এখন বুঝতে পারি, ঘরে ফিরতে রাত হলে, কিংবা ঘরে না ফিরলে... তার কৈফিয়ত কেউ চাইলেই বরং ভালো লাগে! এখন বুঝতে পারি, নতুন কেনা দামি ফোনটা চোখের সামনে রেখে দেবার মানে সাফল্য নয়। এখন বুঝতে পারি, মানুষ একদিন জন্মদিনের জন্য অপেক্ষাটা আর করে না। জন্মদিনে লাফানোর বয়সটা একদিন ঠিকই ফুরিয়ে যায়... আজ বুঝতে পারি, যখন আমার বন্ধুদের কেউ প্রমোশন সেলিব্রেট করছে, কেউবা বিদেশে যাবার প্ল্যানটা ক্যানসেল করছে, ঠিক তখন মোবাইলের দিকে শূন্যদৃষ্টি ছুড়ে তাকিয়ে থাকার সময়টা হঠাৎ এসে যায়! আজ বুঝতে পারি, কেবল একটা আইসক্রিম কিনতে বেরিয়ে পৃথিবীসুদ্ধ বাজার কিনে বাসায় ফেরার নামটা সামর্থ্য নয়, বিষণ্ণতা। আজ বুঝতে পারি, ঘুমিয়ে পড়ার আগ অবধি সারাক্ষণই ক্লান্ত হয়ে থাকার অর্থ ব্যস্ততা নয়, শুধুই ক্লান্তি। আজ বুঝতে পারি, বাইরে খেতে যেতে চাইলে মা কেন প্রতি বারই বলতেন, বাবা, আমাদের ঘরেই তো খাবার আছে! আজ বুঝতে পারি, জীবনের কাজগুলি কখনওই ফুরোয় না, শুধুই বাড়তে থাকে। একদিন, সপ্তাহের শুরু ও শেষ, দুই-ই একই রুটিনে চলে। যা করা দরকার, তা শুরু করার সময়টা মানুষ শুধুই পিছিয়ে দেয়। যা করার দরকার নেই, তা করার অজুহাতটা মানুষ একভাবে খুঁজে নেয়ই!