১৭৬.
‘বিন্দু’তে স্থিতি, দ্বিত্বহীনতায় বিলয়—‘আমি’-র হৃদয়কেন্দ্রে প্রবেশ। ‘আমি আছি’—এই বোধকেই নতুন একটি রূপে ব্যাখ্যা করা হলো—এবার তাকে বলা হলো ‘বিন্দু’। কেন ‘বিন্দু’? কারণ 'বিন্দু' শব্দটিকে ভাগ করলে হয়—‘বিন্’ (বিনা) + ‘দ্ব’ (দ্বিত্ব), অর্থাৎ দ্বিত্বহীনতা।
যখন তুমি এই ‘আমি’-কে ধ্যান করো—শুধু ‘আমি’, আর কিছু নয়—তখন ধীরে ধীরে চারপাশ মুছে যেতে থাকে, তুমি যা-ই দেখো, তাতেই কেবল ‘আমি’ প্রতিফলিত হয়। তখন এই ‘আমি’-বোধ দ্বিত্বহীন হয়ে ওঠে—তোমার আর কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে না, কারণ অভিজ্ঞ ও অভিজ্ঞতাযোগ্য—দুয়ের পার্থক্য হারিয়ে যায়। এই অবস্থাকেই বলা হয় ‘বিন্দুতে স্থিতি’।
এই বিন্দু কোথাও অবস্থিত নয়, তবু সব কিছুতেই আছে। এটি তোমার মধ্যেই রয়েছে—সেখানে স্থিত হও, ধ্যান করো, আর তারপর তাকে অতিক্রম করো। ‘আমি’-তেই স্থিতি, ‘আমি’-রও অতীত হয়ে থাকা—এই-ই চূড়ান্ত পথ।
‘আমি’ বোধকে এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ‘বিন্দু’ রূপে—যার আক্ষরিক ও গুপ্তার্থ একই: Bin + Du = Without duality (দ্বিত্বহীনতা)। যখন এই 'আমি' নিজেই নিজেকে ধ্যান করে—এবং ধ্যান দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর হয়ে ওঠে—তখন ‘আমি’ ছাড়া আর কিছুই থাকে না।
সেই সময় জ্ঞান ও জ্ঞেয়, অভিজ্ঞ ও অভিজ্ঞতাযোগ্য—এই সব বিভাজন হারিয়ে যায়, চেতনা নিজেই নিজের মধ্যে বিন্দুবৎ স্থির হয়ে যায়। এই ‘বিন্দু’ কোথাও নেই, কিন্তু সর্বত্র ছড়িয়ে আছে—যেমন আকাশের কেন্দ্র নেই, কিন্তু সে সর্বব্যাপী। এই অবস্থায় স্থিত হওয়াই সত্য সাধনা—আর তা অতিক্রম করাই মুক্তি। এটাই ‘তুরীয়াতীত’-এর দ্বারপথ।
‘আমি’ বোধই বিন্দু, যার অর্থ—দ্বিত্বহীন অবস্থা। এই ‘আমি’-র উপর দীর্ঘ, গভীর ধ্যান করলে তা নিজেই দ্বৈত বিভাজন ছাড়িয়ে যায়। তখন তুমি স্থিত হও ‘আমি’-তেই, এবং ধীরে ধীরে তাকেও অতিক্রম করে ফেলো। এই বিন্দু কোথাও নেই, তবু তোমার মধ্যেই আছে—এটি ধরো, স্থিত হও, তারপর লীন হও তার অন্তঃসূত্রে। এটাই চূড়ান্ত ধ্যান, চূড়ান্ত উপলব্ধি, চূড়ান্ত বিলয়।
যেখানে কিছু নেই, সেখানে আমি ছিলাম। আর যেখানে ‘আমি’-ও নেই—সেখানেই আমি সত্যরূপে আছি—এক বিন্দু হয়ে, আবার বিন্দুহীন হয়ে।
১৭৭.
‘আমি’ নিজেই নিজেকে ভেদ করে মিলে যায় অনন্তে। এই মুহূর্তে—তুমি যখন এই শব্দগুলো পড়ছো বা ভাবছো—কার মধ্যে এই পাঠ ও চিন্তা ঘটছে? উত্তর একটাই—এটি সেই ‘আমি আছি’ বোধ, যা নিজেই নিজেকে জানার চেষ্টা করছে।
সমস্ত উপলব্ধি, চিন্তা, অনুসন্ধান—এগুলোর পেছনে কাজ করছে একটিমাত্র অভ্যন্তরীণ বোধ: “আমি কে?”, “আমি কী?”, “আমি আসলে কোথা থেকে?”
এই ‘আমি’-ই নিজেকে অনুসন্ধান করছে—আলো ফেলছে নিজের উপরেই। এই আত্মঅনুসন্ধান যখন গভীর হয়, তখন ধীরে ধীরে ‘আমি’ উপলব্ধি করে—“আমি মিথ্যা”। এই মিথ্যাত্ববোধই চূড়ান্ত জ্ঞান—আর তখন ‘আমি’ নিজেই মুছে যায়।
‘আমি’ চলে গেল, তবু তুমি থেকে গেলে—কোনো পরিচয় ছাড়াই, কোনো বুদ্ধি ছাড়াই—শুদ্ধ, চিরন্তন, অনন্ত স্বরূপে। তখন আর কিছু জানার নেই, আর কিছু করবার নেই—তুমি অবশেষে নিজেই চিরন্তনে প্রতিষ্ঠিত।
আমাদের সমস্ত চিন্তা, উপলব্ধি, পাঠ—সব ঘটে ‘আমি’-র অভ্যন্তরীণ ব্যাকড্রপে। এই ‘আমি’-ই নিজের উৎস সন্ধান করতে থাকে—একপর্যায়ে চেতনা নিজের দিকেই মোড় নেয়। তখন দেখা যায়—‘আমি’ নিজেই প্রশ্ন করছে, নিজেই উত্তর দিচ্ছে, আর শেষপর্যন্ত নিজেকেই মিথ্যা বলে জেনে—লীন হয়ে যাচ্ছে নিজের উৎসে।
এই মিথ্যা উপলব্ধি মানেই মুক্তি—কারণ তখন পরিচয়, অভিজ্ঞতা, সাধন, করণ—সব কিছুর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। আর যা থাকে—তা হলো নিঃসম্পর্ক, শব্দাতীত, অনন্ত শুদ্ধসত্তা—যাকে অদ্বৈত বেদান্তে বলা হয় ব্রহ্ম, পরব্রহ্ম, বা শুদ্ধ স্বরূপ।
‘আমি’-ই নিজেকে জানার জন্য চেষ্টা করে। এই আত্মঅনুসন্ধান চলতে চলতে, একসময় ‘আমি’ নিজেই বুঝে ফেলে—“আমি মিথ্যা”। এই উপলব্ধি ঘটলে ‘আমি’-র বিলয় ঘটে। তখন যা থাকে, তা কোনো পরিচয় নয়—বরং শুদ্ধ অনন্ত অস্তিত্ব। তখন আর কিছু জানার বা করবার থাকে না—তুমি চিরন্তনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে।
আমি খুঁজতে খুঁজতে নিজেকেই খুঁজে পেলাম না—এবং সেই না-পাওয়া নিয়েই আমি হয়ে উঠলাম অনন্ত।
১৭৮.
‘আমি’-কে বুঝতে না পারলে তাকে ভালোবাসো—জ্ঞান না হলে ভক্তি দিয়েই মুক্তি। তুমি বহু চেষ্টা করেছ—অগণিত শাস্ত্র পড়েছ, গুরুবাক্য শুনেছ, তবু এই ‘আমি আছি’ বোধকে বুঝে উঠতে পারোনি?
চিন্তা কোরো না। গুরু বলছেন—এখন জ্ঞানের পথ নয়, এখন ভক্তির পথ। বুঝে ফেলো—‘জ্ঞানমার্গ’ যদি অচল হয়, তবে দরজা বন্ধ নয়—‘ভক্তিমার্গ’ এখন তোমার প্রকৃত উপায়।
তাহলে উপাস্য কী? তোমার ভিতরের সেই জ্ঞান: ‘আমি আছি’—এইটিই ঈশ্বর। তুমি বুঝতে না পারলেও, তাকে প্রেম দাও, উপাসনা করো, শ্রদ্ধা করো—এই ‘আমি’ বোধকে মন্ত্রতুল্য করে হৃদয়ে ধারণ করো।
মনে রেখো—জ্ঞান থেকে ভক্তি, ভক্তি থেকে জ্ঞান—এই দুটি পথ পরস্পরের সহচর। কে কোন পথে যাবে—তা তার স্বভাব অনুযায়ী হয়, কিন্তু উভয় পথেই পৌঁছানো যায় একটিই স্থানে। তাই হতাশ হয়ো না—যদি বুঝতে না পারো, তবু ভালোবেসে থেকো।
অদ্বৈত বেদান্ত বলে—‘আমি’-বোধই ঈশ্বর। জ্ঞানীরা চেতনার দ্বারা তাকে অন্বেষণ করে, কিন্তু সবার মন সেই প্রস্তুতি নিতে পারে না। যারা বোঝার মধ্যে বাধা পাচ্ছে, তাদের জন্য গুরু বলেন—ভক্তি করো এই ‘আমি’ বোধের প্রতি। জ্ঞান আর ভক্তি আলাদা নয়—বরং দুইয়ের উৎস একই, দুইয়ের লক্ষ্যও এক।
তুমি যদি অনুভব করো—“আমি আছি”—এটি অনুভব করো ঈশ্বরের উপস্থিতি হিসেবে। তখন এই ‘আমি’-র বোধ আর চিন্তা নয়, বরং আরাধনা হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে সেই ভক্তিই চেতনার আলোয় রূপান্তরিত হয়—তখন তুমি নিজে বুঝে যাও, যা আগে বুঝতে পারোনি। এইভাবেই ভক্তি হয়ে যায় জ্ঞান।
‘আমি’-র বোধকে যদি এখনো বুঝে না ওঠা যায়, তবে তাকে ঈশ্বররূপে অনুভব করে উপাসনা করো। জ্ঞানমার্গ সবসময় সবার জন্য কার্যকর হয় না—তখন ভক্তিমার্গই হয় প্রকৃত সহায়ক। ‘আমি’-র বোধই ঈশ্বর—তাই তাকে ভক্তিতে পূর্ণ হৃদয় দিয়ে ধারণ করো। ভক্তি ও জ্ঞান একে অপরকে পরিপূর্ণ করে, যার যার উপযুক্ত পথেই এগিয়ে গেলে চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছানো যায়। তাই পথ আলাদা হলেও গন্তব্য এক—আর সে গন্তব্য হলো নিজেকে সত্যরূপে জানা।
যদি বুঝতে না পারো, তবে ভালোবেসো—যাকে বুঝতে পারো না, তাকেই যদি হৃদয়ে রাখো—তবে একদিন সে নিজেই নিজেকে প্রকাশ করবে।
১৭৯.
যদি ‘আমি’-কে গ্রহণ করো নিয়তি হিসেবে, তাহলেই তুমি তা অতিক্রম করো।
তুমি ভাবছ—আমার ভবিষ্যৎ কী? আমি সফল হবো তো? আমি অসুস্থ হবো না তো? আমার মৃত্যু কেমন হবে?
এইসব ভয় আর উদ্বেগ সর্বদা তোমার মনের পেছনে ছায়ার মতো লেগে থাকে। কিন্তু গুরু এক অদ্ভুত, গভীর ও মুক্তিদায়ক কথা বলেন—“তোমার সমস্ত নিয়তি, ভবিষ্যৎ, আশা ও ভয়ের কেন্দ্র করো একটি জিনিসে—‘আমি আছি’ এই জ্ঞানকে নিয়তি বলে গ্রহণ করো।” আর কিছু নয়, এই ‘আমি’-ই হবে আমার ভবিষ্যৎ, আমার ভাগ্য, আমার চূড়ান্ত পরিচয়।
বলো—“আমি কিছু হব না—আমি হব কেবল ‘আমি’।” এরপর প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে এই ‘আমি’-রূপ জ্ঞানেই স্থিত হও, ধ্যান করো, বসো, থাকো। দিনরাত, বাইরে ও ভেতরে—সব কিছুর মধ্যে কেবল এই ‘আমি’-র উপলব্ধি ধারণ করে চলো। আর একসময় এই স্থিরতা ও ধ্যানে এই ‘আমি’ নিজেই অতিক্রম হয়ে যাবে। তখন তুমি আর জন্ম-মৃত্যুর প্যাঁচে বাঁধা থাকবে না—কারণ ‘আমি’-রও যে মূলে তুমি পৌঁছে গেছ—সেখানেই কোনো জন্ম নেই, মৃত্যু নেই, ভয় নেই।
প্রারব্ধ (নিয়তি) সাধারণত বোঝায় জন্মসূত্রে প্রাপ্ত কর্মফল ও ভবিষ্যতের গতি। মানুষ এই নিয়তিকে নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে: কী হবে? কতদিন বাঁচব? ব্যর্থ হব না তো? কিন্তু অদ্বৈত বেদান্তে গুরু এই চিন্তাকে এক উলটো মোড় দেন—“তোমার নিয়তি নির্ধারণ করো নিজের হাতে।”
কীভাবে? “এই ‘আমি’ বোধই হবে আমার নিয়তি।” এই সিদ্ধান্ত নেওয়া মানে—সমস্ত বহিরঙ্গ আকর্ষণ, আশঙ্কা ও অভিপ্রায়ের বাইরে এসে চেতনার মূলবিন্দুতে স্থিত হওয়া। এই স্থিতিই ধ্যান, এবং এই ধ্যান তোমাকে ‘আমি’-র অতীত পরমে পৌঁছে দেয়।
তখন নিয়তির ধারণা–ই ভেঙে যায়, কারণ যে 'আমি'-কে নিয়তি ভাবলে, সেটাই শেষে লীন হয়ে যায় নিয়তিহীন পরম চেতনায়।
আমাদের জীবনের সকল উদ্বেগ, প্রশ্ন, ভবিষ্যতের ভয়—সবই নিয়তির ধারণা থেকে আসে। গুরু বলেন—এইসব ভয় ভুলে ‘আমি’-কে নিজের নিয়তি হিসেবে গ্রহণ করো। প্রতিদিন এই ‘আমি’-তে স্থিত হও, ধ্যান করো, নিজেকে সেটাতেই পরিণত করো।
একসময় এই ‘আমি’-রূপ চেতনায় এত গভীর হয়ে যাও, যে তা নিজেই বিলীন হয়ে যায়। তখন তুমি নিয়তিরও অতীত, জন্ম-মৃত্যুর অতীত—চূড়ান্ত মুক্তিতে প্রতিষ্ঠিত।
নিয়তিকে তুমি বেছে নাও—‘আমি আছি’ সেই বোধে স্থিত হয়ে তাকে অতিক্রম করো আর তারপর তুমি থাকবে, কিন্তু আর কোনো নিয়তি থাকবে না।
১৮০.
‘আমি’ এলে জগৎ আসে, ‘আমি’ গেলে সবই লুপ্ত। তুমি যদি গভীরভাবে চিন্তা করো, স্মরণ করার চেষ্টা করো—ঠিক সেই মুহূর্তটা, যখন প্রথম বার তুমি অনুভব করেছিলে “আমি আছি”—তাহলেই দেখবে, সেই ‘আমি’-র সঙ্গে সঙ্গেই স্থান (space) ও জগৎ (world) একযোগে প্রকাশ পেয়েছিল।
যদি এই স্মরণ অসাধ্য মনে হয়, তবে পরবর্তীবার যখন তুমি গভীর নিদ্রা থেকে জেগে উঠবে, সেই মুহূর্তটাকে নিরীক্ষণ করো। তুমি দেখবে, জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি জিনিস একসাথে প্রকাশ পায়—১) ‘আমি’, ২) স্থান (space), ৩) জগৎ (world)।
এর পরে নানা চিন্তা, পরিচয়, অভ্যাস—সব কিছু এসে ঢেকে দেয় সেই আসল ঘটনাকে, যে এই তিনটি বোধ একসাথে তোমার উপর 'উদিত' হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হলো—এই সমস্ত অভিজ্ঞতার ধারক কে? উত্তর: এই ‘আমি’ বোধ।
যতক্ষণ ‘আমি’ আছে, ততক্ষণ জগৎ ও স্থান থাকবে। আর যখন ‘আমি’ বিদায় নেয়, তখনই জগৎ ও স্থান—দু’টিই লুপ্ত হয়ে যায়, যেমন গভীর নিদ্রায় বা মৃত্যুর মুহূর্তে ঘটে।
‘আমি’-র বোধ হলো আত্মবোধের সূচনা—যেটি চেতনার মধ্যে স্থান ও জগৎ–কে প্রকাশিত করে। এই তিনটি—‘আমি’, স্থান ও জগৎ—একসাথে উদিত হয় জেগে ওঠার মুহূর্তে। তারপর ব্যক্তিত্ব, পরিচয়, কর্মবোধ এগুলো তাকে ঢেকে দেয়—যেন মূল অভিজ্ঞতার উপর আরেকটি স্তর পড়ে যায়। কিন্তু যদি মন দিয়ে নিরীক্ষণ করা যায়, তাহলে বোঝা যায়—সমস্ত জগৎবোধ ‘আমি’-র উপর নির্ভরশীল।
তাই, যখন ‘আমি’ বিদায় নেয়—যেমন গভীর ঘুমে, অচেতন অবস্থায়, বা মৃত্যুর সময়—তখন স্থানে জগৎ থাকে না, কারণ ধারণকারী চেতনা নিজেই অনুপস্থিত।
‘আমি’-র আগমনের সঙ্গে সঙ্গে স্থান ও জগতের অভিজ্ঞতা আসে। এই তিনটি—‘আমি’, স্থান ও জগৎ—একযোগে উপস্থিত হয় চেতনায়। যতক্ষণ ‘আমি’ থাকে, ততক্ষণই তুমি জানো: “জগৎ আছে”। ‘আমি’-র অন্তর্ধানে—জগৎ ও স্থান উৎসবিহীন হয়ে পড়ে। এই উপলব্ধি বুঝিয়ে দেয়—জগতের অস্তিত্ব ‘আমি’-র বোধের উপরে নির্ভরশীল, স্বাধীন নয়।
জগৎ জন্ম নেয় ‘আমি’-র ছায়ায়, এবং ‘আমি’ মিলিয়ে গেলেই সে যেন এক স্বপ্নের মতো—নিজেই অদৃশ্য হয়ে যায়।