণচূড়া দিয়ে ঢাকা শহরটাতে আগুন লেগে গিয়েছে! আর এবারে জ্যৈষ্ঠ মাসেও বৃষ্টি এই আগুনকে একদম ফাগুন করে দিয়েছে! উফফ্‌…!!
সত্যিই… আমি যখন বনানী ফ্লাইওভার দিয়ে আসি, কৃষ্ণচূড়া গাছের মাথাগুলি দেখলে মনে হয়, ওগুলির ভেতরে গিয়ে বসে থাকি।

১৫। প্রেম বাঁচিয়ে রাখতে জানাটাও আর্ট। আফসোস! এত প্রেম কাউকে দিতে পারলাম না!
I love you... Your memories make me smile in silence…
কাজ করি আর হাসি। সবাই কী ভাবে, আল্লাহ নৌজ! হা হা হা...

১৬।‌ রাতে একটু প্রেম করলাম, আর অমনিই শ্রাবণ আকাশকে গিয়ে সব জানিয়ে দিল! শ্রাবণ আর আকাশ মিলে সে কী কান্না যে শুরু করেছে!! আমি চেয়ে চেয়ে ওদের ঠাণ্ডা কান্না গিলছি, আর তোমাকে অনুভব করছি... আমরা দু-জন কাছে এলেই বর্ষা!

১৭। আহা, আমাদের নাচানো কী সহজ!

আর্জেন্টিনার কোচ আমাদের 'ভালোবেসে' কী জানালেন বা জানালেন না, তা নিয়ে আমাদের উৎসাহের শেষ নেই! আমরা হাঁ করে বসে থাকি একজন বিদেশির পাত্তা পাবার জন্য। ওরাও আমাদের নাচায় সুযোগ পেলেই... আমাদের আত্মসম্মানবোধের বারোটা অবশ্য অনেক আগেই বেজে গেছে। মানুষ কুকুর পালে কেন, জানেন তো? কারণ কুকুর‌ই একমাত্র প্রাণী, যে তার নিজের জীবনের চাইতেও মনিবের জীবনকে বেশি ভালোবাসে। এটা নিয়ে কুকুরের আনন্দে লাফানোর কিছু নেই।

ওদিকে ব্রাজিলের কোচকে বাংলাদেশের সাংবাদিক ক্রমাগত জোর করেই যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু বলার জন্য। সং সেজে কারও সামনে লাফাতে লাফাতে তাকে বলা... হাসো না, একটু হাসো না... কেমন দেখায়! মানইজ্জতের শাহী ফালুদা! ওরকম জোরাজুরিতে কোনোমতে 'হাই বাংলাদেশ' টাইপের কিছু একটা বলে বা বলার চেষ্টা করে ব্রাজিলের কোচ যেন প্রাণ নিয়ে পালালেন! ভদ্রলোকের বিরক্তিমাখা হাসিটা আমাদের প্রতি একধরনের তাচ্ছিল্য, যদিও ওসব আমাদের গায়েও লাগে না! আমরা অন্যের পেছনে লেগে-থাকা লোকজন, অপরিচিত কাউকে গায়ে পড়ে রীতিমতো অধিকার খাটিয়ে বিরক্ত করার ক্ষমতা আমাদের প্রশ্নাতীত। গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেবার আগ পর্যন্ত আমরা বুঝতেই পারি না যে আমরা গলাধাক্কা খাবার মতো কাজ করে যাচ্ছি! যে আমাকে চেনেই না, তার প্রতি অত প্রত্যাশা আমার আসে কোত্থেকে... তাকে আমি যত‌ই ভালোবাসি না কেন!

এরকম জোর করে পাত্তা নেবার চেষ্টা এবং পাত্তা পেলে বা না পেলে, সেটিকে কেন্দ্র করে লাফালাফি করা, আমাদের আসলে কোথায় নামিয়ে দেয়? এতটা ভিখারি-মিসকিন টাইপের মানসিকতা আমাদের কী প্রমাণ করে? প্রেমিক? না কি বেহায়া? নিজের আনন্দের জন্যই আমরা খেলা দেখি, পছন্দের দলকে সাপোর্ট করি। এটার জন্য জোর করে হলেও ওদের পাত্তা কিংবা অ্যাটেনশন আদায় করতে হবে? খেলা দেখে বিনোদন পাচ্ছি, এটাই কি যথেষ্ট নয়?

মিডিয়া বরাবরই আমাদের এই ছোটোলোকিকে পুঁজি করে ব্যাবসা করে যায়। করবে, এটাই স্বাভাবিক। মানুষকে যেভাবে নাচানো যায়, ওরা সেভাবেই নিউজ করবে। পজিটিভলি হোক, নেগেটিভলি হোক, কোনও এক উপায়ে নিউজ খাওয়াতে পারাই বড়ো কথা।
আর্জেন্টিনার কোচ বাংলাদেশকে পাত্তা দিয়েছেন, এটা নিয়ে একটা গ্রুপের আনন্দের কোনও সীমা নেই!
ব্রাজিলের কোচ বাংলাদেশকে পাত্তা দিলেন না, এটা নিয়ে একটা গ্রুপের দুঃখের কোনও সীমা নেই!
আবার উপরের দুই গ্রুপ পরস্পরকে আক্রমণ করে নিজেদের আবেগ উগরে দিচ্ছে সমানে!
আমাদের সত্যিই কি কোনও লজ্জাশরম নেই? চিন্তাভাবনার দিক থেকে আমরা কি কোনোদিনই পরিপক্ব হব না?
আমরা ভাত খাই, তাই প্রিয় মেসি-নেইমার একবেলা ভাত খেলে আমাদের প্রিয় ভাত জাতে ওঠে! আই মিন, সিরিয়াসলি?!

পুনশ্চ। তোমাকে এত্ত এত্ত ভালোবাসি, আর তুমি আমার নামটাই জানো না?!
ও মেরি জান, আমায় মিথ্যে করে হলেও বলো না গো... ভালোবাসি!!

পুরাই ইতর প্রোম্যাক্স!!!


ভাবনা: নয়- শো পঁয়তাল্লিশ
………………………………………………………

১। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবার সময় কী কী করা উচিত এবং কী কী করা উচিত নয়, তা নিয়ে কথা বলতে আসছি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগামী শনিবার।

অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়।

ক্যারিয়ার আড্ডাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত।

(বিসিএস নিয়ে আপনাদের যা যা জানার আছে, একটা কাগজে লিখে নিয়ে আসতে পারেন। আমি চেষ্টা করব উত্তর দেবার।)

২। ত্রিদিব দস্তিদারের কবিতায় আছে: তবে আমি তোমাকে ভালো বাসতে বাসতে... ফতুর করে দেবো।

পরিচিত লাইন, অনেকেই ব্যবহার করেন। পোস্টে ব্যবহার করলে কোনও অসুবিধা নাই। কিন্তু যদি কেউ আপনাকে এটা লিখে পাঠান, তবে... সাধু, সাবধান!

এ ভালোবাসা নয়, এ রীতিমতো সত্যভাষ!

এটা লিখে পাঠানোর মানে, আমি ফতুর, আমার লাইনে এসে তুমিও ফতুর হ‌ও... প্লিজ, সোনা আমার! একা একা থাকতে আর ভালো লাগে না। তুমি এলে তারপর দুই ফকিন্নির বাচ্চা মিলে একসাথে ধেইধেই করে নাচব। আমাদের দু-জনের হাতে থালা, গলায় আন্তর্জাতিক ভিক্ষা-সংগীত... আল্লাহর ওয়াস্তে দুইডা ভিক্ষা দ্যান গো মা... কী মজা... কী মজা!

ধনীরা কখনও দল ভারী করতে চায় না, কেবল গরিবেরাই সবাইকে ধরে টানাটানি করে দল ভারী করতে। তাই কেউ আমাকে তার দলে নেবার জন্য টানাটানি করলেই আমার নিষ্পাপ মন আপনাআপনিই বলে ওঠে... হাই ফ‌ইন্নি বেইবেহ!

আবেগে কেঁদে ফেলার সময় সবসময়ই মনে করে নাকের সর্দি আটকে রাখবেন; মুখে যে যা-ই বলুক, ওটা মোছার সময় দেখবেন, পাশে কাউকেই পাচ্ছেন না, নিজেরটা নিজেকেই মুছতে হচ্ছে কিংবা সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে জিভ বের করে চাটতে হচ্ছে।

এ জীবনে... চোখের জল নয়, নাকের সর্দি মুছে দেবার জন্য একজন মানুষ লাগে। অশ্রু মোছার মানুষ পেলে তার হাত ধরে হাঁটুন; সর্দি মোছার মানুষ পেলে তার বুকে মাথা রেখে মনের সুখে ওখানে সর্দি ঝরান! তার পরে... দু-জন মিলে মনের সুখে চাটাচাটি... আই মিন... সর্দি...

প্রিয় মানুষটি যদি বলে, "ওগো, তুমি ভেবো না... আমি তোমার সমস্ত চোখের জল মুছে দেবো!"... তবে সাথে সাথেই তাকে জিজ্ঞেস করুন, "... তা নাকেরটা তোর কোন বাপে এসে মুছবে?" অনুগ্রহ করে আমাকে ভুল বুঝবেন না। এখন‌ই জিজ্ঞেস করে নাম-ঠিকানা জেনে না নিলে পরে দেখবেন, সেই বাপের খোঁজে আপনাকে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে! তাই আগে থেকেই কনফার্ম হয়ে থাকলে ভালো।

বাই দ্য ওয়ে, সঞ্জীব-বাপ্পা'র 'আন্তর্জাতিক ভিক্ষা-সংগীত' শুনেছেন তো?

৩। Showing proper responsibility is the first sign of love. Irresponsible people can never be good lovers. Where there is love, there must exist responsibility. Love means nothing without responsibility.

If yo u plan to be with an irresponsible person, you actually plan to suffer.

৪। Some love languages for me:

Cooking for her and dishwashing after the meal,
Feeding her carefully with my hand,
Doing the little things that make her feel happy and comfortable even if I don't like them,
Remembering every single thing she needs and will need,
Watching her favourite movies or listening to her favourite music with her (usually I watch movies and listen to music alone),
Giving and sharing the things I like with her,
Reciting my poems for her,
Singing and dancing with her,
Asking for her opinions about the writing I'm going to post,
Sharing my sadness about things and people (which I never do) with her,
Telling her what I think about life over coffee or tea or soup without the least hesitation,
Inspiring her not to overthink about anything to keep things simple,
Creating moments with her expecting absolutely nothing,
Making her my best friend from whom I don't need to hide anything on earth...

... and some more.

You can share yours.

৫। এ পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে, যারা খুব করে চাইলেও হারিয়ে যেতে পারে না। ওরা আছে কি নেই, এ নিয়েই কারুর কোনও মাথাব্যথা নেই। ওদের অস্তিত্ব মেনে নিতে এ সমাজের অস্বস্তি, আবার অস্তিত্ব অস্বীকার করতে আর‌ও বড়ো অস্বস্তি। ওদের থেকে যাওয়া কেবল অনুভব করতেই ভালো লাগে, কেননা অনুভূতির এই ম‌ইটি বেয়ে মানুষ কখনো কখনো বেশ উঁচুতে উঠে যায়।

ওরা কখনও হারায় না। ওদের যে অস্তিত্বই নেই! আর নেই বলেই চোখের সামনে থেকে উধাও হলেও কেউ টেরই পায় না, আর টের পেলেও কেউ ওদের খোঁজার গরজ‌ই করে না। যাকে কেউই খুঁজতে চায় না, সে আবার হারায় কী করে?

৬। জীবনে কখনো কখনো এমন সময় আসে, যখন মানুষ কাছের জিনিসকে দূরে সরিয়ে রেখে দূরের জিনিসে শান্তি খুঁজে বেড়ায়। তখন না থাকে কাছের জিনিস, না পায় দূরের জিনিস, না মেলে শান্তি। ঠিক এমন মুহূর্তে মানুষ একদমই শূন্যতায় ডুবে যায়। ডোবার ঠিক আগে যে আবছা আলো দেখে, হাত বাড়িয়ে তা ছুঁতে যাবার আগেই সমস্ত শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়... হাত বাড়াতে সে আর পারে না, পাথরের মতো টুক করে ডুবে যায়।

কীসের ভালোবাসা? কীসের প্রেম? কীসের বন্ধন? কীসের সংস্কার? কীসের পিছুটান?
... শান্তি, হ্যাঁ, শান্তিই মানুষকে থামায়; আবার এই শান্তিই মানুষকে ছোটায়।

৭। I love winter, but if winter gives me pain, I stop loving winter and start thinking about another season.
I love you, but if you give me pain, I stop loving you and start thinking about another girl.
When comfort is away, my love is away. It's what I'm.

৮। সেই পুরোনো তুমি'র ফিরে আসার অপেক্ষায় নিজেকে জোর করে আটকে রাখতে রাখতে একসময় আমি পুরোনো আমি'কেই কোথায় যেন হারিয়ে ফেললাম। আজ বুঝতে পারি, মানুষকে কখনও বদলানো যায় না; বরং বদলাতে চাইলে চরম আঘাত পেতে হয়। মানুষ অভিনয় করতে ও লুকোতে শিখে নেয়, কিন্তু বদলায় না।

৯। মানুষ যাকে প্রার্থনা করেও পায় না, সে তার সারাজীবনের প্রার্থনা হয়ে যায়।

এমন সৌভাগ্য নিয়ে ক-জন মানুষ‌ই-বা বাঁচতে পারে, যাদের প্রার্থনা ও প্রার্থনার ঘর একই!

এমন একজন মানুষ জীবনে থাকুক, যাকে খুব করে বলতে ইচ্ছে করে, "ফিরে আসা যায় না?"... তবু কিছুতেই বলা যায় না।

শূন্যতাই প্রার্থনার অক্সিজেন।

১০। অঞ্জলির স্বামী: বার বার অঞ্জলির অভিমান ভাঙানোর ব্যাপারটা কী যে বিরক্তিকর, তুমি যদি দেখতে!
অঞ্জলির প্রাক্তন: অঞ্জলির অভিমান ভাঙানোর অধিকার পুরো জীবনের জন্য হারিয়ে ফেলার সত্যটা কী যে যন্ত্রণার, তুমি যদি বুঝতে!

১১। কার‌ও সময় কাটে একটা রিপ্লাই দেবার ইচ্ছেকে অভিমানে গলা টিপে মারতে মারতে,
কার‌ওবা সময় কাটে একটা রিপ্লাই পাবার ইচ্ছেকে লজ্জাহীনতায় বাঁচিয়ে রাখতে রাখতে।

১২। একটা সুন্দর ব্যালকনি একজন মানুষকে সুস্থ করে তুলতে পারে।

আমাদের শুধুই ঘর আছে, সুন্দর একটা ব্যালকনি নেই। আমাদের সেই ঘরে শুধুই জায়গা আছে, বসার কোনও জায়গা নেই।

আমরা শুধুই ভুল ঘরে ফিরি।
আমাদের ভুল ঘরেই বাঁচতে হয়।
ঘর খুঁজতে খুঁজতে একসময় জীবনটাই হারিয়ে ফেলি।

১৩। তোমার প্রেমে পড়তে গেলাম কেন? তোমার প্রেমে না পড়লেও তো জীবন ঠিক‌ই কেটে যেত!

১৪। If you plan to watch only one movie in 2023, watch Zindagi Na Milegi Dobara.

If you plan to get married, before doing that watch Zindagi Na Milegi Dobara.

If you plan to die, before dying just watch Zindagi Na Milegi Dobara.

If you want to settle down with someone, before deciding that watch Zindagi Na Milegi Dobara.

If you are off to fantasizing about love at first sight, you better consider watching Zindagi Na Milegi Dobara.

Then decide.

Your life is more important than everything else. Your parents, your job, your friends, your everything... are secondary. You never need to take anything for granted.

Just watched it, though have been planning to watch it for the last 7-8 years. I regret not watching it before dot dot dot. Trust me, this movie is one of the best wines I've ever consumed. A pure food for my soul!! Even Blue Level fails, dude!! (Don't tell me to post the photo! Ha ha ha)

I wish I watched it long before. But you know, better late than never.

Watch it, feel it, kiss it. Thank me later.

Maybe I'm talking much, but trust me, it's worth it!!!

১৫। Sometimes, not asking... Why are you feeling sad?... is the best way to remove sadness from your friend. Just stay beside them silently, let them be with their sadness, the rest will follow. Trust me, it's a magic. You do everything by doing nothing for your friend. Trust me, just your silent company works.

১৬। Sometimes, you need a place where you can do whatever you want to do, provided that no one around notices or judges you... to mend yourself.

১৭। Sometimes, alcohol and Zindagi Na Milegi Dobara together make you feel much better than your possessive girlfriend.

You can try it!!!