১. : ভেতরে ভেতরে পুড়তে পুড়তে কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেছি, সে খবর না রেখেই তুমি কিনা বললে…গায়ের রংটা ময়লা!
২. : ভালোবাসা নেবে, না কি বিষ? : ফিনফিনে এক টুকরো সাদা কাগজ আর কলমের শিস।
৩. : ফুলের কাঁটাগুলো ফুলের চেয়েও বেশি সুন্দর, তুমি জানো? : হা হা! চোখ আজকাল বড্ড ধোঁকা দিচ্ছে তোমায়! : কবির চোখকে কোনো ফিনিকফোটা সৌন্দর্যেরও ফাঁকি দেবার ক্ষমতা নেই।
৪. : আমার একাকিত্বের কসম, তোমাকে কখনও একা ফেলে যাব না।
৫. : তোমার চোখে মিশে আছে তাকানোর চেষ্টা, তার সাথে পালিয়ে যাবারও তেষ্টা। অত ভণিতা করলে হয়? তা-ও আবার…নিজের সাথে নিজেই?
৬. : যা পাইনি কখনও, মনে হয়, একমাত্র সে জিনিসটা পেলেই আমি সেরে উঠতাম।
৭. : তোমার সেইসব মূল্যবান সময়ের কী দাম, যা আমাকে মূল্যায়ন করতেই পারল না?
৮. : সিগ্রেটের ধোঁয়ায় দুঃখ উড়িয়ে দিতে পারে যারা, আমি তাদের হিংসে করি। অত ছোটো ছোটো দুঃখ কেন আমারও নেই?
৯. : মানুষ মোহে বাঁচে আর বাঁচতেই থাকে।
১০. : যন্ত্রণা পেতেই যে বেঁচে আছে, তাকেও ভালোবাসা পাবার ভয় দেখাও?
১১. : কিছু এলেবেলে সত্য কথা ঢাকতে পাটভাঙা মিথ্যে সাজিয়ে এনেছি। এসো, দেখে যাও।
১২. : তোমাকে ঘর মনে করে থেকে গেছি বহুবছর, তাই আমার শেষ ঠিকানা হলো গাছতলাতেই।
১৩. : আচ্ছা, রাতারাতি পৃথিবীর সব কিছু কী করে বদলে গেল? . . . এমনকি তুমিও!
১৪. : আমার সারাদেহ খেয়ে ফেলার আগে মাটি যেন চোখদুটোই খেয়ে নেয়; আমি আর কখনও তোমাকে দেখতে চাই না।
১৫. : ঘুম ভাঙার পর বুঝতে পারলাম, তুমি স্বপ্নেই সুন্দর।
১৬. : তোমার দেওয়া যে-দুঃখে তলিয়ে যাব ভেবেছিলে, সেই দুঃখকে সম্বল করেই আমি বেঁচে আছি।
১৭. : আমি নিজেকেই বিক্রি করে দিয়ে তোমাকে খরিদ করার চেষ্টা করেছিলাম, আর তুমি কিনা কামের কাছে বিক্রি হয়ে গেলে!
১৮. : ওই যে আকাশ, যা একদিন দু-জনার ছিল, সেই আকাশ আজ তৃতীয় কারও।
১৯. : যে-মদে নেশা হয় না, ওই মদটাও লোকে খায়! যে-মানুষকে ঘৃণা অবধি করা যায় না, তাকেও মানুষ ভালোবাসে!
২০. : অন্যায় না করেও এতকাল শাস্তি পেয়েছি, তাই আজ ইচ্ছে করছে…ভেঙেচুরে অন্যায় করি।
২১. : সম্পর্ক বদলে ফেলার আগেই, তুমি নিজেকে বদলে নিয়ো—যাতনা কম হবে।
২২. : আড়মোড়া ভেঙেই তোমাকে দেখতে না পাবার ব্যথায় নীল হয়ে আমি আবারও ঘুমিয়ে পড়ি।
২৩. : লিখতে আর চাই না আমি। তবুও বেহায়া আঙুল আরও কী কী যেন উগরে দিতে চায়।
২৪. : এমনভাবে ভেঙে গিয়েছি যে, জোড়া লাগার পরও চুরমার চুরমার শব্দ হচ্ছে!
২৫. : মনের জখম আজকাল আমাকে হাসতেও বাধ্য করছে!
২৬. : এসব মদ কেন রাখো দোকানে? কাকে বিক্রি করবে এসব? : সাহেব, পয়সা দিয়ে তো আর রুচি কেনা যায় না!