জানতে চাইছিলে, তোমায় কতটুক বুঝি।
তোমায় বোঝার সাধ্যি আমার কই! তবে তোমার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই…কী আশ্চর্য! আমি নিজেকেই অনেকটা জেনেছি!
সত্যি বলতে, তোমাকে আমার দুর্বোধ্য কোনো অ-ব্যাকরণ মনে হয়, আর আমি তো কেবল স্কুলঘেঁষা জ্ঞানেরও অনধিকারী মাত্র! যতটা গভীরে গিয়ে মোটামুটি আত্মস্থ করা যাবে, জানি, ভাষাকে ঠিক ততটাই শৃঙ্খলায় বাঁধতে পারব। তারপর ঠিক যেমনি করে সীমান্তে সৈন্য আছে জেনে নিশ্চিন্তে ঘুমোই আমরা, তেমনি করে নিজেকে তোমার অনুভূতির প্রহরী করব।
তুমি তোমার অনুভূতিগুলো খুচরো পয়সার মতো একটু একটু করে আমার কাছে জমা রাখবে। ঝনঝন শব্দে যদিও-বা বেজে ওঠে ওরা, জানবে, ওসব হারাবার নয়, আঁচ পর্যন্ত লাগবে না গায়ে…আর অমনিই নির্ভার হয়ে ভাতঘুম দেবে। এ আমার সাধ! আমি এ সাধের সন্ত! কিন্তু হায়! তোমায় আর বুঝি কতটাই-বা!
কত সাধনা করে কেবল জেনেছি, কখন অর্ধমুদিত চোখে তুমি কথা শোনো আর কোন কথাটা তুমি সযত্নে এড়িয়ে যাও। তোমার চোখের পলক পড়ার মাত্রা ধীর কিংবা অবিরত, তা মেপে মেপে আজকাল তোমার চাঞ্চল্যও কিছুটা ধরতে পারি। ওই যে তোমার ঊর্ধ্বমুখী ভঙ্গিমায় অট্টহাসির রোল, তা যে কতটা কষ্ট চেপে ছড়িয়ে দাও, তার হয়তো সিকিভাগ বুঝি।
আর… আর… যতই কাঁধ ঝাঁকিয়ে চোখেমুখে রিল্যাক্স ভাবটা আনো না কেন, আমি তো ও-কাঁধে চিন্তার ওজনই বইতে দেখেছি বেশি। তবে সবচেয়ে গভীরভাবে জেনেছি, কেউ কেউ বোঝার নয়, বরং সাধনার হয়!
কোথায় যেন শুনেছি, সাধনা শেখানো যায় না…তবে যে তোমার সান্নিধ্যে এলে ধ্যানের আরও গভীরে ডুবি, নিজেতে ডুবি?