ঈশ্বরের অর্থবিত্ত




অগণিত মানুষের মনে একটি পুরোনো প্রশ্ন ভেসে ওঠে—ঈশ্বরের কি সত্যিই আমাদের অর্থের প্রয়োজন? তবুও যুগে যুগে ধর্মালয় ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে অর্থসংগ্রহের নানা উপায়। শেখানো হয়েছে—যা দান করা হয়, তা ঈশ্বরকেই দেওয়া হয়। আরও বলা হয়েছে—প্রচুর দান করলে ঈশ্বর বহুগুণে প্রতিদান দেবেন। এ যেন এক প্রাচীন লটারির টিকিট—যার পুরস্কার পাবার আশায় মানুষ মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য অপেক্ষা করে।

কিন্তু হয়তো সত্য অন্য কোথাও। সম্ভবত, সেই প্রতিশ্রুতি—আত্মার জাগরণ এই জীবনেই ঘটতে পারে। হয়তো আজও পৃথিবীতে অসংখ্য "আলোকিত সত্তা" আছে, যাদের কণ্ঠস্বর চাপা পড়ে যায় কঠোর ধর্মীয় গোঁড়ামির নিচে। অপেক্ষার নামে কেটে যায় যুগ, আর সেই অপেক্ষাকে কাজে লাগায় প্রতিষ্ঠান, অর্থ আর ক্ষমতার মোহে।

হয়তো প্রকৃত বার্তা হচ্ছে—অদৃষ্টের দিকে চেয়ে বসে না থেকে নিজস্ব ঐশ্বরিকতাকে আবিষ্কার করা। নিজেকেই হতে হবে সেই পরিবর্তন, যা বিশ্বে দেখতে চাই। যা-ই হোক না কেন, এক অদৃশ্য স্রোত আজও হৃদয়ে ফিসফিস করে—জাগরণের সময় এখনই। ঈশ্বর কারও অর্থ নেন না—বরং চান জাগ্রত হৃদয়। প্রকৃত দান হলো ভেতরের ভ্রান্তি ত্যাগ করে নিজস্ব আলোকসত্তায় দাঁড়িয়ে ওঠা।