অন্তরাত্মা (Self) স্বভাবতই বিশুদ্ধ চৈতন্য (pure consciousness) এবং নিজে থেকেই স্বয়ংপ্রকাশমান। সুতরাং ব্রহ্মের অপ্রকাশ (non-manifestation) অন্য কোনো কিছুর কারণে ব্যাখ্যা করা যায় না। তাই বলা হয়—এখানে অপ্রকাশের কারণ হলো অজ্ঞানশক্তির প্রতিবন্ধকতা। এই অজ্ঞানশক্তি আত্মার ভেতরেই আছে এবং অনাদি।
এই প্রাথমিক অজ্ঞান আত্মার মধ্যে ব্রহ্ম-স্বরূপ প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, আত্মার আসল প্রকৃতির বাইরে ভিন্ন কিছু প্রকাশ করে। যেমন অহংকারবোধ (I-sense), “আমি-আমার” এর ধারণা।
গভীর নিদ্রার সময় অহংকারবোধের সংস্কারগুলো (impressions) সুপ্ত অবস্থায় থাকে—এগুলো আসলে অজ্ঞান-এর বিক্ষেপশক্তির ফল—জাগরণের পর আবার সক্রিয় হয়।
“আমি” এবং “আমার”-এর মতো অধ্যাস অনাদি—কারণ এর মূল হেতু (অজ্ঞান) অনাদি। কিন্তু এটিকে কখনোই আকস্মিক (accidental) বা পরে-যোগ-হওয়া কিছু বলা যায় না। তাই এর অনাদিত্ব (beginninglessness), এর কারণ-জনিত উৎপত্তির সঙ্গে কোনো বিরোধ করে না।
অজ্ঞান অনাদি—কারণ এর শুরু নেই। অজ্ঞান মিথ্যা—কারণ এটা সত্য নয়, বিভ্রম। এর দুই শক্তি আছে: আবরণশক্তি (āvaraṇa)—ব্রহ্মকে আড়াল করে। বিক্ষেপশক্তি (vikṣepa)—ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করে। জড়জগতেও, আত্মার ক্ষেত্রেও অজ্ঞান কাজ করে। তাই অধ্যাস (superimposition) অনাদি হলেও এর কারণ মিথ্যা অজ্ঞান।
আয়নার কালো দাগ সূর্যের আলোকে আড়াল করে না, কিন্তু প্রতিবিম্বে বিকৃতি ঘটায়। তেমনি অজ্ঞান আত্মাকে কলুষিত করে না, কিন্তু আত্মার প্রতিফলনে বিকৃতি ঘটায়—এটাই “অধ্যাস”।
অজ্ঞান-এর দুই শক্তি (যা শাস্ত্রে সবসময় আলাদা করে ব্যাখ্যা করা হয়)—আবরণশক্তি (āvaraṇa-śakti) আর বিক্ষেপশক্তি (vikṣepa-śakti)—এদেরকে সহজভাবে উদাহরণ দিয়ে ভেঙে ব্যাখ্যা করছি।
১) আবরণশক্তি (আবৃত করার ক্ষমতা)—এর কাজ: ব্রহ্ম-স্বরূপকে আড়াল করে, যেন সত্যকে দেখা না যায়। যেমন মেঘ সূর্যকে আড়াল করে। সূর্য তখনও আকাশে আছে, আলোও আছে, কিন্তু দেখা যায় না। অথবা যেমন অন্ধকারে দড়িকে সাপ মনে হয়—আসলে দড়ি আছে, কিন্তু তার প্রকৃত স্বরূপ দেখা যাচ্ছে না। এখানে অজ্ঞান সত্যকে আড়াল করেছে, ফলে “আমি দেহ”, “আমি কর্তা”—এই ভ্রান্ত ধারণা জন্মায়।
২) বিক্ষেপশক্তি (প্রক্ষেপণের ক্ষমতা)—এর কাজ: সত্যকে আড়াল করার পর ভ্রান্ত কিছু সামনে এনে দেয়, মিথ্যা জগৎ বা ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করে। যেমন অন্ধকারে দড়িকে সাপ ভেবে ভয় পাওয়া। এখানে দড়ি আড়াল হয়নি (আবরণ), বরং “সাপ” এই ভ্রান্ত ধারণা সামনে এসেছে (বিক্ষেপ)। শঙ্খে রুপার ভ্রান্তি দেখা যায়—আসল শঙ্খকে আড়াল করা হলো, আর ভ্রান্ত “রুপা”র ধারণা সামনে প্রক্ষেপিত হলো। এখানে অজ্ঞান শুধু সত্যকে ঢেকে রাখে না, তার জায়গায় মিথ্যা কিছু সামনে ফেলে দেয়।
আবরণশক্তি: ঢেকে দেয়, যাতে সত্য ধরা না পড়ে। বিক্ষেপশক্তি: ভ্রান্ত কিছু দেখায়, যা নেই, সেটাকেই সত্য মনে করায়। অজ্ঞান = একদিকে ঢেকে রাখা (আবরণ), অন্যদিকে ভুল কিছু দেখানো (বিক্ষেপ)। ফলে আত্মা নিজেকে ব্রহ্ম হিসেবে না দেখে, দেখে দেহ-মন-ইন্দ্রিয় হিসেবে। আর এখান থেকেই সব “অহং” আর “মমতা” শুরু হয়।
বেদান্তে “অহং” আর “মমতা”—এই দুটো ধারণা আসলে অজ্ঞানের (avidyā) ফল, আর সংসারের সব দুঃখের মূল শেকড় এগুলোই।
১) অহং (Ahaṅkāra) অর্থ: “আমি” ভাব, বা নিজেকে কোনো বিশেষ সত্তা হিসেবে ধরা। আত্মা আসলে শুদ্ধ চেতনা, কিন্তু অজ্ঞানের কারণে আত্মা ভুল করে দেহ-মন-ইন্দ্রিয়কে নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেয়। তখন মনে হয়: “আমি মানুষ”, “আমি পুরুষ/নারী”, “আমি সুখী/দুঃখী”, “আমি কর্তা (আমি কাজ করি)”, “আমি ভোক্তা (আমি ভোগ করি)” ইত্যাদি। উদাহরণ: যেমন একজন অভিনেতা মঞ্চে রাজা সাজে, আর ভুলে যায় যে, সে আসলে সাধারণ মানুষ। তেমনি আত্মা দেহের সঙ্গে অভিন্ন হয়ে “আমি” ভাব তৈরি করে।
২) মমতা (Mamatā) অর্থ: “আমার” ভাব, বা অধিকারবোধ। অহং থেকে মমতা জন্মায়। যখন “আমি” দেহ-মন ধরে নিই, তখন দেহ-সংক্রান্ত সব কিছুকেই নিজের বলে ধরি। তখন মনে হয়: “এ সন্তান আমার”, “এ ধন আমার”, “এ ঘর আমার”, “এ শরীর আমার” ইত্যাদি। উদাহরণ: শিশুর খেলনা আসলে খুবই ক্ষণস্থায়ী—সহজেই ভেঙে যায়, ভেঙে গেলে সেটার উপর শিশুর মমত্ব সহজেই লোপ পায়, অথচ ক্ষণিকের জন্য শিশুর কাছে তা মহামূল্যবান হিসেবে প্রতীয়মান হয়—সে বলে, “এটা আমার!” আর কেউ নিলে কাঁদে। তেমনি জগতের জড় জিনিসকেও আমরা “আমার” বলে আঁকড়ে ধরি।
অহং: “আমি দেহ/মন/কর্তা” — ভ্রান্ত পরিচয়। মমতা: “এ আমার” — ভ্রান্ত অধিকার। এই দুটিই অজ্ঞানের বীজ থেকে জন্মায়। অহংকার না থাকলে “আমার” ভাবও জন্মাত না। আর এই দুই মিলেই সংসারের বন্ধন তৈরি হয়।
‘অধ্যাস’ মানে ভুলভাবে অন্য কিছুর স্বভাব নিজের ওপর চাপানো। অহংকার—“আমি মানুষ”, “এটি আমার”—এই অভিজ্ঞতাই অধ্যাস। এটি অনাদি, কারণ এর মূল কারণ অজ্ঞানও অনাদি। বাইরের বস্তুতে অজ্ঞান কেবল ভ্রান্ত প্রকাশ ঘটায় (যেমন শঙ্খে রুপা)। ভেতরের আত্মায় অজ্ঞান ব্রহ্মের স্বরূপকে আড়াল করে অহংকার ইত্যাদি সৃষ্টি করে। নিদ্রায় এটি সুপ্ত থাকে, জাগরণে আবার জেগে ওঠে।
“Anyonyadharmāṁśca”—মানে: একটির ধর্ম/গুণ আরেকটির ওপর ভুলভাবে আরোপ করা—“একের উপর অপরের ধর্ম বসানো”। কেন এখানে ‘ধর্ম’-কে আলাদা করে ধরা হয়েছে? যাতে বোঝানো যায়—কখনও বস্তুটা নয়, শুধু গুণটাই ভুল করে নিজে/আত্মার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। যেমন: “আমি বধির।”—এখানে বধিরতা হলো শ্রবণেন্দ্রিয়ের গুণ; আত্মা বা চৈতন্যের নয়। তবু আমরা “আমি বধির” বলে গুণটাকে আত্মার ওপর চাপাই। এটিই ধর্ম-অধ্যাস (attribute-superimposition)।
“ধর্মের অধ্যাস” কোথায় দেখা যায়?—এটি দুটো বাক্যে স্পষ্ট: “এই আমিই” (This is I / ahaṁ idam), “এটি আমার” (This is mine / idaṁ mama)। “আমি”—যে-অহং-বোধ (ego-notion), সেটাই প্রথম অধ্যাস। এখানেই আত্মার ওপর দেহ-ইন্দ্রিয়-মন ইত্যাদির পরিচয় ভুল করে বসানো হয়।
প্রশ্ন ওঠে: “অহং” (I-notion) কি নিখাদ চিত্ (cit)–এরই প্রকাশ? অর্থাৎ, “অহং” বলে শুধুই কি অখণ্ড, অংশহীন চৈতন্য প্রকাশ পায়—আর অতিরিক্ত কিছুই (superimposed/non-superimposed) কি থাকে না? “অহং”-এ অধ্যস্ত (superimposed) এক অচেতন (insentient) অংশ জুড়ে দেওয়া থাকে। “আমি” যে দেখি, তা নিখাদ চেতনার সঙ্গে দেহ-মন-ইন্দ্রিয়ের মিশ্র পরিচয়।
“এই” (idam)–ধারণায় কী ঘটে? “এই” বলে নিজের শরীরকে বোঝালে—শরীর হলো কারণ-কার্য সংহতির এক সমষ্টি (cause-effect aggregate), ভোগের উপকরণ (যে-কর্তার ভোগ-অনুভূতির যন্ত্র)—“আমি কর্তা” এই অহং-ধারণার ভোগসাধন। এভাবে শরীর বস্তু (object) হিসেবে প্রত্যক্ষ হয়—“আমার সামনে থাকা একটা ‘এই’”।
“এটি আমার” (idaṁ mama)—এভাবে বললে শরীরকে কর্তা (আমি) থেকে পৃথক সম্পত্তি হিসেবে ধরা হয়—অর্থাৎ “আমার” কোনো জিনিস। মনে হতে পারে—এখানে তো কোনো অধ্যাস নেই; শুধু ‘আমি’ ও ‘আমার জিনিস’—এই সম্পর্কই তো বলা হচ্ছে!
যদি “আমি কর্তা”—এই অহং-ধারণাটাই অধ্যাস (ভুল আরোপ) হয়, তবে এর সহায়ক (auxiliary) ধারণাও—যেমন “এই দেহ আমার”—ভুলই হবে। অর্থাৎ, যে ‘আমি’ (“অহং”) নিজেই ভুল ধারণার ওপর দাঁড়িয়ে, তার সেবার/ব্যবহারের জন্য ধরা ‘শরীর’—যেটাকে “আমার” বলা হয়—সে-ও একইভাবে ভুল ধারণাজাত।
স্বপ্নে বা মহামায়ায় যে-রাজা দেখা যায়, তার রাজদণ্ড-মুকুট-সিংহাসন—কোনোটাই বাস্তব নয়। যখন রাজাই কল্পিত, তার রাজসামগ্রীও কল্পিত। তেমনি, যখন অহং-কর্তা ধারণাটাই অধ্যস্ত, তখন কর্ম-উপায়-ফল—এই পুরো কাঠামোও অধ্যস্ত।
ফলত—কী কী “আরোপিত” (superimposed)? অহংকার-জাত কর্তা-ভাব: “আমি কর্মকারী/আমি কর্তা”; কর্ম: যা করা হচ্ছে; উপায়: যন্ত্র/সাধন/পদ্ধতি; ফল (phala): লাভ/লোক–পার্থিব/অলোকিক ফল—সব কিছুই আরোপিত (superimposed) হয়েছে আত্মার ওপর—অথচ আত্মা স্বভাবতই: শাশ্বত (nitya), বিশুদ্ধ (śuddha), জ্ঞানস্বরূপ/বোধস্বরূপ (buddha/jñāna-svarūpa), মুক্ত (mukta)।
মুক্তির একমাত্র পথ—কী ধরনের জ্ঞান? শুধুই সেই জ্ঞান, যা শেষ পর্যন্ত আত্মা ও ব্রহ্মের অভিন্নতার প্রত্যক্ষ উপলব্ধি (aparokṣānubhūti)–তে পৌঁছায়, আর এভাবেই অধ্যাস-জনিত অনর্থ/দুঃখকে নিবারণ করতে পারে। তাই এই জ্ঞান-কেই বিষয় (viṣaya) করে বেদান্তশাস্ত্রের অধ্যয়ন শুরু হওয়াই যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয়।
প্রথম অধ্যাস হলো অহং—যেখানে নিখাদ চৈতন্যের সঙ্গে অচেতন উপাদান জুড়ে গিয়ে “আমি কর্তা/আমি দেহ/এটা আমার”—এই ভুল ধারণা তৈরি হয়। এখান থেকে কর্ম-উপায়-ফল—সবই আত্মার ওপর আরোপিত হয়ে যায়। এবং আত্মা-ব্রহ্ম অভেদ-জ্ঞানই এই আরোপিত ভ্রান্তি ভাঙার একমাত্র কার্যকর প্রক্রিয়া—তাই বেদান্তের পাঠ সেই জ্ঞান নিয়েই শুরু।
অধ্যাস হলো: “অন্য কোনো বস্তুর মধ্যে, পূর্বে প্রত্যক্ষ-করা কোনো কিছুর স্মৃতি-সদৃশ প্রকাশ।” অর্থাৎ, যা একসময় আমরা দেখেছি/জেনেছি, তার স্মৃতি-মতো রূপ অন্য কিছুর ওপর চাপিয়ে দেওয়া। যখন বলা হচ্ছে “অন্যত্র” (paratra)—অর্থাৎ “অন্য কোনো বস্তুর মধ্যে”—তখন বোঝানো হচ্ছে: এখানে প্রকাশিত জিনিসটি সামনে উপস্থিত বস্তু নয়, বরং অন্যকিছু। যেমন: শঙ্খের (conch shell) ওপর রুপা (silver)-এর ভ্রান্ত প্রকাশ। শঙ্খ চোখের সামনে উপস্থিত, কিন্তু প্রকাশিত হচ্ছে রুপার মতো কিছু—যেটি আসলে নেই। (তুলনীয়: সমস্যাহীনতা চোখের সামনে, অথচ মন সমস্যার ভারে জর্জরিত। আমরা যে-সকল বিপদের আশংকায়-ভয়ে অস্থির হয়ে থাকি, তার শতকরা ৯৫ ভাগের অস্তিত্বই নেই—সবই আমাদের উৎকণ্ঠা-জাত।)
সংজ্ঞায় বলা হয়—অধ্যাস হলো “স্মৃতির প্রকৃতিস্বরূপ”। অর্থাৎ, এটি সেই বস্তুর মতো, যা আগে স্মরণ/দেখা হয়েছে। “যা স্মরণ করা হয়—সেটিই স্মৃতি।” তাই অধ্যাসে স্মৃতির ছায়া থাকে, কিন্তু আসল বস্তুটি উপস্থিত থাকে না। কেন একে “স্মৃতি-সদৃশ” বলা হলো? কারণ, অধ্যাসে যা প্রকাশিত হয়, তা স্মৃতির মতো হলেও আসল স্মৃতি নয়। শঙ্খে রুপার ভ্রান্তি দেখা গেলে, প্রকাশিত বস্তুটি রুপার মতো—কিন্তু সেটি আসল রুপা নয়। অর্থাৎ, প্রকাশিত জিনিসটির সঙ্গে পূর্বে-দেখা রুপার সাদৃশ্য আছে, কিন্তু তা আসল রুপা নয়।
ইন্দ্রিয়প্রদত্ত বস্তু ও স্মৃতির পার্থক্য—যে-বস্তু ইন্দ্রিয়ের সামনে উপস্থিত, প্রকাশ ঘটে সেই বস্তুতে। শঙ্খ চোখে ধরা দিচ্ছে, কিন্তু প্রকাশের ধরন আসছে স্মৃতির মতো, অর্থাৎ পূর্বে-দেখা রুপার আকারে। তাই অধ্যাস হচ্ছে স্মৃতি-মতো প্রকাশ। কেন স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্ক দেখানো হলো? কারণ, অধ্যাস সবসময়ই পূর্বে-দেখা/অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত বস্তুর প্রকাশ। যেমন: কেউ যদি জীবনে কখনও রুপা না দেখে থাকে, তবে শঙ্খ দেখে তার মনে রুপার ভ্রান্তি কখনোই জাগবে না। অর্থাৎ, পূর্বঅভিজ্ঞতা ছাড়া অধ্যাস হয় না।
অধ্যাস হলো—“পূর্বে-দেখা কোনো বস্তুর স্মৃতির ছায়া, বর্তমানের অন্য কোনো বস্তুর ওপর ভুল করে আরোপ করা।” যেমন, শঙ্খে রুপার ভ্রান্তি। শঙ্খ সামনে আছে, কিন্তু প্রকাশ হচ্ছে “রুপা”র মতো। এটা আসল রুপা নয়, শুধু স্মৃতি-জাত এক ভ্রান্ত প্রকাশ।
অধ্যাস কখনো কেবল ধর্মের ওপর হয়, যেমন “আমি বধির”। অহংকারবোধ—“আমি এই” বা “এটি আমার”—এটাই প্রথম অধ্যাস। যেমন স্বপ্নরাজা বাস্তব নয়, স্বপ্নের রাজমর্যাদাও তার নয়—তেমনি, কর্ম কি তার ফল, সবই আত্মার ওপর অধ্যাস।