আমার আর মায়া নেই, আমার চোখে কাজলও আর নেই, আমি বিদায় চাইছি না আর, নিজেই চলে যাচ্ছি মাথাব্যথার অজুহাত দিয়ে।
তুমি কোথায় থাকো, কেমন থাকো, জানি না আর! অবশ্য জানতে তো দিতেও চাও না। খুব করে শিখে গেছ একা বেঁচে থাকতে? একাই কাঁদো তবে আজকাল তুমি? আমাকে সঙ্গ দিতে বললেই তো চলে আসতাম...
খুব লেখা পেয়েছে, জানো? তোমার ঠিকানা হাতড়ে পাচ্ছি না, একটু পড়ে যদি দেখতে কেমন লিখেছি...! সময় নেই! তা-ই তো বলবে? অজুহাতও তো দু-চারদিন পর পর পালটে দিতে হয়, শিখবে না তা-ও?
ইদে যাবে তো বাড়ি? আমি কিন্তু যাব না, কারণ আমি জানি, তুমি ইদেও শহরে থাকো, একা একাই। এবার আমিও তোমার জন্য শহরেই ইদ কাটাব। আমি আর তুমি, একা আর একা। কী? থাকতে দেবে না তোমার শহরে?
নিজেকে মাঝে মাঝে রোদে দিয়ো, মনটাতে তা দিয়ো। মন পুড়লে কেমন লাগে, না-ই যদি জানলে, এ জীবন বুকে তুলে নিতে বড়ো কষ্ট হবে যে!
জেগেই আছ? ইনসমনিয়া? আমার মতন তোমারও হলো শেষমেশ? কফিটা অন্তত ছাড়ো, যেখানে আমাকে ছাড়তে পারলে, কফি আর কী-ইবা...
ভাত খাবে না? এখনও পরোটাই চলে? নিজের খেয়াল রাখবে কবে আর? আমি বুড়ো হলে পরে?
আজ সব তুলে রাখলাম। বেগুনি শার্টটাই পরবে কিন্তু! আমি যাই, স্বপ্ন ভেঙে জাগতে হবে এবার, সকাল হলো এই তো সবে!