অস্তিত্বের বাইরে আর কোনো জ্ঞান নেই—
যে জানে, সে আলাদা কিছু নয়, সে-ই তো অস্তিত্ব!
অস্তিত্ব আর সচেতনতা দুই নয়।
সচেতনতা কোনো কিছুর অর্জন নয়—
বরং আমাদের স্বরূপ।
মনের কথা বলার আগে,
“আমি জানি” বলার আগে,
এই সচেতনতাই লাগে।
আমি যখন বলি—“আমি জানি”,
একমুহূর্ত থেমে যাই আর ভাবি,
এই জানাটা কোথা থেকে এল?
এই চিন্তাটিকে কে খেয়াল করল?
এই স্বীকৃতিটিকে কে প্রত্যক্ষ করল?
না, ওটা মন নয়;
ওটাই সচেতনতা—
অস্তিত্ব সচেতনভাবে নিজেকেই চেনে।
সব ধারণাগত জ্ঞানই গৌণ।
সব চিন্তা, উপলব্ধি আর জাগরণ
প্রকাশিত হয় এই অপরিবর্তনীয় সচেতনতার ভেতরে।
এমনকি “আমি জানি” ভাবনাটাও
অস্তিত্বের ভেতরে উদ্ভূত একটি ক্ষণস্থায়ী চিন্তা।
সত্যিকারের জ্ঞান কোনো সঞ্চয় নয়, শেখা নয়, অর্জন নয়—
এ নীরবতায় স্বীকৃত হয়।
এ-ই সেই আলো, যার ভেতর দিয়ে
সব জানার উদ্ভব ঘটে।
অস্তিত্ব আর সচেতনতা এক।
এ কোনো যোগ নয়, কোনো সমান্তরাল কিছু নয়, কোনো সম্পর্কও নয়।
এই দুই এক-ই।
অস্তিত্বের পেছনে কোনো দর্শক নেই।
সচেতনতার বাইরে কোনো জ্ঞাতা নেই।
যখন এটা সরাসরি দেখা যায়,
সব ধারণা সহজেই গলে যায়।
রয়ে যায় সেই জানাটা,
যার কোনো শুরু নেই—
যা এখানে, এখনই উপস্থিত,
সব প্রশ্নের আগে এবং পরে।
এ বাস্তবতার জ্ঞান নয়।
এ নিজেই বাস্তবতা,
নিজের প্রতি জাগ্রত।