অ্যাই, শুনছ?
কিছু কি বলেছ?
একমুঠো আকাশ এনো!
শুধুই আকাশ? চাঁদ নয় কেন?
বলে দিয়ো তবে, চাঁদ যেন কথা বলে!
বললে কী হবে? আমায় কি তবে ছেড়ে যাবে?
নিশ্চল চাঁদের কাছে তুমি হেরেই গেলে!
কান পেতে শোনো, ও-হৃদয় কার কথা বলে!
বইছে শীতল হাওয়া, কম্পন লেগেছে বুকে!
মন চাইছে—
স্বপ্নরা সায় দিচ্ছে
হাত রেখে বুকে অনুভবে নিতে
ওই হৃদয়ের স্পন্দন।
আর কতক্ষণ? আর কতক্ষণ?
নিশীথে পীড়ন হচ্ছে ভীষণ:
স্মৃতিরা সব তাড়া দিচ্ছে—
যত পুরোনো দিনের কথন,
অতীত না হোক সেইসব ক্ষণ।
গল্পের ঝুড়িতে রাখব তুলে,
সাজাব কথার মালা, অতিসংগোপন!
রাত্রিশেষে, স্মৃতির ভিড়ে:
পুরোনো বা নূতন—
রয়ে যায় শুধু অস্তিত্ব জুড়ে।
ছোট্ট তোমার ঝুড়িতে,
হাঁপিয়ে যাবে কুড়িতে,
তুমি আসবে কখন বাড়িতে?
হয়তো প্রভাত, নয়তো ফাগুন।
উনিশ বসন্তে, পলাশবনে লেগেছিল আগুন।
ছোট্ট ঝুড়িতে রেখেছিলাম বুনোফুল,
শেষ ট্রেনে ফিরব বাড়ি!
কে জানত, সময়জ্ঞানেও করেছি ভুল!
কীসের প্রভাত, কীসের ফাগুন!
বেপরোয়া মনে জ্বলছে আগুন।
নেভাতে হলে, কবিতা হয়ে ঝরো,
পাশে কিছুক্ষণ বসো।
সত্যি সত্যি ভাবলে,
কেউ কি কভু ভোলে?
মানি না এসব কথা,
আঁচড় কেটে দিয়েছ যে ব্যথা!
যে-পথের রেখা স্বপ্নেও দেয়নি কখনও দেখা!
অচেনা সে পথে কী করে বাড়াই পা?
হারিয়ে ফেলার ভয়
ছোট্ট এ জীবন কী করে সয়!
কাঁটাহীন ফুল, ফুল তো নয়!
ব্যথাহীন জীবন, শুধু কাব্যেই রয়!
যেসব রেখার গন্তব্য অসীমে...
পথ ধরে এগিয়ে যেতে মানা কীসে?
নতুন যে-পথ পরিচিত হবে,
জাগাবে ভয়, যন্ত্রণা দেবে শত—
তা-ই তো, তোমার মতো!?
শাখাহীন পথে
হারিয়েছে কেউ, শুনেছ কবে?
ফুল আর কাঁটা,
ভিন্নসূত্রে গাঁথা,
রমনেও পাওয়া যায় ব্যথা,
তাই বলে কী সে বৃথা?
হয়তো সে পথ অসীমে করেছে নিজেকে বিসর্জন,
তাই বলে কি ছায়াসঙ্গী পথিক, তিমিরে করবে সমর্পণ?
মনে রেখো: আঁধার আছে বলেই, আলোর সর্বত্র বিচরণ!