জন্মজন্মান্তরের ইডিয়েট

 
ফেসবুকে ঢোকার পর ভাবি,
তোমাকে দেখব না। তুমি কী লিখছ, তা পড়ব না।
পরে দেখা যায়, সব কিছু ভুলে গিয়ে
শুধু তোমাকেই দেখছি!


তুমি কি আমার উপর বিরক্ত? কোনও কারণে?
তোমাকে কি ভুল কিছু লিখেছি? কিংবা বলেছি?
একদম চুপ হয়ে আছ কেন? দাঁতে ব্যথা? না কি হাতে?
না কি আমার অনুভূতিগুলো অর্থহীন মনে হচ্ছে তোমার কাছে?
অবশ্য, হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।


হয়তো তুমি ব্যস্ত।‌ অথবা ভাবছ, জবাব না দিলেও চলবে।
হ্যাঁ, ঠিকই ভাবছ, আমাকে জবাব না দিলেও চলে।‌‌
তবে তোমাকে কিছু লিখে পাঠানোর পর
তোমার ক্ষুদ্র কিছু রিপ্লাইয়ের জন্য আমি অপেক্ষা করে থাকি।‌
তুমি ভালো থেকো অনেক।


তুমি তোমার মতোই থেকে যাচ্ছ।
আমি যখন বুঝব, ইচ্ছে করেই জবাব দিচ্ছ না,
তখন অপেক্ষাটা এখানেই শেষ হবে।
অনুভূতিটার মধ্যে একটা তাগিদ থাকলেও
তোমাকে আর খুঁজে বেড়াব না।


অ্যাই ছেলে! তুমি কেন আমার মেসেজের রিপ্লাই করছ না?
কতবার বলেছি, তোমাকে কিছু একটা লেখার পর
আমি অপেক্ষা করে থাকি,
তা-ও তুমি কিছু বোঝো না।
তুমি এমন অবুঝ কি শুধু আমার বেলাতেই?


তুমি মোবাইলে ওসব হ্যাঁ হুঁ হুম পাঠানো বন্ধ করবে?
রোদে হাঁটতে হাঁটতে আমি এমনিতেই ক্লান্ত,
তার মধ্যে তোমার এমন অনুভূতিহীন বাক্যগুলোর রিপ্লাই
আর করব না আর। যাও!


তুমি কী একটা জন্মজন্মান্তরের ইডিয়েট, বলো তো!
দ্যাখো, আমি মেয়ে হিসেবে যথেষ্ট ভালো,
তুমি এইরকম‌ করলে‌‌ বেয়াদব হয়ে যাব‌ কিন্তু!
তখন আবার বোলো না যেন, আমি‌‌ তোমাকে অসম্মান করছি।
Content Protection by DMCA.com