এ নৈরাজ্যের নগরীতে একটিও পুষ্পিত বৃক্ষ নেই;
সীমাহীন রুক্ষতায় এখানে সব কিছু মৃত মনে হয়।
একফোঁটা জলও নেই,
ধূসর মৃত্তিকা জন্ম দেয় শুধু কঠিন শিলার।
সকলের অবয়বে অদৃশ্য ভয়ের ছাপ আঁকা,
এবং মস্তিষ্কের কেন্দ্র থেকে পবিত্র শব্দ বেরুলেই
অকস্মাৎ শব্দাবলি হৃদয়ের শহিদমিনার হয়ে যায়।
কিন্তু কই, আমিও যে মাটিকেই ভালোবাসি…
তবুও তো মুখ গুঁজে পড়ে আছি নিস্তব্ধ নির্বাক,
পিঠে রোজ এঁকে নিচ্ছি নির্মম কালের স্বাক্ষর,
সময়ের পদভারে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ।
অথচ সাবলীল সত্যকেই মিথ্যে বলে জেনে
নির্বিকার পকেটে পুরে নিচ্ছি অগুনতি মিথ্যের মোড়ক।
অথচ চলন্ত ট্রেন থেকে হঠাৎ দূরে দেখা গ্রামের মতন
আমরাই আপেক্ষিক স্থির বলে জেনে
জীবনকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছি এখন।
আর এই সময়ের দুষ্টক্ষত-বুকে
প্রতিদিন পুষ্ট হচ্ছে সুযোগসন্ধানী—
স্নেহ, প্রেম, ঘৃণা আর নৈরাজ্যের শুষ্ক নগরীতে।